ফরমালিনে সর্বনাশ!
লিখেছেন লিখেছেন প্রবাসী মজুমদার ১৭ জুন, ২০১৪, ০৯:৪৪:৪৮ রাত
লাগবেনা আর মিছে দাওয়াত
আসবোনা আর সেই গাঁয়ে,
ফরমালিনের খাওয়া খেয়ে
সইবে না গো মোর গাঁয়ে।
চোখ ধাঁধানো ফল চাহিনা
চাইনা লোভের তাজা মাছ,
ভোজন লোভে মরণ ফাঁদে
ফিরবো না ঘর হয়ে লাশ।
পারবে দিতে ওজুর পানি
কাঠের খড়ম দিতে পায়,
নদীর বুকে নায় ছড়িয়ে
নিতে তোদের প্রিয় গাঁয়?
পারবে দিতে নিজ ফসলের
সব্জি ইলিশ পান্তা ভাত.
শীতল পাটির বিছান পেতে
কাটিয়ে দিতে সারা রাত?
পারবে দিতে চাঁদনী রাতে
পালা গানের সেই আসর,
হাসি কান্নায় গল্পে মাতবে
গায়ের কৃষক, নর-নাগর?
পারবে দিতে কোরোসিনের
হারিকেন আর মোম বাতি,
বিদ্যুত বিহীন সেই যুগে মোর
ছিল না যে কম খ্যাতি?
সেই খ্যাতিতে সুনাম ছিল
ছিল কুল আর বংশ জাত,
ফরমালিনের দাওয়াত খাইয়ে
করিসনে মোর সর্বনাশ!!!!!!!!
বিষয়: বিবিধ
১৬৮৭ বার পঠিত, ৭০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ফরমালিনের নেইকো ভয়,
বিষ খেলেও অভাগাদের
জীবনের হয় না ক্ষয়.
অথচ ১০ বছর আগেও এমনটি ভাবতামনা আমরা।
ফরমালিন যুক্ত খাবার খেতে খেতে অভ্যস্ত আমরা এখন বরং ফ্রেশ জিনিস খেয়েই অসুস্থ হয়ে পড়বো।
বছর খানিক আগেকার কথা। আমার এক পরিচিত লোক বাজার থেকে একটি রুই মাছ কিনে বাসায় রেখে গেলেন। ইতিমধ্যে ভুয়া যথা সময়ে না আসার কারণে মাছটি রান্না করা হয়নি। একই সময়ে হঠাৎ বাড়ী থেকে ফোন আসার কারণে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে জরুরী বিত্তিতে বাড়ী যেতে হলো। বাসার চাবি ভুয়ার হাতে না থাকার কারণে মাছটিও আর রান্না করা হলো না। চারদিন পর বাড়ী থেকে ফেরত আসার পর মাছটি যে অবস্থায় রেখেছিলেন সে অবস্থাতেই একদম অক্ষত আছে, কোন ধরনের পোকা মাকড়ের আক্রমণ ছাড়াই রয়েছে। সামান্য দূর্গন্ধ পর্যন্ত বের হলো না! অথচ পাঁচ বছর আগেও আমরা বাজারে মাছ কিনতে গেলে কোন কোন মাছ ব্যাপারির মাছ দিয়ে পচাঁ দুর্গন্ধ বের হতো। এটা হচ্ছে সংশ্লিষ্ট ব্যাপারি মাছে কোন ধরনের ভেজাল না করার কারণে তার মাছ ধীরে ধীরে পচা শুরু হয়েছে। কিন্তু এখন পচাঁ মাছ চোখেই পড়ে না। সব মাছই তরুতাজা!!
আর কাচাঁ শব্জি এবং ফল মুলের কথা কি বলবো? বর্তমান চলছে আমের মৌসুম। আগেকার আম ব্যাপারির টুকরির নিচে অনেক গরীব গ্রাহকের জন্য অর্ধ পচাঁ আম থাকতো তাদের ক্রয় সীমার মধ্যে। আর এখন সব আমই তরুজাতা চকচকে একদম ফ্রেশ! কোন আমই পচাঁ নেই!!!
ফরমালিন যুক্ত খাবার খেতে আমরা অভ্যস্ত হয়েছি ঠিকই কিন্তু এর ফলে মানুষ কি পরিমাণ জঠিল রুগে আক্রান্ত হচ্ছে তা নিয়ে কোন সংস্থা গবেষণা বা জরিপ পরিচালনা করেনি। তাই সঠিকভাবে দাবী করা যাচ্ছে না আমরা আসলে ফরমালিনযুক্ত খাবার খেয়ে সুস্থ থাকছি নাকি না খেয়েই সুস্থ্য থাকছি।
আর ফরমালিনের সাথে আমাদের ভালভাবে পরিচয় হয় ম্যাজিস্ট্রেট রোকনুদ্দৌলা যখন ভেজাল বিরোধী অভিযান করছিলেন তখন । তার সাথে চট্টগ্রামের একজন মহিলা ম্যাজিস্ট্রেট সহ বেশ কয়েকজন সে সময়ে খুব নাম করেছিলেন । তাদের মাধ্যমে মানুষ এসব হিডেন জিনিস জানতে পারে এবং খুব অবাক হয়ে যায় কি খাচ্ছি ভেবে। এদের মধ্যে রোকন সাহেব ইনিশিয়েটিভ নিয়ে ফরমালিন কিট আনিয়েছিলেন থাইল্যান্ড থেকে । পরে সাইন্স ল্যাবরেটরী বাংলাদেশে ফরমালিন খাদ্যে আছে কি না তা দেখার জন্য কিট বের করে।
গুনীর কদর হয় না যে দেশে সেই দেশের মানুষ ২০০৭ এর অক্টোবরে নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ পৃথক করা নিয়ে রোকনকে উসকে দিয়ে তার এই যাত্রা থামিয়ে দেয় । পরে মাফ চেয়ে তার চাকরি বাঁচাতে হয় , সেটা বিভিন্ন চ্যানেলেও দেখায় ।
এতে সাপও মরলো লাঠিও ভাঙ্গলো না স্টাইলে ভেজাল কারীরাই জয়ীই হয় ।
সেই থেকে খাদ্যদ্রব্যে ফরমালিন দেবার বন্হুতসব শুরু হয়ে গেছে ।
জানেন কি এই সব ভেজালবিরোধী অভিযান কার আমলে এবং কত সালে শুরু হয়েছিল ?
ফরমালিন এর অনেক আগে থেকেই খাদ্যদ্রব্যে দেওয়া হয় ।
কি করবেন কিছু করার আছে কি?
আমাদের মজুমদার ভাইয়ার ব্লগ এবং আমাদের ব্লগে আপনাকে স্বাগতম।
করিসনে মোর সর্বনাশ!!!!!!!!
কিছুই করার নাই ভাই।
দু এক কেজি আম খাবো মন ভরে তাও ফরমালিন এর জন্য ভয় করে ।
যদি সেথায় ফরমালিন দেওয়া যেতো
সুনীতি অক্ষত থাকতো ততো
ভেজাল মুক্ত থাকতাম তত
কবিতা খুব ভালো লাগলো।
আমিও মজুমদার ভাইয়ার লিখার ভক্ত।
ভাইয়া মনে হয় ব্যাস্ত তাই আমরা তার জবাব দিচ্ছি আপাতত।
আর ফরমালিন এ আম।
ফরমালিনের বিষের চেয়েও
আরেকটা বিষ আছে
সেই বিষের জ্বালায় সারা বাংলা
মরছে ধুকে ধুকে।
হিংসার বিষে জ্বলেগো আপা
ঘরে নেই তার স্বামী,
বাড়ী গাড়ী মন্ত্রীত্ব আছে
তবু নহে সে দামী।
স্বামীহীন অথর্ব যে নারী
রাগে করেছে সব ছাই,
মরণেও তাই পারেনি বলতে
প্রিয় স্বামী হে তোমায় বাই...।
নিজের যাতনা নিজেই পুড়ে
ভেতরে পুড়ে সব ছারখার,
পদের লোভে পুরো জাতি মরে
নেই রহমত তার।
সংসার বৈরাগী বুঝিবে কি শান্তি
কি করে পেতে হয়,
পুরো জাতিকে দিশাহীন রেখে
তবুও রাগ নাহি হয় ক্ষয়।
ছন্দে ফরমালিনের অপকারীতা সাহ্যিতের পাতায় চমত্কার লাগলেও
মানুষ খেকো ব্যবসায়ীদের মাথায় ।
তোমার খাবারটা অর্ধেক আমাকে পাটাই দাউ।
ছন্দে ছন্দে বেশ ভালো লাগলো
অনেক ধন্যবাদ
আপনার কবিতায়ও কিন্তু ফরমালিন আছে..... আমারটা ১০০% ফরমালিন মুক্ত
ফরমালিন আসলে ব্যবহার হয় সময়ের আগেই পাড়া ফলমুলে। পরিপক্ক ফলে ব্যবহার কম করা হয়। ফল পাকাতে ইথিলিন ও কার্বাইড জাতীয় উপাদান ব্যবহার হয়।
ভাই ফরমালিন মিশানো এখন একটি প্রাগৈতিহাসিক পদ্ধতি। এখন এত রকমের হরমোন ও মেডিসিন এসেছে যে, ফরমালিন তাদের কাছে কিছুই না। আর এসব মেডিসিন ফল পাড়বার পর নয়, ফল গাছে থাকতেই দেয়া শুরু হয়, একবারে মুকুল বের হবার আগে থেকে, একবারে ফল পাড়া পর্যন্ত, বিভিন্ন পর্যায়ে। এসব দিয়ে আপনি ফল পাকানো গড়ে ২ সপ্তাহ এগিয়ে নিতে পারবেন, আবার ইচ্ছা করলে ২ সপ্তাহ পিছিয়ে দিতে পারবেন। ফলের সাইজ বড় করতে পারবেন, ইত্যাদি। এসব ওষুধ বেশীর ভাগই আসে চোরাপথে পাশের দেশ থেকে।
প্রশ্ন করতে পারেন এত কিছু জানলাম কিভাবে? উত্তরটা দিতে ইচ্ছা করছেনা।
উচিত চিল পচা ব্যক্তিরা পচে শেষ হয়ে যাওয়া।
ধন্যবাদ।
পালা গানের সেই আসর,
হাসি কান্নায় গল্পে মাতবে
গায়ের কৃষক, নর-নাগর?"
আমি গ্রামের ছেলে, আপনার লেখনি অতীত স্মৃতিতে ডুবিয়ে দিল।
ভালো লাগল অসংখ্য ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন