এক অটিস্টিক বিজ্ঞানীর গল্প!!!

লিখেছেন লিখেছেন তীর্যক১০ ০৮ মে, ২০১৪, ০৮:২৭:৫০ রাত

এক অটিস্টিক বিজ্ঞানী ছেলের শৈশব কালের কথা। তার আচার-আচরনে মেধার ঠনঠনানি । কথায় বলে মেধা আর চুলকানি গোপন থাকেনা। ভবিষ্যত বিজ্ঞানী বলে কথা, তারও মেধার খ্যাতি তখন দিগ্বিদিক। নানার কাছ থেকে গান্জায় দীক্ষা নেবার পর তা শনৈ শনৈ বেড়ে পৌঁছে যায় আধ্যাত্মি পর্যায়ে। অবিশ্বাস্যভাবে প্রতিরাতেই সে যা কিছু স্বপ্নে দেখে এবং তা পরদিন বাস্তবে ঘটে। খুন, ধর্ষন, ব্যাংক ডাকাতি, গুম মৃত্যুর খবর সে স্বপ্ন যোগে আগাম বলে দিতে পারে। পারবেই তো; মরা নানা যদি স্বপ্ন দেখতে পারে জীবিত নাতির স্বপ্ন দেখা তো একেবারেই নস্যি।



এই অবিশ্বাস্য ক্ষমতা নিয়ে যেমন আনন্দ বিস্ময় ছিল তেমনি বিড়ম্বনাও কম ছিলনা। একদা সে স্বপ্নে দেখল তার জম্মদাতা পিতা আগামি কল্য মৃত্যু বরণ করবে। প্রত্যুষে উঠেই সে তার মা কে স্বপ্নের কথা বললো

- মা, আমি স্বপ্নে দেখলাম আজ রাতে বাবার মৃত্যু হবে।

- তাই নাকি!

- আমাদের কি হবে মা?

- কিচ্ছু হবেনা, তুই এই স্বপ্নের কথা কাউকে বলবিনা।

মায়ের নির্বিকারত্ব দেখে ছেলের তর সইছিলনা, বাবাকে সে স্বপ্নের কথা বললো। ছেলের কথা শুনে বাবার তো চক্ষু চড়াকগাছ, চিন্তা করলো আজ সে বাড়ীতেই থাকবেনা, অফিস থেকে অন্য কোথাও চলে যাবে। পরদিন বিকেলে বাসায় ফিরে দেখে পাশের বাসায় কান্না রোল, নিজ স্ত্রীও যেন শোকার্ত । বাবাকে দেখে ছেলে আনন্দে চিৎকার করে বলেঃ

- বাবা, আমার গত কালকের স্বপ্নটা সত্য না হয়ে ভালই হয়েছে, তুমি বেঁচে আছ। কিন্তু জান পাশের বাসার মৃনাল আংকেল মারা গেছে। তাদের বাসার সবাই কান্না কাটি করছে, মাও কাঁদছে।

- চুপ হারামজাদা, আমাকে আর বাবা বলে ডাকিবিনা।

বাবার অকস্মাৎ রাগান্বিত হবার কারণ বুঝেনা অটিস্টিক ছেলে, মাও থাকে নির্বিকার। দিনে দিনে মা-ছেলের সাথে বাবার দুরত্ব বাড়ে । একদিন বাবারও মৃত্যু হয় কিন্তু সেই মৃত্যুটা ছেলে স্বপ্নে দেখছিল কিনা জানা যায়না।

পাদটীকা: আজ বাংলাদেশের প্রথিতযশা পরমানু বিজ্ঞানী ডঃ ওয়াজেদ মিঞার মৃত্যু বার্ষিকী। অন্যান্য মৃত্যু বার্ষিকীর মত আজকে কোন বক্তৃতা বিবৃতি নেই। সবার অগোচরে চলে যাচ্ছে দিনটি। তবে পোস্টে ও ছবির সাথে এই মৃত্যুর কোন সম্পর্ক নেই।

বিষয়: বিবিধ

১৬৪৫ বার পঠিত, ১৫ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

219199
০৮ মে ২০১৪ রাত ০৯:২২
শিশির ভেজা ভোর লিখেছেন : শিরোনাম দেখে ভাবলাম লেখাটা ভালই হবে। কিন্তু ভিতরে পড়ে আপনার সম্পর্কে ধারণা পাল্টে গেলো। সাহিত্যিকের কাজ পাঠকদের আনন্দ এবং শিক্ষা দেয়া, বাঁশ দেয়া নয়। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
০৮ মে ২০১৪ রাত ০৯:৩৪
167002
তীর্যক১০ লিখেছেন : আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
219205
০৮ মে ২০১৪ রাত ০৯:৩৫
হতভাগা লিখেছেন : এই দিবসে কি ছুটির ঘোষনা দেওয়া যেতে পারতো না ! হাজার হোক জাতির জামাই বলে কথা !
০৮ মে ২০১৪ রাত ১০:০৬
167009
তীর্যক১০ লিখেছেন : জাতীর জামাই আপনার মতই হতভাগা !! ধন্যবাদ।
219218
০৮ মে ২০১৪ রাত ১০:২৪
হারিয়ে যাবো তোমার মাঝে লিখেছেন : গরু হারালে এমনি হয় মা Sad Sad
০৮ মে ২০১৪ রাত ১১:৪৬
167042
তীর্যক১০ লিখেছেন : Thank you..
219238
০৮ মে ২০১৪ রাত ১১:১০
আহ জীবন লিখেছেন : ঠেশ কাকে বলে কতো প্রকার ও কী কী ?
০৯ মে ২০১৪ রাত ০৪:৫১
167105
তীর্যক১০ লিখেছেন : This is reality...... thanks...
219260
০৮ মে ২০১৪ রাত ১১:৪৯
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : মনে করিয়ে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
তাকে স্মরন করার জন্য এখন আর কেউ নাই।
১০ মে ২০১৪ রাত ০১:৩৫
167401
তীর্যক১০ লিখেছেন : যাদের মনে করার কথা তারাই যেন বিস্মৃত হয়ে আছে ,,, আমাদের আর কি দোষ!
219275
০৯ মে ২০১৪ রাত ১২:১৫
মাটিরলাঠি লিখেছেন :
অটিস্টিক বিজ্ঞানী - জটিল।
মৃণাল আঙ্কেল - এটাও জটিল।

বেজায় তির্যক পোষ্ট। কারো কারো সহ্য নাও হতে পারে। Happy
১০ মে ২০১৪ রাত ০১:৩৭
167402
তীর্যক১০ লিখেছেন : ভাই আমার নিকটা তীর্যক কিন্ত আম লোকটা নিতান্ত সহজ সরল। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
277153
২২ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৮:৪৯
ফখরুল লিখেছেন : যখন আমার মনটা খারাপ থাকে তখন এই লেখা টা পড়ি। সাথে সাথে Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor শুরু করি। ধন্যবাদ হে গুরু।
২৩ অক্টোবর ২০১৪ দুপুর ০২:০৮
221334
তীর্যক১০ লিখেছেন : মনে কত বিনোদন ....
277381
২৩ অক্টোবর ২০১৪ দুপুর ০২:৩২
প্রেসিডেন্ট লিখেছেন : Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Bee Bee Bee Cheer Cheer Cook Cook Give Up Give Up Give Up Hot Hot Hot Thumbs Up Thumbs Up

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File