মুসলিম নহে, তুই মুরতাদ!
লিখেছেন লিখেছেন প্রবাসী মজুমদার ২১ অক্টোবর, ২০১৪, ০৮:৩৬:৪৪ রাত
আগুনের মশাল জ্বালাবে কে আজি
কবে হবে হুঁশ মুসলমান,
লাশের মিছিলে আঘাত হানে
মিছে সভ্যতার বোমারু বিমান।
কবে নিজেকে বিকিবেনা অার
গড়িবে কবে দ্বীনের প্রাণ,
প্রভুর হয়ে লড়িবে শুধু
নেবে না কভূ লুটেরার ত্রাণ।
ভ্রষ্টতার পথ ছেড়ে দেবে কবে
নিজেকে বিলাবে ভূলে অভিমান,
বুকে টেনে কবে জড়াবে গলে
খূঁজে পেতে সেই হারানো প্রাণ।
হুংকার দিয়ে গর্জিবে কবে
সইবে কত আর অপমান,
বিবাদ বিষাদ ছেড়ে দিয়ে সব
গাহিবে কেবলি কোরানের গান।
কবে হবে যুগের জীবন্ত ওমর
দ্বীনের লাগিয়া ছাড়িবে ঘর,
দোযখের ভয়ে জলসানো চোখে
প্রভু-ভয়ে তুই কাঁফিবে থর।
সিরিয়া ইরাক মিশর বার্মা
শুন ফিলিস্তিনীর আর্তনাদ
নারী শিশু কাঁদে, তবুও নির্বাক
মুসলিম নহে, তুই মুরতাদ!
বিষয়: বিবিধ
১৬১৪ বার পঠিত, ৪৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
শুন ফিলিস্তিনীর আর্তনাদ
জ্বললরে আফগান।
দ্বীনের দুশমন জোট বেঁধেছে,
জাগরে মুসলমান।
কবির লিখা শাণিত কবিতা
এতই যে নিদারুণ,
তবু কেমনে ঘুমায়গো কবি
চুপায়ে ঘূমন্ত গুন।
জাগ হে কবি, উঠ এবার
শুন মধুর আজান,
সুর্য্যেদয়ে নিজেকে মুক্ত কর
যাবার আগে এ প্রাণ।
কৃতজ্ঞতায় বাঁধিলে মোরে,
কত-কাল গেল জীবন থেকে
জাগিনি ঘুমের ঘোরে।
আমরা নির্বাক থাকতে চাইনা।
সভ্যতার মুখোশে কেবলি এনেছি
ওপাড়ের চোখ জ্বলসানো শান্তি,
জীবন সায়াহ্নে বড় আফসোস
সভ্যতার প্রলেপে এনেছি ভ্রান্তি।
দয়া করে নিচের লাইনটিকে কি "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ" কিংবা "লা ইলাহা ----- " কিংবা অন্য কোন ভাবে রূপায়ন করা যায় - কারন অর্থটি আমাদের বিশ্বাসের সাথে দ্বান্ধিক বলে আমার মনে হচ্ছে। দয়া করে আমাকে ভুল বুঝবেন না - আমি কবি ও না।
---------------------
কবে বলিবে 'লা ইলাহা'
সইবে কত আর অপমান,
বিবাদ বিষাদ ছেড়ে দিয়ে সব
গাহিবে কেবলী কোরানের গান।
হুংকার দিয়ে গর্জিবে কবে
সইবে কত আর অপমান,
বিবাদ বিষাদ ছেড়ে দিয়ে সব
গাহিবে কেবলি কোরানের গান।
"আল্লাহতে যার পূর্ণ ঈমান-
কোথা সে মুসলমান???"
অধর্ম বা গোড়ামী ছেড়ে-
শুদ্ধ হলে মুসলমান,
নয়া যমানার প্রভাত এসে-
আবার উড়াবে মুক্তি নিশান।
অভিমানি দ্বীনের দায়ীরা কোথায়
এখনও কি তোদের ভাঙ্গেনি ঘুম
কুলি মজুর শ্রমিক সবাই জেগেছে
ক্ষমতার প্রাসাদে পতনের ধুম।
দিশেহারা মন্ত্রী, মরিয়া পুলিশ
ফাঁসীর মঞ্চে দায়ী গাহিছে গান
শেকলে বন্দী গুলি খেয়ে ডরেনা
রাজপথে ত্যাগীরা নিয়েছে স্থান।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
চেয়ে দ্যাখ ঐ দায়ীরা লড়ে
রাজপথ কাঁপাতে ছেড়েছে ঘর
মিছিলে মিছিলে প্রকম্পিত দেশ
পথ খোঁজে পালাতে ক্ষমতাধর।
তুমিনা বলেছো ফিরবে আবারও
এখনও কি সময় হয়নি তোর
শহীদ মালেক এসেছে নিতে
চারিদিকে ভাসছে শহীদের সুর।
সিরিয়া ইরাক মিশর বার্মা
শুন ফিলিস্তিনীর আর্তনাদ
নারী শিশু কাঁদে, তবুও নির্বাক
মুসলিম নহে, তুই মুরতাদ!
অসাধারণ!!
তন্দ্রাচ্ছন্নতায় দেখি নীড় হারার ছবি
ভিখ মাঙ্গে বলে, দাও দু'মুটো ভাত,
ক্ষুধার জ্বালায আর সইতে পারিনাগো
কাটেনা যে আপোষের দু:সহ রাত।
কবে বলিবে 'লা ইলাহা'
সইবে কত আর অপমান,
এই লাইনটা একটু সংশোধন করে দিন।
দেখতে যাবে রওজা নবীর, স্বর্গালোকের আস্তানা,
নেই ভেদাভেদ মানুষ মাঝে, ভক্ত পাগল মাস্তানা।
রওজা নয়তো নুরের রাজ্য, সিজদায় নত আওলীয়া
চোখের জলে সওদা করে ,নুর নবীর সব দেউলিয়া।
কেউবা জপে, কেউবা কাঁদে, কেউবা করে গভীর ধ্যান
কেউবা ব্যস্ত তাসবীহ গুনে, কেউবা পড়ছে আল-কোরান ।
নুরের মাঝে হুরের মেলা, চোখ জুড়ানো নুর মহল
নবীর দর্শণ পাবার আশে, অশ্রু ঝরায় ভক্ত দল।
দিনে রাতে দেখতে নবী, ভীড় লেগে যায় রওজাতে
নেই চোখে ঘুম সাঙ্গ সবি, নবীর প্রেমের সওগাতে।
ভেতর বাহীর জলসা বসে, দিনে রাতে হয়না শেষ,
হাজার দেখায় মন ভরেনা, কাটেনা যে প্রেমের রেশ।
নবীর প্র্রেমে পাথর গলে, পাষান কেদে বুক ভাসায়,
প্রভুর পাগল নীড় ছেয়ে যায়, মদীনার নবীর মায়ায়।
এই কবি তু্ই কই ছিলিরে
কোথায় ছন্দের অগ্নী তেজ,
কাঁদেনা ক্যান কলম আজি
রক্তে ভাসে আমার দেশ?
জাগবি কবে শব্দ কান্নায়
করবে কলম আর্তনাদ,
বুকফাটা ঐ আওয়াজ হবে
ভন্ড রাজার সর্বনাশ।
বারুদ ঢেলে সাজাও আজি
ছন্দে লাভায় গাওনা গান,
লক্ষ যুবক রনসাজে
ছুটবে পেয়ে ছন্দে প্রাণ।
দুর্যোগে আজ জাগনা কবি
বিদ্রোহে ভাঙ্গ শৃঙ্খল,
উড়াও ঝান্ডা দেখনা ফিরে
রাজপথে বিদ্রোহের ঢল।
শহীদ মালেক আমির হামজার
মিছিলের আজ নেইকো শেষ,
নতুন সুর্য্যোদয়ে হাসে
আমার সোনার বাংলাদেশ।
বলছি মুখে মুসলমান,
মুরতাদ নই নাস্তিক ও নই,
অন্তরে মোর নাই ইমান।
আইন আমার তাগুত গড়া,
বন্ধু মানি আল্লাহ ছাড়া,
আসলে বিপদ নামাজ পড়ি,
আল্লাহ বলেন, একটু দাঁড়া৷
কোথায় দ্বীনের বিদ্রোহী আজ
কোথায় সেই বেলালের সুর,
কোথায় আলীর ক্ষিপ্রতা আজ
তাকের কোরআন বহু দুর?
কোথায় সেসব ঈমান আলী
কোথায় সেই কলেমার তেজ,
কোথায় তোজোদীপ্ত নেতা
ঘরছাড়া যে আমার দেশ?
সুদিন আসবে ফিরে,
রাখতে তাহারে ধরে,
প্রস্তুত হও মুসলমান।
অতীতে করেছি হেলা,
বুঝছি এখন ঠেলা,
আর নয় হেলা ফলা,
অন্তরে ধরো পোক্ত ইমান৷
একে একে গিয়েছে তারা,
আমরা ক জন ভোঁতা,
করিতে পারিনা কিছু,
শয়তান নিয়েছে পিছু,
মাঝে মাঝে মারে গুঁতা৷
সব কাল দূর করে আনব নতুন প্রভাত।
জেগে আছি নিয়ে দীপ্ত মশাল,
পাহাড় সম প্রতিরোধেও আমি বড় শান্ত
প্রতীক্ষা, উদয়ের একটি নতুন সোনালী সকাল।
ভেতরের বিক্ষুব্ধ গর্জনকে থেমে দেই বার বার
রুখে দেই ধেয়ে আসা উত্তাল ঢেউ,
ধুমড়ে আছড়ে পড়ে একের উপর আর এক
হিম্মত আছে কি রুখে দিতে কেউ?
আমি এখন কলমে বিস্ফোরিত হই
ফেটে পড়ি প্রতিবাদী কবিতার ছন্দে,
লেখনিতে তুলে আনি শোষনের নির্মমতা
বিদ্রোহ করি নির্যাতিতের আহাজারী বন্ধে।
******************************
তোমার স্বপ্ন পূরণ হবে-কিছু সময় লাগবে মাত্র
তোমার প্রয়ান জ্বেলে গেছে আলোর স্বপ্ন শিখা
যার দ্বায়ভার নিয়েছে তারুণ্যের জোয়ার
যে বীজ বপণ করেছ লাখো হৃদয়ে-তা আজ অঙ্কুরিত
বেড়ে উঠছে অদম্য সাহসে-কল্যাণী আহ্বানে
যাদের অন্তর মাঝে তুমি বেঁচে রবে আমরন
তোমার স্বপ্নের দুহাত দীর্ঘ্যতর হবে-দীগন্ত্য ছুঁতে
রশিকতার চ্ছলে কলে কৌশলে দিয়েছ ভালোবাসা-
ভালোবাসায় ভালোবাসায় শিখিয়েছ প্রভুর ভাষা,
আজ তোমার শিখানো ভাষায়-প্রতিবাদের আগুন জ্বলে
দলে দলে তারুণ্যের জোয়ার আজ-তাওহীদের ছায়াতলে
তুমি কলে কৌশলে চলে গেলে উর্দ্ধোলোকে-নয়া গন্তব্যে
রেখে গেলে একদল কল্যাণী ঝড়ো হাওয়া
যারা উল্টে দিবে তাগুতের ধূলির প্রাসাদ
মিথ্যার বুকের উপর দাড়াবে-তাওহীদি পতাকা হাতে
হাতে রবে ন্যায়ের তলোয়ার-যেখানে শান্তির বসবাস
তুমি চলে গেছো তারুণ্যের হৃদয়ে জ্বেলে গেছো-
দ্বীনের প্রজ্বোলীত মশাল-যার আলোয় আলোকিত তারুণ্য,
যে তারুণ্যের রক্তে লেখা হচ্ছে আগমীর ইতিহাস
তুমি চলে গেছো-দিয়ে গেছো আগামীর সুপ্রভাত
সালাম হে মহাবীর-মহা প্রস্থানেও তুমি মধ্যে মণি
তোমার দৃঢ় প্রত্যয়-ভেঙ্গে চুড়মার করেছে তাগুতের দম্ভ্য
দিশেহারা জালিম আজ মজলুমের রোশানলে
শুধু সময়ের ক্ষানিক বাকি-ধূলোয় মিশে যাবে-
তারুণ্যে ত্বাকবির ধ্বনিতে জালিমের সিংহাসন,
এই মাঁনচিত্রে আবারো বেঁজে উঠবে-তাওহীদের জয়োগান
তোমার স্বপ্নরা দলে দলে বুকে ধরবে-মোহাম্মদী আদর্শ
যে স্বপ্নের বাহনে চরে তুমি আজ-জান্নাতের সবুজ পাখি।
মন্তব্য করতে লগইন করুন