স্মৃতি বিজড়িত চুয়াল্লিশ দিনের ছুটি-২

লিখেছেন লিখেছেন প্রবাসী মজুমদার ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৩:২৫:১৯ দুপুর

আগের পর্ব দেখুন

দেশে যাবার সময় যেন প্রতীক্ষার প্রহর আর শেষ হয়না। তবুও কেন জানি অনাকাঙ্খিত সময় টেনে হিছড়ে আরও লম্বা হয়। মন মানে না। তবুও ভাল লাগে। আমি যাচ্ছি..। মনকে বুঝাই, দুর পাগল। এইত আর একটু। চুপ করে বসে থাক।

ভোর ৬টায় প্রবাস ছাড়ার কথা। রাতের সেহরী, ফজরের নামাজ সব মিলিয়ে এ সময়টিতে সৌদি এয়ারপোর্টে কর্মরত লোকগুলো হেলে দুলে আসে। দাঁড়িয়ে আছি। অনেক লম্বা লাইন। মুখে কারও কথা নেই। মলিন মুখে খালি একবার ডান পায়ের উপর। আর একবার বাম পায়ের উপর ভর করে বিরক্তির ভাব প্রকাশ করছে অনেকেই। একেবারেই নিঃশব্দ। ইমিগ্রেশন পার হবার জন্য নিথর নিঃশব্দে অপেক্ষা করা মানুষগুলো না দেখলে বুঝা যায়না এখানে কেউ আছে।

চট্রগ্রাম বিমান বন্দরে নেমেই এ বোবা মানুষগুলোকে বিস্ফোরিত হতে দেখে বিস্মিত হলাম। হাসলাম। কথ্য ভাষায় বিশ্রী গালাগালি। মনে হল অনেক দিন পর গালি গুলো চর্চার হিড়িক পড়েছে। কর্মরত কর্মচারী গুলোও অনেকটা বেহায়ার মত। ইচ্ছে করে বেধে দেয়া জটলা অনেকক্ষণ পর খুলল। কিন্তু এতক্ষণে ইফতারের সময় শেষ।

একদিন যাত্রা বিরতির পরই চট্রগ্রাম থেকে বাড়ীর উদ্দেশ্য রওয়ানা হলাম। সাথে তিন ভাইয়ের বউ পোলাপান, পুতের বউ মিলিয়ে বিরাট মিছিল। আহা। কি আনন্দ। অনেক বছর পর চার ভাই একসাথে বাড়ীতে ঈদ করবো। দারুণ উৎফুল্লতা নিয়ে ছুটে গেলাম গ্রামের বাড়ীতে।

বাচ্চাদের গ্রামের মানুষ ও মাটির সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্য ভাবছি কয়েকদিন থাকব। ছেলে ফাহীমকে নিয়ে যখন প্রথম বার দেশে গিয়েছিলাম, বাসে যাবার সময় রাস্তার দুধারে বন্যার পানি যেন থৈ থৈ করছিল। ছেলে জীবনে এ প্রথম এমন দৃশ্য অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে বলল,

- ও বাবা। বাংলাদেশে এত সুইমিং পোল আছে? বাহ। দারুণ তো!

সৌদি আরবে পুকুর বলতে সুইমিং পুল। আমাদের দেশের মত খোলা পুকুর নেই বলে। তাই ওর ধারণাটা এমন ছিল। আর এক বন্ধুর ছেলে জ্যান্ত গরু দেখে আনন্দে আত্মহারা হয়ে বলেই ফেলল,

- দ্যাখ দ্যাখ বাবা। ঐযে একটা কাঁচা গরু হেঁটে যাচ্ছে।

বাড়ীতে গিয়েই পুরুষ মহিলা মিলিয়ে ২০ জনের বিশাল টিম দৌড়ে ঝুপ করে একেবারে পুকুর পানিতে ঝাপ দিয়ে পড়লাম। অনেক দিনের পুরোনো কাঁদা গায়ে মেখে আনন্দ করলাম। লুঙ্গি দিয়ে ডিঙ্গী নৌকা বানিয়ে পুকুরের মাঝে দু ঘন্টা কাটালাম।

অনেক মানুষের পদভারে বাড়িটা যেন সতেজ হয়ে উঠল। দশটায় রাতের খাবার শেষ করেই উঠোনে বসে গেল পালা গানের আসর। অনেক বড় আয়োজন। দর্শকও অনেক।

বিদ্যুৎ নেই। খালি উঠোনে সবাই গেড়ে বসেছে। ঝাপসা অন্ধকার। গাছ গাছালীতে ভরা বাড়ীর দক্ষিন দিকের বাতাসে দারুণ একটা আমেজ তৈরী হয়েছে। এরি মধ্যে বাথরুম সিঙ্গারদের অনেকেই হাজির হয়ে গেল। কিন্তুু শুরুটা করবে কে?

যে কোন জায়গায় আমার মেয়ে তাসনিয়াকে দিয়েই গানের যাত্রা শুরু করি। কারণ এ ব্যাপারে ওর মাঝে জড়তা একেবারেই কম। বলার দেরি। শুরু করতে দেরী হয়না। ছোট বেলায় ওকে গান গাইতে বললে না বলা পর্যন্ত ওর গান বন্ধ হতো না। নন ষ্টপ সিঙ্গার। এখন এমনটি না হলেও ওকে দিয়ে শুরু করাটা সহজ হয়।

ছোট বেলায় গ্রামের মেঠো পথে ছাগল চরাইতে গিয়ে মুলত আমার গানের চর্চা। প্রত্যেক সমাপনি পরীক্ষার পর বাঁশী নিয়ে সুর তুলতাম রাস্তার ব্রিজের উপর বসে। নিজের মাঝেই মিছে প্রেমের হাবুডুবু খেতে খেতে সুর তুলতাম। ইথারে ভেসে ভেসে অনেক দুর চলে যেতো বাঁশিতে তোলা সেই করুন কান্না। মেঝ ভাই হতে শেখা এ বাঁশীঁ ছিল এক সময় বড়ই আপন। কিন্তু শহরে এসে জায়গার অভাবে আস্তে আস্তে হয়ে গেলাম বাথরুম সিঙ্গার। বাঁশী আর বাজানো হলনা।

ব্যচেলার থাকাবস্থায় জেদ্দায়ও বসত গানের আসর। ফ্যামেলী আনার পর নিজেদের মাঝেই গড়ে তুলেছি শিল্পী গোষ্ঠী। জেদ্দার বাসায় আমি কখনও বাথরুমে গানের টান দিলে ড্রইং রুম হতে মেয়ে তাসনিয়া সুর তোলে। অন্যরুম হতে ছেলে ফাহীমের কন্ঠে যোগ হয় সুর। ফিনিশিং এর জন্য ভেতর থেকে শুরু হয় ম্যাডামের কন্ঠে লীড। অবশেষে বাথরুমে ধরা গানটি কোরাশ সঙ্গীতের মুর্চনায় বেজে উঠে পুরো ঘর জুড়ে। এভাবেই রুদ্ধ দ্বার চর্চার মাধ্যমে আমাদের নিজস্ব "বাথরুম ব্যান্ড সঙ্গীত শিল্পী গোষ্ঠী" তিল তিল করে গড়ে উঠেছে।

প্রতিবারই ছুটিতে যাবার পর অবসর সময়গুলোকে প্রাণবন্ত করে তোলার জন্য বাথরুম ব্যান্ড শিল্পীরা আনন্দের ছাপ রেখে আসে। এবারও তাই হল।

বড় ভাইয়ের চার ছেলে। সবাই মোটামুটি গাইতে পারে। সৌদি আরব হতে আগত অতিথি ব্যান্ড শিল্পীদের পাশাপশি যোগ হয়েছে পাশের বাড়ীর দু চাচাত ভাই্। ওরা যে এতটুকু মন খুলে গাইবে বুঝতেই পারিনি। উপরত্ন মেম্বার হানিফ ভাই ছিল বাড়তি আকর্ষন। ওর গান আর কথা নিয়ে দারুণ ভাবে জমে উঠত এ আসর। অন্ধকারে হঠাৎ করে অট্রহাসি শুণে মনে হত, এ যেন কালজয়ী শিল্পীদের আসর বসেছে।

তবলায় হান্ডি, পাতিলা আর ভাতের বল সবই আনা হয়েছে। রঙ্গ বে রঙ্গের তাল তুলেছিল ফাহীম ,হান্নান আর পারভেজ। মেম্বার হানিফ ভাই হাতের মটকায় আওয়াজ তুলে মাথা নেড়ে নেড়ে গানে দোহাজারী ধরে।

আসরটিকে প্রাণবন্ত করে তোলার জন্য শিল্পীদের দু'গ্রুপে ভাগ করে প্রতিযোগিতা শুরু করেছি। এক গ্রুপে একটি গান গাওয়ার পর অন্য গ্রুপের পালা। যে কোন গান গাইলেই হল। আনন্দময়ী এ পালা গানের আসরে ভাবিরা সেচ্ছায় প্রণোদিত হয়ে বার বার চা আপ্যায়ন করার মাধ্যমে এসব অতিথি শিল্পীদের উৎসাহ দিতে কার্পন্যবোধ করেনি।

অন্ধকারে গান গাওয়ার আর একটি সুবিধে হল, এতে শিল্পীরা লজ্জা কম পায়। আসরের শুরুতে শিল্পীদের মাঝে কিছুটা জড়তা থাকলেও অবশেষে প্রতিযোগিতায় নিজেদের টিকিয়ে রাখার জন্য আর অনুরোধ করতে হয়নি।

চলবে

বিষয়: বিবিধ

১৫৭৮ বার পঠিত, ৪৮ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

263642
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:৩৩
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : ছোট বেলায় গ্রামের মেঠো পথে ছাগল চরাইতে গিয়ে মুলত আমার গানের চর্চা। প্রত্যেক সমাপনি পরীক্ষার পর বাঁশী নিয়ে সুর তুলতাম রাস্তার ব্রিজের উপর বসে। নিজের মাঝেই মিছে প্রেমের হাবুডুবু খেতে খেতে সুর তুলতাম। ইথারে ভেসে ভেসে অনেক দুর চলে যেতো বাঁশিতে তোলা সেই করুন কান্না। মেঝ ভাই হতে শেখা এ বাঁশীঁ ছিল এক সময় বড়ই আপন। কিন্তু শহরে এসে জায়গার অভাবে আস্তে আস্তে হয়ে গেলাম বাথরুম সিঙ্গার। বাঁশী আর বাজানো হলনা।

সুন্দর অনুভুতির কথা জানতে পেরে ভাল লাগল। আমার এলাকাতে বেয়াল্লিশ দিন থাকার কথা কল্পনাও করা যায় ন। সরকারী দলের নাতি পুত্রদের অত্যাচারে পালাতে হবে। অনেক ধন্যবাদ।
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:১০
207283
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : পড়ে খুব সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ। নাতি পুতিদের অত্যাচার এখানেও আছে। দেখে দেখে মনে কষ্ট পেয়েছি। ফেরারী আসামী অনেকেই। দিনের বেলায় দেখা গেলেও রাতে ঘরে ঘুমায়না।
263643
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:৩৩
সুশীল লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:১১
207284
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : ধন্যবাদ আপনাকে। এত ব্যস্ততার মাঝেও আপনি মন্তব্য রেখে যান বলে সত্যিই মোবারকবাদ। ব্লগ নেশা বড়ই অতৃপ্ত।
263656
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:০০
মামুন লিখেছেন : খুব ভালো লাগল।
অনেক দিন পর নিজ দেশে এসে অতি স্বাভাবিক জিনিসগুলো আপনার চোখে যে মায়ায় মায়ায় জর্জরিত হয়ে হৃদয়ের প্রকোষ্ঠে আবেগে মথিত হয়েছে, লেখার প্রতিটি পরতে পরতে সেই মায়া এবং ভালোবাসাকে অনুভব করলাম।
অনেক ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছা রইলো আপনার জন্য। Rose Rose Rose Good Luck
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:১৩
207285
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : মেতে থাকতে খুব ভাল লাগে। তাই অবসর সময়কে এভাবে কেটে উজ্জীবিত হই। অবসরে ড্রইং করি। নিজে নিজে গাই। ধন্যবাদ আপনাকে।
263664
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:২৫
গ্যাঞ্জাম খানের খোলা চিঠি লিখেছেন : "বাথরুম ব্যান্ড সঙ্গীত শিল্পী গোষ্ঠী"
আমাগো এলাকার এমনই একজন প্রতিথযষা শিল্পী। হেতিনি গ্রামীন টয়লেটে ডুকলে দরজার হুক লাগানোর দরকার হতো না। অনেক দূর থেইক্যা হেতের গানের আওয়াজ হুনা যেত। ফলে ঐদিকে আর কেউ যাওয়ার নিয়ত করতো না।
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:১৪
207287
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : হাহা। দারুণ আইডিয়া। ভাল লাগল। এসব প্রাকৃতিক শিল্পীরা বিনা মুল্য গেয়ে জাতি ও জনগনকে আনন্দ দেয়ার পাশাপাশি নিজেও উপভোগ করে জীবনকে। ধন্যবাদ।
263670
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:৩৯
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : সরকার এত বেশী কারেন্ট উৎপাদন করলো। গেল কোথায়?
আপনার সেই পারিবারিক গানের আসরে কুইক রেন্টালের কারেন্ট হলে ভাল হত।
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:১৫
207288
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : বিদ্যুৎ নয় মশকারি। কিছু করার নেই। আমি বন্দী কারাগারে। আছিগো মা বিপদে... ধন্যবাদ ওস্তাদকে।
263671
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:৪৩
আমজনতার কথা লিখেছেন : আপনি তো বেশ রসিক মানুষ। আজকাল এমন দিলখোলা রসিক মানুষ মেলা ভার।
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:১৬
207289
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : নিজেকে উজ্জীবিত রাখার মাঝে দারুণ এক অনুভুতি আর আনন্দ কাজ করে। পজেটিভ থাকাটা বড় কষ্ট। তাই নিজের অবস্থানকে সজীব করে তোলার প্রচেষ্টা মাত্র। ধন্যবাদ।
263672
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:৫০
প্রেসিডেন্ট লিখেছেন : আগামীতে দেশে আসলে আমাকে দাওয়াত দিবেন। গায়ক হিসেবে বাথরুম সিঙ্গার হলেও আবৃতি ভাল পারি। নিজের ঢোল নিজেই পিটাইলাম। Angel Angel Angel Rose Rose Rose Rose
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:১৭
207290
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : ভাল লাগল আপনার অজানা গুণটি জেনে। কোন এক সময় ব্রগাররা মিলে এমন একটা কিছু করলে মন্দ নয়। এতে মনটা হালকা হওয়ার পাশাপাশি আন্তরিকতা অনেক বেড়ে যায়। ধন্যবাদ।
263673
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:৫২
প্রেসিডেন্ট লিখেছেন : ও বাবা। বাংলাদেশে এত সুইমিং পোল আছে? বাহ। দারুণ তো! Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Thumbs Up Thumbs Up Thumbs Up
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:১৮
207291
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : হাহা। আসলে বাচ্চােদের থেকেও অনেক সময় অনেক কিছু শেখা যায়। একদিন আকাশে বিজলী চমকানোতে কোলের শিশুটি বলেই ফেলল, এই বাবা। দ্যাখো। আকাশ আমার ছবি তুলছে কেন?
263707
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:০৬
আবু সাইফ লিখেছেন : বাথরুমে গানের টান দিলে>

ড্রইং রুম হতে মেয়ে তাসনিয়া সুর তোলে।

অন্যরুম হতে ছেলে ফাহীমের কন্ঠে যোগ হয় সুর।

ফিনিশিং এর জন্য ভেতর থেকে শুরু হয় ম্যাডামের কন্ঠে লীড।

অবশেষে বাথরুমে ধরা গানটি কোরাশ সঙ্গীতের মুর্চনায় বেজে উঠে পুরো ঘর জুড়ে।

এভাবেই রুদ্ধ দ্বার চর্চার মাধ্যমে আমাদের নিজস্ব "বাথরুম ব্যান্ড সঙ্গীত শিল্পী গোষ্ঠী"


এটাকে এখন প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানী করে ফেলুন-

আর জেদ্দায় হোক উদ্বোধনী শো.
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:১৯
207292
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : হাহা। চলুন। এমনও একসময় আসবে যখন ব্লগাররা জেদ্দায় নাটক করবে। এটি আমার আত্মবিশ্বাস। অমুলক কিছু নয়।

ধন্যবাদ পড়ে মন্তব্য রেখে যাবার জন্য।
১০
263738
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:২১
আবু ফারিহা লিখেছেন : "বাথরুম ব্যান্ড সঙ্গীত শিল্পী গোষ্ঠী"
দারুণ নামটি চয়েজ করেছেন। ভালো লাগলো।
১১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১০:৩১
207428
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : হাহা। ধন্যবাদ মন্তব্য রেখে যাবার জন্য।
১১
263740
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:২৩
আবু নাইম লিখেছেন : ছোট বেলায় ওকে গান গাইতে বললে না বলা পর্যন্ত ওর গান বন্ধ হতো না। নন ষ্টপ সিঙ্গার

খুবই ভাল লাগল। চালিয়ে যান দেরী কইরেন না।
১১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১০:৩২
207430
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : আহ। সব জীবন্ত স্মৃতিই যেন মধুর ও স্মরণীয়। ধন্যবাদ পড়ে মন্তব্য রেখে যাবার জন্য।
১২
263741
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:২৬
শেখের পোলা লিখেছেন : কলমের যাদু একেই বলে৷ বিষয় যাই হোক, রস খাজা হবেই৷ নতুন আর এক সাইড আবিষ্কার হল৷ বাকী সব কথা ঝটপট লিখে ফেলুন৷ধন্যবাদ৷
১১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১০:৩৩
207431
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : জীবনবোধ আর দৃস্টিভঙ্গী নির্ভর করে কোন বিষয়কে কিভাবে রসালো করে তুলবেন। চেস্টা করেছি মাত্র। ধন্যবাদ ভূয়সী প্রশংসা দিয়ে মন্তব্য করার জন্য।
১৩
263801
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৯:৪১
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : দেশটাই এখন প্রায় সুইমিংপুল। আর কাঁচা গরু তো বটেই কাঁচা মানুষ ও আছে!!!!
বিদ্যুত বিভ্রাট আপনাদের ব্যান্ড তৈরিতে উৎসাহিত করল। তবে গানের ঠেলায় কেউ যেন তা band করার দাবি না জানায়!!!
১১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১০:৩৪
207432
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : সত্যি কথা বলতে কি আপনি যদি কোন পরিবেশকে আনন্দ ঘন করতে যান তা এমনিতেই হয়ে যায়। স্মৃতিগুলো মধুর হয়ে উঠে। ধন্যবাদ কোডিং মন্তব্যর জন্য।
১৪
263814
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ১১:৫৮
আফরা লিখেছেন : আপনি ভাল সাহিত্যিক রসিক ও বটে । খুবই ভাল লাগছে ।
১১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১০:৩৪
207433
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : ধন্যবাদ ভূয়সী প্রশংসা দিয়ে মন্তব্য রেখে যাবার জন্য।
১৫
263871
১১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ০৮:৫৭
ইমরান ভাই লিখেছেন : পরিবারের কাছে ফিরে আসার যে কি আনন্দ তা যে পরিবারথেকে দুরে না থাকে সে বুঝবে না।
আল্লাহ আপনাকে ও আপনার পরিবারকে ভালোরাখুন প্রবাসী সরি Time Out দেশি ভাই। Day Dreaming
১১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১০:৩৫
207435
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : এজন্যই বলি জীবনকে জানতে হলে সব সময় চ্যাকা খেতে হবে। অনুভব করতে হবে। চ্যাকাকে হতাশায় পরিণত না করে গঠনমুলক ভাবনা পরিণত করেলে সবকিছু থেকেই শেখা যায়। ধন্যবাদ আপনাকে।
১১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১০:৪১
207438
ইমরান ভাই লিখেছেন : পড়িবার থেকে অনেক দুরে ছিলাম অনেক দিন তাই আপনার কষ্টটা অনুভব করতে পারতেছি Happy
১৬
264040
১১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৫:৫৫
বুড়া মিয়া লিখেছেন : পরের পর্বে আপনার আনন্দের আরও স্মৃতি জানার অপেক্ষায় রইলাম ...
২১ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:৪৪
239676
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : বিভিন্ন সমস্যার কারণে অভিজ্ঞতাগুলো আর লিখা হলনা। আপনি কি মনে করেন এটি শুরু করলে ভাল হয়। ধন্যবাদ। দেরীতে উত্তর দেয়ার জন্য দুু"খিত।
১৭
264105
১১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৯:৫৮
সজল আহমেদ লিখেছেন : দেশের এই চৌচল্লিশটা দিন আপনার দীর্ঘ প্রবাশ কে কুড়ে কুড়ে খাবে ।
২১ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:৪৫
239677
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : সত্যি কথাটাই বলেছেন। তবে দেরীতে উত্তর দেয়ার জন্য দু:খিত।
১৮
264110
১১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ১০:১৭
নিশা৩ লিখেছেন : ভালই লাগল বাচ্চাদের অবুঝ কিন্ত দারুন মন্তব্য গুলো। সামনের পর্বের অপেক্ষায়। Good Luck
২১ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:৪৫
239678
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ এ আড্ডায় এসে মন্তব্য রেখে যাবার জন্য।
১৯
264129
১১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ১০:৫১
মহি১১মাসুম লিখেছেন : ভালো লাগলো ।
ধন্যবাদ ।
২১ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:৪৫
239679
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : ভাল লাগা রেখে যাবার জন্য ধনবাদ।
২০
264310
১২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:৩৭
আবু আশফাক লিখেছেন : তাইতো বলি! ৪২ দিন এতো তারাতারি শেষ হলো কেমনে? আসলে যে এভাবে চলতে থাকবে তা কি আর জানা ছিল?
যে যাই হোক, আমিও বাথরুম সিঙ্গার হিসেবে খারাপ যাই না!! তাই ভাবছি আপনার দেয়া অসাধাণর নামের শিল্পীগোষ্ঠীর নামেই একটি শিল্পীগোষ্ঠী গড়ে তুলবো।
''বাথরুম ব্যান্ড সঙ্গীত শিল্পী গোষ্ঠী"
২১ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:৪৬
239680
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : হাহা। দারুন মন্তব্য আপনার। খুব ভাল লেগেছে।
২১ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:৪৫
239779
আবু আশফাক লিখেছেন : যাক, মাস চারেক পরে তাও যে সময় পেলেন, এজন্য ধ ন্য বা দ..............
২১
264801
১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ০৫:৩৩
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : আনন্দময় ভ্রমণ কাহিনী। পিচ্চিগুলার অবুঝ মন্তব্যগুলো ভাল লাগল Star Rose
২১ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:৪৬
239681
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : ধন্যবাদ পড়ে অনুভুতিপুর্ন মন্তব্য রেখে যাবার জন্য।
২২
265868
১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৫:৪৭
সালমা লিখেছেন : আপনার ৪২ দিনের সুন্দর অনুভুতির কথা জানতে পেরে ভাল লাগল। আমিও গত মাতে ১৫দিনের জন্য গিয়েছিলাম,কিন্তু পানির কারণে অনেক কষ্ট পেয়েছি। ধন্যবাদ আপনাকে।
২১ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:৪৭
239682
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : ধন্যবাদ। জেনে খুব ভাল লাগল।
২৩
268672
২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:২৭
জোবাইর চৌধুরী লিখেছেন : দারুন নামতো, "বাথরুম ব্যান্ড সঙ্গীত শিল্পী গোষ্ঠী"
চালিয়ে যান,শব্দে নিঃশব্দে সাথে আছি।
২১ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:৪৭
239683
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : হাহা। আমরা সবাই কিন্তু পদাধিকার বলে এ ব্যান্ড গোষ্ঠীর সদস্য। ধন্যবাদ জুবায়ের ভাই।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File