সোনার বাংলায় যখন আমি ''ব্লাক লিস্টেড
লিখেছেন লিখেছেন নূর আয়েশা সিদ্দিকা জেদ্দা ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ১১:৫৭:৫১ রাত
মা, মাটি আর স্বজনদের সাথে কাটিয়ে এলাম প্রিয় কিছু মুহূর্ত। এবার গ্রীষ্মের ছুটিতে বাংলাদেশে বেড়াতে যাবার সিদ্ধান্তটা মনের ঘরে অমীমাংসিত ভাবেই ফাইল বন্দী হয়ে পড়েছিল দীর্ঘদিন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিয়ে বাড়ির পোলাও, কোর্মার গন্ধে দেশে যাবার সিদ্ধান্তটা বন্ধ ফাইল হতে আলোর মুখ দেখলো।
ব্যাপারটা একটু খোলাসা করেই বলি। বড় আপুর বড় পুত্রধনের জন্য রীতিমত বাতি জ্বালিয়ে পাত্রী খোঁজা চলছিল। আমাদের পরিবারে আবার হাইট সমস্যা আছে। মানে কিনা পাত্র বেশ ভালো রকমেরই লম্বু।তাই ইসলামী রীতি অনুযায়ী বিয়ের ক্ষেত্রে পাত্রীর দ্বীনদারীতার সাথে মিল রেখে বংশ, সৌন্দর্য এসব মিলিয়ে পাত্রী পাওয়া বেশ মুশকিল হয়ে যাচ্ছিল। ফলে লম্বুটা ঝুলন্ত বাবুর মত বিয়ের কিউতে ঝুলেই রইলো। ভাবলাম বিধিবাম। কিন্তু এর মাঝে মজার ব্যাপার ঘটল মেঝ আপুর বড় মেয়ে অনার্স ফাস্ট ইয়ারে পড়ছিলো ওরই বিয়ের তোড়জোড় শুরু হল। আবারো একই হাইট সমস্যা। মাশাআল্লাহ মেয়েটির এত ভালো হাইট যার ফলে 'ছোট মেয়ে বিয়ে দেবনা' এ জাতীয় আপত্তি গুলো পাত্র পক্ষের কাছে পাত্তাই পেল না। মেয়েটি বেশ ভালো ছাত্রী। পারিবারিক ভাবে সবাই ভেটো দিতে লাগলো।
আমি তো এই বিয়েতে নেতিবাচক মনোভাব দেখিয়ে একাধিক বার দীর্ঘ বক্তৃতা ঝাড়লাম। আর ঠিক এই বয়সে আমার বিয়ের ফলে পরপর দুটো বাচ্চা সামলে পড়া লিখা শেষ করতে যে অবস্থা কেরোসিন হয়ে গিয়েছিল তার উপর সরজমিন প্রতিবেদন পেশ করলাম।কিন্তু পাত্র পক্ষের ধ্যানী বকের মত নিরলস পরিশ্রমের এক পর্যায়ে শুধুমাত্র আপুর একার পছন্দে বিয়েটা হয়েই গেল। আসলে জন্ম, মৃত্যু, বিয়ে এই তিনটি বিষয় যে শুধুমাত্র মহান আল্লাহর একক সিদ্ধান্তেই হয় এ কথাই বাস্তব হয়ে ধরা দিলো আমাদের কাছে আবারো। আপুর উপর রাগ করে বললাম -দেশেই আসবো না এই সামারে। এদিকে আপু ও অনঢ়। আমি আর ছোট ভাইয়া দেশে না গেলে মেয়েকে শ্বশুর বাড়িতে তুলে দেবেন না। শেষ পর্যন্ত প্রিয়জনের স্নেহের ডাকের কাছে অভিমানের মেঘ গুলো কোন সুদূরে হারিয়ে গেল। তাই বাংলাদেশে যেতেই হল।
পবিত্র মাহে রমযানের একদিন আগে হঠাৎ আমি বাসা শিফট করলাম। ও বাবা! দীর্ঘ প্রায় ১৫ বছরের সংসার । সব প্যাক করা আবার নতুন বাসায় আনপ্যাক করতে কাজের চাপে চিড়েচ্যাপ্টা হওয়ার মতই দশা। এরই মাঝে রামাদানের শেষের দিকে আবার দেশে ছুটলাম। আমার দীর্ঘ প্রবাস জীবনে এই নিয়ে কম করে হলেও প্রায় ৩৫ বার উড়ন্ত যন্ত্রদানবটার পেটে চড়ে বসা হল। কিন্তু আসলে যে জীবন শক্ত মাটির অস্তিত্বের সাথে নিবিঢ় সান্নিধ্য নিয়ে এগিয়ে চলার সে জীবন বোধকরি মেঘের দেশে উড়ন্ত বলাকার মত ভাসমান অবস্থায় কখনই স্বস্তি খুঁজে পায় না। তাই আমার প্লেন যাত্রার পুরোটা সময় কাটে উশখুশ করে। প্রচন্ড প্রিয় বই পড়া। কিন্ত এই অবস্থায় পড়লে মাখা ধরে। আবার দু'চোখের পাতার সাথে ঘুম বালিকার আড়ি। সে এক করুণ দশা। অমনি এক অস্বস্থির মুহূর্তে প্লেনের মাঝে দাঁড়িয়ে ঘুমন্ত বাচ্চাদের দেখভাল করছি এরই মাঝে আমার পাশ দিয়ে সাঁই করে কে যেন চলে গেল। সে কি- চেনা চেনা মনে হল...... পাঠকদের জন্য এই রহস্যের সমাধান করতে একটি ধাঁধাঁ-কইনচেন দেহি- দোকানদার ও না, ওয়াফাদার ও না। মানুষটা তাইলে কোন'দার'? যিনি আসলেই কিন্তু ব্লগ বাড়ির একজন সত্যিকার ওয়াফাদার সদস্য। কবিতা, রম্য সবকিছুতেই ...।
এয়ারপোর্টে নেমে এক কান্ড হল। লাইনে দাঁড়িয়ে আছি দীর্ঘক্ষণ। কিন্তু আমার পাসপোর্ট ইমিগ্রেশন অফিসার চাহিবা মাত্র ইহার বাহককে দিতে ইচ্ছুক নন। খোঁজ নিয়ে জানা গেল আমার এই পাসপোর্ট উনারা বলতে চাচ্ছেন 'ব্লাক লিস্টেড'। তাই সেটা বিশেষ ইনভেস্টিগেশনের জন্য অন্যত্র পাঠানো হয়েছে।নিজের দীর্ঘ ব্যস্ততার মধ্য হতেই দেশে ছুটছি। বিমানের কর্তব্যরত অফিসারদের বসে বসে গল্প করা আর গা ছাড়া ভাবে মাল রিসিভে দীর্ঘ লাইনে তাল গাছের মত দু'পায়ে ঠায় দাঁড়িয়ে থেকেছি কম করে হলেও মাত্র ৪/৫ ঘন্টা সময়। পবিত্র রামাদানের পবিত্র একটি রাতে ব্যস্ততার কারণে ইবাদতবিহীন অবস্থায়। আবার বাচ্চাদের সাথে পরামর্শ করেই সবাই সফরে রোজা ভাঙ্গার অবকাশ থাকার পর ও রোজা রেখেছি।বাসা হতে বেরিয়েছি রাতের প্রায় ২টা বাজে। বাংলাদেশে গিয়ে পৌঁছালাম পরদিন প্রায় মাগরিবের কাছাকাছি। মনে হচ্ছিলো ধৈর্যের বাঁধ বুঝি ভেঙ্গে গেছে। আমি কর্তব্যরত অফিসারকে বললাম- ভাই, এখন আমি কি করবো? কর্তব্যরত অফিসার বললেন- এক কাজ করুন। আপনি মাল পত্র রিসিভ করে নিন। ততক্ষণে আমরা দেখি পাসপোর্ট কি করা যায়।
একে একে ৯টি লাগেজ ও বেল্ট হতে খুঁজে নেয়া হয়ে গেল। ছোট বাচ্চাটিকে নিয়ে আমি আবার সেই অফিসারের কাছে গেলাম- ভাই আমার পাসপোর্ট? উনি বেশ জোরে জোরে বললেন- ও সেই 'ব্লাক লিস্টেটেড' পার্সপোর্টটা তো। এরপর ওয়াকি টাকিতে বলতে লাগলেন- সেই ব্লাক লিস্টেড পার্সপোর্টটির কি অবস্থা? এই নিয়ে বোধকরি ১৫/২০ বার 'ব্লাক লিস্টটেড' কথাটি কানের কাছে উচ্চারিত হল। এত গুলো লোকের সামনে আমি বেশ অস্বস্তিতে পড়ে গেলাম লজ্জায়। কি করেছি আমি? কেন আমার পাসপোর্ট ব্লাক লিস্ট করা হল। কিছুই উনারা ক্লিয়ার করছেন না।
বাইরে তখন অঝোর ধারায় শ্রাবণ মেঘের কান্না। আমার দু'চোখও তখন জলজ আদ্রতায় ভরে উঠলো। আমার স্বল্পজ্ঞানে বুঝি- সাধারণত রাষ্ট্রদ্রোহীতা মূলক কিছুর সাথে জড়িত থাকার জন্য এই শব্দটি ব্যবহৃত হয়। মনের ঘরে স্মৃতিরা এসে জড়ো হতে লাগলো বাধহীন স্রোতের মত। এই দীর্ঘ প্রবাস জীবনে কত পরিচিত বন্ধু, আত্নীয়স্বজনকে দেখলাম উন্নত জীবনের ভিত গড়তে বসত গেড়েছে উন্নত নাগরিক সুবিধার দেশ গুলোতে । অথচ আমার তৃষ্ণার্ত মনটা চাতকের মত তাকিয়ে থাকে কখন এই নিঃসঙ্গ প্রবাস ছেড়ে ফিরে যাবো নিজ মাটি আর মানুষের কাছে। আমার প্রবাসী জীবনের প্রতিটি দিনই বুকের ভেতরটায় দেশছুট এক নিঃসঙ্গ ডাহুক কেঁদে কেঁদে রক্ত ঝরায় নিজের ফেলে আসা প্রিয় দেশের মায়ায়। এই নিয়ে কত কত প্রিয়জনদের সাথে আমার দীর্ঘ কথাকাটাকাটি হয়েছে- কেন আমি অন্য কোন দেশের জন্য এপ্লাই করিনা এর জবাবদিহিতায়। অথচ সেই আমাকে আজকে এয়ার পোর্ট সম্পূর্ণ অজ্ঞাত কারণে দীর্ঘক্ষন পেরেশানী করা হল 'ব্লাকলিস্টেটেড' বলে।
যেদিন দেশ হতে ফিরবো সেদিন ও একই ব্যাপার ইমিগ্রেশনে। প্রায় সব প্যসেঞ্জারই প্লেনে উঠে গেছেন। নিরব হয়ে এসেছে চারিপাশ। তখনো আমার জন্মভূমির প্রতি ভালোবাসার পোষ্টমর্টেম চলছে আরেক পশলা। মা, দেশ প্রিয়জনদের ছেড়ে যেতে মনের অবস্থা এমনিতে্ বেদনায় ঝরঝর। তার মাঝে দীর্ঘক্ষণ পরে যখন পাসপোর্ট ফেরত পেলাম তখন শুধু ব্লাকলিস্টেডই আমি নই। জানলাম, আমার নামে থানায় একটি জিডি ও করা হয়েছে। আমি জানিনা কি আমার অপরাধ? তবে এটা নিশ্চয়ই জানি... দীর্ঘ প্রবাসজীবন সায়াহ্নে একদিন যখন ছুটি মিলবে তখন প্রবাসের প্রতিটি দিনে স্বদেশের বিচ্ছেদে বুকের মাঝে বিন্দু বিন্দু করে জমিয়ে রাখা ভালোবাসার ঢালিটি নিয়ে ব্লাকলিস্টেড এই আমি ঠিকই ফিরে যাবো সে মাটিতে, যেখানে সৃরের রিমিঝিমি ছন্দে শ্রাবণ আসে। কোকিলের কুহুগানে ফাগুন আসে। শরতের শিশির মাখা শিউলিতলায় আনমনে দাঁড়িয়ে খুঁজে ফিরবো সেদিন কৈশোরের সেই হারিয়ে যাওয়া দিনগুলোকে।
বিষয়: বিবিধ
১৬৮৩ বার পঠিত, ৪৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সেই ...দার তো "প্রবাস"-ৈ থাকেন এবং আপনার শহরের প্রতিবেশী
এবার দেশে ঈদ করেছেন এবং সিবিএফ নিয়ে অনেক আনন্দ-আড্ডা দিয়েছেন সেটা ব্লগেই জানা গেছে
কিন্তু আপনার ''ব্লাক লিস্টেড"এর ঘটনা/কাহিনী জানতে উদ্গ্রীব হয়ে রইলাম
আশা করছি ওটা নিয়ে আরেকটা দারুণ লেখা পাওয়া যাবে
ঘটকালীর সাফল্যে এটা কত নম্বর হলো??
জলিম কখনও সহনশীল হয় না । যে দেশের উচ্চ পর্যায়ে বসে আছে নাস্তিক আর 'র'-এর এজেন্ট, এবং সব কাজের প্ল্যান-প্রোগ্রাম করা হয় নাস্তিক আর 'র' দিয়ে, সেখানে এমন হওয়া স্বাভাবিক ।
তবে, ভোগান্তি হয়েছে যে সোনার বাংলাদেশ ব্লগে লেখার জন্য, তা আপনি উদঘাটন করলেন কেমনে ??
হাইট কি মিলে ছিল কি অত:পর?
ধাঁধার উত্তর হবে- প্রবাসীমজুমদার ভাইয়া!
কিন্তু আপনাকে নিশ্চয়তা দিতে চাই যে, এই ব্লেক লিষ্টেডরা যদি ধৈর্য্য আর আন্তুরিকতার সাথে মজবুত কদমে থাকে, তাহলে আগামীর সফরে আপনাকে আর এই জিল্লতি পোহাতে হবেনা।
খুব কষ্ট পেলাম বোন আপনাকে নিজ মাতৃভূমিতে এসেও প্রবেশমুখে এই 'অনাকাঙ্ক্ষিত কষ্টদায়ক অভিজ্ঞতার' জন্য।
আল্লাহপাক আপনাকে সবসময় ভালো রাখুক-আমীন।
আরেকটা বিষয়...আসলে জন্ম, মৃত্যু, বিয়ে এই তিনটি বিষয় যে শুধুমাত্র মহান আল্লাহর একক সিদ্ধান্তেই হয় এ কথাই বাস্তব হয়ে ধরা দিলো আমাদের কাছে আবারো।..
এই বক্তবে ব্যপক ইসলামী সমস্যা আছে। সকল কিছুই আল্লাহর একক সিদ্ধান্তে হয়। তিনি সকল বিষয়য়েই মহা পরাক্রমশালী।
কিন্তু পুরা ঘটনা না জানায় উদগ্রিব হয়ে রইলাম!
কেন ব্ল্যাক লিষ্টেড এবং কি ভাবে দেশে ঢুকলেন ও বের হলেন।
আল্লাহ আপনাকে ভাল রাখুন । আমীন ।
আয়শা আপু আফরামনি আপনাদের সবাইকে নিয়ে পোস্ট দিয়ছিলো আশাকরি সেটা আপনি একটু ঘুরে আসবেন!
যদিও ৫ মিনিট পরেই অফিসে পৌঁছেছিলাম, কিন্তু নানা ঝামেলার কারনে আর ব্লগে ঢোকা হয়নি, পড়াও হয়নি। রাতে বাসায় ফিরেই পড়া, এরই মধ্যে মন্তব্যের ছড়াছড়ি। ধাঁধাঁর জবাবও সঠিকভাবেই দিয়েছেন অনেকেই।
আচ্ছা মনে একটা প্রশ্ন কিন্তু রয়েই গেল। আপনারা ব্লগের দুই মহারথী একই প্লেনে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিলেন, অথচ দুইজনের মাঝে কোন বাক্যালাপ হলোনা, এটা তো কেমন কেমন আর এক ধাঁধাঁ। এই ধাঁধাঁর জবাবটা কি দিবেন?
অনেকদিন পর আপনার ব্লগে উপস্থিতি যেন আমাদের সবার মাঝে আনন্দের ফোয়ারা বইয়ে দিল। আবার যেন হারিয়ে না যান। আগাম ঈদ মোবারক সবাইকে।
আমি যখন গত ডিসেম্বরে দেশে গিয়েছিলাম, ঢাকা বিমান বন্দরের ইমিগ্রেশনে ওরা আমার পাসপোর্টটি হাতে নিয়ে সেই যে পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে দেখছে তো দেখছেই, আর প্রশ্ন করে যাচ্ছেই, এমন সব প্রশ্ন যার জবাব পাসপোর্টের মধ্যেই সব আছে। এভাবে নানা উদ্ভট প্রশ্ন করে আর মাঝে মাঝে আমার চেহারার দিকে তাকায়। মনে মনে ভাবলাম চেহারায় জামায়াত শিবির, জামায়াত শিবির ভাব আছে কিনা, এবং এইটা জামায়াতী সন্ত্রাসী কিনা সেটাই পরখ করতেছে। তাই যেখানে ৫/১০ মিনিটে কাজ সারার কথা সেখানে পুরো আধা ঘন্টা লাগিয়ে আমার পাসপোর্ট ফেরত দিয়েছে। তবে আপনার মতো ব্ল্যাক লিস্টেড ঘোষনা দেয়নি বারবার। ভাবছি, এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে মুসলমানদের আরো কত কিছুই না দেখতে হবে...
আল্লাহ পাক আপনাকে সকল বিপদ থেকে রক্ষা করুন এই প্রার্থনা।
এই প্রথম ব্লগে আপনার লিখা পড়লাম, কিন্তু আগেও আপনার লিখা পরেছি, ব্লগে নয়, আপনার লিখা 'হিজাবের ভূমিয়া' বইটিতে। অন্য এক নুর আয়শা কে ইতোমধ্যেই আমার ভাললাগার বলে দিয়েছি, কিন্তু তারা আমায় হতাশ করলেন, বললেন, তারা কোন বই লিখেন নি, এক কমেন্টার জানালো, আপনি জেদ্দায় থাকেন। তারপর খুজতে খুঁজতে পেতে গেলাম। আমার ভাল ভালবাসা ফেলে দিবেন না কিন্তু!
আপনার বইটি আমি আমার অধস্তনদের অনেক পড়িয়ে শুনিয়েছে, তারা অনেক উপকৃত হয়েছে, আমিতো বটেই।
লিখে যান, আমরা আছি, পড়ব, জানব, আমল করব, তার সওয়াব আপনিও কিন্তু পাবেন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন