রঙ্গের মানুষ - (পর্ব-৩৬)

লিখেছেন লিখেছেন প্রবাসী মজুমদার ২৭ মে, ২০১৪, ০৫:০৬:১০ বিকাল

পর্ব-৩৫

নাস্তা পানি খাওয়া শেষ। এবার পড়ানোর পালা। কিন্তু বিপু যে নেই। ছাত্রী বিহীন শিক্ষক খালি টেবিল সামনে নিয়ে একা বসে আছি । ভেবেছিলাম, বিদায়ের এ শেষ বেলায় কিছু্ উপদেশ দিয়ে চলে যাবো। কিন্তু সেটা আর হলনা। বিপুর চোখের জলে সব ভেস্তে গেল। এভাবে বিদায় নেয়া ঠিকও হবেনা। আরও একটু সময় নিতে হবে।

কোথাও একাকীত্বে আকা জোঁকা করা আমার চিরাচরিত অভ্যাস। এখন আমি একা। রুমে কেউ নেই। ইচ্ছে হচ্ছে সময় পার করার জন্য কিছু একটা আঁকা জোকা করি। রুমের সাদা দেয়াল। একটু উপরে ঝূলে আছে ফ্যামেলীর সাথে তোলা বিপুর পুরোনো ছবি। । ভাবছি, বিদায় বেলায় ছবিটা এঁকে রেখে যাবো। দেখলে বিপু ও খুব খূশী হবে। অনুপস্থিতিতে আমার রেখে যাওয়া স্মৃতি কথা বলবে। দারুণ আইডিয়া। উপস্থিত বুদ্ধিটা ভালই লাগল। শুরু হল এ্যাকশন।

ছবিটা বাম হাতে ধরে ডান হাতে বিপুকে আঁকছি। একেবারে মনের মাধুরী দিয়ে। ছবি আঁকার আনন্দটাই অন্যরকম। যে পারে সেই বুঝে। সময় কখন কিভাবে যে পার হয়ে যায় টেরই পাওয়া যায় না। আমি সেই আনন্দই খুঁজে পেয়েছি। বিপুর ছবির মাঝে ঢুবে গেছি আমি । রুমে কে আসল আর কে গেল খবর নেই।

কিছুক্ষণ পর তাহুরার প্রবেশ। বিপুর ছবিটা পেন্সিলের ছোঁয়ায় হুবহু আঁকতে দেখে তাহুরা বিস্মিত। 'থ' হয়ে দাঁড়িয়ে খুব অপলক দৃস্টিতে দেখছে। পেন্সিলের ঘর্ষণে ক্রমেই বিপুর ঠোঁট আর চোখ দুটো উঠে এসেছে। চোখের দৃস্টি দিয়ে যেন পেন্সিলের বিপু তাহুরার দিকে তাকিয়ে আছে। তাহুরা নিঃশব্দে একেবারে স্থির হয়ে আছে। নিজের মত করেই দেখছে সব কিছূ। হঠাৎ 'ওয়াও' শব্দ করে উল্লাসিত মনে দ্রুত বেরিয়ে গেল তাহুরা। ...নিশ্চিত ও বিপুকে খবরটি দিতে যাচ্ছে।

কিছুক্ষণ পর বিপু এসেছে। মনটা খুব ভারাক্রান্ত। রুমে ঢুকতেই ছবিটা দেখে যেন মনটা ভাল হয়ে গেল। নিজের ছবি আঁকতে দেখে খুশিতে আটখান বিপু কাছে এসে মাথাটা টেবিলের উপর ঝুঁকে দাঁড়াল। খুব মনযোগ দিয়ে দেখছে কাগজে আঁকা পেন্সিলের বিপুকে। উঠে আসা তার অবয়বকে।

মনে মনে ভাবছি, তাকে সহজ করার সময় এখনোই। তাই কখনও বলছি, পেন্সিল টা একটু শার্প করে দাও। রাবার টা এগিয়ে দাও। ছাত্রী শিক্ষকের যৌথ উদ্যোগে ছবি আকার মাঝে এভাবেই হারিয়ে গেলাম কিছুক্ষণ। ও তন্ময় হয়ে দেখছে।

ছবির দিকে ধ্যান রেখে বিপুকে বললাম, আমি জানি তোমার মনটা আজ ভাল নেই। কারণ তুমি অন্য দশটা ছাত্রী থেকে ভিন্ন। তুমি খুবই আবেগী। নরম একটা মন দিয়ে আল্লাহ তোমাকে বানিয়েছে। তোমার সমস্যা এখানেই। তোমার শ্রদ্ধাবোধের ধরনটতে অন্যরকমের একটা ভিন্নতা আছে। আর এ জন্যই হাজার কষ্টকে ভূলে গিয়ে সেই কতদুর থেকে ছুটে আসি তোমাকে পড়াতে।

আমার প্রতি অনুতপ্ত হওয়ার জন্য বিপুকে আর একটু বাড়িয়ে বলতে শুরু করলাম

- জানো, তোমাকে পড়াতে গিয়ে কতটুক সেক্রিফাইস করতে হয়েছে আমাকে! কত রাত শুধু ডাল দিয়ে বাসায় ভাত খেতে হয়েছে। আমার পাকের দিন পাকাতে পারিনি। ম্যাচের লোকেরা অপেক্ষা করে হোটেলে খেয়ে ঘুমিয়ে গিয়েছে। আমি বাসায় যেতে যেতে হোটেলও বন্ধ। অবশেষে পুরোনো ডাল-ভাত দিয়েই পেটকে শান্তনা দিয়েছি ঘুম পাড়িয়েছি।

তোমাকে পড়াতে এসে এসব কস্ট ভোগ করলেও মাঝপথে ফেলে যেতে চাইনি। কারণ, ছাত্রী হিসেবে তোমার সুপ্ত মেধাকে জাগিয়ে তোলা ছিল আমার জন্য চ্যালেঞ্জ। তোমার বাবার দেয়া দায়িত্বটাকে নিজের মত করে নিয়েছি। সর্বোপরি, খুব ছোট বোনের মত করেই কেন জানি তোমাকে ভাবতে ভাবতে এতগুলো সময় পার করে দিয়েছি।

বিপুর মুখের ভিষন্নতা অনেক আগেই কেটে গিয়েছে। চোখের পানি উধাও। ও এখন অনেকটা স্বাভাবিক। মুখে মুচকি হাসি ফিরে এসেছে। স্যার নিজ হাতে তার ছবি আঁকছে। এটি একটা অনন্য স্মৃতি। মনের আয়নায় স্যারের শ্রদ্ধাবোধ যেভাবেই চিত্রিত হোক না কেন, স্যারের হাতে আঁকা ছবির স্মৃতি বিপুর চোখের সামনে থাকবে, এ অনুভুতির প্রকাশই অন্যরকম।

- বিপু।

- জ্যী স্যার।

- তোমাকে একটা কথা বলব?

- জ্যী স্যার বলেন। খুব আগ্রহ নিয়ে বিপু উত্তর দিয়ে নড়ে ছড়ে বসল।

- দ্যাখ। জীবনে অনেক ছাত্র ছাত্রী পড়িয়েছি। কিন্তু কোন ছাত্রীর ছবি এভাবে আমার হাতে আঁকা হয়নি। আজ কেন আঁকছি জানো?

- বিপু নিশ্চুপ।

- অন্য দশটি ছাত্রী হতে তুমি আমার কাছে অন্য এক বিপু। তোমাকে ছোট বোনের মতই জানি। তোমার সাথে যতটুকু সহজ হয়েছি, মন খুলে কথা বলেছি, এমনটি আর কারো সাথে হইনি। আর এটা হয়েছে, তোমার বাবার কারণেই। তোমার শ্রদ্ধাবোধের কারণে।

আমি যদিও আজকে বিদায় নিতে এসেছি, কিন্তু এ বিদায় শেষ নয়। মাঝে মধ্যে অবশ্যই আসব। আগে তোমাকে সপ্তাহে তিন দিন পড়াতাম। এখন একদিন হলেও আসব। তবে যদি তুমি আমার কাছে পড়তে চাও।

- জ্যী স্যার। আপনি অবশ্যই আসবেন। আমি কিছুক্ষণ আগেও মাকে বলেছি, যাতে আপনাকে বলে, মাঝে মধ্যে অন্তত আমাকে পড়াতে আসতে। বাবাকেও ঠিক তা্ই বলেছি। আপনি একেবারেই চলে যাবেন, আমার মা বাবা এমনটি চায়না। কিন্তু আপনার সমস্যার কথা বিবেচনা করে জোর দিয়ে কিছু বলে না।

বিপুর ছবি আঁকা শেষ। পেন্সিল অার্ট কর্ম শেষ হলে এটির সৌন্দর্যই অন্যরকম। আজ তাই হল। দুরে দেয়ালের সাথে ঝুলিয়ে বিপু বার বার দেখছে। আর বলছে,

ওয়াও স্যার। আপনার আঁকা ছবিটা এত দারুণ হয়েছে যে বলার মত নয়। আমার স্কুলের বান্ধবীরা দেখলে তো একেবারে পাগল হয়ে যাবে। ওরা জানে আপনি ছবি আঁকতে জানেন। কিন্তু এত নিখুঁতভাবে পারেন, এমনটি আমিও জানতাম না।

.........জীবনে এ প্রথম, স্যারের হাতে পেন্সিলে আঁকা 'কাগজের বিপুকে' নিয়ে উল্লাসিত মনে ভেতরে চলে গেল 'বিপু'।

ভাবছি, প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা বিহীন কবিরাজের দেয়া তাবিজ বিপুর মাঝে দারুণভাবে কাজ করেছে। আর যাই হোক, আপাতত সম্ভাবনাময়ী ৪ নাম্বার বিপদ সংকেত থেকে বাঁচা গেল। বঙ্গোপসাগরের গভীর তলদেশ থেকে উঠে আসা বিক্ষুব্ধ ঝড়ের প্রচন্ড গতিবেগ যে কোন সময় উপকূলীয় ঘরবাড়িতে আঘাত হানার জন্য রেডিও 'আকাশ বানী' থেকে যে সর্তর্কবানী দেয়া হয়েছিল, তা ধুমড়ে মুছড়ে আছাড় খেয়ে আবারও সাগরের মাঝে বিলীন হয়ে গেছে।

(চলবে)

বিষয়: বিবিধ

১৬৫৮ বার পঠিত, ৫৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

227036
২৭ মে ২০১৪ বিকাল ০৫:১৬
পুস্পিতা লিখেছেন : তো এখন কি ছবি আঁকেন মাঝে মধ্যে?!
২৭ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৩৪
173983
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : এখনও আকি। বানর বুড়ো হলেও গাছে উঠা ভুলে যায়না। আর্ট জানার বয়স নেই বলে এখনও সময় পেলে মনের মাধূরি দিয়ে আকি। খুব ভাল লাগে। ধন্যবাদ।
227041
২৭ মে ২০১৪ বিকাল ০৫:২৩
নোমান২৯ লিখেছেন :






যাক এবার অন্তত ঝড় থেকে বাঁচা গেল !
কিন্তু সপ্তাহে একবার আসলে সে ঝড়ের মুখোমুখি হতেই হবে । সো থিংক অ্যাগেইন..........।
২৭ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৩৫
173984
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : যে কোন সমস্যার প্রথম দিন পার হতে পারলে দিন দিন সেটির গুরুত্ব কমে যায়। আমিও তাই। ধন্যবাদ।
227044
২৭ মে ২০১৪ বিকাল ০৫:২৯
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : মাঝখানে বেশ কয়েকটি পর্ব পড়া হয়নি। আজকের পর্বে যা শিখলাম তা হল আত্মনিয়ন্ত্রণ। আসলে এভাবেই কোন বুদ্ধিমান মানুষ নিজেকে কঠিন সমস্যায় পড়া থেকে রক্ষা করেন।

বিপুর বয়স কম। তাই সে পরিণতি চিন্তা না করেই আবেগী আচরণ করেছে। কিন্তু লেখকও যদি তাই করতেন তবে ঘটনা অন্যদিকে চলে যেত।
২৭ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৩৬
173985
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : সমস্যা এখানেই। আর এটি স্বাভাবিক যে একজন মানুষ পাশাপাশি থাকলে ভেতরে কিছু অনুভুতি থাকবেই। ধন্যবাদ পড়ে মন্তব্য করার জন্য।
227060
২৭ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:০৯
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন লিখেছেন : আপনি যে কি ভাইয়া ? না থাক কিছু বলতেছিনা। আপনি কিন্তু মনের ছবি আঁকতে পারলেন না ভাইয়া।
আপনার ছবি আঁকার কথা আগে জানতাম না এখন জেনে ভালই লাগলো।
২৯ মে ২০১৪ সকাল ১১:৫৪
174671
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : নিজের ঢুল নিজেই পেটাতে বেশ মজা লাগে বুঝি Love Struck Tongue Crying Crying আমার হাতুড়ি কই? Time Out Time Out Time Out Time Out Time Out Time Out Time Out Time Out




জ্যাস্ট ফান.... মাইন্ড খাইয়েন্না Time Out Time Out Time Out Time Out
২৯ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:০৩
174888
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন লিখেছেন : Tongue Tongue Tongue Tongue
২৯ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৩৫
174919
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : প্রবাসীভাই লজ্জা পাইছে... মন্তব্য ডিলিট মাইরা দিছে Crying Crying Crying
২৯ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৪১
174920
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন লিখেছেন : Applause Applause Applause
227070
২৭ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৪০
২৯ মে ২০১৪ সকাল ১১:২৭
174636
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : ধন্যবাদ রেখে যাওয়া ফুলের জন্য।
227077
২৭ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৪৫
সন্ধাতারা লিখেছেন : অনেক অনেক ভালো লাগলো ধন্যবাদ
২৯ মে ২০১৪ সকাল ১১:২৮
174641
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : আপনাকে ও ধন্যবাদ মন্তব্য রেখে যাবার জন্য।
227081
২৭ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৫৭
দুষ্টু পোলা লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
২৯ মে ২০১৪ সকাল ১১:২৮
174642
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : ধন্যবাদ আমার ব্লগ আড্ডায় সময় দিয়ে যাবার জন্য।
227120
২৭ মে ২০১৪ রাত ০৮:১১
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ছবি এঁকে বিদায়!!!!
২৯ মে ২০১৪ সকাল ১১:২৯
174645
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : ছবি আকার আমার জীবনের বড় শখ। তাই সেটি এখনও সময় পেলে করি। ধন্যবাদ।
227121
২৭ মে ২০১৪ রাত ০৮:১২
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : ভাই দেন না আমর একটা ছবি একে। Thumbs Up Thumbs Up Thumbs Up
২৭ মে ২০১৪ রাত ০৯:৪১
174029
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : এটাতো ফাঁকিবাজি মন্তব্য Time Out Time Out Time Out
২৯ মে ২০১৪ সকাল ১১:২৯
174646
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : হাহা।
এ সিরিজটি শেষ করে আর্টের উপর পোস্ট দেব। ধন্যবাদ।
১০
227173
২৭ মে ২০১৪ রাত ০৯:৪৬
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : ওরেরররর বাপ্রে..... যে মজার পর্ব Love Struck ছবি আঁকাতো দেখছি মন পটানোর জন্য যেমন কাজে লাগে, আন-পটানোর ক্ষেত্রেও দেখছি সমান কার্যকর Day Dreaming Day Dreaming এখন টের পাচ্ছি... ছবি আঁকা না শিখে যে কত্ত বড় ভুল করছি Broken Heart Sad Big Grin
২৯ মে ২০১৪ সকাল ১১:৩১
174649
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : না শিখে ভূল করেছি মানে? প্রেম করার জন্য ছবি আকার দরকার নেই। শখের জন্য শিখতে পারেন। এখনতো নেটের যুগে যে কোন কিছুই শেখা যায়। তবে শখ থাকলে বয়স সমস্যা নয়। ধন্যবাদ।
১১
227263
২৮ মে ২০১৪ সকাল ০৭:৪৯
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : আপনার আঁকা একটি ছবি উপহার দিন না ব্লগে! Happy
২৮ মে ২০১৪ দুপুর ০২:৫৬
174302
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : Loser Loser Loser বিপুরটা হলে ভালো হয়Tongue Tongue
২৮ মে ২০১৪ দুপুর ০৩:৫২
174322
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : আমি প্রকৃতির ছবি বেশি পছন্দ করি @ হ্যারি ভাই Happy
২৯ মে ২০১৪ সকাল ১১:৪০
174656
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : শুধু একটি ছবি কেন? ছবি আঁকা যে এত সহজ তা দিয়েই একটি পোস্ট দেব আগামীতে কোন এক সময়। ১৯৮৭-৯১ চট্রগ্রামের সবগুলো দেয়াল নষ্ট করেছি বড় বড় শ্লোগান লিখে। তখন জাতীয় ও চট্রগ্রামের পত্রিকায় আমার লিখা জামাতের সব ধরনের নিউজ হত। সাঈদী সাহেবের ওয়াজের নিউজ আমি করতাম ৮৭-৯১।
১৯৪ সাল পর্যন্ত বংশী বাদক ছিলাম। রাতের অন্ধকারে গায়ের ব্রিজের উপর বসে সুর তুলতাম। শেখবেন? শিখিয়ে দেবো। ইট পাথরের শহরে যাবার পর এটির চর্চা আর হয়না। তবুও চট্রগ্রাম গেলে শ্যালকের অনুরোধে বাজাতে বাধ্য হই। ও আমার বাঁশীর সুর শুনে বাঁশীর প্রতি আসক্ত হয়েছে। এখন আমি বাজাই না। ও বাজায়। সে প্রশিক্ষণও নিয়েছে।
তিন বছর আগের কথা। নাটক লিখে, অভিনয় করে মাতিয়ে রাখতাম মানুষদের। এখন বিদায় নিয়েছি। কেন?
..না। বলতে ইচ্ছে করেনা। ঘুমন্ত বেদনা গুলোকে বরফ দিয়ে ঢেকে রেখেছি। এভাবেই থাক।
২৯ মে ২০১৪ সকাল ১১:৫৮
174673
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : Crying Crying Crying Crying আমার কি দোষ! বিপুর চোখের পানির ফোটা টা যদি রুহির "এক ফোঁটা জল" এর মতো হতো....
১২
227302
২৮ মে ২০১৪ সকাল ১০:১৯
গ্যাঞ্জাম খানের খোলা চিঠি লিখেছেন : প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা বিহীন কবিরাজের দেয়া তাবিজ বিপুর মাঝে দারুণভাবে কাজ করেছে।
............... রেডিও 'আকাশ বানী' থেকে যে সর্তর্কবানী দেয়া হয়েছিল, তা ধুমড়ে মুছড়ে আছাড় খেয়ে আবারও সাগরের মাঝে বিলীন হয়ে গেছে।

এ না হলে কি ক্যারিশমেটিক এবং ডাইনামিক কোয়ালিটির শিক্ষক হওয়া যায়?
২৯ মে ২০১৪ সকাল ১১:৪৫
174660
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : সত্যি কথা বলতে কি? যে জীবনটাকে যেভাবে দেখে, সে ওভাবেই এটিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। কঠিন বাস্তবতা থেকে উঠে আসা মানুষদের জীবন ভাবনা ভিন্ন। ১৯৭৫। কঠিন দুযোগের পর বাবা চলে গেল। বেচে থাকার জন্য জীবনের কত অথৈই সাগর পাড়ি দিয়েছি। সে সব পোড় খাওয়া অভিজ্ঞতার কারণে চোখে দেখা সবকিছুকেই চোখের ক্যামেরায় ধারণ করে মন ছবি আকি নিজের মত করে। এজন্যই হয়ত আমার লিখায় কিছুটা ভিন্নতা আছে। ধন্যবাদ।
১৩
227420
২৮ মে ২০১৪ দুপুর ০২:২৪
আতিকুর রহমান ফরায়েজী লিখেছেন : অসাধারণ
২৯ মে ২০১৪ সকাল ১১:৪৬
174661
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : আপনার ভেতরের মানুষটাকে সালাম। আপনার ভাবনাতে ভিন্নতা আছে। তাই আপনার 'অসাধারন' মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ।
১৪
227456
২৮ মে ২০১৪ দুপুর ০৩:৩৭
গ্যাঞ্জাম খানের খোলা চিঠি লিখেছেন : আঁর পিরিয়ার এক্কান ফডো আখি দিত পারিবেননি?
২৯ মে ২০১৪ সকাল ১১:৪৭
174664
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : ওমাগো মা। হেতে কিতা কয়। বেগ্গুনে ছবি আকতে চায়। সামনে ছবি নিয়েই পোস্ট দেব। ধন্যবাদ।
১৫
227457
২৮ মে ২০১৪ দুপুর ০৩:৩৮
আহমদ মুসা লিখেছেন : পড়ে খুব ভাল লাগলো। চালিয়ে যান, আপনার সাথেই আছি।
২৯ মে ২০১৪ সকাল ১১:৪৮
174666
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : আপনার নিয়মিত পরিদর্শনের জন্য ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।
১৬
227632
২৮ মে ২০১৪ রাত ০৮:৩২
মু. মিজানুর রহমান মিজান (এম. আর. এম.) লিখেছেন : নতুন নতুন কিচ্ছা
২৯ মে ২০১৪ দুপুর ১২:০২
174676
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : আমি তাহা গাই,
চারি পাশে যাহা ঘটেছিল
হৃদয়ে করে নিয়েছিল ঁঠাই।

আমি হারিয়ে যাই
যেখানে শৈশব কৈশর আজও স্মৃতি,
ফিরে পাবার নেশায় কল্পনায় হাটি
আজও কানে বাজেই সেই সুমধুর গীতি।

ধানের ক্ষেতে আজও ছুটে বেড়াতে
শুণ্যো ভর করে নিজেকে হারাই,
উলঙ্গ সভ্যতার নিষ্ঠুরতা আর নয়,
অতীত, যে স্বর্নযুগ, যেথায় সবাই মোরা ভাই।

বাজনার তালে আমি মেতে উঠি না
ডুগডুগির সাথে চাই হারানো ভাটিয়ালির সুর,
নদীর বুকে নব বধূ নিয়ে মাল্লার সারী
গান গেয়ে গেয়ে চলে যেতে দুর, বহুদুর।

প্রকৃতির সাথে মিতালী সেই যুগ আজ নেই
নেই ভোরে মোরগ ডাকা কিংবা পাখির গান,
সভ্যতার দালানে গ্রাম আজ শহর হয়েছে
শুধু নেই নিষ্ঠুরতার পদভারে নির্বাক গায়ের প্রাণ।

তারপরও সভ্যতা নিয়ে তোমাদের বড় অহংকার
ভুলে যাও বৃদ্ধাশ্রমে মা-বাবা নামের বুড়ো বুড়ি.
ছিঃ পাষন্ডদের এ যুগ আমাকে বাকহীন করেছে
তাই আবারও হতে চাই স্মৃতিদের ইচ্ছে-ঘুড়ি।
১৭
227637
২৮ মে ২০১৪ রাত ০৮:৪২
আমি আমার লিখেছেন : মাথাটা হালকা বোধ করছি। দেখি সামনে কি হয়..
৩০ মে ২০১৪ রাত ০৮:৪৬
175145
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : ধন্যবাদ আপনাকে হালকা অনুভব করার জন্য। ভাল থাকবেন।
১৮
227902
২৯ মে ২০১৪ দুপুর ০১:২৫
বিদ্যালো১ লিখেছেন : কি মন্তব্য করবো বুঝতেছি না। ঘোড়ের মধ্যে পড়ে গেলাম কি করে সিগন্যাল এর ভয়াবহতা কমালেন।
অন্যরকম ভালো লাগছে আপনার সিরিজটা।

সাধ্যমত সঙ্গ দিয়ে যাব, এগিয়ে যান।

Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck
৩০ মে ২০১৪ রাত ০৮:৪৬
175146
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : ধন্যবাদ নিয়মিত সাথে থাকার জন্য। সিগনাল আর কি হবে। সামনে বুঝা যাবে।
১৯
227982
২৯ মে ২০১৪ বিকাল ০৪:৪৫
বাজলবী লিখেছেন : ধন্যবাদ
৩০ মে ২০১৪ রাত ০৮:৪৭
175147
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ।
২০
228423
৩০ মে ২০১৪ রাত ০৮:৩৫
গ্রাম থেকে লিখেছেন : দুনিয়ার সবচেয়ে কঠিন কাজের অন্যতম আত্মনিয়ন্ত্রন, এটা আপনি খুব সহজেই করতে পেরেছিলেন।
৩০ মে ২০১৪ রাত ০৮:৪৭
175148
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : হয়কি, কাউকে ভালবেসে মন দিয়ে যদি সামান্য কিছু আদান প্রদান হয়, খটকাটা সেখানে লেগে যায়। ধন্যবাদ।
২১
228598
৩১ মে ২০১৪ সকাল ১১:২৮
সত্য নির্বাক কেন লিখেছেন : হৃদয় ছিঁড়িয়া যদি দেখাইবার হত
দেখাইতাম তোরে আমি ভালবাসি কত।।

পুরা হাইড্রলিক ব্রেক
তারপর ফিস ফিস বাতাসের শব্দ।
অন্য রকম লিখার ভিন্ন রকম স্বাদে অনেক কিছুই শিখিয়ে গেলেন। যাযাকাল্লাহ।
৩১ মে ২০১৪ দুপুর ১২:২১
175321
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : ধন্যবাদ ভূয়সীয় প্রশংসা করে এ নাখান্দাকে মাতিয়ে যাবার জন্য। ব্লগের অন্য গলিতে দেখা হবে গো...।
২২
228690
৩১ মে ২০১৪ দুপুর ০৩:৪৭
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : সবাইতো বেশ মন্তব্য করেছে! আমি আসলাম শেষে! অনুরোধ শুধু চালিয়ে যান কলম! কলম সৈনিকের বেশে!
০৮ জুন ২০১৪ রাত ০৯:১০
179202
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : আপনি নিজেই বুঝেন যে এত ব্যস্ততার মাঝে ব্লগে এসে লিখা বড় কঠিন। বড় কথা হল নিয়মতান্ত্রিকা ধরে রাখা অনেক কঠিন। ধন্যবাদ ব্যস্ততার মাঝেও মন্তব্য রেখে যাবার জন্য।
২৩
229222
০১ জুন ২০১৪ রাত ০৯:৫০
মাটিরলাঠি লিখেছেন : ভাই লজিং মাস্টার হবার সুযোগ এসেছিল, না হয়ে ঠিক করেছি না ভুল করেছি বুঝতে পারছি না?

তবে ছবি আঁকতে পারিনা। Sad
০৮ জুন ২০১৪ রাত ০৯:০৯
179199
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : সব লঝিং মাষ্টার কিন্তু লিখতে পারেনি। আমার ও খেয়াল ছিলনা যে একসময় লিখবো। কিন্তু সময়ের বিবর্তে কেন যে হয়ে গেল। ধন্যবাদ।
২৪
232197
০৮ জুন ২০১৪ সকাল ১০:২৮
আবু আশফাক লিখেছেন : আপনার লেখা পড়ছি আর ভাবছি, আমি কিছুই জানি না, কিছুই পারি না। না ভালো করে মাস্টারি করতে পারি, না ছবি আকতে পারি, আর না ভালো লিখতে পারি, না কারো মন ভুলাতে পারি আর না প্রলেপ দিতে পারি।
০৮ জুন ২০১৪ রাত ০৯:১০
179201
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : কেউ তো আর জম্নেই সব শিখে আসেনা। বড় কথা হল, ইচ্ছে থাকলে উপায় হয়। চেষ্টা করুণ। আপনিও পারবেন।
২৫
248923
২৮ জুলাই ২০১৪ রাত ১২:৫২
বুড়া মিয়া লিখেছেন : লেখা আসলেই সুন্দর!
আমার মনে হয় অনেক সময় নিয়ে লিখতে হয় এভাবে।
ধন্যবাদ আবারও।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File