"স্বাধীনতার ঘোষণায় স্বাক্ষর প্রদানে মুজিব কাকু অস্বীকৃতি জানান" - তাজউদ্দীন কন্যা।
লিখেছেন লিখেছেন তীর্যক১০ ২৪ এপ্রিল, ২০১৪, ০৪:৪৪:১০ বিকাল
তোফায়েল এখন কাকে মূর্খ বলবেন ? শেখ মুজিব যে ৭ কোটি মানুষকে বিপদে ফেলে নিজের পরিবারকে পাক সেনাদের হেফাজতে রেখে স্বয়ং লোটাকম্বল নিয়ে পাকিস্তানীদের হাতে ধরা দিয়েছিল, সে কথা আজ ধ্রুব সত্য।
আমি অধুনালূপ্ত শ্রিলংকান বিদ্রোহী গোস্ঠি এলটিটিই'র প্রধান প্রভাকরণ পিল্লাই কে (নাম ভুল হতে পারে) সশ্রদ্ধ স্যালুট জানাই। যে কিনা স্বজাতির স্বাধিকারের জন্য আমৃত্য লড়াই করে গেছেন। শ্রিলংকান আর্মির হাতে তিনি মৃত্যু বরণ করেছিলেন সম্মুখ সমরে কপালে গুলি খেয়ে পিঠে নয়। তার কৃতকর্মের ন্যায্যতা নিয়ে বিতর্ক হতে পারে তবে তার স্বজাতী প্রেম, সংগ্রাম আর আত্মত্যাগ ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
পৃথিবীর দেশে দেশে স্বাধিকার আন্দোলনের ইতিহাসে এমন একজন নেতাও খুঁজে পাওয়া যাবেনা, যে কিনা চুড়ান্ত আন্দোলন-যুদ্ধ শুরু হবার আগেই শত্রু পক্ষের হাতে ধরা পড়ে গেছে। স্বাধিকারের নেতারা পূর্বেই অস্থায়ী সরকার, প্রশাসন, সামরিক বাহিনী, যুদ্ধ পরিকল্পনা এবং চেইন অব কমান্ড় সব কিছু চুড়ান্ত করে আত্মগোপনে থেকেই সবকিছু পরিচালনা করবেন - এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু নেতাকর্মীদের অন্ধকারে রেখে, জনগনকে বিপদে ফেলে প্রধান নেতা ধরা দেবে আর হোমড়া চোমড়ারা সব পালিয়ে যাবে; এহেন নির্লজ্জ্ব ঘটনা ইতিহাসে আর দ্বিতীয়টি নেই। আলাকায়েদার বিন লাদিন ভিনদেশে আত্মগোপনে থেকে সংগ্রাম করে গেছেন বছরের পর বছর আর ২০ বছরের দোর্দন্ড় প্রতাপশালী শাসক সাদ্দাম হোসেন কবর সদৃশ বাংকারে লুকিয়ে শুকনো খেজুর আর রুটি খেয়ে শসস্ত্র যুদ্ধ পরিচালনা করে গেছেন দীর্ঘ্য দিন।
কিন্তু বাংলার কথিত অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবর ঠিক কি কারণে আত্মগোপনে না গিয়ে স্বাধিকার আন্দোলনের কোন ধরনের রূপরেখা চুড়ান্ড় না করে শত্রুপক্ষের হাতে ধরা দিলেন ! তার ৭ই মার্চের ভাষন যদি স্বাধিনতার ঘোষনা হয়, তবে ২৫ মার্চ পর্যন্ত কিসের আলোচনা করেছেন শত্রু পক্ষের সাথে? আবার ২৭ মার্চই বা হরতাল ডেকেছিলেন কেন? আলোচনা আর হরতাল দিয়ে কি স্বাধিকার আন্দোলন হয় ? তার ৬ দফার কোথাও কি স্বাধিনতার কথা ছিল কিংবা ৭০ এর নির্বাচনী মেনিফেস্টোতে? আসলেই কি শেখ মুজিব স্বাধিনতা চেয়েছিল না পাকিস্তানের গদি নাকি স্বায়ত্বশাসন ?
তারেক রহমানের বক্তব্য আর তাজউদ্দীন কন্যার বইয়ের তথ্য; এক ও অভিন্ন। ৭০ -৭১ এর ঘটনা পরম্পরাও তাদের বক্তব্যের স্বপক্ষে স্বাক্ষ্য দেয়। তবুও আওয়ামিলীগ যুক্তি, তথ্য উপাত্ত্ব দিয়ে অভিযোগ খন্ড়ানোর পরিবর্তে স্বভাবসূলভ গলাবাজি-গালবাজি বাগড়ম্বর করবে। কিন্তু পেন্ড়োরার যে বাক্স খুলে গেছে ইতিহাসের অমোঘ নিয়মে, সে বাক্সের সকল তথ্য জানতে উম্মুখ জনগন। আমাদের জানতেই হবে স্বাধিনতার যুদ্ধ কি পূব পরিকল্পিত না ভারতীয় কোন এজেন্ড়া? ভারতীয় সর্বগ্রাসী আগ্রাসন কি সে ষড়যন্ত্রেরই অংশ ? তবে কি “র” এর জাল ৭১ এর আগে থেকেই বিস্তৃত ছিল এ দেশে ? ঠিক কি কারণে সেক্টর কমান্ড়ারসগন, চিহ্নিত কিছু বুদ্ধিজীবি, কবি-সাহিত্যিক সংস্কৃতিকর্মী, আমলারা সর্বপোরি একটি বৃহৎ রাজনৈতিকদল বাংলাদেশের স্বাধিনতা সার্বভৌমত্ব বিরোধি ভারতীয় কর্মকান্ড়ের বিরুদ্ধে টুশব্দটিও করেনা কিন্তু ভারত বিরোধি শক্তির বিরুদ্ধে তারা খড়গহস্থ !?
দেশের স্বাধিনতা - সার্বভৌমত্বের স্বার্থে, নব্য মীরজাফর-ঘসেটি বেগম লেন্দুপদর্জীদের ষড়যন্ত্র হতে বাঁচতে হলে জানতে হবে।
বিষয়: রাজনীতি
১৩১৫ বার পঠিত, ১৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
দিলেন তো আগুন ধরাইয়া...
অনেক সুন্দর লিখা... আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
নিউক্লিয়াস কার টাকায়, কার নেতৃত্বে কি কাজে জড়িত ছিল?
দেশের স্বাধিনতা - সার্বভৌমত্বের স্বার্থে, নব্য মীরজাফর-ঘসেটি বেগম লেন্দুপদর্জীদের ষড়যন্ত্র হতে বাঁচতে হলে
এ জাতীয় প্রশ্নের উত্তর জানতে হবে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন