অনুভবে মনে মনে

লিখেছেন লিখেছেন নূর আয়েশা সিদ্দিকা জেদ্দা ১৪ জানুয়ারি, ২০১৪, ১১:৩২:১৬ রাত



ঘটনাটি গত বছরের। আমার এক পরিচিতা আমাকে ফোন করে বললেন- এই জানো অনেক দিন হতেই ভাবছি তোমাকে একটি স্মৃতি শেয়ার করবো। কেননা পরিচিত জনদের মাঝে তুমি একটু অন্যরকম। যে কোন কিছুকে সুন্দর ভাবে ভাবার মত সুন্দর মন তোমার আছে। আমি বললাম- বোন, পাম্প কম দেন। আবার কখন না কখন পাংচার হওয়া চাকার মত ফুস করে সব বেরিয়ে যাবে। তার চেয়ে বলুন ঘটনা কি? উনি তখন বললেন- তুমি তো জানো প্রবাসে আসার আগ পর্যন্ত আমার জীবনের পুরোটা সময় গ্রামেই কেটেছে। আমি যখন খুব ছোট ৫/৬ বছর বয়স তখন মা আমাকে দুপুর বেলা নিজ হাতে গোসল করিয়ে, ধুমায়িত গরম গরম ভাত মেখে নিজ হাতে খাইয়ে দিতেন। এদিকে বাড়ি হতে একটু দূরেই জমিতে কামলারা যাতে কাজে ফাঁকি না দেয় তাই সকাল হতেই আব্বা তাদের সাথে সাথে থাকতেন। মা আমাকে খাইয়ে চট করে আব্বার জন্য দুপুরের খাবারটা বেঁধে আমার হাতে দিয়ে বলতেন –যাতো মা, তোর বাবার জন্য খাবারটা নিয়ে যা। আমি চঞ্চল প্রজাপতির মত খাবার নিয়ে রওনা হতাম। আর মা বাড়ির কোণে মাথায় বড় করে ঘোমটা টেনে আমার গন্তব্যপথে তাকিয়ে থাকতেন। এদিকে আমি আব্বার জন্য খাবার নিয়ে গিয়ে দেখতাম উনি জমির কোণে বড় বটগাছটার ছায়ায় অপেক্ষা করে আছেন আমার জন্য। আমি খাবারটা আব্বার হাতে দিয়ে কখনো বুনো ফুল তুলতাম। কখনো প্রজাপতির পেছনে দৌড়াতাম। আব্বা ওরই মাঝে আমাকে ডেকে আদুরে স্বরে বলতেন- মা আমার, সোনা আমার, দেখি আব্বার সাথে এক লোকমা ভাত খা তো। আমি যতই বলতাম খেয়ে এসেছি, পেট ভরা । কিন্তু উনার স্নেহের কাছে হার মেনে আমাকে প্রতিদিন উনার খাবারে অনিচ্ছা স্বত্তে ও ভাগ বসাতে হত। জানো আজ প্রবাসী জীবন ২ যুগের মত হয়ে এলো। সেই আমার কত দেশের কত স্বাদের খাবার খাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে। কিন্ত আজ প্রবাসী জীবনের এই বাঁকে দাঁড়িয়ে কেবলই মনে হয় আমার আব্বার সেই খাবারের লোকমার স্বাদ ছিল অমৃতের মত। যা আমি আর কোথাও খুজে পাইনা। কেমন ঘোর লাগা গলায় উনি কথা গুলো বললেন। উনার সেই স্মৃতির বাঁক বেয়ে আমি নিজেও যেন হারিয়ে গেলাম। আমার মৌনতা দেখে এক সময় উনিই বললেন- এই তুমি কিছু বললে না যে?

আমি ভাবনার গলা জলে দাঁড়িয়েই বললাম- ভাবছিলাম। উনি বললেন- কি..

আমি বললাম- আপনার বর্ণনার পথ ধরে আমি আসলে হারিয়ে গিয়েছিলাম।... কোন এক না জানা সবুজের পেলবতা মাখা এক গ্রাম। ছোট্র শিশুটি অবগুন্ঠিতা মায়ের ঘোমটার আড়ালে উৎসুক স্নেহমাখা দৃষ্টির সীমানা বেয়ে হেঁটে চলেছে মেঠো পথ ধরে। চলার পথে সরিষার ফুলগুলো দুষ্টমির ভঙ্গিতে থেকে থেকে হলুদের আবীর মেখে দিচ্ছে চপলা শিশুটির সারা গায়ে। মটরশুটি গুলো দুষ্ট ছেলের মত মেয়েটির চপ্পল পরা পা দু’খানায় সুড়সুড়ি দিয়ে মেয়েটির নাকাল অবস্থা দেখে মাটিতে হেসে গড়াগড়ি খেয়ে পড়ছে। কখনো বা লজ্জাবতী লতা গুলো চুড়ান্ত দস্যিপনা দেখিয়ে মেয়েটিকে কাঁটার খোঁচায় চিমটি কেটে দিয়ে নিজকে দ্রুত আড়াল করে নিচ্ছে গোবেচারার ভঙ্গিতে। আকাশের সফেদ সামিয়ানার নিচে স্নেহময় বাবা প্রতীক্ষায় আছেন – খুকি কখন আসবে? এদিকে তখন সবুজ ঘাসের বিছানায় বসে ঘর্মাক্ত কৃষকের মহ্যাহ্নের আহার পর্ব শুরু হয়েছে। এতক্ষণ একটানা হাল চষতে থাকা চারপেয়ে প্রাণীগুলো ও কাজ হতে অবসর হয়ে জিরিয়ে নিচ্ছে প্রশান্তিময় মাটির বুকে। বুনো ফুলের সৌরভ গায়ে মাখিয়ে ছুটে চলেছে ক্লান্ত দুপুরের বহমান বাতাস। চারদিকে পরিবেশ যেন অপার্থিব এক মৌনতার প্রলেপ মাখা। সামান্য ঝরা পাতার আর্তনাদ ও যেন সেই নিরবতার ঘায়ে চাবুক কষে দেবে। থেকে থেকে জানা অজানা পাখিদের কিচির মিচির শব্দ নিঃশব্দ পরিবেশটিকে মাঝে মাঝে করে তুলছে শব্দময়। বুনো ফুল,ঘাস, পাখিদের সাথে খেলার ফাঁকে ফাঁকে স্নেহময় পিতার হাতের ডাল মাখা খাবার মুখে দিতে গিয়ে খুকির সারা গাল ডালে মাখামাখি...............ইস আপনাকে হিংসা হচ্ছে । এত সুন্দর স্মৃতি কেন আমার হল না?

উনি দেখলাম আমার কথা শুনে বেশ প্রশান্তির সাথে একটু উচ্চস্বরেই বললেন- আলহামদুলিল্লাহ।

আমি একটু আবাক হয়েই বললাম- কেন ? আলহামদুলিল্লাহ বললেন কেন? উনি বললেন- জানো, আজ কত বছর ধরে প্রতিনিয়ত অনুভব করতে থাকা এই উপলব্দিটি কখনো কারো সাথে শেয়ার করা হয়নি। আমার স্বামীকেই শুধু একবার বলেছিলাম। তখন ও আমাকে বলেছিল- দেখ, তোমার আবেগকে আমি শ্রদ্ধা করি। কিন্তু আমার ভয় হয় তোমার অনুভূতিকে হৃদয় দিয়ে উপলব্দি না করে কেউ হয়তো তোমার অতীত নিয়ে তোমাকে ছোট করতে পারে । তাই আর কারো সাথে এই অনুভূতি শেয়ার করোনা। কিন্ত আজ অনেক দিন পর মনে হল বুকের ভেতরটায় এই অনুভব যেন জীয়ল মাছের মত ঘাই মারছে প্রতিনিয়ত। তাই ভাবলাম তোমাকে বলি। ভাবলাম তুমি অন্তত বুঝবে। যাক, বুঝলাম আমার স্মৃতিটি আপাত্রে পড়েনি।

জানিনা জীবনে কিছু খোয়া যাবার আগে তার প্রাপ্তির মূল্যমান উপলব্দি করে স্মরণের ঘরে আনাগোনা বেড়ে যায় কিনা । কেননা উনার বাবাকে নিয়ে স্মৃতি চারণের কিছুদিন পরেই আমাদের আর এক পরিচিতা সীমা ভাবীর বাবার মৃত্যুর খবর আসে। সেদিন সেই বোনকে সান্তনা দিতে আমি এবং আমার সেই পরিচিতা গিয়েছিলাম। ফেরার পথে উনি আমাকে বলছিলেন- জানো আলহামদুলিল্লাহ একথা ভাবলেই বুকের ভেতরটা ভরে উঠে যে আমার বাবা এখনো বেঁচে আছেন। কি অবাক কান্ড। ঠিক এর সপ্তাহ খানেকের কিছু বেশী হতেই একদিন ভাবীর বাবার মৃত্যুর খবর এলো।

ইদানিং সময় যেন বুকের মাঝে ঝরা পাতার কান্না ছড়িয়ে রাখে সব সময়। আমার আব্বা খুব অসুস্থ। পুরোপুরি বিছানায়। সুদূরে থাকা প্রিয়জনদের দেখতে প্রতীক্ষার প্রহর গোণা আব্বা সন্তানের কল্যাণ কামনায় আজকাল বারবার বলেন- দেশের অবস্থা ভালো নেই। দেশে এসোনা। এই ভালো নেই ..অবস্থার জন্য গত বছর দেশে যাওয়া হলনা। জানিনা এ বছর কি হবে? বয়সের এই পর্যায়ে এসে ও আমার আব্বা আমার লিখার সাহিত্য মান নিয়ে কখনো প্রশংসা এমনকি সময়ে সময়ে কড়া সমালোচনা করতে ও ছাড়েন না। কিন্তু অনেক দিন হয়ে গেল অসুস্থতার জন্য উনি আর পড়তে পারেন না। বুকের মাঝে না বলা অনেক দহন চেপে সময়ের সিড়ি বেয়ে বেয়ে ছুটে চলেছি অহর্নিশ। অযতনে কলমের গায়ে হয়তো বা ধূলো জমছে একটু একটু করে। পরিচিতজনরা প্রায়ই প্রশ্ন করে – কেন লিখি না আজকাল। তাই সেদিন অভিমানী কিশোরীর মত ঠৌঁট উল্টে মনে মনে নিজেকেই নিজে বললাম- থাক ভালোই হয়েছে। আমার আব্বা পড়তে পারেন না বলেই আমি আজ আর লিখিনা।

বিষয়: বিবিধ

২৪৩৫ বার পঠিত, ১০০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

162604
১৪ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:৫৪
শর্থহীন লিখেছেন : আপনার আব্বার কথা বলার পর কিছু বলার শাহস হচ্ছে না -- তারপরও বলব নিজের এই অনুভূতি গুলি শেয়ার করতে কার্পণ্য করবেন না --আপা --
১৫ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১২:০৭
116895
নূর আয়েশা সিদ্দিকা জেদ্দা লিখেছেন : আমার কেন যেন মনে হয় লিখার সাথে মনের একটি সখ্যতা থাকা চাই। সেই মন যখন বেদনাহত থাকে তখন চাইলে ও দেখেছি কলম হাতে উঠেনা। অনেক ধন্যবাদ আপনাদের ভালোবাসায় বার বার ফিরে আসা।
162605
১৪ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:৫৬
আলোর আভা লিখেছেন : আপু আপনার আব্বার জন্য দোয়া থাকল আল্লাহ উনাকে সুস্থ্যতা দেন করুন । আর লিখবেন না আমরা হয়ত উনার মত প্রশংসা বা সমালোচনা করতে পারব না কিন্তু আপনার লেখা থেকে আমাদের জীবনে কোন উপকার হতে পারে সেটা থেকে আমাদের বঞ্চিত করবেন কেন ।ধন্যবাদ আপু।
১৫ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:৪৯
117225
নূর আয়েশা সিদ্দিকা জেদ্দা লিখেছেন : অনেক শুকরিয়া নেক দোয়ার জন্য। নিজেও খুব চাই জীবনের ভেতরেও যে এক জীবন রয়েছে তাকেই পাঠকদের সামনে এনে দাড় করাতে। অনেকে শুধু এ প্রত্যাশায় তাদের জীবনের গল্প গুলো আমাকে বলেন অকপটে। যেন সত্যিই ভালো কিছু লিখা নিয়ে সব সময় সবার সাথে থাকতে পারি।
162607
১৫ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১২:০৩
দ্য স্লেভ লিখেছেন : অসাধারণ অনুভূতী। চোখে ভাসছে। মনে হচ্ছে আমিও শৈশবে.. Happy
১৫ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:৪৮
117222
নূর আয়েশা সিদ্দিকা জেদ্দা লিখেছেন : কিন্তু আপনার লিখা পড়ে আমার তো মনে হয় আপনার ছোটবেলাটা বেশ মজার ছিলো।
162609
১৫ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১২:১৬
ভিশু লিখেছেন : যত যা-ই ভাবি না কেন - বাস্তবতা তো অনস্বীকার্য! তবুও লিখতে হবে, তবুও বলতে হবে, তারপরও শুনতে-শোনাতে হবে...এটাই মনে হয় জীবন...Day Dreaming মনে দোলা দেয়ার মতো সুন্দর কথাগুলো সহজ এবং আকর্ষণীয় করে তুলে ধরার যোগ্যতা তো আর মহান আল্লাহ সবাইকে দেন নি! অনেক ধন্যবাদ আপনাকে!
১৫ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:৫১
117229
নূর আয়েশা সিদ্দিকা জেদ্দা লিখেছেন : কেমন আছেন?বড় সত্যি কথা বললেন জীবনের প্রয়োজনে কলমের গতিময়তা ধরে রাখা। স্রষ্টা যেন মনের সেই জোর সব সময় বজায় রাখেন সবার। অনেক ধন্যবাদ।
১৬ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:৪৯
117637
ভিশু লিখেছেন : আলহামদুলিল্লাহ! ভালো আছি! একটি বিনীত নিবেদন...আরো লিখা পড়তে চাই!
162621
১৫ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০১:০৮
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : প্রবাসে থাকার প্রথম শর্ত হল আবেগের দরজা জানালাগুলোকে শক্ত করে বন্ধ করে দাঁত কামড়ে পড়ে থাকা যেন কোনভাবেই মনের আকাশে মেঘেরা ভিড়তে না পারে। লেখা পড়তে পড়তে চলে গিয়েছিলাম শৈশবে। কিন্তু আমার ভিতরের অভিমানী কিশোরীটি বলছে উল্টো কথা- বাবা পড়তে পারছেন না তাতে কি শোনাতে তো পারবো। ফোনে শোনাতাম, না পারলে ডায়রির পাতা ভরে মনের কথাগুলো লিখে বাবাকে উৎসর্গ করতাম। মনে মনে বুঝে নিতাম আমাকে ঘিরে সদা অনুপ্রেরণা যোগানো তাঁর না বলা কথাগুলো।

দোয়া থাকলো আপনার বাবার জন্য। আপনার জন্য রইলো শুভকামনা Good Luck Good Luck
১৫ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:৫৮
117241
নূর আয়েশা সিদ্দিকা জেদ্দা লিখেছেন : বেশ সুন্দর করে লিখলেন। আমার এক সিনিয়র ও ঠিক আপনার মত করেই বোঝান আমাকে। অনেক ধন্যবাদ ও শুভ কামনা রইলো।
162626
১৫ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০১:৩৮
সালমা লিখেছেন : ভালো লাগলো,অনেক ধন্যবাদ
১৬ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১২:০১
117246
নূর আয়েশা সিদ্দিকা জেদ্দা লিখেছেন : অনেক দিন পর...আপনার ঘরে দেখি আমার হাল। ভাতিজা তো দেখছি লম্বায় বাবাকে ছাড়িয়ে গেছে মাশাআল্লাহ। আল্লাহ যেন আমাদের সবার উত্তরসূরীদের সত্য ও সুন্দরের পথে কবুল করে নেন।
162680
১৫ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৮:১০
ইমরান ভাই লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ Rose Rose
১৬ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১২:০১
117247
নূর আয়েশা সিদ্দিকা জেদ্দা লিখেছেন : আপনাকে ও অনেক ধন্যবাদ।
১৬ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৭:৪৫
117323
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : একমত বুড়া ভাইয়া Good Luck Winking
162918
১৫ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:১১
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : ইমরান দাদা লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ Rose Rose Big Grin Big Grin
১৬ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১২:০২
117248
নূর আয়েশা সিদ্দিকা জেদ্দা লিখেছেন : অনেক শুভ কামনা রইলো।
১৬ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৭:৪৪
117322
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : ঐকমত্য
১৬ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৮:০১
117328
ইমরান ভাই লিখেছেন : @হারি নকল করো কেনু কেনু কেনু? Time OutTime OutTime OutTime OutTime OutTime OutTime OutTime OutTime OutTime OutTime OutTime OutTime Out
১৬ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৮:০৪
117330
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : @বুড়ো দাদা আপনার মাউচের পদচারনায় হাতুড়ি হারিকেন উৎসাহিত হয়েচে Rolling on the FloorRolling on the Floor Big Grin Big Grin
১৬ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৮:২৭
117533
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : Loser Loser ঠিক রাহু...
এটাতো ফাঁকিবাজ মন্তব্য, নিজে টাইপকরে ফাঁকিবাজী করার ইচ্ছে মোটেও নেই আমার, তাই নকলাইজেশ্যন এ্যাপ্লাই করলাম I Don't Want To See I Don't Want To See হিহিহি @রাহ'বার @বুড়োদাদা
162937
১৫ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:৫৯
চোথাবাজ লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
১৬ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১২:০৩
117251
নূর আয়েশা সিদ্দিকা জেদ্দা লিখেছেন : জ্বি আপনাকে ও ধন্যবাদ।
১০
162960
১৬ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০১:০২
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : বাবাদের স্মৃতিচারণমূলক লেখাটি হৃদয়ের গভীরে নাড়া দিয়ে গেলো। আমিও বাবা হারিয়েছি গত ২৫ নভেম্বর’১৩ তারিখে। বাবার ভলোবাসা শুধু শৈশবেই সীমাবদ্ধ ছিল না, আমার এ পঞ্চাশোর্ধ বয়সে এসেও তাঁর ভালোবাসা পেয়েছি অকাতরে। প্রত্যেকবার প্রবাসে আসার সময় তিনি আমাকে এয়ার পোর্টে পৌঁছে দিতেন। চেকইন হয়ে গেলে তাঁকে চলে যেতে বলতাম। তিনি বিমান উড্ডয়ন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চাইতেন, অনেক বুঝিয়ে সুজিয়ে তাঁকে চলে যেতে রাজী করাতে হতো। স্বাভাবিক অবস্থায় তিনি অসুস্থ বোধ করলে আমার সান্নিধ্য কামনা করতেন। কিন্তু বিগত সময়গুলোতে তিনি অসুস্থতায় ভুগলে রাতে আমাকে জানাতে নিষেধ করতেন এই ভয়ে যে, জামায়াত-শিবির নিমূলের নামে দেশে যে সন্ত্রাসী এবং পুলিশি নির্যাত চলছে তার খপ্পড়ে পড়তে না হয়, যদিও ২৪/২৫ বছর যাবৎ প্রবাসী ওয়ার কারণে রাজনীতির সাথে জড়িত নই, তথাপী মুখে দাড়ি থাকাতে অনাকাঙ্খিত বিপদের ভয় করতেন। তাঁর শেষ অসুস্থতায়ও এমনটি ঘটেছিল। রাতে ডাক্তারের নিকট নিয়ে যাওয়ার জন্য মা আমাকে ফোন করতে চাইলে তিনি আমাকে না বলে আমার ছোট বোনকে ডাকতে বলেছিলেন। জীবনের শেষ মুহুর্তে নিজে মৃত্যু যন্ত্রনায় কাতরিয়েও আমাকে নিরাপদ রাখতে চাইলেন আমার প্রিয় বাবা। ভালোবাসার এই আত্মত্যাগ কি ভুলার মতো?
১৬ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:১৩
117368
আহমদ মুসা লিখেছেন : বাবারা তো এমনই হয়। আমার আব্বার প্রতি আমার কতটুকু মায়া দরদ আছে বুঝতে পারছি না কিন্তু আমার প্রতি আমার আব্বার মায়া দরদ মমতা এককথায় ভালবাসা বলতে যা বুঝি তার শতভাগ বেশী অনুভব করি প্রতিদিন, প্রতিমুহুর্তে।
১৬ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:১৯
117606
নূর আয়েশা সিদ্দিকা জেদ্দা লিখেছেন : আসলেই এ জন্যই বুঝি বলে বৃক্ষ ফলের ভার নেয়। কিন্তু ফল বৃক্ষের ভার নেয়না। বাবা মায়ের অগণন ভালোবাসার কোন প্রতিদানই কি আমরা দিতে পারি? আল্লাহ আপনার আব্বাকে জান্নাতবাসী করুন।
১১
163016
১৬ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৭:৪৩
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : সুর্যের পাশে হাতুড়িTime Out Time Out হারিকেন লিখেছেন : ইমরান বুড়ো দাদা লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ Big Grin Big Grin
১৬ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৭:৫০
117325
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor আওণ রাহ'বার লিখেছেন : সুর্যের পাশে হাতুড়ি Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Time Out Time Out Time Out Time Out Time Out Time Out Time Out
১৬ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ১০:২৮
117357
ইমরান ভাই লিখেছেন :


১৬ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৮:২৯
117535
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : @দাদা Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor
সেইরাম হইছে Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor রাহু ..... Crying Crying Crying Crying Crying Crying Crying Crying Crying
১৬ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:২০
117607
নূর আয়েশা সিদ্দিকা জেদ্দা লিখেছেন : অনেক শুভকামনা রইলো।
১২
163036
১৬ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৯:৩৫
নকীব কম্পিউটার লিখেছেন : লিখার অনুভূতি নাই এই মুহুর্তে আবেগে আপ্লুত। মোহাম্মদ লোকমান ভাইর একটি কথার সাথে সুর মিলেয়ে বলি- ‘জীবনের শেষ মুহুর্তে নিজে মৃত্যু যন্ত্রনায় কাতরিয়েও আমাকে নিরাপদ রাখতে চাইলেন আমার প্রিয় বাবা। ভালোবাসার এই আত্মত্যাগ কি ভুলার মতো?
১৬ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:২৩
117610
নূর আয়েশা সিদ্দিকা জেদ্দা লিখেছেন : সন্তানের জীবনকে প্রতিষ্ঠার শীর্ষে পৌছে দিতে বাবা মা সব সময় মইয়ের মতই ব্যবহৃত হন। কিন্তু দুঃখ লাগে যখন সন্তান সেই অবস্থানে পৌঁছে গেলে তাদের কথা ভুলো যায়। অনেক ধন্যবাদ বাবুটা কেমন আছে?
১৭ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৮:৩২
117873
নকীব কম্পিউটার লিখেছেন : আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে সুস্থ আছে।
১৩
163038
১৬ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৯:৫৩
আবু আশফাক লিখেছেন : আপনার পরিচিতা বোন আপনাকে যে মোটেও পাম্প দেন নি, তা নিচের লেখা পড়লেই বোঝা যায়। আসলেই তিনি অপাত্রে ফুল রাখেন নি। ও রকম স্মৃতি আমরা যারা গ্রামের ছেলে মেয়ে তাদের অনেকেরই আছে, কিন্তু প্রকাশের এই ভঙ্গি আছে ক'জনের?

আমিতো আব্বার জন্য ভাত নিয়ে মাঠে গিয়ে আপনার পরিচিতার মতো লোকমা খেয়ে আবার লাঙলের পিছে পিছে হাটতে থাকতাম। এক সময় ক্লান্ত হয়ে মাটির ঢিলা'র ওপর রোদ্দুর মধ্যেই ঘুমিয়ে পড়তাম; এক বিঘত উচুনিচু মাটির বিছানাকেই মনে হতো দুগ্ধ ফেনায়িত নরম বিছানার চেয়েও উত্তম বিছানা।
এক সময় বাবা চাষ বন্ধ করে লাঙল মইয়ের সাথে আধো ঘুমন্ত আমাকেও কাধে নিয়ে বাড়ীর পথ ধরতেন।
এখন যখন অফিস শেষে রাতে বাসায় ফিরলে আমার দু পুত্র দু কাধে উঠে কলরব করে তখন ওর মা ওদেরকে বকুনি দেয়, কিন্তু আমার কেবলই মনে হয় আমার বাবা তো আমাকে লাঙল জোয়াল মইয়ের সাথে কাধে নিতেন; সে তুলনায় এটি তো কিছুই নয়!!
১৬ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:৩৫
117391
রাইয়ান লিখেছেন : ইশ , কি সুন্দর করে যে বললেন , ভাইয়া !
১৬ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:২৮
117615
নূর আয়েশা সিদ্দিকা জেদ্দা লিখেছেন : ভাই আবু আশরাফ এত সুন্দর করে আপনি আপনার বাবাকে অনুভব করাকে তুলে ধরলেন আমার চোখে পানি এসে গেল। আসলেও তাই। আমার প্রবাস হতে দুটো বাচ্চাকে নিয়ে মাস্টার্স করার সময় আমার বাবাকে অনুভব করেছি নতুন করে। পরীক্ষার পুরো ৪ ঘন্টা সময়ই বাবা বাইরে অপেক্ষা করে থাকতেন। বাচ্চাদের নিয়ে মানসিক পেরেশানীর মুহুর্তে আমার ভেঙ্গে পড়া মনটাকে উৎসাহ দিয়ে সজীব করে রাখতেন।
১৪
163046
১৬ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ১০:২০
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : এত সুন্দর স্মৃতি নিয়ে কেউ কটাক্ষ করতে পারে? Surprised Surprised Surprised
আল্লাহ্‌ আপনার আব্বাকে দ্রুত সুস্থ করে দিন Praying Praying Praying
দেশের পরিস্থিতি যে কবে ভাল হবে! :Thinking :Thinking :Thinking
১৬ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১০:০২
117561
মারজান বিন ছনা লিখেছেন : এত সুন্দর স্মৃতি নিয়ে কেউ কটাক্ষ করতে পারে?

হয়ত বিরাট আমীরের ঘরে থাকেন !!!জমিধারি রক্তের মানুষরা গরীবের আভেগ বুঝতে পারে না , বুঝতে চায় না।
১৬ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:৩০
117616
নূর আয়েশা সিদ্দিকা জেদ্দা লিখেছেন : কেমন আছেন আপা? আসলে মানুষের অনুভবের সীমানা তো সব সময় বিবেক দিয়ে প্ররোচিত হয় না। তাই হয়তো বেচারী ভয় পেয়ে ছিলেন। আল্লাহ আমাদের প্রিয় মাতৃভুমিকে তাঁর রহমত দিয়ে ছেয়ে রাখুন।
১৫
163052
১৬ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ১০:৩৪
ইশতিয়াক আহমেদ লিখেছেন : আমার ঠিক উল্টোটা,,, আমি দেশে আর বাবা প্রবাসে (জেদ্দা ) খুব অসুস্থ । দোয়া করি আপনার বাবা যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠেন। ভেঙে পড়বেন না, লেখা চালিয়ে যান ।
১৬ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:৩২
117617
নূর আয়েশা সিদ্দিকা জেদ্দা লিখেছেন : আহারে ...মনটা খারাপ হয়ে গেল। দোয়া করি আল্লাহ আপনার বাবাকে সুস্থ করে নেক হায়াত দিয়ে দেন।
১৬
163054
১৬ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ১০:৪২
আলোকিত ভোর লিখেছেন : আল্লাহ্‌ আপনার আব্বাকে দ্রুত সুস্থ করে দিন Praying Praying Praying
১৬ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:৩২
117618
নূর আয়েশা সিদ্দিকা জেদ্দা লিখেছেন : আমীন। অনেক শুকরিয়া।
১৭
163078
১৬ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:১৮
আহমদ মুসা লিখেছেন : খুব সুন্দর একটি ব্লগ। অনেকের লেখাতে আপনার নাম ও প্রশংসা শুনে থাকি। কিন্তু আপনি ব্লগে ইদানিং লেখা লেখি কম করেন মনে হয়। অবশ্য আমাদের মত নবীনদের ব্লগিং শুরু করার আগে থেকেই হয়তো আপনি লেখালেখি কমিয়ে দিয়েছেন। আপনাদের মত সিনিয়র লেখিকা/লেখকদের নিয়মিত পদচারণা না থাকলে নবীনরা উৎসাহ পাবেন কেমনে?
১৬ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:৩৫
117620
নূর আয়েশা সিদ্দিকা জেদ্দা লিখেছেন : আমরা যখন এসবিতে লিখতে শুরু করি তখন ভালো লেখকের সংখ্যা হাতে গোণা যেত। এখন মাশাআল্লাহ ভালো লেখকের সংখ্যা তো অনেক।
১৮
163095
১৬ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:০৯
শুকনোপাতা লিখেছেন : এহেম,এহেম!!! এটা..! Surprised Happy)
লুকোচুরির খেলায় আমরা কেউ ই কারো চেয়ে কম না মনে হচ্ছে! :D/ যাইহোক,অনেক ধন্যবাদ।
১৬ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:৩৭
117623
নূর আয়েশা সিদ্দিকা জেদ্দা লিখেছেন : বুঝলাম না ঝরা পাতা ঝিরঝিরে কাঁপন তুলে অস্পষ্ট স্বরে কি বলবো চুপিচুপি। কথাটি কি আর একটু ক্লিয়ার করা যাবে?
১৭ জানুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৪:৩৮
117828
শুকনোপাতা লিখেছেন : আরে আপনি যে গ্রুপে আছেন,আমি তো জানিই না!! Worried
১৯
163102
১৬ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:২৭
মিশেল ওবামা বলছি লিখেছেন : আল্লাহপাক আপনার বাবাকে তারাতারি সুস্হ করে দিন Praying। আপুরে, আপনার লেখা পড়ে দু'চোখ বেয়ে শুধুই অশ্রু ঝড়ছে। আমার আম্মু কয়দিন থেকে বেশ অসুস্থ, দোয়া করবেন। ভালো থাকুন, আপুমনি।
১৬ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:৪১
117625
নূর আয়েশা সিদ্দিকা জেদ্দা লিখেছেন : আমি মাঝে মাঝে খুব অনুভব করি মায়ের যে আগোছালো অলস মেয়েটি মুখে ভাত তুলেই খেতাম না ঠিকমত। সেই আমি যখন আমার সন্তানদের জীবনে স্নেহ মমতার বারিধি ধারা ঝরালাম বিরাট বটের মত, তখন আমি যে বটের ছায়ায় বড় হলাম সেই গাছে ঝরা পাতার সুর বেজে উঠলো। জানিনা জীবনে এমন কেন হয়? অনেক দোয়া থাকলো বোন আপনার আম্মুর জন্য আল্লাহ উনাকে সুস্থ করে নেক হায়াত দিয়ে দিন।
২০
163108
১৬ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:৪১
রাইয়ান লিখেছেন : প্রিয় লেখিকা ! আপনার লেখার তুলনা আপনার লেখাই। পরম করুনাময়ের কাছে আপনার আব্বার সুস্থতা কামনা করছি বিনীত চিত্তে , পাশাপাশি চাইছি আপনার লেখার অগ্রযাত্রা , এগিয়ে চলুন প্রিয় বোন !
১৬ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:৪২
117626
নূর আয়েশা সিদ্দিকা জেদ্দা লিখেছেন : দিনের পর দিন নিজের সাথে লড়ে লড়ে আবার লিখতে বসা। আপনার নেক দোয়া যেন সত্যিই কবুল হয়। অনেক ধন্যবাদ।
২১
163117
১৬ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:৫৮
সালাহ লিখেছেন : সাহিত্যের ভাষায় অতীতের ঘটনা তুলে আনার জন্য ধন্যবাদ । আর আব্বুর প্লেট থেকে ভাত নিয়ে খাওয়া এবং আম্মুর হাতে ভাত খাওয়ার মজাই আলাদা । দশ ক্লাসে থাকাকালীনও আম্মু নিজ হাতে খাইয়ে দিতেন , কি যে মজা......।
১৬ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:৪৪
117627
নূর আয়েশা সিদ্দিকা জেদ্দা লিখেছেন : আসলে বাবা মায়ের ভালোবাসা অন্য রকম। তাই সেই হাতের ছোঁয়ায় ও যাদু মিশে থাকে।
২২
163121
১৬ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০১:০৫
ডক্টর সালেহ মতীন লিখেছেন : আপনার লেখাটি মনযোগের সাথে পড়েছি, খুব খুব ভালো লাগল। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। তবে আমি পিতা-মাতা হারা এক অসহায়, তাই আমার বাবা-মায়ের স্মৃতি মনে পড়ায় কিছুটা কেঁদেছি। সবার জন্য দোয়া রইল।
১৬ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:৪৪
117628
নূর আয়েশা সিদ্দিকা জেদ্দা লিখেছেন : দোয়া করি আল্লাহ আপনার বাবা মা'কে জান্নাতুল ফেরদৌসের মেহমান বানিয়ে দিন।
২৩
163124
১৬ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০১:১৭
সুশীল লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ ধন্যবাদ
১৬ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:৪৫
117629
নূর আয়েশা সিদ্দিকা জেদ্দা লিখেছেন : আপনাকে ও অনেক ধন্যবাদ।
২৪
163170
১৬ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০৩:৫৪
মোকাররম৭৬ লিখেছেন : পিলাচ
১৬ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:৪৫
117630
নূর আয়েশা সিদ্দিকা জেদ্দা লিখেছেন : শুকরিয়া ভাই।
২৫
163173
১৬ জানুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৪:০২
মোঃ ওহিদুল ইসলাম লিখেছেন : অসাধারণ অকৃত্রিম অনুভূতি! আপনার বাবার সুস্থতা কামনা করি।
১৯ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৯:২৭
118792
নূর আয়েশা সিদ্দিকা জেদ্দা লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ ভাই।
২৬
163191
১৬ জানুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৪:৩৭
আবু তাহের মিয়াজী লিখেছেন : আল্লাহ্‌ আপনার আব্বাকে দ্রুত সুস্থ করে দিন । ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ ।
১৬ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:৪৬
117631
নূর আয়েশা সিদ্দিকা জেদ্দা লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ। আল্লাহ যেন আপনার নেক দোয়া কবুল করে নেন।
১৬ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:৪৬
117632
নূর আয়েশা সিদ্দিকা জেদ্দা লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ। আল্লাহ যেন আপনার নেক দোয়া কবুল করে নেন।
২৭
163223
১৬ জানুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৩৬
সাদাচোখে লিখেছেন : অদ্ভুত ভাল হয়েছে। অব্যক্ত কান্নায় চোখের কোল ঝাঁপসা হয়ে আসছিল।
আব্বা স্ট্রোক করে হসপিটালে গেলে পর বাংলাদেশে গেলাম আব্বাকে দেখতে। অবচেতন মনে খুব ইচ্ছা ছিল আব্বার একটু সেবা যত্ন করবো। করার চেষ্টাও করলাম। আব্বাকে নল দিয়ে খাওয়ানো হচ্ছিল। রিকভারীর জন্য ডাক্তার মুখে খাওয়ানোর পরামর্শ দিয়েছিল সপ্তাহখানেক পর। কিন্তু আব্বা খেতে চান না। আমরা ছয়ভাইবোন, আম্মা ও ভাগ্নী ভাগিনা সবাই টায়ার্ড হয়ে যাই - লিটারেলী ২/৩ ঘন্টা পর পর এ খাবার খাওয়ানো নিয়ে। আমি বার বার আমাকে রিমাইন্ডার দিচ্ছিলাম - আল্লাহ বলেছেন বাবা মা কে উফ পয্যন্ত বলা যাবেনা। অথচ কখন যে মুখ ফুটে বিরক্ত হয়ে উফ বলে ফেলি। কতবার হয়ে যায় - আর আসতাগফিরুল্লাহ বলে ক্ষমা চাই।
আল্লাহ মানুষকে কত ভাবেই না পরীক্ষা করেন, আর মানুষকে কতভাবেই না নেয়ামত হিসাবে এমন সিচ্যুয়েশানে ফেলেন - মনে হয় আল্লাহ বুঝিবা চলার পথে এমন সব মানুষ ও ক্ষেত্র তৈরী করেছেন - যা মূলতঃ মুক্তা কুড়ানোর মত - যে মুক্তা যথার্থ ভাবে খুজে নিতে সক্ষম হলে - পরকালে বুঝিবা নেয়ামত হিসাবে অফুরন্ত পুরুষ্কার সাথে বেহেস্ত। আর যদি এসব ক্লেশ মিশ্রিত বিষয়াদি না থাকতো - তবে বুঝিবা খালি হাতেই পরকালে গিয়ে পৌছাতে হত।

আল্লাহ আপনার বাবাকে সুস্থ করে দিক সাথে আমাদের যাদের বাবা রা আজ বিছানায় শুয়ে আছেন তাদেরকে ও সুস্থ্য করে দিন।
১৬ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:৪৮
117634
নূর আয়েশা সিদ্দিকা জেদ্দা লিখেছেন : আপনার আব্বার অবস্থা জেনে অনেক খারাপ লাগলো। দোয়া করি আল্লাহ যেন উনাকে পূর্ণ সুস্থ করে নেক হায়াত দিয়ে দেন।
২৮
163232
১৬ জানুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৪৮
ইবনে হাসেম লিখেছেন : বাবাকে হারিয়েছি আজ প্রায় নয় মাস হতে চল্লো। হঠাৎ করে কেউ কিছু বুঝার আগে, সামান্য সর্দি কাশীতে ভূগে একদিন মধ্যরাতে যখন কাশি বেশী হবার কারণে ছোট ভাই ডাক্তারের কাছে নেয়, তখন ডাক্তার হার্টবিট দেখে কি ভাবলো, বললো সদর হাসপাতালে নিয়ে যান, এখানে নয়। ভাই তাই করতে গিয়ে পথেই নাকি সি এনজিতে বাবা কাউকে কিছু না বলে তাঁর মালিকের সাথে মিলিত হন। এর দু দিন আগে ফোনে আমার সাথে সাংসারিক টুকটাক আলাপ হয়েছিল। অবশ্য বিদায়বেলার সন্ধ্যায় নাকি দেশে ভাইবোন সবার সাথে ফোনে আলাপ ও করেন। হাসপাতালে যাবার কালে মাকে শুধু বলেছিলেন, মাফ করে দিও। সেই রাতেও নাকি খাবার পরে নিজ হাতে দুধ গরম করে ওভালটিন সহ খান এবং অসুস্থ মাকেও খাওয়ান। ....
মাকে দেখতে গিয়েছিলাম গত মাসে। তিনি এখন অনেকটাই স্মৃতিশক্তির দূর্বলতায় ভূগছেন। একই কথা জিজ্ঞাসা করেন কয়েক মিনিট পর পর। হয়তঃ জীবনসাথীকে আচানক হারিয়ে তাঁর এ অবস্থা। আমরাও কখনো ভাবিনি সদা অসুস্থ মায়ের আগে বাবাকে হারাবো। সবই মহান আল্লাহর ইচ্ছা। আপনার বাবার জন্য আমাদের অনেক অনেক দুয়া রইলো।
আরো দুয়া রইলো, চাচার অসুস্থতার জন্য এই অভাগাদের লিখা থেকে বঞ্চিত করবেন না। আপনাদের মতো দু চারজন লেখক লেখিকার অভাবে পুরো ব্লগটাই যে সর্বদা অন্ধকারময় হয়ে থাকে।
১৬ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:৫০
117639
নূর আয়েশা সিদ্দিকা জেদ্দা লিখেছেন : খবরটা জেনে অনেক খারাপ লাগছে। দোয়া করি আল্লাহ উনাকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসীব করুন। আর খালাম্মাকে ও সুস্থ করে দিন।
২৯
163262
১৬ জানুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৫৮
মুিনর লিখেছেন : সেই ছোট বেলার স্মৃতিগুলো যখন মনে পড়ে তখন নিজেকে ঠিক রাখতে পারি না। বিশেষ করে মায়ের আদর স্নেহের কথা আজ মা আমার বেঁচে নাই। আপনার এ লেখা পড়ে মায়ের কথা অনেক মনে পড়তেছে। আপনার এ সুন্দর অনুভুতির অনেক ধন্যবাদ।
১৬ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:৫১
117640
নূর আয়েশা সিদ্দিকা জেদ্দা লিখেছেন : মধুর আমার মায়ের হাসি চাঁদের মুখে ঝরে/ মাকে মনে পড়ে আমার মাকে মনে পড়ে..... দোয়া করি আল্লাহ আপনার মাকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসীব করুন।
৩০
163264
১৬ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৮:০৩
আবু ফারিহা লিখেছেন : উনার সেই স্মৃতির বাঁক বেয়ে আপনার সাথে সাথে সত্যিই আমরাও যেন হারিয়ে গেলাম। এত সুন্দর স্মৃতিকে কেউ খাটো করে ভাবার সুযোগ নেই। আপনার আব্বার সুস্হ্যতার দোয়া করছি। সেই সাথে বেশী বেশী লেখার প্রত্যাশা করছি।
১৬ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:৫৪
117641
নূর আয়েশা সিদ্দিকা জেদ্দা লিখেছেন : আসলেও সবার অনুভবের পথ চলা তো সুন্দরের পানে হয় না তাই হয়তো উনার ভয় ছিলো। অনেক ধন্যবাদ শুভ কামনার জন্য।
৩১
163285
১৬ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৯:১০
চোথাবাজ লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
১৬ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:৫৪
117642
নূর আয়েশা সিদ্দিকা জেদ্দা লিখেছেন : আপনাকে ও ধন্যবাদ।
৩২
163306
১৬ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৯:৫৯
মারজান বিন ছনা লিখেছেন : আব্বা সন্তানের কল্যাণ কামনায় আজকাল বারবার বলেন- দেশের অবস্থা ভালো নেই। দেশে এসোনা।

ভালো লাগলো
১৬ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:৫৬
117643
নূর আয়েশা সিদ্দিকা জেদ্দা লিখেছেন : বদলে যাওয়া সময়ের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে ভাবি প্রিয় দেশটি কি সত্যিই খোয়া যাচ্ছে এমনি করে? অনেক ধন্যবাদ।
৩৩
163313
১৬ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১০:১১
জয়নাল আবেদীন টিটো লিখেছেন : পিতার স্মৃতিচারণ দিয়ে লেখা আর মন্তব্যগুলো ভরে গেছে । গোচারণভূমি বা ফসলের চারণভূমিতে পিতাকে নিয়ে স্মৃতিচারণ পাঠকদের কলমের খোঁচায় একটু বেশিই মূর্ত হয়ে উঠেছে ।

আচ্ছা গ্রামের স্মৃতি কি সবারই একই রকম ? তা না হলে কেন এ গান গুলো প্রবাসীদের মনের ব্যাথাকে বাড়িয়ে দেয় ? সে-ই অনেক বছর আগে একজন লিখেছেন----

"আমার মন পাখিটা যায় রে উড়ে যায়
ধানশালিকের গায়.......
নাটাবনের চোরা কাঁটা ডেকেছে আমায়

আমি যখন যেথা থাকি
হৃদয়ভরা স্বপন হয়ে, বাঁধন হয়ে আপন হয়ে
জড়িয়ে থাকে বাংলাদেশের ভালবাসার রাখি ।
আহা কাজলদীঘির দীঘল আঁখি
বুকের ভেতর পাঁপড়ি মেলে চায় ।
নাটাবনের চোরা কাঁটা ডেকেছে আমায়

আমি কেমন তোরে ভুলি
শিশির মাঠের শ্যামল খাতায়
বেতস লতায় চিরল পাতায়
জড়িয়ে থাকা কিশোরীর দিনগুলি

আহা মটরশুটি কোমল স্মৃতি
সজল হয়ে ঘিরল দুটি পায়
নাটাবনের চোরা কাঁটা ডেকেছে আমায়" ।
স্মৃতি জাগিয়ে দেবার জন্য ধন্যবাদ ।

( শাশুড়ি সাহেবা, কবে যে পাখি হেয় উড়াল দেই, বলা যায় না । সময় করে একবার এসে বেড়িয়ে যান না ! )
১৬ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:৫৭
117644
নূর আয়েশা সিদ্দিকা জেদ্দা লিখেছেন : না আপনার সাথে অভিমান করেছি। আপনার স্বজন তো কেবল রোগী..তাইনা?
৩৪
163320
১৬ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১০:২১
তারাচাঁদ লিখেছেন : বিভূতিভূষণের মতই আপনি খুব সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছেন গ্রামের মেঠো পথের ছবি, দিগন্ত বিস্তৃত ধানখেত এবং সরিষাখেতের দৃশ্য । চমৎকার করে ফুটিয়ে তুলেছেন পিতার স্নেহ, মায়ের আদর, প্রিয় হারানো বেদনার ছবি ।
প্রিয় হারানোর ব্যাথা যে কত বেদনাময়, যে হারায় সে-ই শুধু বুঝে । ধারাবাহিক বেদনাবোধের মাঝে স্নেহমাখা মিষ্টি-মধুর স্মৃতিগুলো হঠাৎ করে ব্যাথার অনুভূতি বাড়িয়ে দেয় । মনে হয়, কী যেন নেই...কী যেন নেই ।

পিতা এবং মাতা দুজনই জান্নাতের দরজা । কোন একজন মারা গেলে জান্নাতের একটি দরজা বন্ধ হয়ে যায় । আর দুজনই মারা গেলে জান্নাতের দুটি দরজাই বন্ধ হয়ে যায় । যার দুটি দরজাই বন্ধ থাকে, তার চেয়ে দূর্ভাগা আর কে আছে ? শত কাঁদলেও সে-ই দরজা খোলা যায় না ।
দোয়া করছি, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আপনার আব্বা-আম্মাকে পূর্ণ সুস্থ করে দিন । রাব্বির হামহুমা কামা রাব্বাইয়ানি ছগিরা ।
১৭ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১২:০০
117647
নূর আয়েশা সিদ্দিকা জেদ্দা লিখেছেন : আমি মনে করি প্রবাসীদের চেয়ে হতভাগা আর কেউ নেই। না পারে বাবা মা'কে বৃদ্ধ বয়সে সেবা করতে। আর না পারে জীবন সায়াহ্নে এক নজর শেষ দেখাটা ও দেখতে। অনেক শুকরিয়া নেক দোয়ার জন্য।
৩৫
163337
১৬ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:১২
মনসুর আহামেদ লিখেছেন : আপু, লেখাটা হৃদ্বয় ছুঁয়ে যায়। লেখা পড়ে মনে হলো, আমিও গ্রামে ফিরে গেছি। ছোট বেলায় পুকুরে মাছ ধরার সময় কত জীয়ল মাছের ঘাই খেয়েছি। লেখাটা প্রাণবন্ত হয়েছে।
আল্লাহ যেন আপনার হাতকে আরো গতিশীল করেন। আমিন।

১৭ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১২:০১
117648
নূর আয়েশা সিদ্দিকা জেদ্দা লিখেছেন : ভালো লেগেছে জেনে খুশী হলাম ভাই। নেক দোয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
৩৬
163338
১৬ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:১৩
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন লিখেছেন : যখন ক্লাস ৪-৫ এ পড়তাম দাদার সাথে মসজিদ থেকে মাগরিবের নামাজ আদায় করে এসে মা , দাদু যখন নামাজ আদায়রত অবস্তায় থাকতেন টিক সেই সময় আমার ভাত খাওয়ার অব্যাস ছিল। আমি চিত্কার করে বলতাম আম্মা ভাত খাবো মা অনেক সময় রাগ করে বলতেন এখন পড়ার সময় নষ্ট করার উদ্দেশ্যে আমি নাকি খাবার খাওয়ার ফন্দি করতাম। কিন্তু দাদী নামাজের মুসল্লা থেকে বলতেন ভাই আমি আসতেছি আর দাদু নিজের হাতে আমাকে খাওয়াতেন সাথে গল্প ছিল একদম ফ্রি।আমি ও আচ্ছা করে খেতাম ,আহারে কি যে তৃপ্তি। গত দু দিন আগে আমার সেই দাদী ইন্তেকাল করেছেন। দাদী আমি তোমায় মনে পরে।
১৭ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১২:০৩
117649
নূর আয়েশা সিদ্দিকা জেদ্দা লিখেছেন : ইস আমরা প্রবাসে বসেই এভাবেই আমাদের স্বজনদের চলে যাবার খবর পাই। উনাদের অফুরন্ত ভালোবাসার প্রতিদান দেবার ন্যুনতম সুযোগ ও যে অনেক সময় পোড়া কপালে থাকে না। দোয়া করি আল্লাহ আপনার দাদীকে জান্নাতুল ফেরসৌস নসীব করুন।
১৭ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১২:২০
117660
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন লিখেছেন : আমীন
৩৭
163419
১৭ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৪:১২
শাহীন সিদ্দিকী লিখেছেন : এরকম একটা লেখা উপহার দেয়ার জন্য অনেক অনেক শোকরিয়া।

আলহামদুলিল্লাহ, আমার আব্বা-আম্মা, দুই ভাই-বোন এখন আমাদের পরিবারের সাথে একত্রে থাকি! কত যে যুগ পর!

গত পরশু অফিসে যাওয়ার আগে সকালে নাশতার জন্য আব্বার জন্য একটা ডিম পোচ করে রুটির সাথে প্লেটে রাখছি। আমার বোন একটু পরে উপর থেকে কিচেনে এসে বল্ল, এই ডিমটা কার?
বল্লাম, আব্বার।
ও বলল, আপনি কিভাবে জানলেন আজ আব্বাকে ডিম দিতে হবে? কারণ মা আমাকে পাঠিয়েছেনই উনার জন্য একটা ডিম পাকাতে!

আমি এমনিতেই বানিয়েছিলাম। অতিরিক্ত কোলেস্টেরলের ভয়ে আমরা মেপে মেপে ডিম খাই। সেদিন কেমনে যেন মনে হল, আব্বা আর আমি দুজনেই আজ ডিম খাই!
বোনকে বললাম, কি জানি মা'র চিন্তাটা কিভাবে যে আমার মাথায় এসে গেল!
১৯ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৯:২৯
118793
নূর আয়েশা সিদ্দিকা জেদ্দা লিখেছেন : আলহামদুলিল্লাহ এটা অনেক সুখের ব্যাপার যে পরিবারের সবার সাথে আছেন। আল্লাহ যেন এই নিয়ামনের স্থায়িত্ব অনেক অনেক দিন বৃদ্ধি করে দেন।
৩৮
163521
১৭ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:২৯
মোহাম্মাদ নেছার উদ্দিন লিখেছেন : ধন্যবাদ অনেক ধন্যবাদ
১৯ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৯:২৯
118794
নূর আয়েশা সিদ্দিকা জেদ্দা লিখেছেন : ধন্যবাদ ভাই।
৩৯
163577
১৭ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০৩:২৮
মাই নেম ইজ খান লিখেছেন : সুন্দর লেখার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

অনেক দিন হলো, কথা হয় না...
ব্যস্ত জীবন মানুষকে অনেক দূরে নিয়ে যায়...
১৯ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৯:৩২
118795
নূর আয়েশা সিদ্দিকা জেদ্দা লিখেছেন : আসলেও তাই। হাড্ডাহাড্ডি ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে সময় যে বরফের মতই চট করে গলে যায়। অনেক ধন্যবাদ ভাই।
৪০
163590
১৭ জানুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৪:৫১
বাংলার দামাল সন্তান লিখেছেন : আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এই স্মৃতিচারণমুলক লেখাটি শেয়ার করার জন্য, সবাইতো মায়ের জন্য লিখে গল্প, কবিতা উপন্যাস বাবার জন্য কেউ লিখেনা। যার বাবা নাই সে বুঝে বাবা কি জিনিস, আমি আমার বাবাকে হারিয়েছি ১বছর গত হল, কিস্তু স্মৃতি এখনো অম্লান হয়ে আছে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু আপনাদের মত সিনিয়র লেখকদের লেখা পড়ে সত্যি অনুপ্রানিত হই, আমি একজন নবীন ব্লগার আমার জন্য দোয়া করবেন আপু।
১৯ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৯:৩৪
118796
নূর আয়েশা সিদ্দিকা জেদ্দা লিখেছেন : আসলে যার চলে যায় সে বুঝে শুধু বিচ্ছেদে কি যন্ত্রনা। অনেক দোয়া থাকলো আপনার বাবার জন্য আল্লাহ যেন উনাকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করেন।
৪১
163618
১৭ জানুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৫৭
গেরিলা লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
১৯ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৯:৩৫
118798
নূর আয়েশা সিদ্দিকা জেদ্দা লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ। ভালো আছেন নিশ্চয়।
৪২
163621
১৭ জানুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:০৮
ডাক্তার রিফাত লিখেছেন : . কোন এক না জানা সবুজের পেলবতা মাখা এক গ্রাম। ছোট্র শিশুটি অবগুন্ঠিতা মায়ের ঘোমটার আড়ালে উৎসুক স্নেহমাখা দৃষ্টির সীমানা বেয়ে হেঁটে চলেছে মেঠো পথ ধরে। চলার পথে সরিষার ফুলগুলো দুষ্টমির ভঙ্গিতে থেকে থেকে হলুদের আবীর মেখে দিচ্ছে চপলা শিশুটির সারা গায়ে। মটরশুটি গুলো দুষ্ট ছেলের মত মেয়েটির চপ্পল পরা পা দু’খানায় সুড়সুড়ি দিয়ে মেয়েটির নাকাল অবস্থা দেখে মাটিতে হেসে গড়াগড়ি খেয়ে পড়ছে। কখনো বা লজ্জাবতী লতা গুলো চুড়ান্ত দস্যিপনা দেখিয়ে মেয়েটিকে কাঁটার খোঁচায় চিমটি কেটে দিয়ে নিজকে দ্রুত আড়াল করে নিচ্ছে গোবেচারার ভঙ্গিতে।
আপু কি বলবো এক কথায় অসাধারন এক অনুভূতি।
১৯ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৯:৩৫
118799
নূর আয়েশা সিদ্দিকা জেদ্দা লিখেছেন : ভালো লাগার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। শুভ কামনা রইলো।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File