জাগো হে কালের বিদ্রোহী কবি।
লিখেছেন লিখেছেন প্রবাসী মজুমদার ০৩ জানুয়ারি, ২০১৫, ০১:১০:২৮ রাত
কবি হে।
তোমাকে আবারও জাগতে হবে।
লিখতে হবে তেজষ্ক্রীয় শব্দের কবিতা।
কবিকে শব্দ বুলেটে আগুন ধরিয়ে দিতে হবে
প্রতিটি ঘুমন্ত হৃদয়ে ।
তাই কবির প্রতি আমার আবারও আহব্বান,
হে কবি।
জাগো।
আবারও লিখ
তোমার কলমের তরবারী দিয়ে।
নির্যাতীততের আহাজারীতে
আজ বাতাস বড়ই ভারী।
তাই তোমাকে ঘুমালে হবেনা
হে জাগরনের কবি।
আবারও লিখ তোমার প্রতিবাদের কবিতা।
যে কবিতা পড়ে নির্যাতিতরা
পতঙ্গের মত ছুটে হয়ে আসবে।
গগনবিদারী আওয়াজে
প্রকম্পিত করবে রাজপথ।
ক্ষমতার মসনদ হতে টেনে হিচড়ে বিদায় করবে
গণতন্ত্রের লেবাসে বসে থাকা
ইতিহাসের এক নব্য হিটলারকে।
তুমি কি জেগে আছ হে কবি।
আমি তোমাকে খুজছি.........
বিষয়: বিবিধ
২৯২৮ বার পঠিত, ৪৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সময় করলাম পার!
অজানাকে করব জয় (একদিন)
এ আমার অহংকার!!
আপনি যে জাগরণে কবি জানতামনা। ব্লগে আসা হয়না। খুব ব্যস্ত। আজ আপানর কবিতার উদ্যানে গিয়েছিলাম। সত্যিই চমতকার।
তাই আপনি বেশি বেশী লিখুন ভাইয়া ।
কে বলেছে কবি আমি
শব্দ-ভাষায় নেই জুড়ি,
মন-জ্বালা মিটাই লিখে
কল্পনায় উড়াই ঘুড়ি।
কখনও বা চ্যাকা খেয়ে
শব্দে ঝাড়ি মনের ক্ষোভ,
প্রেম যাতনার প্রতিবাদে
কবিতাতে তাড়াই রোগ।
রাগে-ক্ষোভে ক্ষুব্ধ কবি
কলম কাঁদায় কাগজে,
কাব্যভাষায় ভ্রষ্ট কাদায়
কল্পনার রাজ মগজে।
প্রেম যাতনায় রুক্ষ কবি
আপন মনে গায় যে গান
কল্প রাজ্যে হেঁটে লিখে
কাব্য-ভাষায় জুড়ায় প্রাণ।
হুম! আজকাল কবিরা আর নিজের গরজে জাতির স্বার্থে লেখেনা তাই তো তাদের জাগ্রত করতে এমন কবিতাই চাই।
রাজার ভয়ে রুদ্ধ প্রজা
ধর্ষনে সব সর্বনাশ,
দোয়ার মাঝেই ক্ষ্যান্ত বাবা
ছাড়ে কেবল দীর্ঘশ্বাস।
বুকভেসে যায় রাসুল প্রেমে
জিহাদ বিহীন আউলিয়া,
ধর্ম বাবার ভক্তরা সব
ধর্ম জ্ঞানে দেউলিয়া।
ধর্মশাস্ত্রে সবাই পন্ডিত
ধর্মহীন আজ মাও্লানা,
জিহাদ বিমুখ ঈমান আলীর
ধর্মালঙ্কেও নেই মানা।
“তোমাকে আবারও জাগতে হবে।
লিখতে হবে তেজষ্ক্রীয় শব্দের কবিতা।
কবিকে শব্দ বুলেটে আগুন ধরিয়ে দিতে হবে
প্রতিটি ঘুমন্ত হৃদয়ে ।“
অসাধারণ লাগলো।
জাজাকাল্ললাহু খাইর।
অসচেতন-ঘুমন্ত-মৃতপ্রায় শুদ্ধ অনুভূতির গোড়ায় জাগানিয়া মিসাইলে চুড়ান্ত আঘাত হানুক কবিদের প্রতিটা শব্দমালা!
অমীত শক্তির তেজ্বস্ক্রিয়ায় জ্বলিয়ে দিক অত্যাচারীর তখতে তাউস!
তোমাদের মাঝে কি ওমরের মত কেউ জম্মাবেনা
ঈমানের দৃড়তা হবে যেন ওহুদ পাহাড়
যার আহব্বানে ঘুমন্তরাও জেগে উঠবে
জাহেলিয়াতের ভীত ভেঙ্গে করিবে চুরমার।
তোমাদের মাঝে কি হয়রাত আলী আর জম্নাবেনা
আসবেনা স্বপ্নের দ্বিগ্বীজয়ী স্বপ্নদ্রষ্ট্রা
যার নিষ্ঠুর আঘাতে পথ ভ্রষ্টরা পালিয়ে বেড়াবে
ঈমানের সুধা পেয়ে সৃষ্টিরা মিটাবে তেষ্টা।
একজন আবুবকরের আজ বড় প্রয়োজন
নিজেকে বিলিয়ে যে করিবে দান
নিজ ঘরে শুধূ আল্লাহ রাসুলকে রেখে বলিবে
হে প্রভু, এসব আমার নয়, শুধু তোমারি অবদান।
হযরাত ওসমানের মত কি কেউ আর আসবেনা
আল্লাহর রাহে যে ঢেলে দিবে সব সম্পদ,
জান্নাত পাওয়ার আশায় দিশেহারা হয়ে
বিক্রি করে দেবে এ মোহমায়ার জগত।
দ্বীনের স্বপ্নদ্রষ্টারা জেগে আছো কি,
জান্নাতের নেশায় যারা বিকিয়েছো এ জীবন,
এসো, জড়ো হই, আবারও রুখে দাড়াই
জ্বালিয়ে পুড়িয়ে করি নিজেদের চরিত্র গঠন।
আপনার লেখায় মন্তব্য করতে হাত সহ অনুভূতির ভিতরেও কাঁপন শুরু হয় আমার!
স্বপ্ন-আশা জাগিয়ে স্বীয় কর্তব্য জানান দিলেন আমাদের কে!
জাযাকুমুল্লাহু খাইরান ফিদ্ দুনিয়া ওয়াল আখিরাহ!!!
আপনার লেখায় মন্তব্য করতে হাত সহ অনুভূতির ভিতরেও কাঁপন শুরু হয় আমার!
স্বপ্ন-আশা জাগিয়ে স্বীয় কর্তব্য জানান দিলেন আমাদের কে!
জাযাকুমুল্লাহু খাইরান ফিদ্ দুনিয়া ওয়াল আখিরাহ!!!
ব্যথিত হয় যে হিয়া,
কবি যদি কবিতা মাঙ্গে
অন্যের কাছে গিয়া৷
উঠ, শুধিতে হবে ঋণ
লিখেছেন প্রবাসী মজুমদার ০২ জুন ২০১১, দুপুর ০৩:৪৪
------------------------
তুমি না বিপ্লবী
বিপ্লব কি আপোষে হয়?
তুমি না বিদ্রোহী,
তাহলে বিদ্রোহ ছাড়া কি আসে জয়?
তুমি না আপোষহীন
কেন আপোষের এত জোট,
তুমি না দুর্বার
তাহলে ভিক্ষা চাও কেন ভোট?
তুমি না সত্যর পতাকাবাহী
তাহলে সত্যর জন্য উঠাও না কেন আওয়াজ?
তুমি না দু:সাহসি
তাহলে ভেঙ্গে দাওনা কেন বাতিলের রাজ?
তুমি না কোরানের সৈনিক
জিহাদের পোষাকে ছেড়েছ ঘর,
তুমি না দুনিয়া ত্যাগী
তাহলে কেন কাপিছ থর থর?
তুমি না পথ চলা মুসাফির
তাহলে কেন এত আয়োজন?
তুমিনা জান্নাতের ফ্ল্যাট প্রত্যাশী
তাহলে দুনিয়া দখলে কেন এত প্রহসন?
ওহুদ, খন্দক, বদরে দেখেছো
আবু জেহেলের সজ্জিত যুদ্ধের বহর?
দেখোনি, কিভাবে বাঘ হয়ে মেতেছিল
আবুবকর, আলী, ওসমান আর ওমর?
নবী ডেকেছে যেতে হবে যুদ্ধে
তাকায়নি পিছন ফিরে,
শিশুর ক্রন্দন থেমে দিতে পারেনি
এ চলা যে ফেরার নয় নীড়ে।
দুনিয়া ভোগে লাথি মেরে
বাঁচিয়েছে যারা দ্বীন,
তোমরাও তাদেরই উত্তরসূরি
উঠ, শুধিতে হবে ঋণ।
উঠ, শুধিতে হবে ঋণ
লিখেছেন প্রবাসী মজুমদার ০২ জুন ২০১১, দুপুর ০৩:৪৪
------------------------
তুমি না বিপ্লবী
বিপ্লব কি আপোষে হয়?
তুমি না বিদ্রোহী,
তাহলে বিদ্রোহ ছাড়া কি আসে জয়?
তুমি না আপোষহীন
কেন আপোষের এত জোট,
তুমি না দুর্বার
তাহলে ভিক্ষা চাও কেন ভোট?
তুমি না সত্যর পতাকাবাহী
তাহলে সত্যর জন্য উঠাও না কেন আওয়াজ?
তুমি না দু:সাহসি
তাহলে ভেঙ্গে দাওনা কেন বাতিলের রাজ?
তুমি না কোরানের সৈনিক
জিহাদের পোষাকে ছেড়েছ ঘর,
তুমি না দুনিয়া ত্যাগী
তাহলে কেন কাপিছ থর থর?
তুমি না পথ চলা মুসাফির
তাহলে কেন এত আয়োজন?
তুমিনা জান্নাতের ফ্ল্যাট প্রত্যাশী
তাহলে দুনিয়া দখলে কেন এত প্রহসন?
ওহুদ, খন্দক, বদরে দেখেছো
আবু জেহেলের সজ্জিত যুদ্ধের বহর?
দেখোনি, কিভাবে বাঘ হয়ে মেতেছিল
আবুবকর, আলী, ওসমান আর ওমর?
নবী ডেকেছে যেতে হবে যুদ্ধে
তাকায়নি পিছন ফিরে,
শিশুর ক্রন্দন থেমে দিতে পারেনি
এ চলা যে ফেরার নয় নীড়ে।
দুনিয়া ভোগে লাথি মেরে
বাঁচিয়েছে যারা দ্বীন,
তোমরাও তাদেরই উত্তরসূরি
উঠ, শুধিতে হবে ঋণ।
হন্যে হয়ে শুধু তাহাকেই খুঁজি,
সাবার ভিতরে রয়েছে সে জন,
ভুলেও কখনও সে কথা না বুঝি৷
ভালো ভালো ভালো, লিখে ফেল তবে
হবে হবে হবে তোমাকে দিয়েই হবে...
মোহাম্মাদের প্রভু আজও মরেনি
আজও চিরঞ্জীব, অজেয়, অক্ষয়,
ওহোদ খন্দক সামনে
পারবে নিজেকে সপে ভেঙ্গে দিতে
বাতিলের মিথ্যা বলয়?
তাহলে দেরী কেনো? ওঠ,
এসো জাগি, হই দুরন্ত দুর্বার,
আমরা লড়িব, মথিত করিব সব
কোরানের রাজ গড়িব আবার।
নাকি সারা জীবন মোরা রয়েই যাবো অমানুষ
সিংহের ঘরে শৃগাল বনে
রোদন করি দ্বারে দ্বারে,
ধর্মহীন দের ধর্মগুরু মেনে
মুক্তি চাই পরপারে।
দুনিয়া দখলে দিশেহারা সবি
ছেড়েছি জিহাদ,
দ্বীনহীন বিচারালয়ে প্রাথী হয়ে
ডেকে এনেছি সর্বনাশ।
এসো, আবার জেগে উঠি
রুখে দেই অপমান,
সীসা ঢালা প্রাচীর হয়ে লড়ি
মুক্তির পথ হোক কোরআন।
তপ্ত দগ্ধ শুষ্ক পুরোনো জড়া জঞ্জাল যত,
আজি এ প্রভাতে প্রাণের সকাসে হয়ে যাক সব গত।
যা কিছু মলিন হয়ে প্রাণহীন ছিল এ হৃদয়পটে,
দুর করি আজ সাজি নব সাজ মাতি রাঙ্গা উল্লাসে।
জড়া উড়ায়ে ব্যাথা সরায়ে ডাকিছে নূতন লগ্ন,
রুদ্ধ বিলাস কাঁপা অভিলাষ উন্মুখ মোর স্বপ্ন।
আমি কিন্তু এমন করে পারিনা। তাই কবিকে ধন্যবাদ।
কিন্তু কার জন্য লিখবো কেউকি পড়বে?
যে জাতী নিত্যসহে হাজারো অপমান !
জাতীর জাতমারে-চৌদ্দগোষ্ঠী উদ্ধার করে
উন্নয়নের ষ্টীমরোলার জাতীর ঘাড়ে,
হাতে মারে,ভাতে মারে-বিনা দুষে গুম করে
জাতী চুপ করে-মরে পাইকারী দরে,
জাতীরে গরু দান করে-জুতা মেরে
হায় জাতীরে জাতী-তোর জাত মারে,
চামড়া মোটা জাতী-বেইজ্জতির ধ্বার না ধ্বারে
বিবেক মরা অর্বাচিনরা জাতীর ঘারে,
ইহুদীরা আজ জাতীর ঘরে-ঘর নড়বরে
বাঙ্গালীর ভেতর আজ শঙ্কর ইহুদী!
জাতী বটতলায় ভবের হাট বসায়
ফিরিঙ্গিরা দাঁত কেলিয়ে মুখ ভেংচায়,
মুসলমানের কুলখানী ব্রাম্মনের দরগায়
মুসলমান গাঁ চুলকায় মিলাদুন্নবীর সানে!
সিরাতুন্নবীর এলার্জি মিডিয়া মহল্লায়
সুযোগে সাজে আশেকে নবী (সাঃ) দরগা সাজায়,
হায় মরা মুসলমান নিরবেই দুর্গন্ধ ছড়ায়
জাতীর জাত মারে-বাঙ্গালী বড় অসহায়....
******************************
কবি হওয়ার সাদ আছে সাদ্যকিন্তু নাই
মজুমদারের শব্দ খুচায় হেরে গলায় গাই,
ভেতরে মাল নাই....,,
ভাইগুরু সেলুট আপনাকে মরা গাছেও ফুলফুটাতে পারেন ! মুর্খ্য মুন্সীরেও আবেগে পুড়াতে পারেন......লাখো সালাম ওস্তাদজ্বি আপনায়........
খুব সুন্দর লিখছেন।
আল্লাহ যেন বেশি করে লিখতে দেয়। এরকম প্রতিবাদী কবিতা।
মন্তব্য করতে লগইন করুন