বিদ্রোহী কবি
লিখেছেন লিখেছেন প্রবাসী মজুমদার ১২ নভেম্বর, ২০১৪, ১২:৩৪:১১ রাত
মুষ্ঠিতে চুল টেনে জিদে মরি
কলমে নেই ধার,
ক্ষিপ্ত হৃদয় যাতনায় খোঁজে
বিদ্রোহী কবিতার।
নজরুল-ফররুখ কল্পনায় টেনে
দেখি দহনের ছবি,
শব্দ-ছন্দের নির্মমতায়
হতে পারিনা কবি।
পাষান হৃদয়ে নিত্য দেখি
বিভতসতার লাশ,
শংকিত জনপদ নির্বাক কাঁদে
বানিয়ে নিজেকে দাস।
চারিদিকে শুধু আর্তনাদের ধ্বনি
বাতাস হয়েছে ভারী,
গুম-খুনে সব জিন্দা লাশ সেজে
পণ্য বানিয়েছি নারী।
বিষয়: বিবিধ
১৩৬৭ বার পঠিত, ৩৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বাতাস হয়েছে ভারী,
গুম-খূনে সব জিন্দা লাশ সেজে
পন্য বানিয়েছি নারী।
দিশেহারা মন্ত্রী, মরিয়া পুলিশ
ফাঁসীর মঞ্চে দায়ী গাহিছে গান
শেকলে বন্দী গুলি খেয়ে ডরেনা
রাজপথে ত্যাগীরা নিয়েছে স্থান।
আপনাকে ভূলে কেঁদেছি অনেক
রুদি, খূঁজে পেতে হারানো সুখ,
এ অবেলায় কেবলি মিছে ক্রন্দন
অস্তিত্বের যাতনায় ভাসাই বুক।
চেয়ে দ্যাখ ঐ দায়ীরা লড়ে
রাজপথ কাঁপাতে ছেড়েছে ঘর
মিছিলে মিছিলে প্রকম্পিত দেশ
পথ খোঁজে পালাতে ক্ষমতাধর।
এই কবি তুই চুপ কেন আজ
কেন এত গভীর ঘুম,
প্রজার কান্নায় বাতাস ভারী
নিত্য রাজ্যে মানুষ গুম।
অপুর্ণতার সীমাহীন আক্ষেপ সবাই কে না হলেও কিছু কিছু মানুষ কে সাফল্যের চুড়ান্ত পর্যায়ে নিয়েই ছাড়ে! তেমনি একজন শ্রদ্ধেয় প্রবাসী মজুমদার!
উনার জন্যে হাসানা-ই কামেলাহ এবং খাইরুল জাযাহ এর প্রার্থনা জানাই মহান আল্লাহর কাছে!!
শহীদ মালেক আমির হামজার
মিছিলের আজ নেইকো শেষ,
নতুন সুর্য্যোদয়ে হাসে
আমার সোনার বাংলাদেশ।
বিদ্রোহে আজ নেইকো আগুন
শুণবো কবে সেই আওয়াজ,
সীসায় ঢালা প্রাচীন হয়ে
লড়বে দায়ী গড়তে রাজ?
কলমে নেই ধার,
ক্ষিপ্ত হৃদয় যাতনায় খোজে
বিদ্রোহী কবিতার। - মুগ্ধ হলাম!
দুর্দান্ত লিখনি মন ছুঁয়ে গেলো। অনুপমেয় অনুভূতিতে বিলীন হলাম।
যে জাতির ঘুম ভাঙ্গিত পড়ে
ফজরে পাক কোরআন,
সে ঘরে বাজে তবলা ঘুঙ্গুর
মুখে ঠাকুরের গান।
মক্তবে আজি শিশুর কণ্ঠে
শুনি না প্রভুর গান,
দ্বীন হীন এখন গায়ের লোকেরা
ভ্রাতৃত্ববোধ হীন প্রাণ।
যে কালেমা পড়ে রাসুল কাঁদিত
সাহাবা রুধিত জলে,
দুনিয়া ভোগে লাথি মেরে
কোরান বেঁধেছিল গলে।
দ্বীনের লাগিয়ে ছেড়ে নিজ ঘর
ছুটেছিল দেশান্তর,
সে জাতি আজি বড় অসহায়
দ্বীনকে করেছে পর।
তোমরা কি আর জাগিবে না কভু
হাঁকিবে না জিহাদের ডাক,
এভাবেই নিজেকে করিবে নিঃশেষ
দেবেনা ক্ষিপ্রতার হাঁক?
ভূলে গেলে রাসুলের রেখে যাওয়া দ্বীন
ভূলে গেছ মক্কার গলি,
মিছে হাজী আর গাজি সেজে
হয়ে গেলে প্রভুহীন অলি?
সিংহের উপর শৃগালের হাক
দেখে হই নির্বাক,
লেজ ধরে সজোরে আছাড় মার
শোষিত মুক্তি পাক।
মুষ্টাঘাতে ভাঙ্গবি দ্বার,
বিস্ফোরণে ফাটবি কবে
ভাঙ্গতে ঐ কাঁচের পাহাড়?
বিদ্রোহে তু্ই জ্বলবি কবে
ছাড়বি কবে আপন ঘর,
সিংহ হয়ে লড়বি কবে
বাঁধবি কবে দ্বীনের ঘর?
মুষ্টাঘাতে ভাঙ্গবি দ্বার,
বিস্ফোরণে ফাটবি কবে
ভাঙ্গতে ঐ কাঁচের পাহাড়?
বিদ্রোহে তু্ই জ্বলবি কবে
ছাড়বি কবে আপন ঘর,
সিংহ হয়ে লড়বি কবে
বাঁধবি কবে দ্বীনের ঘর?
তাঁকে ভরা বইয়ের সারিতে
নেই শুধূ কোরআন,
এসেছিল যে মুক্তি দিতে মোদের
তাকে করেছি কত অপমান!
যার ভয়ে পাহাড় কেপেছে
সাহস হয়নি করিতে ধারন
মানুষ পারবে মানিতে ধরাতে
তাই করেনিকো বারণ।
মানুষের মতবাদ পরেছি গলে
ছেড়েছি কোরানের বানী,
রাজত্ব ছেড়ে পুরুষের আসনে
ক্ষমতায় বসিয়েছি নারী।
হাতে পরেছি ছুড়ি এখন
কানেতে পরেছি দুল,
বেকুবের হুশ হবে কি কভূ
বুঝিবে নিজের ভূল?
নর্তকী বানিয়ে ফ্যাশন সাজিয়ে
নারীকে করেছি পণ্য,
সভাতা বিকাশে আমরাও আজি
হয়েছি জানোয়ার বন্য।
নাম যার প্রবাসী,
মুখে আছে সধা হাসি।
মাথায় নাই চুল,
লিখায় নাই ভুল।
নেই তো কিছু বাকী,
তবু যেছে সুতোর মালায়
বাঁধলে হাতে রাখি?
সাজের বেলায় সাজলে তুমি
দারুণ তোমার মুখ,
সুয্যের আলোয় নিলে কেড়ে
জগতের সব সুখ।
গাইলে না আর সুর তুলেও
তৃুপ্ত পেয়ে মালা,
বৃক ফাটে তো মুখ ফাটে না
হৃদয়ে সব জ্বালা।
খোজে/ খুজে
পন্য/ পণ্য
খূনে/ খুনে
মন্তব্য করতে লগইন করুন