জানিনা কে দেবে জবাব

লিখেছেন লিখেছেন নূর আয়েশা সিদ্দিকা জেদ্দা ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৪, ১০:২৪:৩০ রাত

বেশ সুদৃশ্য একটি ছোট গিফট বক্স তিনি আমার দিকে এগিয়ে দিলেন। আমি অবাক হয়ে প্রশ্ন করলাম – কি এটা? ঠোঁটের কোণে নিজের চিরায়িত মিষ্টি হাসি ঝুলিয়ে বললেন- আগে খুলে তো দেখুন। পছন্দ হয় কিনা। আপনার জন্য সামান্য গিফট। আমি বক্স খুলে উনার সামান্য গিফটের চেহারা দেখে রীতিমত অবাক হলাম। একটি ফুটন্ত ফুল চারপাশে স্টোন বসানো।মাঝখানে সাদা একটি মুক্তো। বেশ সুদৃশ্য একটি আংটি। উনি উদগ্রীবতা নিয়ে প্রশ্ন করলেন- পছন্দ হয়েছে? আমি বেশ ইতস্তত বোধ করলাম। বললাম- শুধু শুধু কষ্ট করে কেন.....? উনি আমার কথা শেষ করতে না দিয়ে বললেন- আপনাকে আমার এত ভালো লাগে... এত ভালো লাগে..আপনার কথার ভঙ্গি... আপনি.. সব কিছুই আমার ভালো লাগে। কাউকে ভালো লাগলে আমার কিছু দিতে ইচ্ছে করে। তাই আপনার জন্য নিয়ে এলাম। আমি অস্বস্তির সাথে বললাম- আরে না না ,বাইর থেকে ও রকম হয়ত মনে হয়। কিন্তু আপনার অত বেশি ভালোবাসা পাবার মত কোন যোগ্যতা আমার নেই। উনি হেসে মাথা দোলালেন। বললেন- আপনি জানেন না আপনি আমার কত প্রিয়। আমি রাসূল (সাঃ) এর হাদীস হতে জেনেছি কাউকে ভালো লাগলে তাকে সেটা জানিয়ে দিতে হয়। তাই বলছি- আপনাকে আমি অনেক ভালোবাসি। আমি তখন মনে মনে ফিসফিসিয়ে বললাম-হে প্রভু, উনার প্রত্যাশিত সুন্দর গুণগুলো অর্জনের ক্ষমতা সত্যিই তুমি আমাকে দিয়ে দাও। এমনি করে এই মানুষটির ভালোবাসার অত্যাচার আমাকে প্রায়ই সহ্য করতে হয়। কখনো এটা, কখনো সেটা উনি প্রায়ই আমাকে দিতে থাকেন। আসলে উনাকে আমি ও খুব ভালোবাসি। উনি আমার বই পড়ার বন্ধু। প্রায়ই আমার কাছ হতে বই ধার নেন। সুবোধ মানুষটির মত সময়মত ফেরত দেন। কোন কিছু শেখালে বেশ আগ্রহ করে শিখেন।

ওহ পাঠক! উনার নামই তো বলা হল না। ছবি ভাবীর কথাই আপনাদের বলছিলাম। সদাহাস্যময়ী মানুষটির মুখে হাসি লেপ্টেই থাকে। গত ২/৪ দিন আগে ফোন দিলাম। শুরু করলাম রীতিমত অভিযোগ দিয়েই - কি ব্যাপার ভাবী ভুলে গেছেন আমাকে? কত দিন কথা হয়না। খুব মিস করছি আপনাকে। মনে হল ওপাশ হতে ভাবীর গলাটা কেমন যেন প্রাণহীন। সেই সদাপ্রাণোচ্ছল হাসির ছটায় যেন ভাটার টান। বললেন- ভাবী, মনটা আজকাল খুব খারাপ থাকে তো তাই আপনাকে ফোন করা হয়না। আমি উদগ্রীবতা নিয়ে জানতে চাইলাম – কেন ভাবী? কি হয়েছে? উনি ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠে বললেন – ভাবী, এখনো তো আমার দেবরের কোন খোঁজ পাওয়া গেলনা। দেশে আমার শ্বাশুড়ি ছেলের শোকে নাওয়া খাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন। এই দিকে আমার স্বামী ছোট ভাইর জন্য পেরেশান। আমরা কত চেষ্টা করলাম। কিন্তু একটা খোঁজ পর্যন্ত পেলাম না। শুনে তো আমি ভয়ে জমে গেলাম। আমতা আমতা করে বললাম- ইস ভাবী আমি তো ভেবেছিলাম ওর খোঁজ পেয়ে গেছেন। আহারে এতদিন হয় গেল। দোয়া করি আল্লাহ যেন ওকে সুস্থতার সাথে নেক হায়াত দিয়ে আপনাদের মাঝে ফিরিয়ে দেন।

এক সময় কান্নারত ভাবীকে স্বান্তনা দিয়ে ফোন নামিয়ে রাখলাম।

ঘটনার বর্ণনায় আসি এবার।নিয়ন, ছবি ভাবীর একমাত্র দেবর। বাংলাদেশের একটি নামকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বি.বি এ তে পড়ছিলো। শান্ত, সুবোধ, মেধাবী এক তরুণ। হঠাৎ কয়েকজন বন্ধুর আহবানে হেফাজতের সমাবেশে যোগ দিয়েছিলো। সেই রাতে চারপাশে অবস্থানরত মানুষদের উপর নারকীয় তান্ডব দেখে ভয়ে ও এবং ওর বন্ধুরা রাতের অন্ধকারে ছুটতে ছুটতে প্রাণের ভয়ে কোন এক বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিল। সেই পরিবারটি বাকী রাত ওদেরকে নিজেদের ঘরে লুকিয়ে রাখে। পরদিন বেশ বেলা করে সতর্কতার সাথে সিএনজি ডেকে দিয়ে বাড়ি ফিরতে সাহায্য করে। সেই ঘটনার পর হতে নিয়নের চিন্তার জগতে বেশ পরিবর্তন আসে। ধীরে ধীরে ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে মসজিদে যেতে শুরু করে। কোরআন ,হাদীস অধ্যয়ন শুরু করে। এক সময় দাড়ি ও রেখে দেয়।ছবি ভাবী আমাকে প্রায়ই ফোনে ওর কথা গল্প করতেন। যতটুকু বুঝেছি কোন রাজনৈতিক দলের সাথে নিয়ন জড়িত ছিলনা। গত মাস খানেক আগের কথা। হঠাৎ নিয়নদের বাড়ির সামনে একটি মাইক্রো এসে থামে । সাদা পোষাকের একাধিক ব্যক্তি গাড়ি হতে নেমে আসে। ওরা নিয়নদের বাসায় ঢুকে শুরু করে তল্লাশী। এক পর্যায়ে ওর ব্যক্তিগত ব্যবহারের ল্যপটপ, কোরআন,হাদীসের বই গুলো সব নিয়ে নেয়। সেই সাথে নিয়নকেও ওদের সাথে নিয়ে যায়। প্রায় জন্মলগ্নেই বাবাহারা এই শান্তি ছেলেটি এলাকার সবার অনেক ভালোবাসা আর আদরের ছিলো । আশেপাশের লোকদের বর্ণনা মতে, নিয়নকে যে গাড়িতে তোলা হয় ওখানে আরো প্রায় ২৫/৩০ জন যুবক আগে হতেই আটকা পড়া ছিলো। ওদের সবাইকে থানায় নেয়া হচ্ছে বলে জানালেও নিয়নের পরিবার ঢাকার প্রতিটি থানায় তন্ন তন্ন করে খুঁজে ও আজ পর্যন্ত জানতে পারেননি ও কোথায়? কোন থানা’ই সেদিন এই নামে কাউকে এরেস্ট করা হয়েছে বলে স্বীকার করেনি। কেউ জানেনা কোথায় নিয়ে গেল সেই সাদা পোষাকের লোকেরা নিয়ন ও তার সাথীদের। সেই সাদা পোষাকধারীরা আসলে কারা?

ছবি ভাবী নিয়নকে ধরে নিয়ে যাওয়ার পর কাঁদতে কাঁদতে বলেছিলেন- নিয়নের জন্মের মাত্র ৯ মাসের মাথায় ওর বাবা মারা যান। তাই ওর বড় ভাই ওকে সন্তানের মত মুখে তুলে খাওয়াতো। সেই আদরের ছোট ভাইকে হারিয়ে উনার হ্যাজব্যণ্ড ও মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়েছেন।

৭১’ এ বুদ্ধিজীবি হত্যাকান্ডের কথা আমরা ইতিহাস হতে জেনেছি। আজ এ আবার কোন নব্য ৭১’ শুরু হল? কারা দেশের এই সব মেধাবী, সৎ চরিত্রবান তরুনদের গুম করছে? কোথায় হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের দেশের সম্পদ এই সব নিয়নরা? কি ছিলো ওর অপরাধ? শুধুমাত্র কোরআন, হাদীসকে সঠিকভাবে জেনে নিজের মুসলিম জাতিস্বত্তাকে অনুভব করা? ড্রাগ,অপসংস্কৃতি আর নষ্টামির জীবন ছেড়ে সত্য সুন্দর এক নৈতিক জীবনের পথে চলতে শেখা? কেন কোরআন, হাদীসের বই নিয়নের ঘর হতে উঠিয়ে নেয়া হল? বাংলাদেশ কি এখন আর মুসলিম রাষ্ট্র নয়? কখন ফুরাবে নিয়নের দুঃখীনি মায়ের অপেক্ষার রজনী? স্বামী হারিয়ে যে সন্তানকে বুকে আকড়ে ধরে এক দুঃখীনি মা বেঁচে ছিলেন কি অপরাধে তার কোল খালি করা হল? জানিনা নিয়নের পরিবারকে কে দেবে এই না পাওয়া প্রশ্নের জবাব।

বিষয়: বিবিধ

১৬৪৭ বার পঠিত, ৪৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

294364
১৪ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ১০:৪১
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : এরকম অনেক তরুন গুম হয়ে গিয়েছে।
এই দেশের এখন এই অবস্থা।
১৫ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:৩০
238020
নূর আয়েশা সিদ্দিকা জেদ্দা লিখেছেন : অনেক মর্মান্তিক এই পরিবার গুলোর অবস্থা। আল্লাহ দেশের উপর রহম করুন।
294366
১৪ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ১০:৪২
আফরা লিখেছেন : আপু প্রথম টুকু পড়ে খুব খুশী হয়েছিলাম আর মনে মনে ভাবছিলাম দুষ্টামী করে একটা কমেন্ট করব কিন্তু শেষটুকু পড়ে মনটা খারাপ হয়ে গেল ।
১৫ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:৩১
238021
নূর আয়েশা সিদ্দিকা জেদ্দা লিখেছেন : জ্বি আপা সত্যিই অনেক মন খারাপ লাগছে।ছবি ভাবী এত কাঁদছিলেন।
294367
১৪ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ১০:৪৬
চোথাবাজ লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
১৫ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:৩৩
238023
নূর আয়েশা সিদ্দিকা জেদ্দা লিখেছেন : আপনাকে ও ধন্যবাদ।
294373
১৪ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ১১:১৯
রফিক ফয়েজী লিখেছেন : নিয়নের মায়ের মতো মত-সহস্র মায়ের চোখের পানির বিণিময়েই এদেশের আকাশে কলেমার পতাকা উড়বে।
১৫ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:৩৪
238024
নূর আয়েশা সিদ্দিকা জেদ্দা লিখেছেন : আল্লাহ যেন আপনার এই মন্তব্যকে কবুল করে নেন।ধন্যবাদ ভাই।
294391
১৫ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ১২:৩০
ভিশু লিখেছেন : দেশের শাসন-প্রশাসন আজ সকল অরাজকতা-অসভ্যতা-বর্বরতাকে ছাড়িয়ে গেছে।
১৫ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:৩৫
238025
নূর আয়েশা সিদ্দিকা জেদ্দা লিখেছেন : দেশের অবস্থা আসলেই অনেক করুণ হয়ে গেছে।আল্লাহ আমাদের দেশের উপর রহম করুন।
294412
১৫ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০২:০২
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন লিখেছেন : গুমের শেষ কোথায় জানিনা তবে দেশের স্বাধীনতা শেষ প্রান্তে। কে জবাব দেবে দেশের শত শত গুম হওয়া পরিবারের প্রশ্নের ?
১৫ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:৩৭
238028
নূর আয়েশা সিদ্দিকা জেদ্দা লিখেছেন : যাদের স্বজন হারায় তারাই বুঝে স্বজন হারানোর বেদনা।মানবাধিকার আজ কোথায় গেল।
294426
১৫ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০২:৪৩
নাছির আলী লিখেছেন : গুম খুনের দেশ বাংলাদেশ।বিচার চাবো কার কাছে? নিয়নের মাদের পশ্নের জবাব কে দিবে ?ঘুমন্ত মুসলিম জগ্রত হবে কখন ?
এখনি সময় ইসলমি শক্তি ঐক্যবদ্দ্ব হয়ার।
১৫ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:৪০
238030
নূর আয়েশা সিদ্দিকা জেদ্দা লিখেছেন : অনেক সুন্দর বলেছেন। আসলেই সবার ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সময় এসেছে।
294428
১৫ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০২:৪৮
সন্ধাতারা লিখেছেন : I am really apuji after reading your writing. It is really unbelievable.. ..
১৫ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:৪২
238031
নূর আয়েশা সিদ্দিকা জেদ্দা লিখেছেন : নিয়নের নিরাপত্তার কথা ভেবে এতদিন ঘটনাটি চেপে গেছি। এখন মনে হচ্ছে এ সব ঘটনা সবাইকে জানানো উচিত। তাই কলম ধরলাম।
294436
১৫ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০৪:৪২
কাহাফ লিখেছেন :
৭১-এ বুদ্ধিজীবি হত্যাকান্ডের সুচনা যারা শুরু করেছিল,তাদের প্রেতাত্মারাই আজকের সম্ভাবনাময় মেধাবী মুখগুলো কে জেল-জুলুম-হত্যা-গুম ইত্যাদির মাধ্যমে বাংলাদেশ কে মেধাহীন করার সুদুর প্রসারী চক্রান্তে লিপ্ত!
দিল্লিতে বৃষ্টি হলে এ দেশে যারা ছাতা মেলে ধরে তারাই ঐদেশের প্ল্যান বাস্তবায়নে এই সব করছে!
সামগ্রিক জেগে উঠার বিকল্প নেই!!
১৫ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:৪৪
238035
নূর আয়েশা সিদ্দিকা জেদ্দা লিখেছেন : খুব গুরুত্বপূর্ণ কথা বললেন। আমি ভেবে পাইনা মানুষ কখন একাত্ন হয়ে প্রতিবাদ করতে শিখবে। সমাজের এক শ্রেণীর মানুষ নিজদেরে নিয়ে এত ব্যস্ত এসব প্রসঙ্গে ভাববার সময়ও তাদের নেই।
১০
294450
১৫ ডিসেম্বর ২০১৪ সকাল ০৬:২১
শেখের পোলা লিখেছেন : "আর রেজিলু ইজারতাফায়া তাক্ব্বারা ওইজা হাকামা তাজা্ব্বারা৷"
অপেক্ষা ছাড়া পথ নেই৷
১৫ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:৪৫
238036
নূর আয়েশা সিদ্দিকা জেদ্দা লিখেছেন : সেটাই মনে হচ্ছে। অপেক্ষাই করতে হবে।
১১
294460
১৫ ডিসেম্বর ২০১৪ সকাল ০৮:৪২
ছালসাবিল লিখেছেন : কে আপনাকে গিফ্ট দিয়েছে আপপু Day Dreaming আমি তো কিছুই বুজতে পারলাম না At Wits' End
১৫ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:৪৬
238037
নূর আয়েশা সিদ্দিকা জেদ্দা লিখেছেন : উহ সে কি আমার গিফটের দিকে নজর কেন? লক্ষণ তো সুবিধার না। .... গিফটা নিয়নের ভাবী দিয়েছেন। এবার বুঝলেন। ভালো আছেন তো?
১৫ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:৩৬
238053
ছালসাবিল লিখেছেন : আপপু, আলহামদুলিল্লাহ! ভালোই আছি এখন পর্যন্ত Day Dreaming
এই এটুস ইয়ে মানে একটুস চোখের দোষের কারনে এদিক সেদিক ডানে বামে উপড়ে নিচে তাকানো Tongue এটা বয়শের দোষ হবে নিশ্চিত আপপু Day Dreaming
১২
294462
১৫ ডিসেম্বর ২০১৪ সকাল ০৮:৪৫
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : এগুলো কারো হিসেবের মধ্যে নেই কারণ ওরা ইসলামপালনকারী Sad
১৫ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:৪৭
238038
নূর আয়েশা সিদ্দিকা জেদ্দা লিখেছেন : সত্যি কথাই বলেছেন আপা।
১৩
294501
১৫ ডিসেম্বর ২০১৪ সকাল ১০:৫৬
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : যারা গুম করার বুদ্ধি দেয়, টেকনিক্যাল সহযোগীতা দেয়, মানুষ বাছাই করে দেয়, কোথায় গুম করা হবে পরামর্শ দেয়, আজকে যারা গুমের সাথে সরাসরি জড়িত, সেই তারাই ১৯৭১ সালেও গুমের সাথে জড়িত ছিল।

১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্নর ঢাকার প্রায় সবটাই ভারতীয় বাহিনীর দখলে ছিল। পাক সেনারা তখন ব্যারাকে ঢুকে মৃত্যুর প্রহর গুনছিল। এসব বুদ্ধীজীবীদের কেউ ইসলামী পন্থি না হলেও কেউ ভারতপন্থীও ছিলানা। পথের বাধা সরানো টা বাংলাদেশের চেয়ে ভারতের বেশী গরজ ছিল।

একই শুকুন বাংলাদেশের আকাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তারাই এসব কর্মের হোতা, শুধু ব্যবহুত হচ্ছে বাংলাদেশের মাটি ও মানুষ।
১৫ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:৪৮
238040
নূর আয়েশা সিদ্দিকা জেদ্দা লিখেছেন : জ্বি ভাই সঠিক দিকেই আলো ফেলেছেন।কিন্তু মানুষের বোধদয় যে কখন হবে?
১৬ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ১২:৩৬
238299
লজিকাল ভাইছা লিখেছেন : এটাই সত্য। ১০০% একমত নজরুল ইসলাম টিপু ভাই।
১৪
294520
১৫ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ০১:০০
প্রেসিডেন্ট লিখেছেন : কে দেবে জবাব????
প্রতিনিয়ত এভাবে গুম, খুন হয়ে যাচ্ছে নিরপরাধ মানুষগুলি। প্রবীণরা বলেন, ৭১ এ ও এমন পরিস্থিতি ছিল না।
১৫ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:৫০
238041
নূর আয়েশা সিদ্দিকা জেদ্দা লিখেছেন : এই স্বজন হারানো মানুষের আহাজারি যে কত করুণ। ছবি ভাবীকে দেখলে আজকাল এত মায়া লাগে। মনে হয় উনি হাসতেই ভুলে গেছেন।
১৫
294534
১৫ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:১৬
ইমরান বিন আনোয়ার লিখেছেন : মন্তব্যে হয়তো অনেক কিছুই লেখা যেত। তবে সত্যি কথা হল; বাংলাদেশে নিয়নদের পরিবার ও তাদের স্বজনদের জন্য আমাদের মত অক্ষম ও কাপুরুষ মানুষগুলোর দীর্ঘশ্বাস ফেলা ছাড়া আর কিছুই করার নেই। আমরা হাহাকার করতে পারি, হাত ছুড়াছুঁড়ি করে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করতে পারি, কিন্তু বাস্তবিক কোনো পদক্ষেপ গ্রহণের সাধ্য আমাদের নেই।
তাই নিয়নের পরিবারের জন্য সমবেদনা জানানো ছাড়া আর কিছুই করার উপায় দেখছিনা। আল্লাহ নিয়নের মা, বড়ভাইকে ধৈর্য ধরার তৌফিক দান করুন ।
১৫ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:৫২
238043
নূর আয়েশা সিদ্দিকা জেদ্দা লিখেছেন : বাস্তব সত্যটাই তুলে ধরেছেন আপনি। আমরা যেন আজকাল অসহায় এক রোবটের মত পথ চলছি।
১৬
294567
১৫ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:২১
সায়েম খান লিখেছেন : এইসব সাদা পোশাকধারী ব্যক্তিরা কারা এটা উদঘাটন করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। যদি কোন অশুভ শক্তির উত্থান ঘটে থাকে তবে অবশ্যই তাদেরকে নির্মূল করে সরকারকে এটা প্রমাণ করতে হবে যে এর সাথে সরকারের কোন সম্পৃক্ততা নেই।
১৫ ডিসেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:১৯
238068
নূর আয়েশা সিদ্দিকা জেদ্দা লিখেছেন : জ্বি ভাই আমি ও অবাক হচ্ছি এ ধরণের সাদা পোষাকধারীদের কথা আইনশৃঙখলা রক্ষাকরাী বাহিনীর সদস্যরা স্বীকার করছেন না। তবে এত পাওয়ারফুল এরা কারা?
১৭
294627
১৫ ডিসেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৫২
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : ৭১’ এ বুদ্ধিজীবি হত্যাকান্ডের কথা আমরা ইতিহাস হতে জেনেছি। আজ এ আবার কোন নব্য ৭১’ শুরু হল? কারা দেশের এই সব মেধাবী, সৎ চরিত্রবান তরুনদের গুম করছে? কোথায় হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের দেশের সম্পদ এই সব নিয়নরা?
এই হারিয়ে যাওয়াদের মধ্যে আমার আপনার প্রিয়জন প্রিয়জনেরা। আপনার লেখাটা ঐসব হারিয়ে যাওয়া মানুষগুলোর জন্য কিছুটা হলেও ইতিহাস হবে। আপনাকে মোবারকবাদ।
১৫ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ১০:০১
238147
নূর আয়েশা সিদ্দিকা জেদ্দা লিখেছেন : আমার খুব কাছের এক বোনের ঘটনা। এত কষ্ট লাগছে যে না লিখে পারলাম না। দোয়া করবেন পরিবারটির জন্য।
১৮
294835
১৬ ডিসেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:৪২
আবু ফারিহা লিখেছেন : নব্য এ ফেরাউনের দেশে এ প্রশ্নের কোনো উত্তর নাই আপু। এসব ফেরাউনদের বাংলার বুক থেকে চিরতরে বিদায় করার মাধ্যমেই এসব নিয়নদের রক্ষা হতে পারে।
১৬ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ১১:১২
238431
নূর আয়েশা সিদ্দিকা জেদ্দা লিখেছেন : আল্লাহ আমাদের দেশকে হেফাজত করুন।
১৯
294844
১৬ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ১২:৪৯
লজিকাল ভাইছা লিখেছেন : ওরা হায়েনা বাহিনী, ফেরাউন বাহিনী। ৭১-এ বুদ্ধিজীবি হত্যাকান্ডের সুচনা যারা শুরু করেছিল,তাদের প্রেতাত্মারাই আজকের সম্ভাবনাময় মেধাবী মুখগুলো কে জেল-জুলুম-হত্যা-গুম ইত্যাদির মাধ্যমে বাংলাদেশ কে মেধাহীন করার সুদুর প্রসারী চক্রান্তে লিপ্ত!
কাহাফ ভাই,নজরুল ইসলাম টিপু ভাই দের সাথে ১০০% একমত ।
১৬ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ১১:১৪
238436
নূর আয়েশা সিদ্দিকা জেদ্দা লিখেছেন : আমার ও তাই মনে হয়। আল্লাহ আমাদের দেশকে হেফাজত করুন। ধন্যবাদ মূল্যবান মন্তব্যের জন্য।
২০
295110
১৭ ডিসেম্বর ২০১৪ সকাল ০৯:২০
অয়েজ কুরুনী আল বিরুনী লিখেছেন : নির্মমতা কতদুর হলে জাতি হবে নির্লজ্জ। আসলে মন্তব্য করার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। যার চলে যায় সেই বোঝে হায় বিচ্ছেদের কি যন্ত্রণা
১৮ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ১২:০৯
238777
নূর আয়েশা সিদ্দিকা জেদ্দা লিখেছেন : আমারও এই কথা গুলোই মনে হয়েছে। আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেফাজত করুন।অনেক ধন্যবাদ ভাই।
২১
296601
২৩ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০৪:১১
শাহীন কবির লিখেছেন : আপনার চমৎকার লেখার জন্যে ধন্যবাদ। শোককে শক্তিতে পরিণত করে সকল অন্যায়, অবিচার ও যুলুমের বিরুদ্ধে মজলুমদেরকে রুখে দাঁড়াতে হয়ে। স্বজোরে ধাক্কা দিয়ে ভেঙ্গে তচনচ করে দিতে হবে জালিমদের সকল নীল কুঠির।
২৪ ডিসেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:০৭
240437
নূর আয়েশা সিদ্দিকা জেদ্দা লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ ভাই।
২২
300950
২০ জানুয়ারি ২০১৫ বিকাল ০৫:৪৮
ইবনে হাসেম লিখেছেন : দেশের এই ঘোর কঠিন সময়েও যারা সন্তান কিংবা নাতী নাতনীর জম্মদিবস এমন ধুম ধাম করে পালন করে যে দশ গ্রাম খবর হয়ে যায়, রাজধানীর পশ্ এলাকায় হোটেল বা কম্যুনিটি সেন্টার ভাড়া করে ৪/৫ শত লোক দাওয়াত করে খাওয়ায়, পানির মতো খরচ করে ফেলে নগদ অর্থ, তারা যে কতো আরামে আছে বুঝতে কষ্ট হয় না। অন্য অর্থে তারা বর্তমান ফেরাউনী সরকারের তাবেদার গোষ্ঠী এতে কোন সন্দেহ নেই। তবে আমার বিবেচ্য বিষয় সেটা নয়। আমার বিবেচ্য হলো, এভাবে অর্থহীন অনুষ্ঠানে যারা লাখ লাখ টাকা খরচ করে, তারা তাদের পছন্দের সরকারকে টিকিয়ে রাখতে কতো কোটি টাকার অনুদান না দিয়ে থাকে।

দেশের ও জনগনের এই ঘোর দুর্দিনে, আপনার আমার আর্থিক ও মানবিক সহযোগীতা ছাড়া চলমান আন্দোলনকে টিকিয়ে রাখা কিছুতেই সম্ভব নয়। তাই আসুন দেশে বিদেশে আমরা যারা আল্লাহর রহমতে দু ’পয়সা হালাল কামাই করছি, তারা আন্দোলনকে এগিয়ে নিতে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করি। কেউ যদি শুধু দশ ডলার দিয়েও শরীক হতে চান তাহলে নিঃসংকোচে শরীক হোন। মনে নেই আমাদের আদর্শ খলিফা আবু বকর (রাঃ) এর ত্যাগের ইতিহাস? সম্ভবতঃ তাবুকের যুদ্ধের সময় রাসূলুল্লাহ(সাঃ)এর আহবানে যখন সব সাহাবীরা একে একে তাদের ধন সম্পদ আল্লাহর রাহে এনে তাঁর নিকট জমা দিচ্ছিলেন, তখন হযরত আবু বকর (রাঃ) এর ঘরে তেমন কিছুই ছিলনা দেবার। কারণ তিনি তো আগেই সব কিছু আল্লাহর রাহে খরচ করে ফেলেছেন। তবু, ঘরের শেষ সম্বলটুকু তিনি অতি সংকোচ এনে রাসূলের পদপাদে এনে হাজির করেন। রাসূল (সাঃ) প্রশ্ন করেন, তুমি তোমার পরিবারের জন্য কি রেখে এসেছ, জবাবে তিনি বলেছিলেন ”তাদের জন্য আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই যথেষ্ট”। আহা, কি মহান ত্যাগ। আর আমরা এটাও জানি যে, সেই সামান্য অনুদানই আল্লাহর নিকট সর্বোচ্চ সম্মানে ভূষিত হয়েছিল।

অতএব আর দেরী নয়। সবাই ইনফাক ফি সাবিলিল্লাহ-র নিয়্যত করে এখুনি নিজ নিজ দায়িত্বশীলের মারফতে আন্দোলনের জন্য অর্থ জোগানে এগিয়ে আসুন। কারণ, এটা এখন দিনের আলোর মতো পরিষ্কার যে, জালিম হাসিনা সহজে গদি ছাড়ছেনা….
২৫ জানুয়ারি ২০১৫ রাত ১১:৪৩
244099
নূর আয়েশা সিদ্দিকা জেদ্দা লিখেছেন : ইনশাআল্লাহ ভাই। দোয়া করবেন ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File