ঘনিয়ে এসেছে সাইদির রায়ঃ ভক্তদের নজরদারিতে জয়

লিখেছেন লিখেছেন ফারুক ০২ জানুয়ারি, ২০১৩, ১২:২৮:৩৬ রাত



তথা কথিত মানবতা বিরোধী অপরাধে আটক জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর আল্লামা দেলাওয়ার হুসাইন সাইদির মামলার রায় দেয়ার জন্য বাকসালি সরকারের দালাল তথা কথিত, বিচারপতি নামের কলঙ্ক নিজামের তড়িঘড়ি দেখে জনমনে ইতি মধ্যে সন্দেহ সংশয় এবং প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে, কি হতে যাচ্ছে বাংলাদেশে? এ সন্দেহ শুধু বাংলাদেশে নয় দেশের বাইরেও। শুধু জামায়াতপন্থি নয় ভিন্ন রাজনীতির ধারক- বাহকরাও হিসাব কসতে শুরু করেছেন নিজামের এ তড়িঘড়ির রহস্য কি? কি লিখা থাকবে রায়ে? সরকারের লিখা রায়টিই ঘোষণা করবে নিজাম? নাকি বাস্তবতার আলোকে রায় দিবে সে? যদি সরকারের লিখা রায়টি পড়া হয় তবে পরবর্তী পরিস্থিতি কি হবে? ইতিমধ্যে দেশ বিদেশ থেকে মন্তব্য আসতে শুরু করেছে।

শুধু সাইদি সাহেব নয় ভিবিন্ন সুত্র থেকে জানা গেলো কমপক্ষে তিন জনের মামলার রায় ১৬ ডিসেম্বরের মাঝে তারা পড়ে সুনাবে। যদি তাই হয় তা হলে কি হতে পারে পরবর্তী পরিস্থিতি? জামায়াত ইতিমধ্যে কঠিন অবস্থানে আছে সরকারের লিখা রায়ের মোকাবিলা করার জন্য। সকল পরিস্থিতির জন্য জামায়াত প্রস্তুত। আমরাও আওয়ামী অন্যায়ের বিপক্ষে।

দেশ বিদেশের প্রতিবাদের ভাষা দেখে বুঝা যাচ্ছে পরবর্তী পরিস্থিতি সামাল দেয়া আওয়ামী সরকারের পক্ষে শুধু অসম্ভব নয় ,দুরূহ হয়ে যাবে। শেখ হাসিনার মনে রাখা উচিৎ ছিল যারা জামায়াত- শিবির করে তাদের সকল কাজের কেন্দ্র বিন্দু হচ্ছে আল্লাহর সন্তুষ্টি। নেত্রীবৃন্দের গেফতারের ২ বছর পর্যন্ত নিয়মতান্ত্রিক প্রতিবাদকে সরকার খুবই হালকা এবং দুর্বলভাবে গ্রহন করে নিজস্ব গতিতে নেতাদের ফাঁসীর রশিতে ঝুলানোর আনন্দে এগিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু আমার মনে হয় আওয়ামীলীগের জানা নেই এবং বুঝতে পারেনি তারা ফাঁসীর রশি কেনা হবে কোথা থেকে এবং সেই রশি আনা হবে কোন রাস্তা দিয়ে? সেই রাস্তা স্বাভাবিক কিনা। ১৯৭২ সালের জামায়াত আর ২০১২ সালের জামায়াতকে তারা একই পাল্লায় মাপা শুধু বোকামি নয় নির্বোধের পরিচয় দিচ্ছে। হয়তো সময় বলে দিবে ঠেলা কীভাবে সামলায়। কিন্তু আপাতঃ দৃষ্টিতে সরকার মনে করতে পারে জামায়াত- শিবিরকে মাঠে নামতে দিচ্ছেনা এতেই তাদের মহা বিজয়। মনে রাখতে হবে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে মানুষ সোজা হয়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে। জামায়াত- শিবির সেই চেষ্টাটিই করবে হয়তো এতে দেয়ালটি ভেঙ্গে গেলেও কিছু করার থাকবেনা।

ইতিমধ্যে আমরা শুনতে পেলাম সারা পৃথিবীতে নেতাদের ভক্তরা বিশেষ করে সাইদি ভক্তরা সিদ্ধান্ত নিচ্ছে যদি সরকার তাদের লিখা রায় পড়ে শুনায় তবে হাসিনা পুত্র জয়ের আমেরিকায় ব্যবসা নয় শুধু বসবাসও অসাধ্য হয়ে যাবে বলে তারা ঘোষণা দিয়েছে। বিশেষ করে বিশ্ব বরেন্য আলেম আল্লামা দেলাওয়ার হুসাইন সাইদি সাহেবের ভক্ত দেশে বিদেশে কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়ে অপেক্ষার প্রহর গুনছে। হয়তো যেদিন রায় পড়া হবে সেদিনই শুরু হবে আসল কাজ।

যেখানে জামায়াত- শিবির সেখানেই ঠেঙ্গানি, সরকারের এ নীতি দেশকে অনিশ্চয়তার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশে তারা কোন নিষিদ্ধ সংগঠন নয়। তাহলে কেন সরকার তাদেরকে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করতে দিচ্ছেনা? কেন এতো ভয়? ইতিমধ্যে বিশিষ্ট জনরা বলছেন- জামায়াত হচ্ছে বাংলাদেশে ক্ষমতার ব্যালেন্স। জামায়াতের উত্থান বাকসালিদের ভয়ের কারন।

আইন শৃঙ্খলা নয় জামায়াত নিধনটাই যেন সরকারের কাছে মুখ্য বিষয়। যদি তাই না হবে তাহলে সরকারের ব্যালেন্স হারা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী কীভাবে যুবলীগ কর্মীদের বলে- জামায়াত শিবির যেখানে পাবে ধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিবে? এতে পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে ঐ পাগলটা কি তা ভেবেছে? সে কি মনে করেছে জামায়াত শিবিরে কর্মীরা হাত- পা বাড়ীতে রেখে তার পর মিছিলে আসবে অথবা রাস্তায় ভের হবে। কে সামলাবে এসব পাগলদের?

শেষে দেশের স্বার্থে যা বলতে হয়- যদি দেশের আইন- শৃঙ্খলা এবং শান্তি বজায় রাখাটা আওয়ামীলীগের কাছে জরুরি মনে হয় তবে সোজা পথে আসা দরকার, নচেৎ দেশে স্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করবে বলে আমার মনে হয়না। আওয়ামীলীগের মনে রাখা উচিৎ আলোর জামায়াত- শিবিরের চাইতে অন্ধকারের জামায়াত- শিবির অনেক বেশী ভয়াবহ হবে। গ্রেফতার বাণিজ্যের মাধ্যমে কয়জনকে সামলানো যাবে। সুতরাং আওয়ামীলীগ, অন্ধকারের ভয়াবতা ফেরিয়ে যেতে হবে সে প্রস্তুতি আছেতো????

বিষয়: বিবিধ

১২৫২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File