রঙ্গের মানুষ - (পর্ব-৩১)
লিখেছেন লিখেছেন প্রবাসী মজুমদার ০৫ মে, ২০১৪, ১১:৪৫:৪৮ সকাল
পর্ব-৩০
ম্যাচে শিক্ষা নবীশ সদস্য হিসেবে পাকশাকে আমি এখনও এ্যাসিষ্ট্যান্ট। মাঝে মধ্যে ডাল, ভাত পাকাই। কিছুটা পরিপক্ক হয়ে উঠার জন্য একদিন ঢেড়ঁশ বাজী করার দায়ীত্বটা আমার উপর পড়ল। উত্তপ্ত কড়াইয়ে পেয়াঁজ, রসুন সহ সবকিছুই নিয়ম মাফিক দিয়ে খুব আন্তরিকতার সাথে পাকে মনোযোগ দিয়ে কাজ করছিলাম। ঢেঁড়শ ভাজি করতে হবে। ভাজি করার সময় ঢেড়ঁশটা কেমন জানি শূকনো মনে হল। মনে হচ্ছিল, নীচে লেগে যাচ্ছে। আলু ভাজির মতই অনুমান করে ঢেঁড়শের মাঝে হালকা পানি দিয়ে দিলাম। বাস। এরপর অনেক চেষ্টা করেও ঢেঁড়শের পানি শুকানো আর সম্ভব হলোনা। সর্বশেষে মনে হল, এটি ঢেঁড়শ ভাজি নয়। আয়ুর্বেদীয় পদ্ধতিতে তৈরী করা ভেষজ ওষুধ। সেদিন আমার পাকানো ঢেঁড়শের চেহারা দেখে কেউ আর মুখে দেয়নি।
অন্য একদিনের কথা। রাতে পাকানো ডালটা মজা করে খেয়ে সবাই ঘূমিয়ে পড়লাম। সকালে ঘুম থেকে উঠে রুটিন অনুযায়ী টুকি টাকি পাকের কাজ শুরু হল। ডালটা টেষ্ট করে দেখি কেমন জানি টক হয়ে আছে। ডালটা যে নষ্ট হয়ে গেছে, বুঝার বাকী থাকলনা। নতুন করে আবার ডাল পাকানোর সময় নেই। ঝামেলাতো বটেই। অফিসে যাবার সময় হেলাল কামালকে দুপুরের লাঞ্চের জন্য ভাতের সাথে ডালও নিয়ে যেতে হবে। মনটা খুব খারাপ হয়ে গেল। ভাবলাম, থাক। কাউকে না বলে্ এটিকেই কায়দা করে খাওয়ার জন্য বলি। তাই হেলালকে ডেকে বললাম,
- শালার, ডাালে লেবু দিলে এত মজা হয় জীবনে কখনও কল্পনাই করিনি।
- হেলাল বলল, তুই বেকুব নাকি? ডালে কি কেউ কি লেবু দেয়?
- আরে বাবা। নতুন কিছু একটা করে যদি ডাল মজা হয় মন্দ কিসে? বিশ্বাস না হলে একটু খেয়ে দ্যাখ। দারুণ মজা। আহ। আমার যে এত বুদ্ধি কল্পনাই করা যায়না। বিশ্বাস করে সবাই মজা করে গরম ভাতের সাথে ডাল খেয়ে অফিসে যাওয়ার সময় সাথে একটু নিয়েও গেল।
সন্ধ্যায় বাসায় ফিরে আসার সময় দোকান থেকে চমুচা নিয়ে এসেছি। কারণ, সকাল বেলা খাইয়ে দেয়া পচা ডালের খবর জানতে পারলে আজ তুমুল একটা ঝগড়া হয়ে যাবে।
বাসায় ঢুকতেই দেখি, ওদের দুজনের মুডটা খুব খারাপ। চমুচা এগিয়ে দিয়ে বললাম গরম চমুচা। খেতে বসে দেখি দারুণ মজা। তাই তোদের জন্যও নিয়ে এলাম।
- তোরে নিয়ে কি যে করি বুঝে উঠতে পারছিনা। শালার ভাবছিলাম, আজ তোকে ম্যাচ থেকে বের করে দেবো। পাঁচ টাকার চমুচা এনে মুডটাই নষ্ট করে দিলি।
- কেন? কি হয়েছে? - না জানার ভান করে ওদের কাছে জানতে চাইলাম।
কামাল ঠোঁটের ফাঁকে মুচকী হাসিটাকে খুব জোরে চেপে মলিন মুখে বলতে লাগল
- এই। সকালে তুই পচা ডালে লেবু দিয়ে টক বলে আমাদেরকে খাইয়ে দিলি কেন?
- মানে? কে বলেছে? আমি নিজেইতো লেবু দিয়েছি? দেখিসনি আমিও তোদের সাথে খেয়েছি কোন পাগল কি জেনে শুনে পচা ডাল নিজেও অন্যর সাথে খায়?
- আচ্ছা ঠিক আছে বুঝলাম ডাল খারাপ হয়নি। তাহলে লেবু দিলে ডালের উপর ফেনা ভাসবে কেন? তাছাড়া, ৪-৫ ঘন্টার মাথায় টকের পরিমাণ আরও দ্বিগুন হবে কেন? জীবনে কোথাও শুনেছিস যে, টক নিজে নিজেই সময়ের ব্যবধানে দ্বিগুন হয়? কেবল মাত্র বাসী এবং পচা জিনিসেই এমন হয়। দ্বিতীয়ত, আজ অফিসে যাবার সময় তু্ইও অফিসে ভাত নিসনি কেন? তার মানে তুই জানতি যে ডালটা পচা। আমাদের সাথে খেলেও অফিস পর্যন্ত নিয়ে খাবার মত অবস্থা নেই।
- হায় হায়। ধরা খেয়ে গেলাম। ভাবলাম, কথা পেচিয়ে আর লাভ নেই। পাকশাকে এসব জ্ঞানীদের কাছে সেয়ানাগীরি করে পার পাবোনা। খামোখা মিথ্যা কথা বলে সংসারটা ভেঙ্গে লাভ কি? তাই কিছুটা সহজ করার জন্য বললাম,
- দ্যাখ। কোন কিছু কাউকে শেখাতে হলে ছাড় দিতে হয়। না হয় নতুনরা শেখার আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। ওরা ভূল করলেও এমন ভাব করা উচিত নয় যে, ওরা আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। গতকালের ডালটা সকালে মুখে দিয়ে দেখি একটু টক হয়ে আছে। না বুঝার জন্য আমি আরও একটু লেুব দিয়ে দিলাম। নতুন করে ডাল পাকানোর সময়ও নেই। তাই তোদের বিশ্বাস অর্জনের জন্য আমি নিজেও খেয়েছি। আর জেনে শূনে নিজের জন্য পচা ডাল অফিসে নেবো এটা কি হয়? আল্লাহর শুকরিয়া যে, ডালে কারে পেটে অসুখ হয়নি।
আমার কেনা চমুচা খেতে খেতে দুজনের রাগটা অনেক আগেই গলধঃকরণ হয়ে গেছে। তাই হেলাল হাসতে হাসতে বলতে লাগল,
- কোনদিন যে পচাঁ সব্জিতেও লেবু দিয়ে চালিয়ে দিস আল্লাহই জানে। বাবা তোর কাছে মাফ চাই। পচা তরকারীতে লেবু দিয়ে নুতন একটা কিছু করার আর চেস্টা করিস না কখনও। এসব খেয়ে হাসপাতালে যাবার চেয়ে্ উপোস থাকা্টাই উত্তম।
অন্য একদিন পাহাড়তলী বাজার হতে বড় একটা রুই মাছ নিয়ে আসলাম। মাছটা দেখে কামাল হেলাল দুজনের মাথাটাই গরম হয়ে গেল। বলল
- এত বড় মাছ তোকে আনতে কে বলেছে?
- বললাম, খেতে মন চাইছে। তাই নিয়ে আসলাম। কেন, বিষতো আর আনিনি!
- যাও। তুমি কেটে পাকশাক করে নিজেও খাও, আমাদেরকে ও খাওয়াও।
বললাম, কিনেই যেহেতু ফেলেছি, কিছু একটাতো করতে হবে। নিজেরা খামোখা ঝগড়া করে কি লাভ আছে? চল, খালাম্মাকে দিয়ে আসি।
হেলাল বলল, না। এভাবে দিতে গেলে খালাম্মা মাইন্ড করবে। বলবে, দেখ, ওরা আমাদেরকে দিয়ে এখন তরকারীও পাকায়। তাই তিনজনেই ফন্দি আঁটলাম কি করে খালাম্মাকে দিয়ে রুই মাছটি পাকানো যায়। বাস। পরিকল্পনা মোতাবেক শুরু হয়ে গেল আমাদের নতুন প্রজেক্টের অভিনয়।
সন্ধ্যা ৭টা। কামাল হেলাল খালাম্মাদের বাসায় গিয়েছে। ড্রইং রুমে বসে দুজনেই টিভি নাটক দেখতে লাগল। খালাম্মা খালু দুজনে পাশাপাশি বসে টিভি দেখছে। কিছুক্ষণ পরে আমি গিয়ে উপস্থিত। রুমে ঢুকতেই কামাল আমার দিকে তাকিয়ে হাসতে হাসতে বলল,
- কি ব্যাপার। রুই মাছ পাকানো শেষ?
- কিছুটা রাগের স্বরেই বলতে লাগলাম, আজ পাকশাক বাদ। তোরা না পাকালে কিছুক্ষণ পর এটিকে পুকুরে ফেলে দেবো। থাক । আজ আর খেতে হবেনা। উপোস থাকবো।
রুই মাছ নিয়ে আমাদের তিনজনের বাক বিতন্ডা দেখে খালাম্মা জানতে চাইল - কি হয়েছে বাবা ?
না। খালাম্মা। আর বইলেন না। ওকে নিয়ে বড় বিপদে আছি। ওরা দুজনেই আমার বিরুদ্ধে খালাম্মার কাছে বিচার দিতে শুরু করল,
- দেখেনতো খালাম্মা। এত বড় রুই মাছ। আমাদের কাছে কি দা-বটি আছে যে সুন্দর করে পাকাবো? ওর নাকি রুই মাছ খেতে মন চাইছে। নিজে পাকাতে পারেনা, রুই মাছ খাওয়ার শখ! যাও। এখন শখের রুই মাছ পাকিয়ে নিজেও খাও আমাদেরকেও খাওয়াও।
খালাম্মার দৃষ্টি আকর্ষন করে বললাম, দেখছেন খালাম্মা। আমি কোথায় সেই পাহাড়তলী হতে কষ্ট করে মাছটা কিনে বোঝা বয়ে আনলাম। ওরা সহযোগীতা না করে উল্টো আমার উপর রাগ করে এখানে এসে বসে আছে। আমি ওদের কাছে কি পাক শেখবো। দুজনের মুড দেখলে মনে হয় ফাইভ স্টার হোটেলের সেফ। কামাল বলল,
- খালাম্মা। এ লোকটাকে সাথে রাখলেতো মনে হয় আমরা দুজন বেশীদিন আর বাচঁবোনা। পাকশাঁক না জানলেও সে যে টেকনিকে কথা বলে, মনে হয় গান্ধা পঁচা সবই খাইয়ে আমাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে দেবে। বাপরে বাপ। তার কত বড় সাহস, পচা ডালে লেবু দিয়ে টক বলে সকালে দুজনকেই পঁচা ডালটা খাইয়ে দিল! আমরা একটুও বুঝতে পারলামনা!
সবচেয়ে বড় কথা হল, বিশ্বাস করার জন্য সে নিজেও মজা করে খেয়ে আমাদেরকে বিশ্বাস করিয়ে ফেলল। অফিসে দুপুরে খাবার সময় টিফিন বক্স খুলে দেখি সর্বনাশ। পচাঁ ডালের দুগন্ধে পুরো অফিস নষ্ট!
- এসব শুনে খালাম্মা খালু অট্র হাসিতে ফেটে পড়ল। বলল, থাক বাব। ঝগড়া করতে হবেনা। রুই মাছ নিয়ে আস। আমরা পাকিয়ে দেবো।
হেলাল বলল, না খালাম্মা। আপনি কষ্ট করার দরকার নেই। বাদ দেন। মাছ একটা নষ্ট হলে কি আর যায় আসে। থাক। আজ সবাই হোটেলে খেয়ে ফেলবো। পয়সা দেবে আনোয়ার।
না। খালাম্মা মানলোনা ওদের কথা। নিজেই পাকিয়ে দেবার জোর তাগীদ দিয়ে রুই মাছটা এনে দিতে বলল।
এবার হেলাল চোখ টিপ দিয়ে আমাকে বলতে লাগল, নিজেতো পাকাতে পারবেনা। যাও, এবার অন্তত মাছটা ম্যাচ থেকে এনে খালাম্মাকে দাও। ভাগ্যীস খালাম্মা পাকিয়ে দেবে বলছে। না হয় এটি আজ পুকুরেই যোতো।
..........মাঝে মধ্যে এভাবেই মিছে অভিনয় করে খালাম্মাকে দিয়ে পাকানো তরকারী সবাই ভাগ করে খাওয়ার মজাটাই আলাদা। আন্তরিকতাটাও যেন দিন দিন বেড়ে গেল। যার কারণে আমরা অফিসে চলে গেলে মাঝে মধ্যে খালাম্মা কিংবা ভাবী এসে আমাদের ম্যাচটা পরিস্কার করে দিয়ে যেতো।
ব্যবহার আর আন্তরিকতার মাধ্যমে গড়ে উঠা সেই মানবিক ভালবাসার শেঁকড় ছিল অনেক গভীর। একটা সময় এল, মনে হতোনা যে আমরা এ বাড়ীতে ভাড়া থাকা লোক। খালাম্মার আন্তরিকতা, আতিথেয়তা, নিজের ছেলের মত করে কাছে টেনে নেয়ার অনূভুতি সত্যিই ভুলার মত নয়। জীবন চলার পথে ক্ষণিকের জন্য অপেক্ষমান প্রতিটি ষ্টেশনের অপরিচিত মানুষগুলোর সাথে যেচে পরিচিত হয়ে নিজেকে খাপ খাইয়ে নেয়ার মানসিকতা প্রতিটি মুহুর্তকে প্রাণবন্ত করে তোলে। খালাম্মাদের বাড়ীতে থাকার দিনগুলো ছিল দির্ঘ অভিজ্ঞতালব্ধ জীবনে চলার পথের একটি অন্যতম ষ্টেশন, যেখানে এখনো ছুটে যাই। নাড়ি আর মনের টানে আজও একাকীত্ব সময়ে বিছানায় চীৎ হয়ে শুয়ে হারিয়ে যাই সেই অতীতের স্মৃতি বিজড়িত স্থানগুলোতে। তম্ময় হয়ে কল্পনার পর্দায় বিচরণ করি সেই স্মৃতিময় মুহুর্তের অলি গলিতে। জীবনের আর্কাইভে রাখা সে সব পুর্ণ দৈর্ঘ্য ছায়া ছবিতে অভিনীত গল্পে - কখনও নায়ক, কখনও শিক্ষক, কখনও কমেডিয়ান হিসেবে নিজেকে দেখে বিস্মিত হই। সম্বিত ফিরে এলে মনটা খারাপ হয়ে যায়। ইচ্ছে হয়ে, আবারও ফিরে যাই সেই সব জীবন্ত স্মৃতির কাছে.....। কিন্তু সেটিত আর সম্ভব নয়। কারণ, ওয়ান ওয়ে টিকেটে চড়ে বসা জীবনের দ্রুততম "সময়ের ট্রেনটি" পেছনে ফিরে যাবার পথ চিরতরে রুদ্ধ।
.......তবুও বেঁচে থাকার নেশায় স্বপ্নে বিভোর এ অবুঝ মন আত্মতৃপ্তির ঢেকুর তুলে মিছে গায়. "আবার হবেতো দেখা, এ দেখা শেষ দেখা নয়তো...।
বিষয়: বিবিধ
১৬১৭ বার পঠিত, ৫৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
তা হলে কত আরামে থাকতে পারতাম। বরং মোবাইলে আম্মার সাথে কথা বলতে বলতে বিরিয়ানি রান্না করেছি।
- কিভাবে পজেটিভ থাকতে হয়।
- কি করে নেগিটিভ দুর করতে হয়।
- কেমন করে রিলেশান বিল্ড আপ করতে হয়।
- নিজেকে কিভাবে মোটিভেটেড রাখতে হয়।
- গোল সেট কিভাবে করতে হয়?
- দৃস্টিভঙ্গী পাল্টানোর পথ কি
- নিজেকে জানার জন্য কি করতে হবে
- পারিবারিক জীবনে আপনার মেজাজ, স্ত্রীর খুটি নাটি আবেগ সমস্যা সব কিছুই নিয়ে অনেক কিছই আছে যা ছাড়া জীবন চলেনা। পারিনা বলে গরুর ঠেলা গাড়ীর মত জীবন চললেও এটি উন্নত জীবন নয়। ইত্যাদি ।
ধন্যবাদ।
ভালো লেগেছে বেশ!
স্বপ্ন নিয়ে মানুষ বাঁচে। মানুষের স্বপ্ন যেদিন শেষ হবে সেদিন আক্ষরিক অর্থে সেই মানুষটির মৃত্যু হবে।
এই পর্বটি আমার বেশী ভাল লেগেছে।
এই কথাটা মনে গেথে নিলাম ভাই।
আমাদের এলাকার নিয়ম ছিল রমজানে মাদরাসার হিফজ বিভাগের একজনকে খাওয়ানো। আমরা প্রতি রমজানে দুজন বা তিনজন ছাত্রকে মেহমান নিতাম। তারা এখনও আমাদের সাথে সম্পর্ক রাখে। ঢাকা আসলে আমাদের বাড়িতে উঠে। অনেকে এত আগের যে এখন বউ বাচ্চা নিয়ে কয়েকদিনের জন্যও বেড়াতে আসে।
আমার কি মন চায় জানেন ভাইয়া ?আমার মন চায় ফিরে যেতে স্কুলের সেই আঙ্গিনায় যেখান থেকে শুধু চকলেট পাওয়া যায় কষ্ট নয়।
আপনার প্রতিটি পর্ব আমি পরেছি আর এই লিখা থেকে শব্দের ব্যবহার করা আমি শিখেছি।
আমার লিখার ভক্ত জেনে খুশী হলাম। এত ব্যস্ত যে নিয়মিত ব্লগ লিখতে পারিনা। অন্যদের লিখায় কমেন্টস করা সম্ভব হয়না। দোয়া করবেন যাতে সময় করে বসতে পারি।
ভাগ্যিস তৈলে কোন ভেজাল ছিল না! ভেজাল থাকলে যে কোন সময় ভেজাল তৈলের কারণে গ্যাস্টিক হয়ে যেত খালাম্মাদের!!!
লিখে যাই জীবনে যাহা হল দেখা,
কল্পনায় ভর করে অতীতকে খূজে
শব্দে বর্ননা হয়ে যায় লেখা।
আড্ডার ছলেই নিত্য লিখি
হৃদয়ে জমা কথায় গাথিঁ শব্দ
শব্দের শৈল্পিকতায় বাধি গল্প
গল্পের ছলনায় নাকি পাঠক জব্দ।
ধন্যবাদ। কবিতা দিয়ে ফান করলাম। আপনার ভূয়সী প্রশংসার জন্য শুকরিয়া।
নাই
পরেরটা কখন পাবো?
ধন্যবাদ।
প্রথম দিকে আনন্দ নিয়ে পড়লে শেষটায় এসে মনটা ভারী হয়ে গেল। বিশেষ করে প্রবাসে আসার পর দেশের বন্ধুদের সাথে কাটানো দিনক্ষণগুলো খুব মনে পড়ে।
বরাবরেরমত ধন্যবাদ চালিযে যান।.............
অনেক বছর আগের কথা, বাজারে ভালো মাছ মাংস না পেয়ে দুপুরের মেন্যু হিসাবে ডিম কিনে বুয়াকে বললাম ডিম আলুর ডাল পাকাতে। এক বন্ধু প্লাস রুমমেট খাওয়া শেষ করে বলল, "শোন, মাছ গোস্ত না পাইলে শাক সবজি ভর্তা দিয়ে ভাত খাওয়াইস, তাও সকালের নাস্তা দিয়ে ভাত খাওয়াইস না।
খুব উপভোগ করছি। একেবারে জীবন থেকে নেয়া।
মন্তব্য করতে লগইন করুন