জান্নাতের সবুজ পাখি (গল্প)
লিখেছেন লিখেছেন নূর আয়েশা সিদ্দিকা জেদ্দা ১৬ মার্চ, ২০১৪, ০৮:৪০:৫০ রাত
শরতের মায়াবী আলোভরা সকাল। ততক্ষণে রং হারাতে শুরু করেছে বাগানে ঝরে পড়া শিউলির সফেদ বসন। ঘাসদের ডগা হতে বিলীন হয়ে গেছে নিরব রাতের অশ্রুজল। বারান্দায় বসে সত্তরোর্ধ বৃদ্ধা নাজিরন বয়সী কপালে আরো কয়েকগুণ বয়সের ভাঁজ তুলে হাঁক ছাড়েন- বউ মা, ও বউমা। গত রাইতে আমার পান শেষ হইয়া গেছে। এহনো কেউ আইনা দিলনা। মুখের ভিতরডা মাডি মাডি লাগতাচে। কিছু স্বাদ পাইতাচিনা। রান্নাঘর হতে ঘর্মাক্ত বউমা ছুটে আসেন। নরম গলায় বলেন- মা, আপনের ছেলে তো কাইল রাত দশটায় সময় ঘরে ফিরছে। তাই পান আনাইতে পারি নাই। আজই আফিস থেকে আসার সময় ও পান নিয়া আসবো।
গোসল করে স্কুল ড্রেস পরতে পরতে সাব্বির রান্নাঘরে এসে দাঁড়ায়- মা, আমার স্কুলের দেরী হয়ে যাবে। ভাত কি হয়েছে? কপালের বিন্দু বিন্দু ঘাম মুছতে মুছতে সাজেদা বলেন- হা বাবা, ভাত টেবিলে বেড়ে রেখেছি। ভাত খেতে বসে সাব্বির হাঁক ছাড়ে- মা, ও মা এটা কি দিয়েছ? সাজেদা কাছে এসে বলেন- কেন বাবা? তরকারি রান্না হতে দেরী হবে দেখে তোর জন্য তাড়াতাড়ি মাছ ভেজে দিলাম। তুই তো মাছ ভাজা পছন্দ করিস। সাব্বির একটি লোকমা মায়ের মুখের দিকে এগিয়ে দিয়ে বলে- খেয়ে দেখ মা। তোমার মাছ ভাজা কেমন হয়েছে? সাজেদা মুখ খুলে খাবারটা মুখে পুরে চিবিয়ে নিয়ে বলেন- কেন? সব তো ঠিকই মনে হচ্ছে। সাব্বির অবাক ভঙ্গিতে বলে- মা, তুমি বুঝতে পারছো না? তাহলে আর একটু খেয়ে দেখ। সুতরাং রান্নার খুঁত ধরতে সাজেদা বেগমকে আরো এক লোকমা মুখে দিতে হল। এবার ও তিনি কোন খুঁত পেলেন না। এদিকে সাব্বির তখন গপাগপ গিলতে শুরু করেছে। পিটির লম্বু স্যারের হাত হতে কান বেচারাদের অক্ষত রাখতে সময়মত পৌঁছানো যে .... সাজেদা বেগম কোন মাথামুন্ড বুঝতে না পেরে রান্না ঘরের দিকে পা বাড়ান। সাব্বির খাওয়া শেষ করে হাত ধুয়ে রান্না ঘরে এসে দাঁড়ায়। এরপর মাকে পেছন হতে জড়িয়ে ধরে বলে- মা, তোমার হাতের রান্না সব সময়ই অমৃত। আমি একটু নানা ভাইয়াকে অনুকরণ করার চেষ্টা করছিলাম। সঙ্গে সঙ্গে অনিরুদ্ধ এক আবেগে সাজেদার মনটা ভিজে উঠে। রান্নাঘরে থালায় জমিয়ে রাখা মাছের টুকরো গুলো দেখে কারোই বুঝতে কষ্ট হবার কথা নয় নিম্ন মধ্যবিত্তের এতজন সদস্যের সংসারে সবাইকে দেবার পর রাঁধুনির ভাগ্যে মাছের সামান্য লবণ দেখার সম্ভবনা ও নিতান্ত শূন্যের কোঠায়। এই দুর্মূল্যের বাজারে সংসারে সবাইকে দিয়ে হাড়ির গা মুছেই প্রায় দিন খাওয়া হয় সাজেদার। অথচ মাছ ভাজি ওর ও খুব প্রিয়। তাই মাকে ওইটুকু মাছভাজা খাওয়াতে দুরন্ত কিশোর সাব্বিরের এই ছলনা। ছেলের এই অনুচ্চারিত আবেগে চোখটা পানিতে ভরে উঠে সাজেদার। নিজের বাবার কথা মনে পড়ে যায়। তিনি চোখের কোণায় জমা হওয়া অশ্রু মুছতে মুছতে বলেন- ইয়া আল্লাহ! তুমি আমার সাব্বিরকে অনেক বড় কর।
দিসবের যাঁতা কষে সময় গড়িয়ে বিকেল হল এক সময়।। সাব্বির স্কুল হতে ফিরে পা টিপে টিপে দাদীর ঘরে ঢুকে। এরপর পেছন হতে দাদীর চোখ চেপে ধরে বলে- বলতো দাদী এগুলো কি? দাদী হাত দিয়ে ছুঁয়ে বলেন- ওমা পান ? তুমি কোথায় পাইলা দাদু বাই। কাছে ধারে তো দোকান ও নাই। সাব্বির তখন চোখ ছেড়ে দাদীর গলা জড়িয়ে ধরে বলে- আমার কাছে টিফিনের কয়েক টাকা জমানো ছিল। তাই দিয়ে স্কুলের পাশের দোকান হতে তোমার জন্য এই খিলি পান কিনে এনেছি। দাদীর চোখের কোণায় মমতার জলবিন্দু ভর করে। তিনি সাব্বিরের মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বলেন- ওমা দাদু বাই তুমি এত খেয়াল করচো? দোয়া করি আল্লাহ যেন আমার দাদু বাইরে অনেক বড় করে।
ঠিক তক্ষুনি পাশের ঘর হতে দাদার আওয়াজ ভেসে আসে- বউমা, আমার লাঠিটা গেল কই? লাঠিটা তো খুঁজে পাচ্ছিনা। সাব্বির ছুটে গিয়ে বলে- দাঁড়ান দাদা ভাই। আমি খুঁজে দেখি। কিন্তু অনেকক্ষণ খুঁজে ও যখন লাঠির দেখা মিললো না দাদা তখন করুণ মুখ করে বললেন- এখন আমি নামাজ পড়তে মসজিদে যাবো কি করে? সাব্বির দাদার হাত ধরে বলে- দাদাভাই, যতক্ষণ না আপনার লাঠি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে ততক্ষণ আমিই আপনার লাঠি। চলুন আমি আপনাকে ধরে ধরে মসজিদে নিয়ে যাবো। দাদা খুশী হয়ে প্রাণভরে দোয়া করেন- আল্লাহ! আমার সাব্বিরকে তুমি অনেক বড় বানাও।
রাতে ঘুমানোর আগে আমজাদ সাহেব দেখেন সাব্বির খাটের নীচ হতে বাবার জুতো জোড়া তুলে নিচ্ছে। তিনি অবাক হয়ে বলেন- কি করিস বাবা? সাব্বির লাজুক গলায় বলে- কিছুনা বাবা। আমি আমার স্কুলের জুতো গুলো মুছবো তো। তাই তোমারটা ও নিয়ে যাচ্ছি। তোমার জুতোয় অনেক কাদা লেগে আছে। বাবা সাব্বিরের গমন পথের দিকে তাকিয়ে প্রশান্তির নিঃশ্বাস ফেলেন। বলেন- আল্লাহ! তুমি আমার এতটুকু ছোট ছেলেটাকে এত বুঝদার বানিয়েছ! মাওলা তুমি তাকে অনেক বড় বানাও।
মসজিদে হতে ফেরার সময় বৃদ্ধ হাকিম চাচার জুতো জোড়া খুঁজে দেয়া ও সাব্বিরের প্রতিদিনকার কাজের অংশ। এমনি করে পাড়া পড়শীদের বিপদে আপদে সাধ্যমত সাহায্য করা ও সাব্বিরের প্রতিদিনের রুটিন। ছোট ভাইবোনদের খুনসুটি মেটাতে নিজের স্বার্থত্যাগ করা তার স্বভাব হয়েই দাঁড়িয়েছে।
তাই সত্যি মা,বাবা, দাদা,দাদী, পাড়া প্রতিবেশী সবার দোয়ার অর্নিবাণ পথ বেয়ে ছোট্র কিশোর সাব্বির একদিন এস. এস. সি পাশ করলো গোল্ডন এ প্লাস পেয়ে। মফস্বলের ছোট শহরটিতে যেন আনন্দের বান ডাকে। সবাই একে একে দোয়া আর অভিনন্দন জানাতে আসে তাদের প্রিয় সাব্বিরকে। স্কুলের শিক্ষকদের সাথে পরামর্শ করে সাব্বিরের বাবা সিদ্ধান্ত নেন ওকে ঢাকায় পড়তে পাঠাবেন।
গ্রাম হতে বিদায়ের দিন আর সবার সাথে গ্রামের কানা বুড়ি ক্ষয় কাশের রোগী ছমিরণ ও লাঠিতে ভর দিয়ে সাব্বিরকে বিদায় জানাতে আসে। ছলছল চোখে বলে- সাব্বির তুমি ভাল করে পড়া লিখা কইরা ডাক্তার হইয়া ফিরবা । আমাগো বিনা পয়সায় চিকিৎসা করবা। আমি তোমার জন্য আপেক্ষা করুম।
ধীরে ধীরে এক দুরন্ত কিশোরের দৃশ্যপট হতে সরে যায় চেনা পরিচিতির বলয়। হঠাৎ করে ঘুড়ির সুতো কেটে যাবার মতই কেটে যায় বিগত দিনের জীবন যাত্রা। নতুন শহর..ঢাকা। অগণন স্বপ্নদের অনিরুদ্ধ ঝুড়ি বুকে নিয়ে আসা সাব্বিরের নতুন ঠিকানা। বেশ ঝক্কি সামলে বাবা ছেলে ঠিকানায় লিখা মেস হতে আসাদকে খুঁজে বের করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আসাদ বেশ খুশী হয়েই ওর খালাতো ভাইকে মেসে থাকার ব্যবস্থা করে দেয়। শুরু হয় ভর্তি যুদ্ধের প্রস্তুতি। দাদা ভাইয়ার সাথে মসজিদে যাবার অভ্যাস তৈরী হয়েছিল অনেক ছোটবেলা হতেই। তাই নতুন শহুরে জীবনে ও এর ব্যতিক্রম হয়না সাব্বিরের। আসাদের সাথে প্রতিদিন ফজরের নামাজে ঠিকই উপস্থিত হয়। এক সকালে আসাদ বলল- সাব্বির, তুমি এত সুন্দর করে প্রতিদিন কোরআন তেলাওয়াৎ কর। শুনতে বেশ ভালো লাগে। তুমি কি কোরআনের অর্থ জানো? সাব্বির মাথা নাড়ায়- না ভাইয়া। আমি তো দাদার কাছ হতে শুধু তেলাওয়াৎ শিখেছি। আসাদ তখন বুঝিয়ে বলে- এই যে দেখ তুমি লিখাপড়ার জন্য মা বাবা সবাইকে ফেলে কত দূর চলে এসেছো। ঠিক তেমনি ভাবে তোমার জীবনকে গড়ার জন্য যে কোরআন তোমাকে দেয়া হয়েছে তার অর্থ জানার চেষ্টা ও তোমাকে করতে হবে। কেননা কোরআন যে আমাদের জীবন চলার পথ দেখিয়ে দেয়। অর্থ না জানলে তুমি কিছুই বুঝবেনা। আসাদ সাব্বিরকে একটি অর্থসহ কোরআন ধরিয়ে দেয়। একটু একটু করে পড়তে পড়তে সাব্বির অভিভূত হয়ে একদিন বলে- ভাইয়া, কোরআনে যে এত সুন্দর কিছু লিখা আছে অর্থ না জানলে তো কখনো বুঝতেই পারতাম না।
এরপরের ঘটনা একটু অন্যরকম। একদিন পুলিশ এসে অতর্কিতে রেইড করে ওদের মেস। ইসলামী বই ও কোরআন রাখার অপরাধে এরেস্ট করে আসাদসহ আরো রুমমেটদের। সাব্বিরের নিষ্পাপ হৃদয়ে বিষ্ময়ের ঝড় উঠে। ওর সচেতন বিবেকের স্পন্দন জোর কড়া নাড়ে ছোট্র হৃদয়ের বন্ধ দরজায় - ইসলামী বই কোরআন রাখা অপরাধ? তবে কেন দাদু কোরআন পড়েন? তবে কেন দাদার বন্ধু হামজা দাদার মৃত্যুর পর সবাই কোরআন পড়ছিল? .... ও এগিয়ে যেয়ে তারুণ্যের উত্তাপ ঢেলে অনুনয় ঝরা কন্ঠে বিভ্রান্তির জোয়ারে আটকানো কাঁধে স্টার লাগানো পুলিশকে বুঝানোর চেষ্টা করে- দেখুন আপনারা ভুল করছেন। কেন ওদের ধরে নিয়ে যাচ্ছেন? কোরআন হাদীসের জ্ঞান মানুষকে কখনো জঙ্গী বানায়না। তখন পাশ হতে মোটা গোঁফের একজন তার অজ্ঞতার ঘোর লাগা গলায় আদিম স্বৈর মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে চিবিয়ে চিবিয়ে বলে- এই এটাকে বাদ দিলি কেন? এ ছোড়া আরো বড় জঙ্গী। পুলিশকে জ্ঞান দিতে আসে। ধর এটাকে। সাব্বির কোন কিছু বুঝতে না পেরে দৌড়ে সরে যাবার চেষ্টা করে। কিন্তু পেছন হতে কিছু একটা যেন শিষ কেটে ঢুকে যায় ওর পিঠের দিক হতে ছোট বুকটাতে কাছে। সঙ্গে সঙ্গে ও হুমড়ি খেয়ে পড়ে যায় দরজায় বাইরে ঘাসের উপর। মাথার ভেতরটা কেমন যেন করে উঠে। মনে পড়ে মা, বাবা, দাদা, দাদী, বৃদ্ধা ছমিরণ চাচীর মুখটা। দিনের পর দিন টুকরো টুকরো করে জমা হওয়া বিক্ষিপ্ত স্বপ্নদের এক সূত্রে গাঁথার চেষ্টা করে সাব্বির। ও বিড়িবড় করে বলে -আমি যে অনেক বড় হতে চাই। আমি যে সবাইকে কথা দিয়েছিলাম..... ধীরে ধীরে নিঃশ্বাস জড়িয়ে আসে সাব্বিরের। ততক্ষণে আশা ও আশ্বাসের স্বপ্নগুলো ফেরারী হতে শুরু করেছে জীবনের দিগন্ত হতে। চেতনা আর অবচেতনার মাঝে নীল আকাশের সাদা মেঘ গুলোকে খুব কাছে মনে হতে লাগে ওর। মুক্ত পৃথিবীর অবারিত আলোর মাঝেই পৃথিবীটা ঝুপ করেই যেন অন্ধকার হয়ে গেল সাব্বিরের। এক সময় জান্নাতের সবুজ পাখিদের ভিড়ে যোগ হয় নতুন এক ছোট্র পাখি। সাঁঝের পাখিদের নীড়ে ফেরার মতই তারা ঝাঁক বেঁধে পাড়ি জমায় চির প্রশান্তির গন্তব্যে। এমনি করেই নিভে গেল ছোট জীবনের সীমিত পরিসরে পৃথিবীকে কিছু দেবার একবুক স্বপ্ন নিয়ে এক স্বপ্নাতুর কিশোর। যে কিনা গ্রামের কানা বুড়ি ছমিরণকে বিনা পয়সায় চিকিৎসা দিতে ডাক্তার হতে চেয়েছিল। পৃথিবীকে কিছুই যে দেয়া হলনা। যাবার বেলায় শুধু এঁকে গেল সবুজ ঘাসদের বুকে নিজের টকটকে রক্ত দিয়ে নতুন স্বাধীনতার প্রতাকা। ( সাব্বিরের মত তরুণরা আমাদের সম্পদ। আমাদের দেশের সম্পদ। আমরা চাইনা আর কোন সাব্বির হারিয়ে যাক তার স্নেহময়ী মায়ের আঁচল ছেড়ে। পরিশ্রম কাতর বাবার স্বপ্নের জাল ছিঁড়ে। প্রিয়জনের প্রত্যাশার সীমানা পেরিয়ে। দল, মত, নির্বিশেষে আমরা প্রতিটি তরুণের নিরাপদ জীবন কামনা করি।)
বিষয়: বিবিধ
২০৬৭ বার পঠিত, ২০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনার লিখা বরাবরের মত গুরুত্বের ধন্যবাদ।
আল্লাহ আপনাকে আরো ভালো ভালো লেখার জন্য কবুল করুক আমিন
গল্পটির জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আজ অনেক কেঁদেছি চোখের জলে মুখ ধোয়েছি
আকাশের কান্নার কাছে হার মেনেছি সে অঝোর কাঁদছে
আজো সে কাঁদো কঁদো ঘোমড়া মুখে ফুঁপিয়ে কাঁদছে
সে দেখেছে সাদা চোখে তান্ডব কাহাকে বলে
দেখেছে সাদা কাপড়ে রক্তের ছোপ ছোপ দাগ
সে দেখেছে সাদা মানুষ গুলোকে সবুজ পাখি হতে
দেখেছে সবুজ পাখির উড়ন মিছিল...
আর দেখেছে মানুষের অমানুষি হিংস্ররুপ
আমার কাঁন্না গুলো ভেতরে জমাট বাঁধছে
হয়তো বিষ্ফোরিত হবে কোন এক চত্তরে
বেড়িয়ে যাবে শহরের নালায় নালায় বেহিসেবে
আমিও হবো কোন এক বেওয়ারিশ লাশ
পরে থাকবো মিউনিসিপাল্টির ভাঙ্গাচোড়া ট্রাকে
এভাবেই বাড়বে তান্ডব কারিতের লাশের স্তোপ...
তুমি তোমরা মুখ ঘোমড়া করে বসে থাকো
মিথ্যার বেসাতি শুনতে দালাল টিভির স্ক্রিনে।
অনেক দিন পরে ব্লগে এসে আপনার লেখা পড়লাম । দোয়া করি আল্লাহ যেন আপনাকে উত্তম প্রতিদান দেন।
আপু , লেখাগুলো ফেসবুকে দিলে মনে হয় অনেক বেশি মানুষের কাছে পৌছানো সম্ভব।
মন্তব্য করতে লগইন করুন