কেঙ্গারু কোর্ট বর্জনের বিকল্প নেই
লিখেছেন লিখেছেন ফারুক ০৩ জানুয়ারি, ২০১৩, ০৭:৪০:৪৬ সন্ধ্যা
শেখ হাসিনার গৃহপালিত তথাকথিত আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল গঠিত হওয়ার পর থেকেই শুরু হয়েছিলো বিতর্ক। বিশ্বাস- অবিশ্বাসের খেলা শুরু থেকেই। কারণ প্রথম থেকেই আওয়ামীলীগ তাদের রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বাস্তবায়নের ফর্মুলা নিয়েই এ আদালতের জন্ম দিয়েছে। আন্তর্জাতিক কথাটি নামের শুরুতে থাকলেও আন্তর্জাতিক কোন ফর্মুলা নেই এই আদালতে। পরবর্তীতে সরকারের বাজে এবং মাস্তান মন্ত্রীরা বলতে শুরু করলো এটা দেশীয় আদালত। কিন্তু যদিও তা হয়, এতে নেই দেশীয় মানবাধিকার এবং আইনের কোন ফর্মুলা। এতে আছে শুধু মাত্র আওয়ামী ফর্মুলা। তা হচ্ছে ইসলামী শক্তিকে বাংলাদেশ থেকে নিশ্চিহ্ন করা। এই ফর্মুলা বাস্তবায়নের পথেও পেশী শক্তি ব্যবহার করে চোরাই পথে আগানোর চেষ্টা করছিলো। প্রতিটি পদক্ষেপে তারা আল্লাহর গজবের সম্মুখীন হয়ে ধরা খেয়েছে। সর্বশেষ স্কাইপ কেলেঙ্কারি আওয়ামীলীগকে ল্যাংটা করে দিলো। এর পরও তাদের লজ্জা হয়নি। লজ্জা হয়নি এ আদালতের সাথে সম্পৃক্ত তথাকথিত বিচারক নামের আওয়ামী গুন্ডা পাণ্ডাদের। তাদেরকে বিচারক বলতে আমার লজ্জা হয়। তাদের প্রতি আমার নয় শুধু সারা পৃথিবীর কোন শ্রদ্ধা আছে বলে আমার মনে হয়না। নিজামের স্কাইপি আলোচনায় যাদের নাম উঠে এসেছে তাদেরও কোন লজ্জা নেই। তা থাকলে তারা অনেক আগেই পদত্যাগ করে ইজ্জত বাঁচাত।
এ আদালতের কুকর্ম প্রকাশ হয়ে যাওয়ার পর স্বাভাবিক ভাবে আদালতের অস্তিত্ব আর থাকেনা। এটার জন্য কোন আপীলের প্রয়োজন হয়না। কিন্তু আমরা কি দেখলাম। আশ্চর্য হলাম। নিজের থেকে বাতিল তো হয়ই নি বরং আবেদন করার পর তা খারিজ করে দেয়া হোল। ছিঃ। শেখ হাসিনা ছিঃ। পৃথিবীর কাছে বাংলাদেশকে লজ্জিত করলো।
স্কাইপি সংলাপে শেখ হাসিনার সকল কুকর্ম স্পষ্ট হয়ে গেলো। ফাঁস হয়ে গেলো সকল ষড়যন্ত্র। সারা পৃথিবী এ অপকর্মের বিরুদ্ধে সোচ্চার প্রতিবাদ জানানোর পরও আদালতে আইনজীবীর চেয়ারে বসা আওয়ামী মাস্তানরা আওয়ামী এজেন্দা বাস্তবায়ন করতে ব্যস্ত। পরিণতি কি হবে তা তাদের বুঝার কোন সুযোগ নেই। আসামি পক্ষ থেকে মামলা নতুন করে শুরু করার আবেদন বাতিল করে দেয়া হোল। কীভাবে সম্ভব!!!! বিবেকের কাছে তারা কি কোন তাড়া খায়না???? যে আদালতের সকল কাজ জারজ সন্তানের মতো সেটাকে কীভাবে তারা বৈধতা দিতে চায়??
৩ জানুয়ারি। অনলাইনে পত্রিকা দেখছিলাম। হঠাৎ যখন দেখলাম আবেদন খারিজ তখন আর নিজেকে ধরে রাখাটা কষ্ট হয়ে গেলো। নিজের বিবেককে ধিক্কার দিতে ইচ্ছা করলো। কেন বাংলাদেশ নামক আজব প্রানির দেশে আমার জন্মটা হোল? যেখানে মানবতা বলতে কোন কিছু নেই। সারা পৃথিবী আমাদের আজ ধিক্কার দিচ্ছে।
নতুন করে মামলা শুরুর আবেদন খারিজ করে দেয়ার পর এখন আসামি পক্ষের করনীয় কি? সারা পৃথিবী আজ মনে করে শেষ অবলম্বন যখন শেষ হোল আইনি ভাবে তখন আসামিপক্ষ নিজেদের সিদ্ধান্ত নেয়া ছাড়া উপায় নেই। শেখহাসিনার অবৈধ গর্ভপাতের বৈধতা দেয়ার কোন মানে হয়না। জারজ সন্তানের আকিকা অনুষ্ঠানে কোন সভ্য সমাজ অংশ গ্রহণ করার প্রয়োজন নেই। এখন থেকে আদালত বর্জন করে একটা তাহরির স্কয়ার বেচে নেয়া দরকার। এক মুহরতের জন্যও আদালতে প্রবেশ করা বৈধ হবে বলে আমার মনে হয়না।
যেখানে নিজাম বলে সরকার পাগল হয়ে গেছে একটা রায় দেয়ার জন্য। সাইদির মামলাতো মামলা নয় এতো গ্রাম্য সালিশের মতো। আগে যদি গোলাম আজমেরটা আসে তারপর কাদের মোল্লা এরপর নিজামি তাহলে সুবিধা হয়। কিন্তু যাদের নামই আসুক কারো বিরুদ্ধে সরকারের পাণ্ডারা একটা অভিযোগও যথাযথভাবে উপস্থাপন করতে পারেনি। তাহলে বিচারের আয়োজন কিসের? এতো হত্যার আয়োজন। বাংলাদেশে ইসলামের নাম নেয়ার মতো একজন লোকও যদি জীবিত থাকে আওয়ামীলীগের এ আয়োজনে কেরোসিন দিয়ে আগুণ লাগানো দরকার।
অসভ্য সমাজে সভ্যতার আলো জালানোর জন্য সর্বস্তরের একটা গুষ্টি দরকার। যারা জীবন হাতে নিয়ে কামানের সামনে বুক ফুলিয়ে দাঁড়িয়ে থাকবে। হয় গুলি বের হবে, নচেৎ সভ্যতার আলো জ্বলে উঠবে। কিন্তু জালিমের প্রশ্রয় হবেনা। সেখানে সকল শ্রেণী- পেশার অন্তর্ভুক্তি হবে একান্ত।
বিষয়: রাজনীতি
১২৫৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন