ফ্যাশন দৌড়ে অবশেষে বেড়া ও যখন গায়ে উঠে

লিখেছেন লিখেছেন নূর আয়েশা সিদ্দিকা জেদ্দা ০৯ জানুয়ারি, ২০১৩, ০৮:৩৮:৪২ রাত

আমি তখন ক্লাস টেনে পড়ি। আমাদের এক সহপাঠী কোচিং ক্লাসে বেশ কারুকাজ করা একটি জামা পরে এলো। একে একে সবাই ওকে সুন্দর লাগছে বলে প্রশংসা করে গেল। আমি কিছুক্ষণ তাকিয়ে দেখলাম ওর জামাটির দিকে। এরপর বললাম- তোমাকে তো বেশ সুন্দর লাগছে। কিন্তু ওর জামার গলা আর হাতার উপর হতে নীচ পর্যন্ত বেড়া আকৃতির ডিজাইনটির দিকে ইঙ্গিত করে বললাম- আমি তো জানতাম মানুষ গরু ছাগল হতে ফুলের গাছ বাঁচাতে অনাবৃত বাগানকে আবৃত করতে বাগানে বেড়া দেয়। কিন্তু তুমি তো দেখছি তোমার আবৃত শরীরকে অনাবৃত করে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিতে জামার গায়ে বেড়া বসিয়েছ।

আমার সেই সত্য ভাষণে মেয়েটি নিজেও একটু লজ্জা পেয়ে গেল। নিজের অনাবৃত বাহু ওড়না দিয়ে একটু ঢেকে দিয়ে বলল- আসলে জামাটা আমার বড় আপুর।

আমি আরো এক পশলা অবাক হলাম। এ কেমন পারিবারিক মূল্যবোধ যেখানে নিজের তরুনী মেয়েটিকে স্মার্ট সাজাতে এই ধরণের শরীর অনাবৃত করার ছাড়পত্র দেয়া হয়।

তাই আমি বলবো একজন পুরুষকে যদি ধর্ষণের জন্য ৫০ ভাগ দায়ী করা হয় । তবে স্বাভাবিক ভাবে এর ইন্ধন দাত্রী হিসেবে বাকী ৫০ ভাগ অবশ্যই নারীর উপর আসবে। তবে দুঃখ হয় তখনই যখন আধুনিকতার নামে নগ্নতা আর অশ্লীলতার মাধ্যমে সমাজের কিছু নারী যখন অন্যের মধ্যকার পশুত্বকে উসকে দেয় আর তার নির্মম বলি হতে হয় অনেক সময় নিরপরাধ মেয়েদেরকে এমনকি অপ্রাপ্ত বয়স্ক শিশুদেরকেও।

নারীদেরকে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যে দিক গুলো খেয়াল করা উচিত

১. আধুনিকতার নামে নগ্ন পোষাকে অভ্যস্ত না হওয়া।

২. ওয়েষ্টার্ন ধারাকে রপ্ত করতে আঁটসাট পোষাক না পরা।

৩. সর্বাবস্থায় শালীন পোষাক পরা ।

৪. নিরিবিলি স্থানে একাকী যাওয়া এড়িয়ে চলা।

৫. অতিরিক্ত সাজ গোজ করে নিজকে প্রদর্শনী করে যত্রতত্র বের না হওয়া।

৬. দূরবর্তী স্থানে যাওয়ার সময় পরিবারের পুরুষ (বাবা/ভাই) কোন সদস্যকে সাথে নেয়া।

৭.ফেসবুক কিংবা মোবাইলে বন্ধু নির্বাচনে সতর্কতা অবলম্বন করা।

সর্বোপরি পোষাক, আচরণ ও নারী পুরুষের মেলামেশার ক্ষেত্রে স্রষ্টার দেয়া বিধান এর সীমালংঘন না করা।

বিষয়: বিবিধ

১৩৬০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File