মাহে রমজানে সবাইকে স্বাগতম!
লিখেছেন লিখেছেন প্রবাসী মজুমদার ২৯ জুন, ২০১৪, ০৬:১৪:২৬ সন্ধ্যা
এসেছে রমজান সাজিয়ে গগন
নেমেছে ধরায় আষাঢ় ও শ্রাবণ,
ধুয়ে মুছে যেতে জীবনের গ্লানি
সিয়াম সাধনায় গড়িতে জীবন।
ভেঙ্গে দিয়ে সব জটের অনিয়ম
শৃঙ্খলে আবার বাঁধিব নিজেকে
সকাল বিকেল নিশীথে জেগে
সেজদায় লুটাব প্রভুর বিধিতে।
খূলে দাও তোমার আকাশ দ্বার
ভরে দাও ধরার পাতাল জমিন,
শুধিতে তোমার করে নাও মোকে
রোজায় যেন পাই পরপারে জামিন।
রাহমাত,মাগফেরাত আর নাজাতের সওগাত নিয়ে আবারও শুরু হয়েছে নিজেকে পরিশুদ্ধি করার মাসিক কর্মশালা - মাহে রমজান। সিয়াম সাধনার এক কঠিন অনুশীলনের মধ্য দিয়ে নিজেকে আবারও প্রস্তুত করার এ শুভ যাত্রায় সবাইকে মাহে রমজানের শুভেচ্ছা।
ফেলে আসা জীবনে 'মাহে রমজানের' এ প্রশিক্ষণ অসংখ্যবার পেলেও এর শিক্ষা, উদ্দেশ্য এবং অভিষ্ট লক্ষ্য যেন বরাবরের মতই 'তাঁকে বন্দী কোরানের' মত অনাদর আর অবহেলার গেলাপে যতন করে রেখে দিয়েছি । রমজানের পুর্বে রেখে আসা কু-অভ্যাস গুলোই বার বার লালন করা যেন জাতিগত অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। শিক্ষা বিমুখ মানুষের মতই নিজেকে মিছে উপোস রেখে যেন আল্লাহর কাছে নিজেকেই তামাশায় পরিণত করেছি।
নীতি নৈতিকতাহীন স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুব্ধ আজ আমরা যেন ধেয়ে আসা উলঙ্গ সভ্যতার সংস্কৃতির হিংস্র স্রোতে ভেসে চলেছি কোন এক অজানার দিকে। তীর হারা জাহেলিয়াতের এ ঢেউয়ের সাগর পাড়ি দিতে গিয়ে যেন নিজেদের গন্তব্যকে হারিয়ে ফেলেছি জনমের মত।
সৌর্য বীর্য আর খ্যাতিতে কালজয়ী ইতিহাস সৃষ্টিকারী স্রষ্টার অকুতভয় সেই দুঃসাহসী মানুষগুলোর ঈর্ষণীয় কৃতিত্বের দাবীদার এ 'রমজান' হোক আমাদের সীসা ঢালা প্রাচীর সম চরিত্র গড়ার অঙ্গীকার। সত্যর পতাকা উড্ডয়নে প্রতিটি নির্যাতিত মুসলমান হোক হিমালয় পাহাড় সম ঈমানের মুর্ত প্রতীক। বরফ গলা সমুদ্রের নোনা পানিতে ধূয়ে মুছে যাক সব অতীতের গ্লানি। আল্লাহর দ্বীনকে বুকে ধারণ করার মাধ্যমে প্রতিটি হৃদয় হোক প্রশান্ত মহাসাগরের মত উদার। আখেরাতে জান্নাতের প্লট এবং ফ্লাট পাওয়ার প্রত্যাশায় দুনিয়ার প্রতিটি জনপদ হোক দায়ীদের একচ্ছত্র বিচরণ ভূমি। কাবার মিনার থেকে ভেসে আসা আজান ইথারে ভেসে ভেসে আঘাত হানুক প্রতিটি ঘুমন্ত নামধারী আর অবিশ্বাসীর কর্ণকুহরে। আকাশ বাসীদের পদচারণায় বছরের প্রতি মাস হোক মাহে রমজানের মত বরকতময়।
...আর ব্লগ পাগল প্রতিটি সত্যর মশালে যোগ দেয়া ব্লগারের শানিত কলমে তৈরী হোক আগামী প্রজন্মের জন্য যুগান্তকারী মহাকাব্য। কলমের কালিতে উগলে দেয়া প্রতিটি শব্দ হিরোশিমা আর নাগাসাকির মত
অবিশ্বাসীদের বিদ্রোহী মনকে জ্বালিয়ে দিয়ে তৈরী হোক ভ্রাতৃত্ব বোধ আর সহমর্মিতায় ভরা এক নতুন বিশ্ব - এ প্রত্যাশায়
প্রবাসী মজুমদার
জেদ্দা, সৌদি আরব।
বিষয়: বিবিধ
১৬৭৯ বার পঠিত, ৬৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সেজদায় লুটাব প্রভুর বিধিতে।
অবিশ্বাসীদের বিদ্রোহী মনকে জ্বালিয়ে দিয়ে তৈরী হোক ভ্রাতৃত্ব বোধ আর সহমর্মিতায় ভরা এক নতুন বিশ্ব - এ প্রত্যাশায়
তাই যেন হয়।
কোনো দিকে আলো নেই, চারিদিকে ঘিরেছে আঁধার
পথ নেই মুক্তি পাবার
তবুও চলতে হবে, সামনে যেতেই হবে
পথ নেই মুক্তি পাবার
নিশীথ রাতে এক স্বপ্নে সেদিন...
হাতছানি দিয়ে কে বললো আমায়
আয় ফিরে আয়, নবীর পথে আয়
এসো হেথা নির্ভয়, নিঃসংশয়;
ভালোবাসা মিশে আছে এই আঙিনায়..
তবে রমজানে ছুটি নেবো। ইনশাআল্লাহ
টুডে ব্লগের ব্লগার বৃন্দ।
জাজাকাল্লাহ খাইরান।
পিলাচ খুব ভালো লাগলো।
শুভেচ্ছান্তে ধন্যবাদ।
আমি কিন্তু মনের কথাটাই বলেছি। ঐ যে, বউয়ের সাথে অভিমান, আবার উকি দিয়ে ইনিয়ে বিনিয়ে দেখার লোভ সংবরণ করতে না পেরে অবশেষে চোখে চোখে পড়ে অট্রহাসি। হিছামার! তোমারে না দেখে অ্যাই থাইকতাম হাইত্তান্ন। এটাই প্রকৃত ভালবাসার রুপ।
ভরে দাও ধরার পাতাল জমিন,
শুধিতে তোমার করে নাও মোকে
রোজায় যেন পাই পরপারে জামিন।
আমার মনের কথা গুলোকে সাজাতে পারছিলাম না কোনভাবেই। আজ দেখি আপনার ব্লগে ঠিক আমার কথাগুলো জায়গা করে নিয়েছে। ধন্যবাদ ভাই, রমযান মোবারক।
ভাই এই নিন
নিশিতে জেগে
সিজদাহ লুটাব প্রভুর বিধিতে ।
সুন্দর এই অনুভূতিটা বার মাস লালন করতে চাই ।
রোজা মানুষের দৈহিক, আত্মিক, নৈতিক, পারিবারিক, সামাজিক এমনকি রাষ্ট্রীয়ভাবেও পরিশুদ্ধির একটা উত্তম পন্থা যা বার মাসি বছরের একমাস সময় একটা ট্রিনিং পিরিয়ড হিসেবে কাজ করে। এই ট্রেনিং থেকে বাকী এগার মাস যদি শিক্ষনীয় বিষয়গুলো মানব জীবনে চর্চা করে তবে একজন মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় অনেক বাস্তব সমস্যাকে পাশ কাটিয়ে সহজ পথে পরিচালিত করা যেতে পারে।
অবিশ্বাসীদের বিদ্রোহী মনকে জ্বালিয়ে দিয়ে তৈরী হোক ভ্রাতৃত্ব বোধ আর সহমর্মিতায় ভরা এক নতুন বিশ্ব - এ প্রত্যাশায়
আপনার প্রত্যাশা পুরন হউক এবং আপনি ব্লগারদেরকে যেভাবে আহবান করেছেন তা যেন প্রতিটি ব্লগার গতে পারে এই দোয়া করি।
ধন্যবাদ।
***********************
কিছুকাল পরবাসে থেকেছি দেখেছি
রমজান মানে উদারতা সহসশীলতা
ব্যাবসায় বেশি দেওয়ার মনমানসিকতা
প্রানখুলে ইফতারিতে মেহমানদারিতা
যা ভুলতে পারিনা ভুলার নয় এই জন্মে
পক্ষান্তরে আমার সোনার বাংলাদেশে-
বীরের বেসে উচ্চমূল্য উচ্চতা ছুঁয়ে যায়
উম্মোখত বাজারে ভেজালের জালে-
রোজাদার আটকায়,
রোজা নিয়ে রাজনীতি ফন্দিবাজি-
নির্লজ্যের মতো
রোজা এলে ইয়াতিমদের কোলে তুলে-
রোজা শেষ ইয়াতিমের মাল হরনের মামলায় হাজিরা-বিচিত্র মনন!!!
মজুমদার ভাইয়ের কবিতার প্রতিটি লাইন-
বিকৃত হয় এই দেশে রোজা রমজানে
হাজী হজ্ব করে ঢোঁল পিটিয়ে আমি আল-হাজ্ব
ধনী জাকাতের কাপড় বিলায় পত্রিকায় হেডলাইন হয় এতোজন পদধলিদ...???
রোজায় তারাবির তিলায়াত আরো বিচিত্র রোদন
কে কত দ্রুত ফুলসিরাত পারাবে ইঁদুর দৌড়!!!
এই কি রোজার মূল মন্ত্র....???মজুমদার ভাইয়ের কবিতা পড়লেই আবেগে আপ্লুত হয়ে যাই কি মন্তব্য করবো ভেবে পাইনা... অনেক ধন্যবাদ ভাই।
কত কথা জমে আছে গো বন্ধু...
কত কৈফিয়ত!কত প্রশ্নের জবাব!!!
তুমি আমায় চিনতে পারোনি বোধ করি
বেশ কয়েকবার কথা হয়েছে ইথারে বছর ২ হলো বোধ করি।
গোপন বার্তায় কত আবেগ আর ভালোবাসা
বিনিময় হয়েছে দু'জনে।
আমায় নিয়ে লিখেছিলে একদিন অসাধারন কাব্য
হুম! বন্ধু অনেক কথা জমে আছে প্রানে।
দু'বছর প্রতিক্ষায় আছি....
মুখোমুখি কথা হবে বলে
তুমি কি এসেছো বন্ধু, লাল সবুজের বাংলায় ????....
সাহিত্য প্রেমির প্রেম কি হয় শেষ,
আসছি আগামী ২৩ শে জুলাই
ঘুরে বেড়াতে আমার সোনার বাংলাদেশ।
ধন্যবাদ। অনেকদিন পর দেখে ভাল লাগল। বাস্তবে দেখে আরও ভাল লাগবে।
কথা হবে ইনশাল্লাহ। ধন্যবাদ জনাব কবি শহীদুল ইসলাম
স্বাধীন মানুষেরা আজ বন্দীশালায় বন্দী
বাক স্বাধীনতা কবেই গেছে,
দেশ আজ শংকায় কাতর
আর কতদিন ফেরার হয়ে রবে পরিবারের পুরুষ ,
যুবক – কিশোরেরা
নয়মাস কেটে পাঁচ বছর পার হয়ে গেলো –
আর কত ধৈর্যের পরীক্ষা …?
খুব ভাল লাগলো মজুমদার ভাই
আপনার লেখার তুলনা নাই !
তাক্বাব্বাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকুম।
মন্তব্য করতে লগইন করুন