নেতাদের চরিত্র ফুলের মত পবিত্রঃ বাংলা নিউজের জিনিয়ারা বার বার গরুর রচনা লিখে কেন !!! (রিপোস্ট)
লিখেছেন লিখেছেন তীর্যক১০ ০১ জুন, ২০১৪, ১২:২৫:১৩ দুপুর
একটি বহুল পরিচিত গল্প। জনৈক ছাত্র সব পরীক্ষায় একই রকম গরুর রচনা লিখে আসে। একবার শিক্ষক মশাই বু্দ্ধি খাটিয়ে পরীক্ষায় প্রশ্ন করলেন নদীর রচনা লিখার। এবার ছাত্র লিখলো, আমাদের বাড়ীর পাশে একটা নদী আছে, নদীর নাম অমুক। সে নদীতে প্রতিদিন একটা গরু পানি খেতে আসে। সেই গরুর চারটি পা আছে, দু'টি কান আর দুটি চোখ ...... আবার সেই গরুর রচনা।
জিনিয়া জাহিদদের হয়েছে ঠিক সেই দশা। নারায়নগন্জী আওয়ামি রক্ষিতা নীলা আর নূর হোসেনের উথ্থানের ফিরিস্তি গাইতে গিয়ে তিনি বখাটে নূর হোসেন, হো. মো এরশাদের সাথে আল্লামা সাঈদীকে এক কাতারে দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন। যেটা কোনভাবেই প্রাসঙ্গিক কিংবা যৌক্তিক ছিলনা। নিতান্তই ইসলাম,ইসলামি রাজনীতি ও ইসলামি ব্যক্তিত্বের প্রতি অন্ধ বিদ্বেষ পোষন করলে যা হয় আর কি! খুন, ধর্ষন, চাঁদাবাজি সন্ত্রাস .. বা যে কোন প্রসঙ্গই আসুক জামায়াত-শিবির কিংবা দাঁড়িটুপি ওয়ালাদের একটুখানি না জড়ালে যেন জিনিয়াদের রচনা পূর্ণতা পায়না। জামায়াত-শিবির, ইসলাম, দাড়ি-টুপি .... এসব হলো গরম মশলার মত, একটু খানি আঁচ দিলেই স্বাদে গন্ধে রসনা ভিজে যায়। এতে চেতনাবাজদের চেতনা উথ্থিত হয়, পত্রপত্রিকার কাটতি বাড়ে। জিনিয়াদের বাড়ে আদর। পত্রিকাওয়ালারা তাদের পিঠ চাপড়ে নানান কিসিমের আজগুবি ট্যাগ লাগিয়ে দেয় "কন্ট্রিবিউটিং এডিটর"! বাহ্, জিনিয়াদের বাক বাকুম ... আর থামায় কে !!
নীলা আর নূরহোসেনের সাথে আল্লামা সাঈদীর প্রসঙ্গটা শুধু অবান্তরই নয়, রীতিমত ধৃস্টতা। জনাব সাঈদী তো নয়ই বরং তার নাখান্দা কোন জুতা বাহকও নীলা বা নূর হোসেনের মত গর্হিত কাজে লিপ্ত হবেনা। নতুবা বাংলানিউজ২৪ এরকম কয়েকডজন ট্যাগধারী জিনিয়াস জিনিয়া পুষতো ইসলামিপন্থীদের নামে মনের মাধূরী মিশিয়ে কেচ্ছা কাহিনী রটনার জন্য।
দৈনিক প্রথম আলোর দুগ্ধপায়ী সহঃ সম্পাদক অরুন চৌঃ'র তরুন কর্মকান্ড় কি মনে পড়ছে? কিংবা সাম্প্রতিক কালের দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের নেপথ্য নায়ক চটি পিয়ালের কথা? তারা কেউই লাল পর্দার অবগুন্ঠন দিয়ে নিজেদের কদর্য্য চরিত্র ঢাকতে পারেনি। তারা কিন্তু আল্লামা সাঈদীর অনুসারী নয় জিনিয়া-নূর হোসেনদের চেতনার বরকন্দাজ।
কিংবা তসলিমা নাসরিনের আত্মজীবনী "দ্বিখন্ড়িত" বর্ণনার কথিত সেই সব্যসাচী লেখক সৈয়দ সামশুল হকের কথা! কথা বলার ছলে তার হাত সন্তর্পনে কিভাবে তসলিমার অন্তর্বাস ছুঁয়ে দিতো। অথবা জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন;তসলিমার সাথে কলকাতার হোটেলে রাত কাটিয়ে একসাথে ঢাকা এয়ারপোর্টে নেমে এমনভাব করলেন যে তসলিমা কে তিনি চিনেনইনা; পাছে মিলনের স্ত্রী কিছু সন্দেহ করেন! সত্যিই বলছি এরা কেউই আল্লামা সাঈদীর সেকেলে আদর্শের অনুসারী নন,তারা জিনিয়াদেরই চেতনার পথিকৃত ।
শুধু পথকৃতদের কথা বলবো কেন? একটু উত্তরসূরীদের কথাও যে বলতে হয়। ইডেন-বদরুন্নেছার সাপ্লাইগুলোও হয়তো একদিন নামের আগে ড. বসিয়ে বাংলানিউজের মত অন্য কারও কাছ থেকে একটা ট্যাগ জোগাড় করে নেবে। কিন্তু কে খোঁজ নেবে অর্থ, যশ-খ্যাতি কিংবা বড় ডিগ্রী অর্জনের জন্য শুধু রাজনৈতিক নেতার নয় পিএইচডি সুপারভাইজারের বিছানাও উষ্ঞ করেছিল ! নিজের রূপ লাবন্যের কারিশমা দেখিয়ে দাদাদের মনোরন্জন করে যশ খ্যাতি অর্থ প্রতিপত্তি হাতানো এমন চেতনাবাজ নারীর সংখ্যা বর্তমানের বেশুমার। হলফ করে বলা যায় তাদের কেউই আল্লামা সাঈদীর দল বা মতাদর্শের কেউ নয়, সবাই জিনিয়াদের মত প্রগতিবাদের উর্দিওয়ালা দুর্গতির ধারক বাহক।
বাংলাদেশের আপামর জনতা জানে কে আল্লামা সাঈদী, আর কে নূর হোসেন এবং কি তাদের আদর্শ, কারা তার অনুসারী। আর কি স্বার্থেইবা জিনিয়াস জিনিয়ারা ঘোড়া গাধা এক কাতারে দাঁড় করিয়ে কাকে ব্যালেন্স করতে চায়। জিনিয়ারা চায় আল্লামা সাঈদীদের সুউচ্চ মর্যাদা ধুলোয় মলিন করতে; যেন নূর হোসেনদের কালিমা ল্পিত চেহারা আড়াল করা যায় কিন্তু আল্লামা সাঈদীরা চীরকাল সূর্য্যের জ্যোতি এবং চাঁদের দ্যূতি হয়ে দোদীপ্যমান থাকবেন, বিকিরণ করবেন সত্যের আলো। নূর হোসেন আর জিনিয়াদের পাপ পঙ্কিলতা থেকে যোজন যোজন দূর।
বিষয়: বিবিধ
১৭১১ বার পঠিত, ১৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
যেনা জাহিদ নামের এই সুন্দরী মায়াডার নামের শুরুতে ড. লাগানোর ফজিলত তো বুঝা গেলো না। এমনিতেই সে খুবই স্মার্ট এবং ছবি দেখে সুন্দরী মনে হচ্ছে। তাতেই তো তার মার্কেট পাওয়ার কথা। নামের শুরুতে ড. আবার শেষে বিশ্বদ্যিালয়ের শিক্ষক! এসব কিসের আলামত?
আমাদের কুড়ে ঘরের সুন্দর লাতা কুরাটাও বেশ শিক্ষিত। অনেক নিয়ম কানুন বুঝে। তারে শিক্ষিত কুরা বলে ডাকলে সে মাইন্ড করে ইদানিং। সে কইতে চায় "আমারে জিনিয়া জাহিদের সাথে তুলনা করেন ক্যান?"
সে যে সুন্দরী না এই হীনমন্যতা তাকে সবসময়ই ভোগায় তা সে যতই পিএইচডি ধারী হোক না কেন ।
বর্তমানে চেতনা জীবীদের অবস্থা ঠিক গরুর মালিক মত।
জিনিয়াদের চুলকানীর মাত্রা আরো যুতসই করতে 'চুতরা'র পাতা দিয়া ডলা দেয়া দরকার খুউব করে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন