রঙ্গের মানুষ - (পর্ব-৩২)

লিখেছেন লিখেছেন প্রবাসী মজুমদার ০৭ মে, ২০১৪, ১০:৩২:০১ রাত

পর্ব-৩১

ম্যাচে তিনজনের মধ্যে কামালের মেজাজটা ছিল কিছুটা খিটখিটে। বৈদ্যুতিক স্বভাবের। একটু খোচাঁ দিতেই সিরিয়াস রিএ্যাকশান। মুহুর্তেই রাগের কাটা ১২০ ভোল্ট এ গিয়ে ঠেকে। ওকে ক্ষ্যাপানোর মাঝে অন্যরকম একটা আনন্দ ছিল। সবচেয়ে মজার বিষয় ছিল, রাগের মাথায় ওর মুখ থেকে বের হয়ে আসা অনর্গল 'নোয়াখালী শুদ্ধ স্পিকিং ল্যাংগুয়েজ'।

রাত বারোটা। কথা নেই বার্তা নেই। আনমনা হয়ে গানের টান দিয়েছে হেলাল। বিচ্ছেদের গান। গানতো নয় - যেন শত বছর পুর্বের চ্যাকা খাওয়ার করুণ আর্তনাদ। চোখ দুটো বন্ধ করে লম্বা সুরের মুর্চনা। লয় নেই তাল নেই। তবুও সুরটা এমনভাবে তুলেছে, মনে হয় গলার উপরে ভেসে থাকা রগ দুটো দিয়ে প্রবাহিত রক্তের ঠেলায় নালিটাগুলো অবিশ্বাস্যভাবে মোটা হয়ে ফুলে উঠেছে।

কামাল নিশ্চুপ! সেই কবে থেকে ঘূমানোর জন্য প্রাণান্তকর চেস্টা চলছে । কিন্তু ঘুম আসছেনা। বার বার ডান-বাম কাত হয়ে ঘুমানের ব্যর্থ প্রচেস্টার মাঝে বাথরুম সিঙ্গার হেলালের কন্ঠ থেকে বের হয়ে আসা উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের অসহ্যনীয় বিচ্ছেদের সুর...।

সামনের রুম থেকে আমার কন্ঠের যোগ দিল হেলালের সুরের সাথে। দুজনের কন্ঠে গাওয়া কোরাশ সঙ্গীতে ওর ঘুম আসার শেষ সম্ভাবনাটকু ও ভেস্তে গেল। কামালের রাগটা আর একটু সহ্য সীমার বাইরে যাবার জন্য সুরের ভলিউমটা আরও বাড়িয়ে দিলাম। খাটের কাঠে আঘাত করে দুহাতে বাজনার পাগলামী।

...হঠাৎ করে কামাল উত্তপ্ত হয়ে উঠল। দৌড়ে এসে হেলালের মাথার নীচ থেকে বালিশটা ছুঁড়ে ফেলে দিল। ক্ষিপ্র কন্ঠে বলতে শুরু করল,

- কত্তুন যে এই হাগলের গোষ্ঠীর লগে দেখা হইছিল। তোরগো গানের গুষ্ঠিরে কিলাই বেডা। অার সময় হাছনো। অ্যার ঘূমের বারোটা বাজাই বাল্লাই গান গাইতি আইসোস। কুত্তায় শোনেনা ভাটিয়ালি সুর। হালার। এগুনের লগে থাইকবারলাই অ্যারে কোন হাগলে কইছে। ওমারে মা। পথঘাট হালাই থুই রাইতের তিনটায় আঁইছে গান গাইতো। বিচ্ছেদের গান।

খাড়[। কাইল্যা অ্যাই খালাম্মারে কুম তোরগোরে বাইর করি দিবাল্লাই। গান গাইবার এত শখ থাইকলে হাত্তরের ভিত্তে যা বেডা....।

কামালের রাগটা বাড়িয়ে দেবার জন্য বলতে লাগলাম,

- হেলাল। তোর কন্ঠে পল্লীগীতি আসলেই দারুণ হয়। আমারতো মনে হয় তোর কন্ঠটা আল্লাহর স্পেশাল দান। এ গানের সুরটা দারুণ তুলেছিস। শুনলে মনটা ভরে যায়। সত্যি কথা বলতে কি, একমাত্র পাষান হৃদয়ের মানুষেরাই এসব গান গাইতে দেয়না। ..এসব ভূয়সী প্রশংসা শুনতেই কামাল আরও উত্তপ্ত ...।

- ওই তোর প্রশংসার ক্ষ্যাতা কিলাই বেডা। আইজ ইগ্গারেও গুমাইবাল্লাই দিতান্ন....।

মাঝে মধ্যে যদি বলতাম, কামাল, চল। দোকানে গিয়ে দুধ চা খাব। উত্তরে বলত, চল। হারুইন্নার কাছে যাবো। একটু মজাও করবো। সাথে চাও খাওয়া যাবে। তোরা দুইজনে ভাল একটা রাস্তা পেয়েছিস। কে যে বলছে তোদেরকে চাকুরী করতে। এসব ছেড়ে দিয়ে রাস্তায় ওষধ বিক্রী করলে খুব ভাল করতে পারতি। কোথা থেকে যে আল্লাহ এসব আদম মিলিয়ে দিলো..।

- হুম। তুমিতো একেবারে আরবের খুরমা খাজুর কামাল মিয়া। মনে হয় কিছুই জানোনা। খালাম্মাদের সাথে অভিনয় করতে গিয়ে তোর কাছ থেকে অনেক কিছুই শিখেছি। এজন্য তুই আমার ওস্তাদ।

হারুণের বাড়ী নোয়াখালী। চাকুরী করে সোনালী ব্যাংক, মেডিক্যাল শাখা, চট্রগ্রাম। সিনিয়র ক্লার্ক। কিছুটা সহজ সরল ও রসিক টাইপের মানুষ। সামান্য প্রশংসায় একেবারে মোমের মত গলে যায়। খুশী করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে আতিথেয়তায়।

হারুণ ভাই নতুন শার্ট বানিয়েছে। পলিস্টার জাতীয় কাপড়। এসব কাপড়ের উপর দুপুরের কাঠফাঁটা রৌদ পড়লে খুব ঝক ঝক করে। শুক্রবার সকালে নতুন শার্ট গায়ে দিয়ে হারুণ দোকানে যাচ্ছে সকালের নাস্তাটা সেরে নিতে। সামনে যেতেই বললাম, আরে হারুণ ভাই! এমন একটা শার্ট গায়ে দিলেন, দুর থেকে বুঝাই যাচ্ছিলনা যে আপনি হারুণ ভাই। জামাটা এত মানা মানিয়েছে, আপনার বয়স মনে হয় অর্ধেকে নেমে এসেছে। রংটা খুবই আকর্ষনীয়। এটা কোথা থেকে কিনেছেন?

- মিমি সুপার মার্কেট থেকে।

- জামাটা আমার খুব পছন্দ হয়েছে। আসলে আপনার পছন্দটাই অন্যরকম। দেখি এমাসে হয়তবা আমিও একটা কিনবো। সাথে আপনাকে নিয়ে যাবো।

হারুন দারণ খুশী ওর পছন্দকে সমর্থন করায়। বুকটা আনন্দে ভরে গেল। জোর করে হাত ধরে টেনে নিয়ে সোজা হোটেলে..। আসুন। নাস্তা আজ আমিই খাওয়াবো। এভাবেই হারুণের প্রশংসা করে কতদিনযে চা নাস্তা খাওয়া হয়েছে ইয়ত্তা নেই।

(চলবে)

বিষয়: বিবিধ

১৬৪১ বার পঠিত, ৫১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

218814
০৮ মে ২০১৪ রাত ০১:১০
গেরিলা লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
১০ মে ২০১৪ রাত ০৩:০৭
167408
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : ধন্যবাদ। আজ আপনি প্রথম। তাই স্পেশাল অভিনন্দন।
218825
০৮ মে ২০১৪ রাত ০১:২২
চোথাবাজ লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
১০ মে ২০১৪ রাত ০৩:০৭
167409
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ এসে পড়ে মন্তব্য করে যাবার জন্য।
218830
০৮ মে ২০১৪ রাত ০১:৩৯
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : ভালো লাগলো .............পরের পর্বের অপেক্ষায়া থাকলাম মজুমদার ভাই
১০ মে ২০১৪ রাত ০৩:০৮
167410
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : প্রতীক্ষার প্রহর আর শেষ হয়না। সেই প্রথম পর্ব থেকেই লোকেরা বলে আসছে পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম। একটা সময় আসবে আমি বলব, পর্ব আর নেই। ধন্যবাদ।
218838
০৮ মে ২০১৪ রাত ০২:৩২
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন লিখেছেন : গানতো নয় - যেন শত বছর পুর্বের চ্যাকা খাওয়ার করুণ আর্তনাদ। হাহাহাহা
ও মোর ছকিনা তুই কি গেলা ?এরম ছিল মনে হয় গানের কথা ???
হারুন ভাইকে পেলে আমি বলে দিতাম ভাইয়া আপনার চা খাওয়ার জন্য মজুমদার সাহেবরা ফন্দি করে আপনাকে ফাম দিয়ে ফুলিয়ে রাখে।
চালিয়ে যান অনেক মজা পেলাম এই পর্বে সকল পর্বের সেরা পর্ব আজকের এই পর্ব। (মিছিল দিয়েছি )
১০ মে ২০১৪ রাত ০৩:১১
167411
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : হাহা। এসব সময় কাটানোর জন্য থেমে যাওয়া জীবনকে প্রাণবন্ত করে তোলার আনন্দদায়ক মুহূর্ত। খেয়ালের বশবর্তী হয়ে দুষ্টুমির ছলে কিছু তামাশা মনের অনেক বড় খোরাক। সে সব মিছে তামাশা নিয়েই এসব জীবনের কাহিনী। মন্তব্য রেখে যাবার জন্য ধন্যবাদ।
218860
০৮ মে ২০১৪ রাত ০৪:৪০
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : কোথায় পিরিতির খাতা বালিশ আর কোথায় বিরহের সুর। দারুন জমছে বস।
১০ মে ২০১৪ রাত ০৩:১১
167412
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : বস। আবার হবে তো দেখা, এ দেখা শেষ দেখা নয়তো। ধন্যবাদ।
218899
০৮ মে ২০১৪ সকাল ০৮:৫০
আবু আশফাক লিখেছেন : গানটার দু এক কলি চালিয়ে দিতে পারতেন, তাহলে আমরাও পড়ার সময় একটু প্র্যাকটিস করতাম আর কি। নোয়াখালীর ভাষা দুএক শব্দের অনুবাদ দিলে আরো ভালো লাগতো; বিশেষ করে আমার!
ছাত্রজীবনের হোস্টেল পর্বে এক বন্ধু ছিল, যে কিনা পটিয়ে খেতে উস্তাদ। আমরা বুঝতাম যে সে পটাচ্ছে; তবুও তাকে খাওয়াতাম।
কোনো কিছু কিনে এনে খাবার সময় ওর পটানোর ভঙ্গি ছিল এমন-
নাঈম, দোস্ত তুইতো কিছুই খাচ না, ছব দিয়ালাস। আছলে দেখছি তুই আমাক ছারা খাইতেরোস না!! ওর বাড়ী ছিল লক্ষ্নীপুর। এখন সে এক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রিন্সিপাল। মাঝে মাঝে আসলে সেইসব দিনগুলোর কথা বলতেই হো হো করে হেসে বলে...........
১০ মে ২০১৪ রাত ০৩:১৩
167413
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : ভূয়সী প্রশংসা এমন এক বিষয় যা মানুষকে আনন্দ দেয়। বিষণ্ন মুহূর্ত গুলোকে রসাত্মক করে তোলে। জীবন চলার পথে কিছু মানুষ আছে যাদের সাথে থাকতে খুব মজা হয়। ভাল লাগে। ওরা নিরামিষ মুহূর্তকেও আমিষ দিয়ে ভরে দেয়। ধন্যবাদ।
218926
০৮ মে ২০১৪ সকাল ১১:৫৪
আবু ফারিহা লিখেছেন : 'নোয়াখালী শুদ্ধ স্পিকিং ল্যাংগুয়েজ'
ভাই নোয়াখালী শুদ্ধ ভাষা পড়তে গিয়ে বারোটা বেজেঁ গেছে।
১০ মে ২০১৪ রাত ০৩:১৪
167414
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : হাহা। পৃথিবীতে মাখরাজ বিহীন এ একটা ভাষা। শিখতে বেশিদিন লাগেনা। এজন্যই এটির বিস্তৃতি বেশী। ধন্যবাদ।
218928
০৮ মে ২০১৪ সকাল ১১:৫৭
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : কয়েকটি পর্ব পড়তে পারিনি। বেশ মজা লাগলো এই পর্বটি। আপনার বাড়ি মনে হয় নোয়াখালি অঞ্চলে নয়। কিছু শব্দ এদিক সেদিক হয়ে গেছে।

হাহাহা.......কত্তুন যে এই হাগলের গোষ্ঠীর লগে দেখা হইছিলতোরগো গানের গুষ্ঠিরে কিলাই বেডা। অার সময় হাছনো। অ্যার ঘূমের বারোটা বাজাই বাল্লাই গান গাইতি আইসোস।

সময়ের অভাবজনিত কারণে অল্প একটু সংশোধন করে দিলাম। 'কত্তুন যে এই হাগলের গুষ্ঠীর লগে দেয়া অইছিল। তোগো গানের গুষ্ঠিরে কিলাই বেডা। আর সময় হাছনো...... অ্যাঁর গুমের বারোটা বাজাই বাল্লাই গান গাইতি আইসোস।'
১০ মে ২০১৪ রাত ০৩:১৫
167415
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : আহা। এতদিন পর আসল ওস্তাদ পেলাম। আপনি দেখছি গ্রামার সহ পারেন। মজা লাগল। অনেকদিন হল। চর্চা না থাকায় ভুলতে বসেছি। ধন্যবাদ। নোয়াখালি ভাষা দিয়ে কি একটা পোষ্ট দেয়া যায় না?
১১ মে ২০১৪ সকাল ০৯:৪৪
167754
আবু আশফাক লিখেছেন : নোয়াখালিীর ভাষা দিয়ে পোস্ট দিলে আমাদের জন্য অনুবাদও সাথে দিতে হবে কইলাম!!
১৭ মে ২০১৪ বিকাল ০৪:০৭
169919
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : আপনি হলেন বড়ভাই, আপনি পোস্ট দেন, আমি আছি...ইনশাআল্লাহHappy
218934
০৮ মে ২০১৪ দুপুর ১২:১৩
বিন হারুন লিখেছেন : খুব ভাল লাগছে. বেচারাকে রাতের তিনটায় ক্ষ্যাপানোর কি প্রয়োজন ছিল. খেতে বসলেও তো ক্ষ্যাপাতে পারতেন.
১০ মে ২০১৪ রাত ০৩:৪২
167419
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : বন্ধু বান্ধবের আবার কিসের রাত দিন। একটু আনন্দ করাই যেন বড় পাওয়া। ধন্যবাদ।
১০
218940
০৮ মে ২০১৪ দুপুর ১২:৩৮
সন্ধাতারা লিখেছেন : অনেক অনেক ভালো লাগলো ধন্যবাদ
১০ মে ২০১৪ রাত ০৩:৪২
167420
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : ধন্যবাদ ভাল লাগা রেখে যাবার জন্য।
১১
218966
০৮ মে ২০১৪ দুপুর ০১:৪০
গ্যাঞ্জাম খানের খোলা চিঠি লিখেছেন : কামাল রে দিলেন বান্দরের শলা আর হারুণ রে দিলেন ফা আকার ফা ম= বাসাত। আচ্ছা বলুন তো হারুনকে বাতাস দেওনের আগে নিজের পকেটের সাস্থ্য খুবই খারাপ থাকতো, তাই না?
১০ মে ২০১৪ রাত ০৩:৪৩
167421
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : নিজের পকেটের অবস্থা ভাল বললেও কি বিশ্বাস করবেন। মুল বিষয় হল আনন্দ। কিছুটা মজা সৃষ্টি করে এক ঘেয়েমি মুহুর্ত গুলোকে প্রাণবন্ত করে তোলা। ধন্যবাদ।
১২
219139
০৮ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:০৫
শেখের পোলা লিখেছেন : নাশ্তা খাওয়া শেষ হলে আওয়াজ দিয়েন৷
১০ মে ২০১৪ রাত ০৩:৪৪
167423
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : আহারে। নাস্তা ছাড়া আওয়াজ দিয়ে লাভ কি? ধন্যবাদ।
১৩
219158
০৮ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৪৩
সিকদারর লিখেছেন : আস্-সালামু-আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ। হা হা হা ! দারুন রসিকতা । লিখতে থাকুন আছি সাথে ।
১০ মে ২০১৪ রাত ০৩:৪৪
167424
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য। নিয়মিত এসে মন্তব্য রেখে যাবার জন্য।
১৪
219171
০৮ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৫৪
দিগন্তে হাওয়া লিখেছেন : ধন্যবাদ Good Luck Good Luck
১০ মে ২০১৪ রাত ০৩:৪৫
167425
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ। ভাল লাগল।
১৫
219286
০৯ মে ২০১৪ রাত ১২:৫৫
মাটিরলাঠি লিখেছেন : ম্যাস লাইফে এরকম দুষ্টামি করেছি আমরা। আপনার লেখা পড়ে সেগুলো মনে পড়ছে।

এক রুমমেট বন্ধু ছিল, এক মেয়ের সঙ্গে তার প্রেম চলছিল। সে খুব সকালে উঠে অফিস যাওয়ার জন্য রেডি হতো - আর এই সময়টা ছিল আমাদের জন্য কঠিন সময়। কারণ, এই সময় সে বাইরে বের না হওয়া পর্যন্ত একটা অসহ্য টাইপের গান বিকট গলায় গেয়ে যেতো আর প্রত্যেকের ঘুমের বারোটা বাজাতো। সকালের ঘুমের সময় কেউ যদি কানের পাশে গান গায়, এটা যে কি পরিমাণ বিরক্তিকর, ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন। তার গানটিঃ

"একটাই কথা আছে বাংলাতে, বুক আর মুখ বলে একসাথে ..."

১০ মে ২০১৪ রাত ০৩:৪৬
167426
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : আসলেই ম্যাচের জীবনে অনেক আনন্দদায়ক মুহূর্ত আছে। যা অনেকেই হয়তোবা লিখার ভাষায় ব্যক্ত করতে পারেনা। ধন্যবাদ অতীত অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য।
১৬
219324
০৯ মে ২০১৪ সকাল ০৬:০৭
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : খালাম্মার সাথে অভিনয় করে মজা পেয়ে অন্যত্র প্রয়োগ শুরু করে দিয়েছেন দেখছি!
১০ মে ২০১৪ রাত ০৩:৪৭
167427
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : সময় গুলোকে প্রাণবন্ত করে তোলাই ছিল মুল লক্ষ্য। ধন্যবাদ আপনাকে।
১৭
219369
০৯ মে ২০১৪ সকাল ১০:৫৩
১০ মে ২০১৪ রাত ০৩:৪৭
167428
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : নদীতে যতদিন জল থাকে। ধন্যবাদ।
১৮
219522
০৯ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৩৭
নোমান২৯ লিখেছেন : নোয়াখাইল্লা ভাষা পড়ার সময় খুব অবাক লাগে ! অথচ এই ভাষায়-ই কথা বলি । তবু যেন বলার থেকে পড়ে আনন্দ পাই ।
১০ মে ২০১৪ রাত ০৩:৪৮
167429
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : মাখরাজ বিহীন এ ভাষাটি ভাইরাসের মত। দ্রুত ছড়ায়। এটি চট্রগ্রামের মির সরাই পর্যন্ত দখল করে নিয়েছে। ধন্যবাদ।
১০ মে ২০১৪ দুপুর ১২:৩৫
167521
নোমান২৯ লিখেছেন : আমার ভাষা নিয়ে এত টানাটানি ? আর সহ্য হচ্ছে না কিন্তু ভাইয়া !
১৫ মে ২০১৪ বিকাল ০৫:২৫
169305
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : পৃথিবীতে যে ভাষা যত বেশী লোকে বলে তার কদর বেশী। কাজেই আপনার মন এত খারাপ হবার কি আছে। আমাকে ধন্যবাদ দেয়া উচিত।
১৫ মে ২০১৪ রাত ০৮:০৭
169374
নোমান২৯ লিখেছেন : মাখরাজ বিহীন । এখানে শুধু সমস্যা ।-
অবশ্য মাখরাজ নাই যে ও ঠিক । ধন্যবাদ ভাইয়া ।
১৯
219750
১০ মে ২০১৪ দুপুর ১২:১৪
সত্য নির্বাক কেন লিখেছেন : মজা ফেলাম। ধন্যবাদ।
১৫ মে ২০১৪ বিকাল ০৫:২৬
169307
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ। আমার লিখা পড়ে কেউ মজা পেলে আমিও মজা পাই। খুশী হলাম।
২০
220384
১১ মে ২০১৪ রাত ১০:৩৭
আমি আমার লিখেছেন : ভালোই। সেরা অভিনেতা। Thumbs Up
১৫ মে ২০১৪ বিকাল ০৫:২৬
169308
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : ভূয়সী প্রশংসার জন্য অনেক ধন্যবাদ। ভাল লাগল।
২১
221779
১৫ মে ২০১৪ দুপুর ১২:৫৮
প্রেসিডেন্ট লিখেছেন : চাঁডিগঁ শহরত নোয়াখাইল্যা খতা ন চলিব। বুইজ্জনা। বদ্দা কানে কানে খই, আইও নোয়াখাইল্যা কতা কইতাম হারি।
১৫ মে ২০১৪ বিকাল ০৫:২৭
169311
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : যে যত বেশী ভাষায় পারদর্শী সে তত জ্ঞানী। এ দিক থেকে আপনিও একজন জ্ঞানী ব্যক্তি। ধনবাদ।
২২
224074
২১ মে ২০১৪ সকাল ১০:২২
ইবনে হাসেম লিখেছেন : আরে হারুণ ভাই! এমন একটা শার্ট গায়ে দিলেন, দুর থেকে বুঝাই যাচ্ছিলনা যে আপনি হারুণ ভাই। জামাটা এত মানা মানিয়েছে, আপনার বয়স মনে হয় অর্ধেকে নেমে এসেছে। রংটা খুবই আকর্ষনীয়। এটা কোথা থেকে কিনেছেন?"
ইশ্শিরে, আমি যদি এই মহা গুনের অধিকারী হইতে পারতাম!
Thinking Thinking Crying Crying
২৬ মে ২০১৪ রাত ০৪:০৫
173252
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : হাহা। মিয়া ভাই...। ভুয়সী প্রশংসার জন্য ধন্যবাদ।
২৩
226241
২৫ মে ২০১৪ রাত ১১:২৫
আইন যতো আইন লিখেছেন : খুব ভালো লেগেছে!!
২৬ মে ২০১৪ রাত ০৪:০৬
173253
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : ধন্যবাদ ভাল লাগা রেখে যাবার জন্য। আপনি আমার পুরোনো লিখা পড়ে মন্তব্য রেখে যাবার জন্য স্পেশাল ধন্যবাদ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File