রঙ্গের মানুষ - (পর্ব-৩১)

লিখেছেন লিখেছেন প্রবাসী মজুমদার ০৫ মে, ২০১৪, ১১:৪৫:৪৮ সকাল

পর্ব-৩০

ম্যাচে শিক্ষা নবীশ সদস্য হিসেবে পাকশাকে আমি এখনও এ্যাসিষ্ট্যান্ট। মাঝে মধ্যে ডাল, ভাত পাকাই। কিছুটা পরিপক্ক হয়ে উঠার জন্য একদিন ঢেড়ঁশ বাজী করার দায়ীত্বটা আমার উপর পড়ল। উত্তপ্ত কড়াইয়ে পেয়াঁজ, রসুন সহ সবকিছুই নিয়ম মাফিক দিয়ে খুব আন্তরিকতার সাথে পাকে মনোযোগ দিয়ে কাজ করছিলাম। ঢেঁড়শ ভাজি করতে হবে। ভাজি করার সময় ঢেড়ঁশটা কেমন জানি শূকনো মনে হল। মনে হচ্ছিল, নীচে লেগে যাচ্ছে। আলু ভাজির মতই অনুমান করে ঢেঁড়শের মাঝে হালকা পানি দিয়ে দিলাম। বাস। এরপর অনেক চেষ্টা করেও ঢেঁড়শের পানি শুকানো আর সম্ভব হলোনা। সর্বশেষে মনে হল, এটি ঢেঁড়শ ভাজি নয়। আয়ুর্বেদীয় পদ্ধতিতে তৈরী করা ভেষজ ওষুধ। সেদিন আমার পাকানো ঢেঁড়শের চেহারা দেখে কেউ আর মুখে দেয়নি।

অন্য একদিনের কথা। রাতে পাকানো ডালটা মজা করে খেয়ে সবাই ঘূমিয়ে পড়লাম। সকালে ঘুম থেকে উঠে রুটিন অনুযায়ী টুকি টাকি পাকের কাজ শুরু হল। ডালটা টেষ্ট করে দেখি কেমন জানি টক হয়ে আছে। ডালটা যে নষ্ট হয়ে গেছে, বুঝার বাকী থাকলনা। নতুন করে আবার ডাল পাকানোর সময় নেই। ঝামেলাতো বটেই। অফিসে যাবার সময় হেলাল কামালকে দুপুরের লাঞ্চের জন্য ভাতের সাথে ডালও নিয়ে যেতে হবে। মনটা খুব খারাপ হয়ে গেল। ভাবলাম, থাক। কাউকে না বলে্ এটিকেই কায়দা করে খাওয়ার জন্য বলি। তাই হেলালকে ডেকে বললাম,

- শালার, ডাালে লেবু দিলে এত মজা হয় জীবনে কখনও কল্পনাই করিনি।

- হেলাল বলল, তুই বেকুব নাকি? ডালে কি কেউ কি লেবু দেয়?

- আরে বাবা। নতুন কিছু একটা করে যদি ডাল মজা হয় মন্দ কিসে? বিশ্বাস না হলে একটু খেয়ে দ্যাখ। দারুণ মজা। আহ। আমার যে এত বুদ্ধি কল্পনাই করা যায়না। বিশ্বাস করে সবাই মজা করে গরম ভাতের সাথে ডাল খেয়ে অফিসে যাওয়ার সময় সাথে একটু নিয়েও গেল।

সন্ধ্যায় বাসায় ফিরে আসার সময় দোকান থেকে চমুচা নিয়ে এসেছি। কারণ, সকাল বেলা খাইয়ে দেয়া পচা ডালের খবর জানতে পারলে আজ তুমুল একটা ঝগড়া হয়ে যাবে।

বাসায় ঢুকতেই দেখি, ওদের দুজনের মুডটা খুব খারাপ। চমুচা এগিয়ে দিয়ে বললাম গরম চমুচা। খেতে বসে দেখি দারুণ মজা। তাই তোদের জন্যও নিয়ে এলাম।

- তোরে নিয়ে কি যে করি বুঝে উঠতে পারছিনা। শালার ভাবছিলাম, আজ তোকে ম্যাচ থেকে বের করে দেবো। পাঁচ টাকার চমুচা এনে মুডটাই নষ্ট করে দিলি।

- কেন? কি হয়েছে? - না জানার ভান করে ওদের কাছে জানতে চাইলাম।

কামাল ঠোঁটের ফাঁকে মুচকী হাসিটাকে খুব জোরে চেপে মলিন মুখে বলতে লাগল

- এই। সকালে তুই পচা ডালে লেবু দিয়ে টক বলে আমাদেরকে খাইয়ে দিলি কেন?

- মানে? কে বলেছে? আমি নিজেইতো লেবু দিয়েছি? দেখিসনি আমিও তোদের সাথে খেয়েছি কোন পাগল কি জেনে শুনে পচা ডাল নিজেও অন্যর সাথে খায়?

- আচ্ছা ঠিক আছে বুঝলাম ডাল খারাপ হয়নি। তাহলে লেবু দিলে ডালের উপর ফেনা ভাসবে কেন? তাছাড়া, ৪-৫ ঘন্টার মাথায় টকের পরিমাণ আরও দ্বিগুন হবে কেন? জীবনে কোথাও শুনেছিস যে, টক নিজে নিজেই সময়ের ব্যবধানে দ্বিগুন হয়? কেবল মাত্র বাসী এবং পচা জিনিসেই এমন হয়। দ্বিতীয়ত, আজ অফিসে যাবার সময় তু্ইও অফিসে ভাত নিসনি কেন? তার মানে তুই জানতি যে ডালটা পচা। আমাদের সাথে খেলেও অফিস পর্যন্ত নিয়ে খাবার মত অবস্থা নেই।

- হায় হায়। ধরা খেয়ে গেলাম। ভাবলাম, কথা পেচিয়ে আর লাভ নেই। পাকশাকে এসব জ্ঞানীদের কাছে সেয়ানাগীরি করে পার পাবোনা। খামোখা মিথ্যা কথা বলে সংসারটা ভেঙ্গে লাভ কি? তাই কিছুটা সহজ করার জন্য বললাম,

- দ্যাখ। কোন কিছু কাউকে শেখাতে হলে ছাড় দিতে হয়। না হয় নতুনরা শেখার আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। ওরা ভূল করলেও এমন ভাব করা উচিত নয় যে, ওরা আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। গতকালের ডালটা সকালে মুখে দিয়ে দেখি একটু টক হয়ে আছে। না বুঝার জন্য আমি আরও একটু লেুব দিয়ে দিলাম। নতুন করে ডাল পাকানোর সময়ও নেই। তাই তোদের বিশ্বাস অর্জনের জন্য আমি নিজেও খেয়েছি। আর জেনে শূনে নিজের জন্য পচা ডাল অফিসে নেবো এটা কি হয়? আল্লাহর শুকরিয়া যে, ডালে কারে পেটে অসুখ হয়নি।

আমার কেনা চমুচা খেতে খেতে দুজনের রাগটা অনেক আগেই গলধঃকরণ হয়ে গেছে। তাই হেলাল হাসতে হাসতে বলতে লাগল,

- কোনদিন যে পচাঁ সব্জিতেও লেবু দিয়ে চালিয়ে দিস আল্লাহই জানে। বাবা তোর কাছে মাফ চাই। পচা তরকারীতে লেবু দিয়ে নুতন একটা কিছু করার আর চেস্টা করিস না কখনও। এসব খেয়ে হাসপাতালে যাবার চেয়ে্ উপোস থাকা্টাই উত্তম।

অন্য একদিন পাহাড়তলী বাজার হতে বড় একটা রুই মাছ নিয়ে আসলাম। মাছটা দেখে কামাল হেলাল দুজনের মাথাটাই গরম হয়ে গেল। বলল

- এত বড় মাছ তোকে আনতে কে বলেছে?

- বললাম, খেতে মন চাইছে। তাই নিয়ে আসলাম। কেন, বিষতো আর আনিনি!

- যাও। তুমি কেটে পাকশাক করে নিজেও খাও, আমাদেরকে ও খাওয়াও।

বললাম, কিনেই যেহেতু ফেলেছি, কিছু একটাতো করতে হবে। নিজেরা খামোখা ঝগড়া করে কি লাভ আছে? চল, খালাম্মাকে দিয়ে আসি।

হেলাল বলল, না। এভাবে দিতে গেলে খালাম্মা মাইন্ড করবে। বলবে, দেখ, ওরা আমাদেরকে দিয়ে এখন তরকারীও পাকায়। তাই তিনজনেই ফন্দি আঁটলাম কি করে খালাম্মাকে দিয়ে রুই মাছটি পাকানো যায়। বাস। পরিকল্পনা মোতাবেক শুরু হয়ে গেল আমাদের নতুন প্রজেক্টের অভিনয়।

সন্ধ্যা ৭টা। কামাল হেলাল খালাম্মাদের বাসায় গিয়েছে। ড্রইং রুমে বসে দুজনেই টিভি নাটক দেখতে লাগল। খালাম্মা খালু দুজনে পাশাপাশি বসে টিভি দেখছে। কিছুক্ষণ পরে আমি গিয়ে উপস্থিত। রুমে ঢুকতেই কামাল আমার দিকে তাকিয়ে হাসতে হাসতে বলল,

- কি ব্যাপার। রুই মাছ পাকানো শেষ?

- কিছুটা রাগের স্বরেই বলতে লাগলাম, আজ পাকশাক বাদ। তোরা না পাকালে কিছুক্ষণ পর এটিকে পুকুরে ফেলে দেবো। থাক । আজ আর খেতে হবেনা। উপোস থাকবো।

রুই মাছ নিয়ে আমাদের তিনজনের বাক বিতন্ডা দেখে খালাম্মা জানতে চাইল - কি হয়েছে বাবা ?

না। খালাম্মা। আর বইলেন না। ওকে নিয়ে বড় বিপদে আছি। ওরা দুজনেই আমার বিরুদ্ধে খালাম্মার কাছে বিচার দিতে শুরু করল,

- দেখেনতো খালাম্মা। এত বড় রুই মাছ। আমাদের কাছে কি দা-বটি আছে যে সুন্দর করে পাকাবো? ওর নাকি রুই মাছ খেতে মন চাইছে। নিজে পাকাতে পারেনা, রুই মাছ খাওয়ার শখ! যাও। এখন শখের রুই মাছ পাকিয়ে নিজেও খাও আমাদেরকেও খাওয়াও।

খালাম্মার দৃষ্টি আকর্ষন করে বললাম, দেখছেন খালাম্মা। আমি কোথায় সেই পাহাড়তলী হতে কষ্ট করে মাছটা কিনে বোঝা বয়ে আনলাম। ওরা সহযোগীতা না করে উল্টো আমার উপর রাগ করে এখানে এসে বসে আছে। আমি ওদের কাছে কি পাক শেখবো। দুজনের মুড দেখলে মনে হয় ফাইভ স্টার হোটেলের সেফ। কামাল বলল,

- খালাম্মা। এ লোকটাকে সাথে রাখলেতো মনে হয় আমরা দুজন বেশীদিন আর বাচঁবোনা। পাকশাঁক না জানলেও সে যে টেকনিকে কথা বলে, মনে হয় গান্ধা পঁচা সবই খাইয়ে আমাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে দেবে। বাপরে বাপ। তার কত বড় সাহস, পচা ডালে লেবু দিয়ে টক বলে সকালে দুজনকেই পঁচা ডালটা খাইয়ে দিল! আমরা একটুও বুঝতে পারলামনা!

সবচেয়ে বড় কথা হল, বিশ্বাস করার জন্য সে নিজেও মজা করে খেয়ে আমাদেরকে বিশ্বাস করিয়ে ফেলল। অফিসে দুপুরে খাবার সময় টিফিন বক্স খুলে দেখি সর্বনাশ। পচাঁ ডালের দুগন্ধে পুরো অফিস নষ্ট!

- এসব শুনে খালাম্মা খালু অট্র হাসিতে ফেটে পড়ল। বলল, থাক বাব। ঝগড়া করতে হবেনা। রুই মাছ নিয়ে আস। আমরা পাকিয়ে দেবো।

হেলাল বলল, না খালাম্মা। আপনি কষ্ট করার দরকার নেই। বাদ দেন। মাছ একটা নষ্ট হলে কি আর যায় আসে। থাক। আজ সবাই হোটেলে খেয়ে ফেলবো। পয়সা দেবে আনোয়ার।

না। খালাম্মা মানলোনা ওদের কথা। নিজেই পাকিয়ে দেবার জোর তাগীদ দিয়ে রুই মাছটা এনে দিতে বলল।

এবার হেলাল চোখ টিপ দিয়ে আমাকে বলতে লাগল, নিজেতো পাকাতে পারবেনা। যাও, এবার অন্তত মাছটা ম্যাচ থেকে এনে খালাম্মাকে দাও। ভাগ্যীস খালাম্মা পাকিয়ে দেবে বলছে। না হয় এটি আজ পুকুরেই যোতো।

..........মাঝে মধ্যে এভাবেই মিছে অভিনয় করে খালাম্মাকে দিয়ে পাকানো তরকারী সবাই ভাগ করে খাওয়ার মজাটাই আলাদা। আন্তরিকতাটাও যেন দিন দিন বেড়ে গেল। যার কারণে আমরা অফিসে চলে গেলে মাঝে মধ্যে খালাম্মা কিংবা ভাবী এসে আমাদের ম্যাচটা পরিস্কার করে দিয়ে যেতো।

ব্যবহার আর আন্তরিকতার মাধ্যমে গড়ে উঠা সেই মানবিক ভালবাসার শেঁকড় ছিল অনেক গভীর। একটা সময় এল, মনে হতোনা যে আমরা এ বাড়ীতে ভাড়া থাকা লোক। খালাম্মার আন্তরিকতা, আতিথেয়তা, নিজের ছেলের মত করে কাছে টেনে নেয়ার অনূভুতি সত্যিই ভুলার মত নয়। জীবন চলার পথে ক্ষণিকের জন্য অপেক্ষমান প্রতিটি ষ্টেশনের অপরিচিত মানুষগুলোর সাথে যেচে পরিচিত হয়ে নিজেকে খাপ খাইয়ে নেয়ার মানসিকতা প্রতিটি মুহুর্তকে প্রাণবন্ত করে তোলে। খালাম্মাদের বাড়ীতে থাকার দিনগুলো ছিল দির্ঘ অভিজ্ঞতালব্ধ জীবনে চলার পথের একটি অন্যতম ষ্টেশন, যেখানে এখনো ছুটে যাই। নাড়ি আর মনের টানে আজও একাকীত্ব সময়ে বিছানায় চীৎ হয়ে শুয়ে হারিয়ে যাই সেই অতীতের স্মৃতি বিজড়িত স্থানগুলোতে। তম্ময় হয়ে কল্পনার পর্দায় বিচরণ করি সেই স্মৃতিময় মুহুর্তের অলি গলিতে। জীবনের আর্কাইভে রাখা সে সব পুর্ণ দৈর্ঘ্য ছায়া ছবিতে অভিনীত গল্পে - কখনও নায়ক, কখনও শিক্ষক, কখনও কমেডিয়ান হিসেবে নিজেকে দেখে বিস্মিত হই। সম্বিত ফিরে এলে মনটা খারাপ হয়ে যায়। ইচ্ছে হয়ে, আবারও ফিরে যাই সেই সব জীবন্ত স্মৃতির কাছে.....। কিন্তু সেটিত আর সম্ভব নয়। কারণ, ওয়ান ওয়ে টিকেটে চড়ে বসা জীবনের দ্রুততম "সময়ের ট্রেনটি" পেছনে ফিরে যাবার পথ চিরতরে রুদ্ধ।

.......তবুও বেঁচে থাকার নেশায় স্বপ্নে বিভোর এ অবুঝ মন আত্মতৃপ্তির ঢেকুর তুলে মিছে গায়. "আবার হবেতো দেখা, এ দেখা শেষ দেখা নয়তো...।

বিষয়: বিবিধ

১৬০০ বার পঠিত, ৫৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

217650
০৫ মে ২০১৪ দুপুর ১২:২৭
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : প্রায় পাঁচবছর মেস এ বসবাস করলেও এমন বুদ্ধি কখনও গজায় নাই মাথায়!!
তা হলে কত আরামে থাকতে পারতাম। বরং মোবাইলে আম্মার সাথে কথা বলতে বলতে বিরিয়ানি রান্না করেছি।
০৫ মে ২০১৪ বিকাল ০৪:৩০
165889
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : আহা। লজিং টিউশনি আর কিছু পরিপক্ক বন্ধু ইম্প্রোসিভ কর্ম থেকে শেখা এসব। আমরা সত্যিকারাথে অনেক কিছুই জানিনা যা জানা ছাড় জীবন অচল।
- কিভাবে পজেটিভ থাকতে হয়।
- কি করে নেগিটিভ দুর করতে হয়।
- কেমন করে রিলেশান বিল্ড আপ করতে হয়।
- নিজেকে কিভাবে মোটিভেটেড রাখতে হয়।
- গোল সেট কিভাবে করতে হয়?
- দৃস্টিভঙ্গী পাল্টানোর পথ কি
- নিজেকে জানার জন্য কি করতে হবে
- পারিবারিক জীবনে আপনার মেজাজ, স্ত্রীর খুটি নাটি আবেগ সমস্যা সব কিছুই নিয়ে অনেক কিছই আছে যা ছাড়া জীবন চলেনা। পারিনা বলে গরুর ঠেলা গাড়ীর মত জীবন চললেও এটি উন্নত জীবন নয়। ইত্যাদি ।
ধন্যবাদ।
217653
০৫ মে ২০১৪ দুপুর ১২:৩১
প্রেসিডেন্ট লিখেছেন : জীবনের আর্কাইভে রাখা সে সব পুর্ণ দৈর্ঘ্য ছায়া ছবিতে অভিনীত গল্পে - কখনও নায়ক, কখনও শিক্ষক, কখনও কমেডিয়ান হিসেবে নিজেকে দেখে বিস্মিত হই। সম্বিত ফিরে এলে মনটা খারাপ হয়ে যায়। ইচ্ছে হয়ে, ফিরে যাই সেই সব জীবন্ত স্মৃতির কাছে.....।

ভালো লেগেছে বেশ! Rose Rose
০৫ মে ২০১৪ বিকাল ০৪:৩১
165891
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : কোডিং মন্তব্যর জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ। কৃতজ্ঞতা আপনার প্রতি প্রত্যহ এ ব্লগ বাড়ীতে অনুভুতি রেখে যাবার জন্য।
217673
০৫ মে ২০১৪ দুপুর ০১:৩১
বুঝিনা লিখেছেন : "আবার হবেতো দেখা, এ দেখা শেষ দেখা নয়তো...।
০৫ মে ২০১৪ বিকাল ০৪:৩২
165894
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : হাহা। ধন্যবাদ। তবে কল্পনায় বাস্তবে নয়।
217676
০৫ মে ২০১৪ দুপুর ০১:৪৭
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : তবুও বেঁচে থাকার নেশায় স্বপ্নে বিভোর এ অবুঝ মন আত্মতৃপ্তির ঢেকুর তোলে মিছে গায়. "আবার হবেতো দেখা, এ দেখা শেষ দেখা নয়তো...।
স্বপ্ন নিয়ে মানুষ বাঁচে। মানুষের স্বপ্ন যেদিন শেষ হবে সেদিন আক্ষরিক অর্থে সেই মানুষটির মৃত্যু হবে।
এই পর্বটি আমার বেশী ভাল লেগেছে।
০৫ মে ২০১৪ বিকাল ০৪:৪২
165900
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : ধন্যবাদ বেশী ভাল লাগার জন্য এবং ব্যস্ততার মাঝেও পড়ে সকাল সকাল মন্তব্য করার জন্য। সময় নেই। ছেলের পরীক্ষা শুরু। তাই আজ ফজরের পরে বসে পর্বটি শেষ করলাম।
217679
০৫ মে ২০১৪ দুপুর ০১:৫০
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : কারণ, ওয়ান ওয়ে টিকেটে চড়ে বসা জীবনের এ দ্রুততম ট্রেন পেছনে ফিরে যাবার পথ চিরতরে রুদ্ধ।

এই কথাটা মনে গেথে নিলাম ভাই।
০৫ মে ২০১৪ বিকাল ০৪:৪৬
165901
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : ধন্যবাদ। ভাল লাগল এসে পড়ে যাবার কারণে।
217690
০৫ মে ২০১৪ দুপুর ০২:৩১
সুমাইয়া হাবীবা লিখেছেন : সত্যিই! জীবনে চলারপথের সেইসব সাথীদের অবদান কখনো ভুলে যাবার নয়। উচিতও না। জানেন, এমনি করে আমাদের যে কত শত আত্মীয়...আপনার ভাই বলে তোমাদের কত রকমের যে আত্মীয় আছে..! তোমরা যেমন হাত বাড়িয়ে বসে আছ আত্মীয়তা করার জন্য, তোমাদের কাছে আসেও তেমন আত্মীয়তা খোঁজার লোক!
আমাদের এলাকার নিয়ম ছিল রমজানে মাদরাসার হিফজ বিভাগের একজনকে খাওয়ানো। আমরা প্রতি রমজানে দুজন বা তিনজন ছাত্রকে মেহমান নিতাম। তারা এখনও আমাদের সাথে সম্পর্ক রাখে। ঢাকা আসলে আমাদের বাড়িতে উঠে। অনেকে এত আগের যে এখন বউ বাচ্চা নিয়ে কয়েকদিনের জন্যও বেড়াতে আসে।
০৫ মে ২০১৪ বিকাল ০৪:৪৭
165903
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : আসলে আমরা সবাই লিখক নয়। না হয় জীবনে কত শিক্ষণীয় ঘটনা পড়ে আছে যা নিয়ে মানুষেরা মরে যায়। যারা খালাম্মার মত মহিলাদের সংস্পর্শে আসেনি ওরা জানেনা রিলেশন কি। আপনার আম্মা মনে হয় তাদেরই একজন্। আহ। ধন্যবাদ।
০৫ মে ২০১৪ বিকাল ০৪:৪৭
165904
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : আসলে আমরা সবাই লিখক নয়। না হয় জীবনে কত শিক্ষণীয় ঘটনা পড়ে আছে যা নিয়ে মানুষেরা মরে যায়। যারা খালাম্মার মত মহিলাদের সংস্পর্শে আসেনি ওরা জানেনা রিলেশন কি। আপনার আম্মা মনে হয় তাদেরই একজন্। আহ। ধন্যবাদ।
217692
০৫ মে ২০১৪ দুপুর ০২:৪৫
আবু ফারিহা লিখেছেন : এ পর্বে অনেক কিছু জানা হলো শিখা হলো। খুউব ভাল লাগলো।
০৬ মে ২০১৪ রাত ০৩:০৮
166067
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ। নিয়মিত এ ব্লগে আসেন বলে যাযাকাল্লাহু খায়ের।
217804
০৫ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:০২
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন লিখেছেন : আমি ও আপনার মত রান্নার হেলপার।
আমার কি মন চায় জানেন ভাইয়া ?আমার মন চায় ফিরে যেতে স্কুলের সেই আঙ্গিনায় যেখান থেকে শুধু চকলেট পাওয়া যায় কষ্ট নয়।
আপনার প্রতিটি পর্ব আমি পরেছি আর এই লিখা থেকে শব্দের ব্যবহার করা আমি শিখেছি।
০৬ মে ২০১৪ রাত ০৩:০৮
166068
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : ধন্যবাদ। ভাল লাগল আপনার শেখার আগ্রহ দেখে। মানুষ ইচ্ছে করলে সবই পারে। শুধু কঠিন সাধনার প্রয়োজন।
217815
০৫ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:১১
বিন হারুন লিখেছেন : সরল খালামণিটা দুষ্টু পোলাদের ফান্দে পড়েছে.
০৬ মে ২০১৪ রাত ০৩:১০
166069
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : হাহা। খালাম্মার জন্য অাপনার অনেক কষ্ট হয় না? হাহা। এখনও ওরা আমাদের কাছে টেনে নেয়। ধন্যবাদ।
১০
217859
০৫ মে ২০১৪ রাত ০৮:৩২
পুস্পিতা লিখেছেন : জীবন এই ধরনের নানারকম গল্পে ভরপুর।
০৬ মে ২০১৪ রাত ০৩:১২
166070
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : ধন্যবাদ ব্যস্ততার মাঝেও ব্লগে আসার জন্য। কে জানতে ঐ সব স্মৃতিময় কথাগুলো আজকে লিখতে বসবো। এভাবে কত হারিয়ে যাওয়া কাহিনী জীবনের অগোচরে রয়ে গেছে। ধন্যবাদ।
১১
217940
০৫ মে ২০১৪ রাত ১১:০৩
আমি আমার লিখেছেন : ওল্ড ইজ গোল্ড। ভালো লাগলো ভাইয়া। Rolling on the Floor
০৬ মে ২০১৪ রাত ০৩:১২
166071
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : ধন্যবাদ। আসলে সেই পুরোনো স্মৃতি আর আসবেনা। আধুনিক যুগে এসব কেবলী অলীক কল্পনা। ধন্যবাদ।
১২
217952
০৬ মে ২০১৪ রাত ১২:৩২
বিদ্যালো১ লিখেছেন : kokhono mess a thaka hoini. ashob bepare purai oggo. moja pacchi apnar kahini pore. Life a akta opurnota theke jabe mone hocche.
০৬ মে ২০১৪ রাত ০৩:১৪
166072
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : সত্যিকারার্থে নজরুলের কবিতা আর রবী ঠাকুরের সাহিত্যর পার্থ্যক্যটা এখানেই। ম্যাচে থেকে মানুষদের কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয়েছে। সে সব স্মৃতিযে আজ সাহিত্য হয়ে ব্লগে আপনাদের মত মানুষদের মনে দাগ কাটবে তা ভাবতেই পারিনি। ধন্যবাদ নিয়মিত ব্লগে এসে মন্তব্য করে যাবার জন্য।
১৩
217986
০৬ মে ২০১৪ সকাল ০৫:১০
শেখের পোলা লিখেছেন : .......তবুও বেঁচে থাকার নেশায় স্বপ্নে বিভোর এ অবুঝ মন আত্মতৃপ্তির ঢেকুর তুলে মিছে গায়. "আবার হবেতো দেখা, এ দেখা শেষ দেখা নয়তো... ????????????
০৭ মে ২০১৪ রাত ০৩:৫৪
166410
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : হাহা। ধন্যবাদ কোডিং মন্তব্য করার জন্য। ভাল লাগল।
১৪
217989
০৬ মে ২০১৪ সকাল ০৫:৩৩
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : কিছু মানুষ মায়ার বাঁধনে এমনভাবে বেঁধে ফেলেন যে তাঁরা আমাদের স্মৃতির অংশ হয়ে গেলেও উপস্থিত অনেকের চেয়ে মনের অনেক বেশি কাছাকাছি সবসময়। ভাল লাগল পড়ে Happy Rose
০৭ মে ২০১৪ রাত ০৩:৫৫
166411
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : আপনি সত্যি কথাটাই বলেছেন। অন্যর সাথে ওভাবে সম্পর্ক না হওয়ায় অনেকের কাছেই এটি অবিশ্বাস্য বিষয়। অথচ এটিই বাস্তবতা। ধন্যবাদ।
১৫
218082
০৬ মে ২০১৪ দুপুর ০২:৪৪
সত্য নির্বাক কেন লিখেছেন : আমার একজন মামা আছে। ডাকা মামা। উনি আমাদের দুকানের কর্মচারী ছিল। তিনি আমার আপন মামার ছেয়ে ও অনেক কাছের মানুষ। আব্বা তাকে লিখা পড়া করিয়ে। প্যারা মেডিকেলে পড়িয়েছেন। তিনি এখন আমাদের ছেয়ে ও স্টাব্লিস্ট আলহামদুলিল্লাহ্‌। আমার বিয়ের অনেক আগে থেকে সেই মামী আমাদের বাসায় এসে সহযোগিতা করেছিলেন। আসলে সম্পর্ক এমনই। আপনি চমৎকার লিখেন মাশে আল্লাহ্‌। বেশী বেশী লিখবেন যাতে আমরা বেশী বেশী শিখতে পারি। আপনার ব্লগে বেশ কয়বার ঘুরে এসেছি লিখা না পেয়ে মন খারাপ হয়েছে।
০৭ মে ২০১৪ রাত ০৩:৫৭
166412
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : সত্যিকারার্থে মানুষের জয় করা হৃদয়ের অভিব্যক্তিই অন্যরকম। এটি রক্ত দিয়ে হয়না। আমি অনেক জায়গায় এমনটি পেয়েছি।

আমার লিখার ভক্ত জেনে খুশী হলাম। এত ব্যস্ত যে নিয়মিত ব্লগ লিখতে পারিনা। অন্যদের লিখায় কমেন্টস করা সম্ভব হয়না। দোয়া করবেন যাতে সময় করে বসতে পারি।
১৬
218139
০৬ মে ২০১৪ বিকাল ০৪:২১
গ্যাঞ্জাম খানের খোলা চিঠি লিখেছেন : মাশায়াল্লাহ! এ পর্বেও দেখা যাচ্ছে তৈলের নিখুত ব্যবহার! এই ত্রিরত্ন তৈলের ড্রামে খালাম্মা আর খালুজানকে এমনভাবে নিমজ্জিত করা সম্ভব না হলে কি ফ্রিতে ঘর পর্যন্ত পরিস্কার করানো যেত!!!
ভাগ্যিস তৈলে কোন ভেজাল ছিল না! ভেজাল থাকলে যে কোন সময় ভেজাল তৈলের কারণে গ্যাস্টিক হয়ে যেত খালাম্মাদের!!!
০৭ মে ২০১৪ রাত ০৪:০০
166413
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : হাহা। তেল নয়। মানুষের সাথে মেশার কৌশল এটি। এটি একটি আট্। জীবন চলার পথে এটি খুবই জরুরী। ধন্যবাদ আপনাকে। বলেছিনা, প্রেমে পড়া একটি অজানা মেয়ে একটি ছেলের জন্য জীবন দিতে প্রস্তত। কতটুক ভালবাসা হতে এমনটি হতে পারে। ধন্যবাদ।
১৭
218197
০৬ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:১৩
গ্রাম থেকে লিখেছেন : মজার অভিজ্ঞতা, খুব ভালো লেগেছে. ধন্যবাদ
০৭ মে ২০১৪ রাত ০৪:০০
166414
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ আমার এসব পুরোনো পাগলামি পড়ে মজা নেয়ার জন্য।
১৮
218404
০৭ মে ২০১৪ সকাল ১১:২৫
নিভৃত চারিণী লিখেছেন : খুউব ভালো লাগলো।খুব মজা করে লিখেন আপ্নি।সহজ সরল কিন্তু হৃদয় ছোঁয়া।
০৭ মে ২০১৪ দুপুর ০২:০১
166492
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : ধন্যবাদ। আমার লিখায় কাল্পনিকতা নেই। বাস্তব জীবনের দেখা সব কিছুই লিখে যাচ্ছি। ধন্যবাদ।
১৯
218433
০৭ মে ২০১৪ দুপুর ১২:২৭
আবু আশফাক লিখেছেন : মেসে আমিও মাঝে মাঝে পাকাতাম, তবে আপনার পচা ডালের গল্পের মতো কখনও গল্প ফাদতে পারিনি। কোনো গল্প ফাদার আগেই রুমমেটরা ধরে ফেলতো। তবে নিজের ভুল বা বোকামির জন্য কোনোদিন কাউকে রাগতে দেইনি। আকাম কোনো একটা করে ফেললেই পুরি/সামুচা বা শুকনো কথায় যেভাবেই হোক ভিজিয়ে ফেলতে পারতাম।
০৭ মে ২০১৪ দুপুর ০২:০৩
166495
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : আপনারও ভাল অভিজ্ঞতা আছে বুঝা গেল। আসলে খেয়াল করলে আমাদের জীবনে হাজারো সাহিত্য রসে ভরা। সেসব লিখলেই হয় উপন্যাস। ধন্যবাদ্।
২০
218450
০৭ মে ২০১৪ দুপুর ১২:৫৮
সাদামেঘ লিখেছেন : আমি আপনার লেখার ভক্ত! আপনার প্রতিটি লেখাই মন দিয়ে পড়েছি কিন্তু শুধুই পাঠক হয়ে! কারন আপনাদের মত বড় বড় লেখকদের লেখার মন্তব্য করার ভাষা আমার জানা নেই! দোয়া করবেন আমার জন্য যেন সুন্দর করে লিখতে পারি!
০৭ মে ২০১৪ দুপুর ০২:০৮
166501
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : তুমি যাহা বল আমি তাহা নই,
লিখে যাই জীবনে যাহা হল দেখা,
কল্পনায় ভর করে অতীতকে খূজে
শব্দে বর্ননা হয়ে যায় লেখা।
আড্ডার ছলেই নিত্য লিখি
হৃদয়ে জমা কথায় গাথিঁ শব্দ
শব্দের শৈল্পিকতায় বাধি গল্প
গল্পের ছলনায় নাকি পাঠক জব্দ।

ধন্যবাদ। কবিতা দিয়ে ফান করলাম। আপনার ভূয়সী প্রশংসার জন্য শুকরিয়া।

নাই
২১
218519
০৭ মে ২০১৪ দুপুর ০২:২৫
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : আপনার লেখা পড়ে মাঝে মাঝে সত্যিই জব্দই হয়ে যাই আমার স্বামী বলে কি পড়ে এত তণ্ময় হয়েছো? বলি যে চিনে সে কিনে! তুমি তো মজনু না তাই তুমি বুঝবেনা! পাঠক হতে কত আনন্দ?
পরেরটা কখন পাবো?
০৭ মে ২০১৪ দুপুর ০২:৫০
166520
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : ভাষার প্রভাব তীরের মত আঘাত করে। এটি একজন কঠিন হৃদয়ের মানুষকেও মুহুর্তে আপন করে নেয়। হারিয়ে দেয় একজন হিংস্র মানুষকে। আপনার মন্তব্যটা এমনই মনে হয়েছে। অভিভুত হলাম ভুয়সী প্রশংসা পেয়ে। যদি আমাকে কেউ বাড়িয়ে প্রশ্ন করে, আপনি গুছিয়ে লেখার রহস্য কি? তাহলে এ অদম বান্দার বিনীত উত্তর হবে, ব্লগের নেশায় প্রতিটি গলিতে ঘূরে বেড়ানো ,মাহবুবা সুলতানা লায়লার মত অসংখ্য মানুষ আছে, যাদের ভূয়সী প্রশংসা উ্জজীবিত হয়ে লিখতে লিখতে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে এগিয়ে যাওয়া এই 'আমি'। এতে হেতের নিজের কোন কৃত্তিত্ব নাই।

ধন্যবাদ।
০৭ মে ২০১৪ দুপুর ০২:৫৫
166521
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : মজুমদার ভাই আপনার লেখার প্রশংসা করে পারবোনা তবে শুধুই বলবো আপনার লেখা প্রশংসা পাবার যোগ্যতা রাথে তাই প্রশংসা পায়! আপনার লেখা পড়লে আমিও উৎসাহিত হই
২২
218727
০৭ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৫৩
মোস্তাফিজুর রহমান লিখেছেন : অতীতের স্মৃতিময় দিনগুলো মনে পড়লে হাতগুলো থেমে যায়, শুধু ভেতর থেকে একটা বড় নি:শ্বাস বের হয়। কত সুন্দর আর আনন্দময় ছিল হারানো সেই দিনগুলো।
প্রথম দিকে আনন্দ নিয়ে পড়লে শেষটায় এসে মনটা ভারী হয়ে গেল। বিশেষ করে প্রবাসে আসার পর দেশের বন্ধুদের সাথে কাটানো দিনক্ষণগুলো খুব মনে পড়ে।
বরাবরেরমত ধন্যবাদ চালিযে যান।.............
০৭ মে ২০১৪ রাত ০৮:৩৩
166670
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : সত্যি কথাই বলেছেন। এজন্য স্মৃতিগুলো চর্বন করছি। শেয়ার করে মন হালকা করছি। ধন্যবাদ।
২৩
219280
০৯ মে ২০১৪ রাত ১২:৩১
মাটিরলাঠি লিখেছেন : লেবু দেওয়া ডাল। Happy
অনেক বছর আগের কথা, বাজারে ভালো মাছ মাংস না পেয়ে দুপুরের মেন্যু হিসাবে ডিম কিনে বুয়াকে বললাম ডিম আলুর ডাল পাকাতে। এক বন্ধু প্লাস রুমমেট খাওয়া শেষ করে বলল, "শোন, মাছ গোস্ত না পাইলে শাক সবজি ভর্তা দিয়ে ভাত খাওয়াইস, তাও সকালের নাস্তা দিয়ে ভাত খাওয়াইস না। Happy
১০ মে ২০১৪ রাত ০৩:০১
167405
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : হাহা। আসলে বন্ধুদের আড্ডায় অনেক কিছুই শেখা যায়। বিচিত্র অভিজ্ঞতা নিয়ে জমে উঠা এ আড্ডার বাস্তব জ্ঞান বই পড়েও হয়না। ধন্যবাদ।
২৪
219470
০৯ মে ২০১৪ বিকাল ০৫:২৩
সিকদারর লিখেছেন : আস্-সালামু-আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ। আসলেই তাই আমরা সবাই ও্য়ান ওয়ে ট্রেনের যাত্রী । বরাবরের মত দারুন !
১০ মে ২০১৪ রাত ০৩:০২
167406
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : ধন্যবাদ পড়ে মন্তব্য রেখে যাবার জন্য। সবাই মনের অজান্তেই ওয়ান ওয়ে টিকেট কেটে সেই যে কখন বসে অনেক পথ এগিয়ে এসেছি টেরই পাইনি। ধন্যবাদ।
২৫
219569
০৯ মে ২০১৪ রাত ০৯:৪২
কেলিফোরনিয়া লিখেছেন : প্রতিটা পর্বে আপনার রচনা শৈলী একটু আলাদা, আমার মনে হয় আপনি কল্পনার জগতে না গেলে লিখতে পারেন না।
খুব উপভোগ করছি। একেবারে জীবন থেকে নেয়া।
১০ মে ২০১৪ রাত ০৩:০৩
167407
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : কথাগুলো কিন্তু জীবন থেকেই নেয়া। তবে আমার সমস্যা হল, মুড না হলে লিখতে পারিনা। আর মুড আসে কম্পিউটারের সামনে বসলে। তখন সময় গুলো কিভাবে কাটে জানিনা। এসব সমস্যা নিয়ে নিয়মিত পর্বে অনিয়ম হয়ে যায়। ধন্যবাদ ভূয়সী প্রশংসার জন্য।
২৬
224053
২১ মে ২০১৪ সকাল ০৭:৫৫
ইবনে হাসেম লিখেছেন : ওস্তাদ, আপনার লিখাগুলো পাঠে এখন এই মূহুর্তে একটা সিদ্ধান্ত নিলাম। মনটা যখন খুব খারাপ হবে নানা কারণে, তখনই এই লিখাগুলো পাঠের উপযুক্ত সময়। অশান্ত হৃদয়ে শান্তির পরশ বুলিয়ে যাবে, ভূলোতে চেষ্টা করবে সংসার জীবনের নানা ঘাত প্রতিঘাতে ক্ষত বিক্ষত হৃদয়ের কান্না।
২৬ মে ২০১৪ রাত ০৪:০৭
173254
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : ওস্তাদ আপনি এ ব্লগে আসলে আমার ও মনটা ভাল হয়ে যায়। বোদ্ধা পাঠকের পদচারণায় মনতো ভাল হবারই কথা। ধন্যবাদ।
২৭
226239
২৫ মে ২০১৪ রাত ১১:২৫
আইন যতো আইন লিখেছেন : ভালো, চালিয়ে যান!
২৬ মে ২০১৪ রাত ০৪:০৮
173255
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : অনেক এগিয়ে। ধন্যবাদ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File