একজন কসাই ও আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল
লিখেছেন লিখেছেন ফারুক ০১ জানুয়ারি, ২০১৩, ১১:২৬:৫৭ রাত
হৃদয়ে ক্ষোভ বা বেথা অনেক আছে। ক্ষোভ আর বেথা নিয়ে নয় বাস্তবতার নিরিখে কথা বলতে চাই। কতটুকু অন্যায় সহ্য করে একজন মানুষ ধয্যশীল হতে হয়? কত অন্যায়ের পর একজন মানুষের পীঠ দেয়ালে ঠেকে? দেয়ালে পীঠ যখন ঠেকে যায় মানুষ তখন সোজা হয়ে দাঁড়াতে চায়। আর এ দাঁড়ানোর প্রচেষ্টাটা হয় একটু ভিন্ন রুপের। তখনও যদি অন্যায়কারী বলে তুমি দাঁড়াতে পারবেনা তখনই সৃষ্টি হয় আপত্তিকর পরিবেশ।
আমার লিখার শিরোনামটি দেখে হয়তো কারো মন খারাপ হতে পারে। তারচেয়ে বেশী কঠিন অবস্থা এবং বাস্তবতা নিয়ে আমার অবস্থান। প্রবাস জীবনে থাকার কারনে পত্রিকা অথবা কিছু সংবাদের উপর নির্ভর করতে হয়। মাঝে মাঝে পত্রিকা দেখলে মনে হয় বাংলাদেশ কোন জংলী শাসনের মাঝে আছে। আবার মনে হয় কোন পাগলের শাসনে আছে। জানিনা কোনটা ঠিক। বাংলাদেশের মানুষের যেন মৌলিক অধিকার বলতে কোন জিনিস নেই। অস্থিরতার তাপদাহে নিমজ্জিত সমগ্র জাতি। কিভাবে যাচ্ছে মানুষের জীবন কাল?
আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল একটি জংলী আদালত। কথাটি শুরু থেকেই সারা দুনিয়ায় স্বীকৃত। জঙ্গলের হিংস্র প্রাণী লোকালয়ে এসে যখন মানুষের উপর আক্রমণ করে তখন জীবনের স্বার্থে ঝুঁকি নিয়ে সে প্রানিকে প্রতিহত করে। আজ একই অবস্থা হয়েছে তথাকথিত আওয়ামী ট্রাইব্যুনালের। কিন্তু কখন ঝুঁকি নেবে বাংলার সিংহ শার্দূলরা? বাংলার অতীত কি বলে? গৌরবময় অতীত আমাদের বিজয়ের। কোন শোষণ বাংলার জমিনে স্থায়ি হয়নি, তাকি কারো অজানা?
জামায়াত নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক তথাকথিত মানবতা বিরোধী মামলা সারা দুনিয়ায় প্রশ্নবিদ্ধ। আদালত শেখের মতো একটি জারজ সন্তান। এ জারজ সন্তান সর্বশেষ যা করলো তা আরেকটি বিপজ্জনক এবং আত্মঘাতী কাজ করলো অথবা করতে যাচ্ছে। এ সিদ্ধান্ত জাতিয় জীবনে কঠিন পরিস্থিতির সৃষ্টি করবে যা সামাল দেয়া যে কারো জন্য কঠিন হয়ে যাবে বলে আমার মনে হয়।
বিশ্ব বরেণ্য আলেম মাওলানা দেলাওয়ার হুসাইন সাইদির বিরুদ্ধে তারা চোর- বাটপার দিয়ে সাক্ষী দেয়াল। সেফহোমে তাদের মন মতো লিখাকে সাক্ষীর বক্তব্য বলে গ্রহন করলো। তাদের প্রয়োজন মতো সাক্ষী নিলো। কিন্তু এখন কি হচ্ছে? আসামী পক্ষে ৪৮ জন সাক্ষীর তালিকা নিয়ে ৪৪ জন সাক্ষীর জবান বন্দি নিয়া হয়েছিলো। কিন্তু ঘাদানি নেতা আওয়ামী দালাল নিজাম হঠাৎ সিদ্ধান্ত দিলো মাত্র ২০ জন সাক্ষী আদলতে সাক্ষী দিবে এবং ২০ জনের তালিকা জমা দিতে হবে। অমা এটা কেমন জংলী জানোয়ার? এটাতো কোন মানুষের রায় হতে পারেনা। আসামীপক্ষ তার ডিফেন্সের জন্য যত পানিতে নামা দরকার ততটুকু নামবে। এক কোমর পানিতেই নামতে হবে তা নির্ধারণ করে দেয়া কোন ধরনের সভ্যতা?
আজ সারা দুনিয়ার প্রশ্ন(?) তাহলে প্রশ্নবৃদ্ধ জংলী নিজাম কি করতে চায়? নেতাদের ফাঁসি দিয়ে দিবে? সাজা হয়ে যাবে? ফাঁসির রসিটি কোন দেশ থেকে আসবে? কে আনবে? অথবা সাজার পর কোন দেয়ালে রাখা হবে বিশ্ব বরেণ্য এসব নেতাকে?
একজন কসাই যেমন গরুর হাত- পা বেঁধে জবাই করে নিজামের আদালতও একই ভূমিকায়। এতদিনের মাঝে জেরা শেষ, এতদিনের মাঝে বিচার শেষ ইত্যাদি ইত্যাদি।
সেদিন দেখলাম আরেক পাগল কামরুল বলল এ বছরের মাঝে কিছু নেতার সাজা হয়ে যাবে। আরেক পাগলি মতিয়া বলল ২/১ টাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দিলে কিছু আসে যায়না তাদের লাফ ঝাপ বন্ধ হয়ে যাবে। পৃথিবীর প্রশ্ন ২/১ জনের সাজা হয়ে যাবে তা পাগল কামরুল কিভাবে জানল? তাহলে কি তাদের পাগলা গারদে বিচারের রায় নির্ধারণ করা হয়েছে? যদি তাই হয় তবে জংলী নিজামের এতো অভিনয়ের প্রয়োজন কি ছিল? রায় দিয়ে দিলেইতো সারে। অমানবিকতার আরেক নাম আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল। এ কথা কারো অজানা নয়। বয়োবৃদ্ধ বিএনপি নেতা আলিমকে জামিন দেয়া হোল অথচ ২ বার অপারেশন এবং হার্টে ৫ টি রিং বসানো মারাত্মক অসুস্থ সাইদিকে জামিন দেয়া হলনা।
তবে আজ আশঙ্কা করছি সমগ্র জাতির জন্য। এমন অন্যায়ের শেষ পরিনতি কি হবে?
বিষয়: বিবিধ
১১৮৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন