আমরা কি অত্যন্ত অপ্রয়োজনীয়ভাবে ভারতীয় আভ্যন্তরিন যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ছি !!!
লিখেছেন লিখেছেন তীর্যক১০ ১৮ নভেম্বর, ২০১৪, ০২:৫৬:০৮ দুপুর
গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম একজন চৌকশ গল্পকার। বিরোধি দলীয় বিশেষতঃ জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের ধরে রিমানেড়্ নিয়ে স্বীকারোক্তির নামে নিত্য নতুন গলেপর অবতারনায় তার জুড়ি সে নিজেই। বর্ধমানের বোমা বিস্ঘফোরনে ঘটনায় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-এর প্রতিনিধি দল গতকাল তার কাছে কিছু জঙ্গীর নাম দিয়েছে।
এখন দেখা যাক বিশিস্ট গল্পকার এই মনিরুল দেশীয় ইসলামি সংগঠনগুলোকে নিয়ে কেমন গল্প ফাঁদে। হরকাতুল জিহাদ, হিজবুত তাহরীর, আলকায়েদা প্রধানের অড়িও বার্তা ও বাংলাদেশে ঘাটি গাড়া এবং সর্বশেষ আনসারুল্লাহ বাংলাটিম গল্প সমূহ ফ্লপ হবার পর এখন স্বয়ং প্রভুগন দৃশ্যপটে।
শুরু হয়ে যাবে প্রত্যক্ষ ভারতীয় ডিকটেশান, অমুক জঙ্গী তাকে ধর! তমুক তালেবান তাকে মার!! কিংবা অমুক আলকায়েদার শীর্ষ নেতা তোমার দেশে আছে, তাকে আমাদের কাছে হস্তান্তর না করলে আমরা হামলা করবো !!! ভৃত্যের কি করার আছে প্রভূর হুকুম তামিল বিনা !!!
এদিকে এনআইএর প্রতিনিধিদলের সাথে বৈঠকের পর স্বরাষ্ট্র সচিব জানান, গত ২ অক্টোবর পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানে একটি বাড়িতে বিস্ফোরণে দুইজন নিহত হওয়ার পর তদন্তে নেমে বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবির সম্পৃক্ততার কথা জানায় এনআইএ। তাদের মতে ভারত ও বাংলাদেশ দুই দেশেই এ দুষ্কৃতরা রয়েছে, এদের খুঁজে বের করা দরকার।
আর এভাবেই সেবাদাস আওয়ামি সরকার ভারতীয় আভ্যন্তরিন গোলযোগে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিকে জড়িয়ে ফেলছে অত্যন্ত অপ্রয়োজনীয়ভাবে। জঙ্গী বা বিচ্ছিন্নতাবাদি দমনের নামে ভারত কাশ্মিরী মুসলমান কিংবা সেভেন সিস্টারের বিদ্রোহ দমন অভিযানে বাংলাদেশকে জড়িয়ে ফেলছে অত্যন্ত সুকৌশলে; তাতে ভারত লাভবান হলে্ও আমরা প্রতিপক্ষ রূপে চিহ্নিত হচ্ছি তাদের স্বাধিনতাকামী দলগুলোর কাছে। যা আমাদের মাতৃভূমিকে অনিরাপদ করে তুলবে সেটা বলাই বাহুল্য। ভবিষ্যতে জঙ্গী ধরার নামে ভারতীয় সামরিক অভিযানের পথ সুগম হলো বলা চলে।
বিষয়: বিবিধ
১৩৯৯ বার পঠিত, ১৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
যেখানে এই বিষয় নিয়ে ভারতেই প্রচন্ড বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে যে এটি পশ্চিমবঙ্গের তৃনমূল সরকারের সাথে ভারতের কেন্দ্রিয় বিজেপি সরকারের বিরোধের কারনে সাজান ঘটনা সেখানে বাংলাদেশের আগাবাড়িয়ে চলা হাস্যকর। ভারতের অভ্যন্তরিন যুদ্ধে আমরা আগেই জড়িয়ে পরেছি। ভারতের বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা থেকে উত্তরনের কোন সুযোগ বর্তমান বিজেপি সরকারের নাই। তাই তারা অস্তিত্ব রক্ষায় থেলবে হিন্দুত্ব কার্ড।
"মানষিক ভাবে গোলাম হলেই মানুষ ভৌগলিক ভাবে গোলাম হয়।"
মরহুম অধ্যাপক গোলাম আজম সাহেবের এই অমীয় কথামালার বাস্তব প্রতিফলন এ গুলো!
মন্তব্য করতে লগইন করুন