কাপ্তাই লেক (Kaptai Lake): দুঃসাহসিক নৌযাত্রা (পর্ব-১)

লিখেছেন লিখেছেন সত্যের পথিক ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৭:৪৬:২০ সন্ধ্যা

সময়টা, ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসের প্রথম দিকে যাত্রা করেছিলাম শিক্ষা সফরের জন্য। ছেলে-মেয়ে সব মিলিয়ে আমাদের গ্রুপে ৩৮ জন সদস্য হবে। শুরুতেই আমাদের পরিকল্পনা ছিল কাপ্তাই লেক ফেরিতে পার হয়ে খাগড়াছড়ি থেকে রাঙামাটি যাওয়া। যা ভাবনা সেই কাজ, সারা রাত্র ভ্রমন করে আমরা খাগড়াছড়ি জেলা শহরে পৌছালাম পরেরদিন সকাল ১০.৩০ মিনিট নাগাদ। যাত্রা পথে কত গল্প, কবিতা, গান যে হলো ঠিক নাই, যেন সবার মুখে খৈ ফুটছে ....সাথে হাজারও ভাবনা এসে বলে যাচ্ছিল নতুন নতুন পরিকল্পনা।

কেউ বলে এই পথে যাওয়া যায়!

কেউ বলে ঐ পথে,

কেউ বলে বাসে নয়, নৌকায়!

চাঁন্দের গাড়ির হাওয়াই রথে। ইত্যাদি......

যেহেতু খাগড়াছড়ি থেকে রাঙামাটি যাবো সেহেতু বাংলাদেশের দার্জিলিং খ্যাত সাজেক ভ্যালি ভ্রমন না করে কেউ যেতে চাইল না। কি আর করা পরিকল্পনায় নতুন করে যুক্ত হলো সাজেক ভ্যালি ভ্রমন। আর কাপ্তাই লেক এর নৌযাত্রা দুঃসাহসিক মাত্রা যুক্ত করেছে এই ভ্যালি ভ্রমন।

সাজেক ভ্যালি (Sajek Valley), রাঙামাটি জেলার সবচেয়ে উত্তরে বাঘাইছড়ি উপজেলায় অবস্থিত। কম-বেশী প্রায় ২০০০ ফুট উচুঁ পাহাড় সমৃদ্ধ এই ভ্যালি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ইউনিয়ন, প্রায় ১৮২০ বর্গ কি.মি. এলাকাজুড়ে বিস্তৃত। সাজেক এর পূর্ব ও উত্তরে যথাক্রমে ভারতের মিজোরাম ও ত্রিপুরা সীমান্ত এবং দক্ষিন ও পশ্চিমে যথাক্রমে রাঙামাটির লংগদু ও খাগড়াছড়ির দীঘিনালা অবস্থিত।

যাইহোক, খাগড়াছড়ি শহরে পৌছে আমরা হোটেল এ উঠলাম কারন ঠিক ঐসময় সাজেক যাত্রার জন্য উপযুক্ত ছিলনা। বলে রাখা দরকার সাজেক ভ্যালি ভ্রমনের জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উপর নিরভর্শীল হতে হয়। যেহেতু দূর্গম পাহাড়ী উঁচু-নিচু রাস্তা বেয়ে সাজেক গমন তাই যাত্রা নিরাপদ রাখতেই সেনাবাহিনী সারাদিন দুইবার করে টুরিস্টদের প্রটোকল দিয়ে থাকে। এর বাহিরে অন্যসময় ভ্রমন করার সুযোগ নাই এমনকি ফিরতি যাত্রা ও অনুরুপভাবে নিয়ন্ত্রীত। সাজেক নিয়ে অন্য কোন লেখায় আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ, এখন মূল কথায় আসি। এদিন বিকালে আমরা খাগড়াছড়ির আশে-পাশের কিছু দর্শনীয় স্থান (যেমনঃ রিচাং ঝর্ণা, মায়াবিনী পর্যটন লেক, আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্র....) ঘুরলাম পাশাপাশি পররে দিন ভ্রমনরে জীপ (চাঁন্দের গাড়ী) ঠিক করে ফেললাম।

পরিকল্পনা ছিল পররে দিন সাজেক থেকে ফিরে সরাসরি লংগদুতে রাাংমাটির ফেরিতে উঠবো। সবাইকে বলে রেখেছিলাম যেকোন উপায়ে আমাদের সকাল ৮.০০ টার মধ্যে সাজেক থেকে যাত্রা শুরু করতে হবে। দুপুর ১.০০ টার মধ্যে লংগদু ঘাটে পৌছাতে না পারলে ফেরি ধরতে পারবো না, তখন রাঙামাটি যেতে হলে বাস একমাত্র উপায়। অথবা আবার একরাত্র খাগড়াছড়ি থেকে পরেরদিন ফেরি ধরতে হবে। কিন্তু পরের উপায়টি একদিকে যেমন আমাদের একটি দিন (অনেক সময়) নষ্ট করবে তেমনি একরাত্র অতিরিক্ত হোটেল খরচ ব্যয় হবে। পরবর্তী দুটি উপায়ই আমাদের জন্য অত্যন্ত ব্যয়বহুল হওয়ায় আমরা বারবার সবাইকে সতর্ক করছিলাম যাতে সকাল ৮.০০ টার মধ্যে সবাই প্রস্তুত থাকে।

চলবে ইনশাআল্লাহ....

বি.দ্রঃ ভাষা ও বানান ভুল সংশোধন এর অনুরোধ রইল।

বিষয়: বিবিধ

৭৬৪ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

386522
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ রাত ১২:০০
আমি আল বদর বলছি লিখেছেন : ২৬- মার্চ ২০১৩- সালের পর ২০ ফেব্রুয়ারী ২০১৯ সালে একটি পোস্ট করেছেন, দৈর্ঘ্যে চার বছর পর আপনাকে ব্লগে এক্টিভ দেখে সত্যিই ভাল লাগলো । আপনার ফিরে আসায় সত্যিই আমি আনন্দিত।

আল্লাহর কাছে আপনার নেক হায়াত কামনা করছি!

আর হা লেখাটি লোভনীয় করে তুলেছেন চালিয়ে জান সাথে আছি। আশা করছি দ্রুত পরের পর্ব দিবেন। ভাল লাগলো ভালবাসা রেখে গেলাম
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ সকাল ১০:০২
318320
সত্যের পথিক লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ। আল্লাহ আপনাকে কবুল করুন।আমিন।
386524
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ সকাল ০৭:৩২
রাশেদ বিন জাফর লিখেছেন : ধন্যবাদ
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ সকাল ১০:০৪
318321
সত্যের পথিক লিখেছেন : আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File