সাদা মনের খোঁজে - পর্ব (৪)

লিখেছেন লিখেছেন প্রবাসী মজুমদার ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ০২:১৫:০৪ দুপুর

আগের পর্ব দেখুন

যাতনার স্মৃতিতে ভাস্বর এ গল্পের কেবলা বাবার নাম 'মিনার ভাই'। দুজনেই পাশাপাশি অফিসে কাজ করি। বাসা থেকে অফিসে দূরত্ব ৬৫ কিলোমিটার। আসা যাওয়ায় ১৩০ কিলোমিটার। নিজস্ব গাড়ী ব্যাতিরকে এতটুক দুরে কাজ করার চিন্তাই করা যায়না।

কোন এক রাতের কথা। মিনার ভাই আমাকে ফোন দিয়েছে। ...গাড়িটা হঠাৎ খারাপ হয়ে গেল। কাল অফিসে যাবার জন্য....। সমস্যার কথাটুকু শেষ না হতেই আমি আশ্বস্ত করলাম, সমস্যা নেই। আমি নিয়ে যাব। কাল থেকে ততদিন আপনাকে আনা নেওয়া করব, যতদিন গাড়িটা ঠিক না হয়।

মিনার ভাইয়ের বাসা আমার থেকে ৭-৮ কিলোমিটার দুরে। অফিসে যাবার সময় আমাকে উল্টোপথে বাড়তি ৪-৫ কিলোমিটার বেশি যেতে হবে। যথাসময়ে তাকে অফিসে যেতে না পারাটা দন্ডনীয় অপরাধ। আবার আসার পথেও আমার এক ঘন্টা পরে বের হতে হয় অফিস থেকে।

আমার অফিসে তেমন কোন বাঁধা-ধরা নিয়ম নেই। নিজের মত করেই অফিসে আসা-যাওয়া করি। কিন্তু মিনার ভাইয়ের কারণে সকালে এক ঘন্টা আগে অফিসে রওয়ানা দিতে হত। ফেরার পথে আবার এক ঘন্টা বাড়তি অপেক্ষা করতে হত। নামিয়ে দেয়ার জন্য ৪-৫ কিলোমিটার বেশি পথ অতিক্রম করতে গিয়ে আর ও বাড়তি আধা ঘন্টা ব্যায় হত। এক কথায় মিনার ভাইকে আনা নেওয়া করতে আমার অতিরিক্ত ২-৩ ঘন্টা চলে যেত।

দ্বীনি ভাই। আমার প্রিয় নেতা। আল্লাহ ও রাসুলের (সা) এর প্র্রতিনিধিত্বকারী এসব নেতাকে সাহায্য করা মানেই দ্বীনের সহযোগীতা করা। এ ধরনের একটি কল্যান মুলক কাজ করতে গিয়ে নিজের মাঝে আত্মতৃপ্তি খুঁজে পেলাম। সর্বোপরি, মিশরীয় নাগরিক সাদা মনের মানুষ নাবিল থেকে পাওয়া শিক্ষাটাও কাজে লাগানোর একটা মহা সুযোগ হল। শুরু হল মিশনের নবযাত্রা।

মিনার ভাইয়ের গাড়িটা ঠিক হতে দু'সপ্তাহ লেগে গেল। এর মাঝে ১৫-২০ কিলোমিটার দুরে দেয়া মেকানিকের কাছে ও দু একবার আসা-যাওয়া করেছি তাকে নিয়ে।

সকাল সাড়ে সাতটায় মিনার ভাইকে বাসা থেকে উঠাতে হবে। আমি ১০-১৫ মিনিট আগেই বাসার নিছে গিয়ে ফোন করে জানান দিতাম, ভাই আমি এসেছি। ৮-১০ মিনিট পর তিনি নেমে আসতেন। মিনার ভাইয়ের জন্য আমার এ বাড়তি কস্ট দেখে প্রায়ই বলতেন, আপনি আমার জন্য অনেক কষ্ট করছেন। প্রত্যুত্তরে একটি কঠিন সময়ে আমার পাশে দাঁড়ানো নাবিলের স্মৃতিচারণ করে বলতাম, মানুষ মানুষের জন্য। একে অন্যকে সাহায্য না করলে কি আর সমাজে থাকা যায়? তাছাড়া, আপনি আমার সংগঠনের নেতা। দ্বীনি ভাই হিসেবে আপনার সাহায্য এগিয়ে আসা আমার নৈতিক দায়িত্ব। এসব বলে আমাকে লজ্জা দিয়ে কি কোন লাভ আছে?

পারিবারিক সর্ম্পক ছাড়াও সাহিত্য সাংস্কৃতিক এবং চিন্তার দিক থেকে মিনার ভাইয়ের সাথে আমার অন্যরকম একটা মিল ছিল। এ কারণেই হয়তোবা সখ্যতাটাও ফ্রুটিকা জুসের মত একটু বেশিই ছিল।

গাড়িটা ঠিক হতে দুসপ্তাহ লেগে গেল। মিশন সমাপ্তি করে তৃপ্ত হৃদয়ে ফিরে গেলাম। আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলাম আমাকে দিয়ে তাঁর এক বান্দাকে খেদমত করার সুযোগ করে দেয়ার জন্য।

২০০৯ সালের কথা। দিনটি ছিল ৮ই জিলহাজ্জ্ব । সৌদি আরবের জেদ্দায় ঘটে যাওয়া এক অকস্মাৎ বন্যার তান্ডবে সবকিছু লন্ড-ভন্ড হয়ে গেল। কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই গর্জন হীন আকাশের উগলে দেয়া বৃষ্টি স্বল্প সময়ের মধ্যে সবকিছুকে ডুবিয়ে দিল। পাহাড়ি ঢলে কৃত্রিম ভাবে তৈরী হওয়া উচু-নিচু রাস্তার ছোট ছোট নদী খাল বিল, ডোবা পাড়ি দিতে গিয়ে ৬৫ কিলোমিটার রাস্তায় গাড়ী সহ কতবার যে ভিজে ভিজে রাস্তা পার হয়েছি তার ইয়ত্তা নেই। সে এক অবর্ননীয় স্মৃতিকথা।

দীর্ঘ সময় ধরে লবণাক্ত বন্যার পানিতে গোসল করা গাড়িটার শুরু হল জ্বর, সর্দি, কাঁশি, কাঁপুনি-ঝুাকুনি, আমাশা, পাতলা পায়খানা। অবশেষে হার্ট এ্যটাক্ট! ডায়নামোতে অটোমেটিক বিদ্যুত উৎপাদন না হওয়ায় ব্যাটারি আর রিচার্জ হয়না। রিচার্জ হলেও চলার পথে বিদ্যুৎ গোলযোগের কারণে দুচারটা উল্টো টান দিয়ে অবশেষে হার্ট এ্যাটাক্ট। থেমে গেছি রাস্তার উপরেই। এত দুরে আসা যাওয়ার রাস্তায় গাড়ির নিত্য অসুস্থতায় হাঁফিয়ে উঠলে ও বাজেট ঘাটতির কারণে মুমুর্ষ রোগীকে হাই পাওয়ারের সেলাইন দিয়েই জোর করে চালিয়ে দিলাম আরও কিছুদিন।

কোন এক সকালের কথা। অনেক চেষ্টা করেও গাড়িকে আর জাগাতে পারলাম না। এর আগে অনেক পুরোনো একটা হুন্ডা গাড়ী চালানোর কারণে দেখে দেখে মেকানিক্যাল অনেক কিছুই রপ্ত করছিলাম। সর্দি কাশি জনিত প্রাথমিক রোগগুলো সারাতে পারতাম। কিন্তু আজকে অনেক চেষ্টা করেও ওকে আর জাগাতে পারিনি। অবশেষে পরিচিতি মেকানিককে ডেকে আনলাম জাগিয়ে তোলার জন্য। এন্টিবায়োটিক সহ অনেকগুলো ডায়াগনস্টিক শেষে ডাক্তার বলল, হার্ট এ্যাটাকে আক্রান্ত আমার গাড়িটা আর কোনদিন জেগে উঠবে না। তিল তিল করে গড়ে তোলা আমার সব চেষ্টা সাধনা আর ভালবাসাকে জলাঞ্জলি দিয়ে স্মৃতি বিজড়িত পঙ্খীরাজটা চলে গেল না ফেরার দেশে। পনের শত রিয়ালের বিনিময়ে ওর কঙ্কাল গুলো বিক্রী করে দিলাম।

মনটা খুব খারাপ হয়ে গেল। গাড়ী ছাড়া অফিস করার কোন উপায় নেই। বসকে ফোন করে কাজে যেতে না পারার কারণটা বলে দিলাম। আগামীকাল অফিসে যাওয়া নিয়ে তেমন একটা ভাবছিনা। কারণ মিনার ভাই আছে। তার সাথেই চলে যেতে পারবো। ভাবছি ফ্যামেলীর নিত্য কিছু সমস্যাসহ বাজার-সওদা করার কথা নিয়ে।

রাতে মিনার ভাইকে ফোন দিয়েছি। বিস্তারিত খুলে বলার পর চাপা স্বভাবের মানুষটা উত্তর দিল, আমি যেহেতু সকাল সাড়ে সাতটায় বাসা থেকে অফিসের উদ্দেশ্য বের হব, আপনি আর আগেই আমার বাসার নীচে চলে আসুন।

আমার বাসা থেকে মিনার ভাইয়ের বাসায় যেতে গাড়ি ভাড়া লাগবে বিশ থেকে পঁচিশ রিয়াল। ওর বাসায় যাবার বাড়তি পরামর্শটা পেয়ে খুব জোরে একটা ধাক্কা খেলাম। নেতা মানুষ। জোর করে কি বলা যায়, আমাকে এসে নিয়ে যান? না। থাক। কেউ যেচে এগিয়ে আসতে না চাইলে জোর করে হয়না। তাছাড়া নেতার সাথে কথা বলার আদব বলতে কথা। নিঃশর্ত আনুগত্য। আমি চলি যে তার মন যোগাইয়া মনের দুঃখ করে কই...।

ফোনটা রেখে দিয়েছি। বিষয়টা জানার জন্য পাশেই ওতপেতে বসে থাকা স্ত্রী প্রশ্ন করল,

- দ্বীনি ভাই কি বলেছে তোমাকে?

- বলেছে, সমস্যা নেই।

- তাতো বুঝলাম। কিন্তু তিনি কি তোমাকে তোমার মত করে তোমার বাসায় এসে নিয়ে যাবে?

- একটু থেমে উত্তর দিলাম, না?

- কেন?

- সব কিছু কেন দিয়ে হয়না।

- কিছুক্ষণ চুপ থেকে খুব ভারাক্রান্ত মনে বলতে লাগল, তাহলে নেতা থেকে কি শিখলাম? তোমার অনুপ্রেরণায় আমি সদস্যা হলাম। তোমার গাড়িতে করে আদর্শের ফেরী্ ওয়ালা হয়ে চষে বেড়াই এ শহরের আনাচে কানাচে। সংগঠনের জন্য ওয়াকফ করা তোমার গাড়িটায় এ শহরের কে না চড়েছে? কখনও একটু যাতায়াত খরচ্ও নিতে দেখিনি তোমাকে.............।

- থেমে দিয়ে বললাম, বাদ দাও তো। আমার কর্মের মাধ্যমে আমার জান্নাত আমাকেই নিশ্চিত করতে হবে। যারা অন্য দ্বীনি ভাইয়ের সহযোগীতায় এগিয়ে আসেনা, এটি ওদের দুর্ভাগ্য।

- না। আমি এটা মানি না। তাহলে কিসের দ্বীনি ভাই। কার সাথে সীসা ঢালা প্রাচীর হয়ে লড়বে। এসব কাঁচের সীসা দিয়ে দিয়ে ইস্পাতসম প্রাচীর হয়? নেতা থেকে আমরা কি শিখবো। কি শেখাবো অধীনস্থদের।

- একটু অপেক্ষা কর। হয়তবা কোন সমস্যার কারণে কাল আসবেনা। পরশু থেকে হয়তবা আসবে আমাকে বাসা থেকে নিয়ে যেতে...।

পরদিন সকাল বেলায় ভাড়া গাড়িতেই মিনার ভাইয়ের বাসার সামনে যথাসময়ে উপস্থিত হলাম। প্রথমদিন কিছু জরুরী কাজ থাকায় ফেরার পথে অন্য জনের গাড়িয়ে আগেই এসে পড়েছি। দ্বিতীয়দিন এক ঘন্টা বিলম্ব করে আসছি নেতার সাথে। খুব গম্ভীর ভাব। দেখে মনে হচ্ছিল, খুব ইজ্জতে লাগছে। ড্রাইভার হয়ে আমাকে বাসায় নামিয়ে দিতে যাচ্ছে। বাসা থেকে দু্ই কিলোমিটার দুরে এসেছি মাত্র। সামনেই বাসের রাস্তা। স্যেজন্যতা বোধ দেখাতে গিয়ে মিনার ভাইকে বললাম,এক কাজ করুন। আপনি আর কষ্ট না করে আমাকে এখানেই নামিয়ে দিন। খুব তুপ্তির একটা মুচকি হাসি দিয়ে মাথা নেড়ে সম্মতি জানালেন। বললেন, ঠিক আছে।

আমি নেমে গেলাম। গাড়ির দরজা বন্ধ করার সময় জিজ্ঞেস করলেন, সমস্যা হবে নাতো?

- না। সমস্যা নেই। বাসে করে চলে যাবো।

সিগনাল খূলেছে। মিনার ভাই টান দিয়ে দৃস্টি সীমার বাহিরে চলে গেলেন। আমি রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে আছি। আর ভাবছি আমাকে রেখে যাওয়া মিনার ভাইকে নিয়ে। প্রশিক্ষণ শালায় যার মুখে হযরত ওমর আর ভৃত্যুর কথা শুনে আবেগে আপ্লুত হতাম, ভাবতাম, আহ! কি উদারতা। কত বড় বিস্ময়কর শিক্ষা! অর্ধ পৃথিবীর সম্রাট হযরত ওমর (রা) কিয়ামতের মাঠে আল্লাহর ট্রাইবুনালের রায়ে যাতে এ ভৃত্যুর জন্য জাহান্নামে যেতে না হয়, সে ভয়ে ভৃত্যুর অধিকার নিশ্চিত করতে গিয়ে তিনি উটের লাগাম টেনে হাঁটছেন। আর ভৃত্যু উটের উপর বসে আছে

তাঁকে স্বাগত জানানোর জন্য সামনেই অপেক্ষা করছে বিশাল এক উৎসুক্য প্রতিনিধিত্বশীল রাষ্ট্রপ্রধান ও তার সহযোগীরা। হযরত ওমরের মাঝে এত টুকু কার্পন্যতাবোধ কিংবা হীনমন্যতা কাজ করেনি যে, অর্ধ পৃথিবীর সম্রাটকে এভাবে ভৃত্যুর উটের লাগাম টানতে দেখে না জানি কি মনে করে...........।

বাসায় ঢুকতেই স্ত্রী জিজ্ঞেস করল,

- কার সাথে এসেছো?

- মিনার ভাইয়ের সাথে।

- তোমাকে কি বাসার সামনে নামিয়ে দিয়ে গেছে? ......বলতে ভাত খেয়ে যেতে।

- উনি আসলেই তো খেয়ে যেতো?

- তার মানে? উনি কি তোমাকে বাসার সামনে নামিয়ে দিয়ে যায়নি?

- না।

(সরি। পাঠকের ধৈর্যচ্যুতি ঘটবে বলেই অসমাপ্ত রেখে দিলাম)

(চলবে)

বিষয়: বিবিধ

১৫২৬ বার পঠিত, ২৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

305564
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ দুপুর ০৩:১৮
মোবারক লিখেছেন : খুব মন দিয়ে পড়া শুরু করেছিলাম কখন যে শেষাংশে চলে এসেছি বলতে পারবোনা, শেষাংশ পড়ে মনটা অনেকটাই খারাপ হয়ে গেল। অপেক্ষায় আছি
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ বিকাল ০৫:৪৩
247226
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : মোবারককে মোবারকবাদ। ধন্যবাদ মন দিয়ে পড়ে মন্তব্য রেখে যাবার জন্য। আলোকিত হোক আমাদের অন্ধকার মন, জয়ী হোক ক্বালজয়ী আদর্শ।
305570
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ বিকাল ০৪:০৩
সন্ধাতারা লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু শ্রদ্ধেয় সুহৃদ ভাইয়া। আপনার লিখাটি পড়ে মন খারাপ হওয়ার কথা থাকলেও তা আমার হয়নি। এরূপ অসংখ্য উদাহরণ আমার আছে। তাই আমার বাবা বলতেন কারো উপকার করে ভুলেও কখনও তার বিনিময় প্রত্যাশা করবে না তাহলে অনেক কষ্ট পাবে। বাস্তবার আলোকে অনেক গল্পও শুনিয়েছিলেন তিনি। মন্তব্য অনেক বড় হবে তাই চেপে গেলাম।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ বিকাল ০৪:২৪
247218
হতভাগা লিখেছেন : ম্যাম , আমাকে ব্লক করেও কেন বার বার পোস্ট পড়ার আমন্ত্রন জানান ?
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ বিকাল ০৫:৪৫
247227
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : প্রত্যাশার চেয়ে শিক্ষাটা বড়ই প্রয়োজন। এটি পড়ে কোন দায়ীত্বশীল কিংবা কর্মীর মনে যদি পরিবর্তন আসে, এতে কমই বা কিসে। আমি সেটিই বুঝাতে চেেয়েছি। দ্বিতীয়ত এ মানসিকতার লোকগুলো আদর্শিক আন্দোলন করা আত্মঘাতি কাজ। তাই বিবেক হোক জাগ্রত, আমরা হই আরও উদার সে প্রতাশায় থাকলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
305588
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ বিকাল ০৫:২৯
মোঃ মাসুম সরকার আযহারী লিখেছেন : আস্‌সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ। পৃথিবীতে কাউকে উপকার করে তার কাছ থেকে ভাল কিছু আশা না করে আল্লাহর কাছে প্রতিদান আশা করলে অনেক মানসিক কষ্ট থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। আর কাউকে উপকার করলে মনে রাখবেন- সে কোন এক সময় আপনার মনোকষ্টের কারণ হতে পারে।
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ বিকাল ০৫:৪২
247225
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : কথাটা বাস্তব ও নিরেট সত্য। কিন্তু যারা মানুষদের পথ দেখাবে তাদের আরও পরিচ্ছন্ন হওয়া উচিত। আমার এ লিখা পড়ে যদি কারো মনে কোন পরিবর্তন আসে এটি অবশ্যই কল্যানকর। সেটিই প্রত্যাশা। ধন্যবাদ।
305614
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:০৪
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন লিখেছেন : হায়রে দ্বীনি মিনার ভাই দ্বীন বুঝলনা।
305627
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ রাত ০৮:৪৫
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু শ্রদ্ধেয় সুহৃদ ভাইয়া। খুব মন দিয়ে পড়া শুরু করেছিলাম কখন যে শেষাংশে চলে এসেছি বলতে পারবোনা, শেষাংশ পড়ে মনটা অনেকটাই খারাপ হয়ে গেল। অপেক্ষায় আছি পরের পর্বের।
০৩ মার্চ ২০১৫ দুপুর ১২:২৯
248381
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : ধন্যবাদ মন দিয়ে পড়ে খুব সুন্দর একটা মন্তব্য রেখে যাবার জন্য । কোন কিছু শুরু করলে যেনব্যস্ততা আরও বেড়ে যায়। ধন্যবাদ।
305629
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ রাত ০৯:০৭
শেখের পোলা লিখেছেন : অসমাপ্ত রাখায় বাস্তবিকই দুঃখ পেলাম৷ বলতে বাধা নেই আজ সারা দুনিয়ার মুসলীম মার খাচ্ছে এমন নেতাদের জন্যই৷ অনেক আগেই আমাদের ধ্বংস পাওনা হয়ে আছে, শুধু কিছু ভাল লোকের জন্যই আমরা আছি ও ভাল হবার, তওবা করার সুযোগ পেয়ে চলেছি৷ আ্লাহ আমাদের ইমান দিক৷
০৩ মার্চ ২০১৫ দুপুর ১২:৩০
248383
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : খুব কাছে থেকে দেখা এক শ্রেণীর সাংগনিক ব্যবসায়ী যেন এটিকে নিজেদের দুনিযাবী জিন্দেগীতে বড় হওয়ার হাতিয়ার মনে করে। ধন্যবাদ আপনাকে।
305636
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ রাত ০৯:১৮
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : আমরা শিক্ষক কিংবা নেতাকে সন্মান করার জন্য যত উপদেশ পাই। তার শতাংশও কি পাই মানুষকে সহায়াতা করতে পদমর্যাদা না দেখে। আব্বাসিয় খিলাফতের অন্যতম বিলাসি খলিফা মামুন অতিথিদের নিজের হাতে পরিবেশন করতেন।
০৪ মে ২০১৫ রাত ০৪:০৭
259248
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : সত্যি কথাটাই বলেছেন। আজ এসব যেন আমরা হারাতে বসেছি। নিজের দেহে ইসলামকে প্রতিষ্ঠার পরিবর্তে মুখস্থ কিছু আয়াত বলে দিলেই যেন দা্ওয়াত হয়ে যায।
305732
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ দুপুর ০২:১৩
মামুন লিখেছেন : পারিবারিক সর্ম্পক ছাড়াও সাহিত্য সাংস্কৃতিক এবং চিন্তার দিক থেকে মিনার ভাইয়ের সাথে আমার অন্যরকম একটা মিল ছিল। এ কারণেই হয়তোবা সখ্যতাটাও ফ্রুটিকা জুসের মত একটু বেশিই ছিল। Thumbs Up Thumbs Up
০৪ মে ২০১৫ রাত ০৪:০৮
259249
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : হাহা। কোডিং মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ।
305766
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ বিকাল ০৪:৫০
সুমাইয়া হাবীবা লিখেছেন : তবুও আমরা ভাই ভাই।। আমিও আমার হাজবেন্ডের সাথে এরকম নানান বিষয়ে তর্ক বিতর্ক করি। যেমনটা ভাবী করেছে আপনার সাথে। সেটা সঙ্গীর অপমান বা কষ্ট সহ্য করতে না পেরে। তবে আপনারা যে উদারতাটা দেখান তার জন্য আমরা সত্যিই গর্বিত। তৃপ্ত। এইগুলোই পরীক্ষা। আর এই সময়ের সবরটাই সবরুন জামিল। আল্লাহ আমাদের এই সবরুন জামিলগুলোকে রক্ষা করুন। কোন আবেগতাড়িত স্রোত যেন তা নষ্ট করে না দেয়। কবুল করুন।
একটা গাছের সব ডাল সমান মজবুত হয়না। সমান হবে এমনটা আশা করাটাও বোকামী। গাছের মজবুত ডালগুলোই গাছের প্রানশক্তি। তবুও গাছ সকলকে নিয়ে বাঁচে। এটা প্রকৃতির শিক্ষা। তবে কিনা আপনি আমি বলে কয়ে কোন ডালকে মজবুত করতে পারবোনা। এটা পারা যায়না।
০৪ মে ২০১৫ রাত ০৪:১০
259251
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : খুব দেরী হয়ে গেল উত্তর দিতে। ধন্যবাদ সময় নিয়ে খুব সুন্দর মন্তব্য রেখে যাবার জন্য।
১০
305824
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ রাত ১০:২৭
আবু সাইফ লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ..


এসব প্রকাশ করাতে আমি যে সমস্যাটা দেখি-

আমার আমলনামা থেকে সওয়াবগুলো কাটা পড়ছে না তো? ? ?


নিজের কাহিনীর মত করে না বলে গল্পের ছকে বললে নিরাপদ হতো!!

আমার বুঝ হয়তো একটু অন্যরকম-
কি জানি!!!
০৪ মে ২০১৫ রাত ০৪:১০
259250
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : আমরা যে শিখে অনুশীলন করা প্রয়োজন তাই বুঝাতে চেয়েছি। ধন্যবাদ।
১১
306842
০২ মার্চ ২০১৫ দুপুর ০৩:২৫
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : বাস্তবতা বড়ই বিচিত্র। আমাদের অভ্যাস হয়েছে - যা বলবো তা অন্যের জন্য বলবো। নিজের জন্য নয়।
আর নিজের জন্য যা করবো তা অন্যেকে বলবো না।
হেফাজত করুন আমাদের মালিক। অভিজ্ঞতা এমন আছে অসংখ্য। তবে আপনি যেভাবে শব্দের গাথুনি দিয়ে লিখছেন। তাতো আমি পারবো না। আপনাকে মোবারকবাদ। যদি কেউ একটু সংশোধন হয়।
০৪ মে ২০১৫ রাত ০৪:১১
259252
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : হাহা। এত ব্যস্ততাযে আপনার মন্তব্যর উত্তর দিতে অনেক দেরী হয়ে গেল। ধন্যবাদ ভাইজান।
১২
317917
০৩ মে ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:১১
রঙের মানুষ লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন? এই পর্ব আর লিখছেন না কেন?
০৪ মে ২০১৫ রাত ০৪:০৬
259247
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : আপনি নেই বলে লিখিনা। মনে অনেক জালা্। কিন্তু এ জ্বালা উগলে দিতে মন চায়না। কেমন জানি সব কিছু এলামেলো লাগে। ধন্যবাদ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File