রঙ্গের মানুষ - (পর্ব-৩০)

লিখেছেন লিখেছেন প্রবাসী মজুমদার ০১ মে, ২০১৪, ১১:৪৩:১৫ রাত

পর্ব-২৯

চাকুরীর ছয় মাসের মাথায় ম্যাচ পরিবর্তন করলাম। চলার পথে পরিচয় হওয়া দুজন অজানা লোক মনের অজান্তেই বন্ধু হয়ে গেল। নাম হেলাল ও কামাল। একজন কুমিল্লাবাসী। অন্যজন নোয়াখালী। এরা দুজনেই ঢাকা থেকে চাকুরী নিয়ে চট্রগ্রাম এসেছে মাত্র। ক্ষণস্থায়ী বাসা ছেড়ে নতুন বাসার সন্ধানে বের হওয়া দুজনের সাথে পথে পরিচয় হয়। কথোপকথনে দারুল মিল খুজে পাওয়ায় আমিও তাদের সাথে যোগ দিলাম। শুরু হল তিন জনের জন্য বাসা খোজার পালা। তিন দিনের মাথায় নতুন বাসাও পেয়ে গেলাম। মাদার্য পাড়া। মসজিদের পেছনে। জানে আলম চৌধুরীর বাড়ী। অনেক পুরোনো আভিজাত্য ফ্যামেলী। বাড়ীর ভেতরেই পড়ে থাকা খালি বাংলাটা ভাড়া দেয়া হবে। বাসাটি চার দেয়াল বেষ্টিত অন্দর মহলে হওয়ায় বাড়ী ওয়ালা অনেক গুলো শর্ত জুড়ে দিলেন।

- বাড়ীর ভেতরে কোন ধরনের আওয়াজ করা যাবেনা।

- কথা বার্তার সীমালঙ্গন অমার্জনীয়।

- রাত দশটার ভেতরে বাসায় ফিরতে হবে।

- বাড়ীর ভেতরের পুকুরে গোসল করা যাবেনা।

- ভাড়া অগ্রীম দিতে হবে।

- পারিপাশ্বিক কোন অভিযোগ আমলে নিয়ে যে কোন সময় বের করে দেয়ার অগ্রীম নোটিশ প্রদান করা হল..ইত্যাদি।

সবদিক থেকে থাকার জন্য বাংলাটি খুবই সুবিধা জনক হওয়ায় রাজী হয়ে গেলাম। বের হয়ে আসার পর তিনজনই মিটিং এ বসলাম। ভাবছিলাম, এতগুলো শর্ত নিয়ে আদৌ কি এ বাড়ীতে থাকা সম্ভব? তিনজনের দির্ঘ অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞানগর্ব আলোচনা পর্যালোচনা শেষে সন্তোষজন সমাধান পেয়ে গেলাম।

বেশী দেরী না করে ঝটপট বাসা পাল্টিয়ে চৌধুরী বাড়ির বাংলায় উুঠে গেলাম। বাড়ীর কর্তা আলম সাহেব খুব গরম লোক। তবে মিশুক। কর্তী চল্লিশোর্ধ হলেও কথা বলার সময় বাম হাতে মাথার আচল টেনে মুখ আড়াল করে কথা বলেন। বড় ছেলের বউ ভেতরেই পর্দার মাঝে থাকে। মেঝ ছেলে বিদেশে থাকে। তৃতীয় নাম্বার বাড়ীতে বেকার। ছোট ছেলেটি হাইস্কুলে পড়ে। বাস।

নতুন বাসা থেকে গোসল করার জন্য পুকুরের দুরুত্ব আধা কিলোমিটার। সকালে পাকশাঁক সেরে তিনজনে পুকুরে গোসল করতে যাই। কিন্তু গোসল সেরে আধা কিলোমিটার পথ হেঁটে বাসায় আসতে ঘেমে যাই। বাসায় পৌছলে গোসল করেছি বলে মনে হতোনা। গামছা দিয়ে শরীরের ঘাম মুছে পরিহিত জামা কাপড়ে অফিসে যাওয়াটা বড়ই অস্বস্তিকর মনে হত। মানসিকতার দিক থেকে ম্যাচের তিন জনই খোলা মনের ও রসিক টাইপের হওয়ায় এসব সমস্যাকে উপেক্ষা করতাম।। অনেকগুলো শর্ত মেনে এ বাড়ীর বাংলা থাকার কৌশলগুলো প্রয়োগের জন্য পনের দিন অপেক্ষা করতে হল।

এখন কিছুটা পুরোনো হয়ে উঠেছি। আসা যাওয়ার ফাঁকে বাড়ী ওয়ালা ও তার ছেলেদের সাথে যেচে সালাম বিনিময় শুরু করলাম। ঘোমটার আড়ালে মুখ ঢেকে রাখা বাড়ীওয়ালীকে দেখলেই 'মন ভরে খুব দরদের সাথে খালাম্মা" বলে সম্বোধনের মাত্রাটা তিন জনেই বাড়িযে দিলাম। বাড়ী ওয়ালাকে রাস্তায় পেলেই সালাম দিয়ে জোর করে চা নাস্তা খাওয়ানো, কথা বলা ইতাদি পরিকল্পনা মোতাবেক অনুশীলন শুরু হয়ে গেল। ছোট ছেলেকে একদিন বাংলায় ঢেকে এনে পড়ালিখা সংক্রান্ত অনেকগুলো পরামর্শ দিলাম। বললাম, তোমার যে কোন বিষয়ে সমস্যা হলে আমার কাছে এসো। সমস্যা নেই। খুশীতে আটখানা হয়ে ছেলেটি বিদায় নিল।

আহ! বাকী পনের দিনে তিন জনের পরিকল্পিত অভিনয়ে অন্দরমহলে সাড়া পড়ে গেল। বাংলা থেকে বের হবার সময় এখন সালাম দিলে খালাম্মা ঘোমটা চাড়াই কথা বলতে এগিয়ে আসে। বাড়ী ওয়ালা বাসায় এসে আড্ডা দিয়ে যায়। মেঝো ছেলে সকাল বিকাল আসা যাওয়ার রুটিন হয়ে গেল। সপ্তাহ শেষে বাড়ী থেকে আসার সময় তিনজনই খালাম্মার জন্য আম-জাম আনার পাশাপাশি ছোট নাতনীর জন্য চকলেট আনতে ভূলে যেতাম না। স্বল্প খরচে এসব সামাজিক কাজগুলো তীরের মত কাজ করল। জয় করে নিলাম 'নতুন খালাম্মার ভালবাসার অচীনপুর'।

কিছুদিন পর খালাম্মা উঠোনে যেন কি করছিল। হেলাল সালাম দিয়ে দিয়ে এগিয়ে গেল। বলল,

- খালাম্মা। আপনার সাথে কিছু কথা ছিল, যদি কিছু মনে না করেন।

- কি বাবা? বল। খালাম্মা খূশী হয়ে জানতে চাইল।

হেলালের সাথে খালাম্মার আলাপচারিতা শুরু হতেই কামাল ও আমি যোগ দিলাম। তিন জনের দরদ ভরা খালাম্মা ডাক যেন আপন খালাকে ডাকাও হার মানায়। খালাম্মার মুখের নির্মল হাসি দেখে বুঝতে বাকী থাকলনা যে, এতক্ষণে খালা কাবু হয়ে গেছে। কপাট বন্ধ ঘরের সব কটা জানালা খুলে গেছে আমাদের জন্য। তারপর আবারও হেলাল বলতে লাগল

- আচ্ছা খালাম্মা। আমরাতো আপনাদের বাংলায় থাকি আজ প্রায় ২০-২৫ দিন হল। আমাদের চলা ফেরায় কি আপনাদের কোন সমস্যা হয়?

- না বাবা। বিনয়ের স্বরে খালাম্মা জবাব দিল।

- আচ্ছা খালা, আমাদের জন্য কি আপনার একটুও মায়া হয়না?

- বিস্মিত চোখে খালা হতচকিত হয়ে জানতে চাইল, কেন বাবা?

দ্যাখেন খালাম্মা, বাড়ীতে গেলে কথা প্রসঙ্গে আমরা তিনজনেই মায়েদের বলি, চট্রগ্রামে যে বাড়ীতে থাকি, এক খালা আছে, একেবারে নিজের খালার মত। খুবই অমায়িক। অন্যরকম। খালাম্মাটা যে এত ভাল মানুষ কল্পনাই করা যায়না!

- খালাম্মা জানতে চায়, বাবা তোমাদের কি সমস্যা আমাকে বল।

এবার কামাল বলতে লাগল,

- খালাম্মা। আমরা এ বাড়ীতে আসার সময় যে সব শর্ত দিয়েছেন, তা আমরা হুবহু মানতে বাধ্য।

- না না। বাবা। তোমরা আমার পুতের মত। তোমাদেরকে যা বুঝার বুজেছি। তোমাদের খালুজানসহ আমার সন্তােনেরা তোমাদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। তোমাদের মত মানুষই হয়না। তোমাদের তিনজনে নামাজ কালাম, চলা ফেরায় এত মিল দেখে আমি আমার ছেলেদের শিখতে বলি।

- আমি বললাম, আহারে খালা। এত কাছের তিনটা পোলা সকালে আদা কিলোমিটার দুরে গোসল করতে গিয়ে কতযে কষ্ট করে। অথচ ঘরের সামনেই খালাম্মা থাকে। আসরা গতকাল বাসায় বলছিলাম, আপনাকে বিষয়টা বলব। আপনি নিশ্চয়ই মানা করবেন না।

হেলাল বলতে লাগল - বিগত একটি মাস আমরা আধা কিলোমিটার দুরে গোসল করতে যাই। সকালে পাকশাক সেরে এতটুকু দুর থেকে গোসল করে এসে ঘেমে যাই। অথচ, আপনার ঘরের পেছনেই পুকুর। আমাদেরকে সকাল বেলায় যদি মাত্র দশটা মিনিট সময় দেয়া যেত। এর ভেতরেই আমরা তিন জনে গোসল সেরে চলে আসবো।

....খালাম্মা আমাদের কথায় খুব অনুতপ্ত হল। মহিলার মনতো। একটু বুঝিয়ে বলতে পারলে তাদের হিমালয় সম অনুভুতি জয় করা যায়। খালাম্মা তাই করল। বলল,

- বাবা, আজ থেকে তোমাদের জন্য আমার দরজা খোলা। তোমারা আমার নিজের সন্তানের মত। আমাদের ঘরে তোমাদের নিয়ে অনেক আলোচনা হয়। প্রশংসায় পঞ্চমুখ। সবাই তোমাদেরকে খুব পছন্দ করে। তোমাদের উপর সব শর্ত আজ থেকে তুলে দিলাম।

কামাল হেলালকে ধাক্কা দিয়ে বলতে লাগল, দেখছিস। তোকে বলছিলামনা। খালাম্মা অন্য রকম মানুষ। কথায় আছেনা,

'মার বোন খালা, মার তুন ভালা'...।

(চলবে)

বিষয়: বিবিধ

১৭৩৪ বার পঠিত, ৬১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

216312
০১ মে ২০১৪ রাত ১১:৫০
সুমাইয়া হাবীবা লিখেছেন : ভদ্র পোলাটির অন্দরে যে একখানা দুষ্টু পোলা আছিল তাহা আজ প্রকাশিত হইলো! Tongue Tongue
০৫ মে ২০১৪ দুপুর ০২:১১
165832
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : আহারে। পোলা এখন অনেক পরিপক্ক। আগের পাগলামী না কররে তা স্মরণ করে মজা পায়। ধন্যবাদ ফাস্ট লেডি।
216316
০১ মে ২০১৪ রাত ১১:৫৫
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন লিখেছেন : ঘরে তোমাদের নিয়ে অনেক আলোচনা হয় ,তবে সেটা কার সথে কিছু বলেন নি ?
অনেক ভালো লাগতেছে চালিয়েই যান
০৫ মে ২০১৪ দুপুর ০২:১৬
165833
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : ধন্যবাদ। খালাম্মা যেহেতু বলেছে, তার মানে তাদের নিজেদের মাঝে। ধন্যবাদ।
216344
০২ মে ২০১৪ রাত ০১:৪১
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : সাধে কি আর বাড়িওয়ালারা ব্যাচেলারদের ঘর ভাড়া দিতে চায়নাAngel Straight Face
০৫ মে ২০১৪ দুপুর ০২:১৭
165834
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : আহারে ভাই। আমাদের মত ব্যাচেলর ফেলে পৃথিবীর সব বাড়ীওয়ালাই ব্যাচেলর ভাড়া দিত। স্বাদে কি খালা তরকারী পাকিয়ে খাওয়ায়? ধন্যবাদ।
216347
০২ মে ২০১৪ রাত ০১:৫১
বুঝিনা লিখেছেন : 'মার বোন খালা, মার তুন ভালা'...।
এই তাবিজের গুনতো অনেক.।
০৫ মে ২০১৪ দুপুর ০২:১৮
165835
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : ডাকের খালা ব্যবহারে হয় বলে এ খালা বোনের কদর অনেক বেশী। ধন্যবাদ ব্রগে এসে মন্তব্য করে যাবার জন্য।
216353
০২ মে ২০১৪ রাত ০৩:৩৫
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : বাতাস,ভাই ঠিকমত বাতাস দিতে পারলে কাজ ষোলআনা না হয়ে বিশআনা হবে। আর হা,আপনারা কি সত্যি শুধু খালাকে পটানোর জন্য এই কথাগুলো বলছেন,নাকি তাদের মধ্যে এই গুনগুলো ছিলোও ?
০৫ মে ২০১৪ দুপুর ০২:২০
165836
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : গুণতো অবশ্যই ছিল। অনেকক্ষেত্রে খাপ খাইয়ে নিতে কিছুটা বাড়তি অভিনয় করতে হয়। ধন্যবাদ।
216372
০২ মে ২০১৪ সকাল ০৭:৫২
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন :
কি বাবা.....? না, বাবা.... হ্যাঁ বাবা.....।
আচ্ছা "বাবা" শব্দটাকি অল্প কয়দিনের পরিচিত যাকে তাকে বলে? আমি মনে করতাম, আরো অতি-আপন কাউকে সম্বোধন করে এ শব্দটাদিয়ে Day Dreaming Day Dreaming
০৫ মে ২০১৪ দুপুর ০২:২২
165838
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : ক্যামনে বুঝাই। বিষয়টা আন্তরিকতার। একজন ভাল খালাম্মা এমনই হয়। মেয়েদের মনতো। মোমের মত। কাছে ভীড়তে পারলেই বাস। ধন্যবাদ। লজিং জীবনে কত খালাকে এভাবে আপন করেছি।
216374
০২ মে ২০১৪ সকাল ০৭:৫৫
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : যা যা শিখলাম এ বর্প থেকে....

(১) তিন জনের পরিকল্পিত অভিনয়ে Chatterbox Chatterbox

(২) স্বল্প খরচে এসব সামাজিক কাজগুলো তীরের মত কাজ করল Bring it On Bring it On

(৩) মহিলার মনতো। একটু বুঝিয়ে বলতে পারলে তাদের হিমালয় সম অনুভুতি জয় করা যায়। Cook Cook

(৪) খালাম্মা অন্য রকম মানুষ। কথায় আছেনা, 'মার বোন খালা, মার তুন ভালা'... সরাসরি অন-দ্য-স্পট পাম্পিং Not Listening Not Listening Unlucky Unlucky
০২ মে ২০১৪ সকাল ০৮:২৬
164484
কেলিফোরনিয়া লিখেছেন : হারিকেন ভাই, চরম একখান কমেন্ট করছেন ।Rolling on the Floor
০৫ মে ২০১৪ দুপুর ০২:২৩
165840
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : বিশ্লেষনী মন নিয়ে কোডিং মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ। ভাল লাগল।
216378
০২ মে ২০১৪ সকাল ০৮:২৮
কেলিফোরনিয়া লিখেছেন : আপানর লিখা গুলো খুব মনদিয়ে পরা হয়। মনের খোঁড়াক ...পাই। আগামী
পর্ব গুলর জন্য অপেক্ষায় রইলাম।
০৫ মে ২০১৪ দুপুর ০২:২৪
165843
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : আপনার ভাল লাগার কথা জেনে খুব ভাল লাগল। ধন্যবাদ প্রত্যহ এসে অনুভুতি রেখে যাবার জন্য।
216443
০২ মে ২০১৪ দুপুর ০১:১৬
সুশীল লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
০৫ মে ২০১৪ দুপুর ০২:৩৩
165844
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : ধন্যবাদ নিয়মিত এ ব্লগে আসার জন্য।
১০
216460
০২ মে ২০১৪ দুপুর ০২:৪৮
গ্যাঞ্জাম খানের খোলা চিঠি লিখেছেন : বদ্দা! আপনে প্রবাসী হইলেন কিল্লাই? তিন বন্ধু মিলে যদি এক্কান খাটি তৈল খারখানা স্টাবলিশ করতেন তাইলে বিল গ্যাটসের মাইক্রোসফটের চেয়েও দুনিয়াজোড়া খ্যাতি অর্জন কইরবার পাইরতেন!
আসলেই কামাল কে নিয়ে আপনারা বাকী দু’জন মিলে কামাল কিয়া ভাই!
০৫ মে ২০১৪ দুপুর ০২:৩৪
165845
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : আহারে ভাই। বেশী চালাক। আর ঘুষ খেতে অভ্যস্ত হইনি বলে বিদায় নিতে হল। ধন্যবাদ। তবে হরিপুরে তেল পেলে ও বাস্তবিক জীবনে তেলের ব্যবহার খুবই প্রয়োজন।
১১
216475
০২ মে ২০১৪ দুপুর ০৩:১৪
হতভাগা লিখেছেন : ''বড় ছেলের বউ ভেতরেই পর্দার মাঝে থাকে। মেঝ ছেলে বিদেশে থাকে। তৃতীয় নাম্বার বাড়ীতে বেকার। ছোট ছেলেটি হাইস্কুলে পড়ে। বাস।''

০ চৌধুরী সাহেবের তো কোন মেয়ে ছিল না ? ভাড়াটিয়াদের জন্য এত কাহিনী বানানোর কি কারণ থাকতে পারে ?
০২ মে ২০১৪ রাত ১০:৩৩
164848
গ্যাঞ্জাম খানের খোলা চিঠি লিখেছেন : ইচ্ছে করেই আমি বিষয়টা এড়িয়ে গেছি। কিন্তু দেখছি গ্যাঞ্জাম আমি না লাগালেও অন্য যে কেউ গ্যাঞ্জাম লাগাতে এগিয়ে আসছে! দেখা যাক চৌধুরী (যদি জানে আলম দোভাষীর বংশের কেউ হয়ে থাকে তবে এদের নামের শেষে বৃটিশদের গোলামীর লকবী চৌধুরী শব্দটি নেই সম্ভবত।)সাবের বিবি এবং চৌধুরী সাবকে ওরা তিন তৈল বাবাজী কোন গ্যাড়াকলে আটকে দেয়।
০৫ মে ২০১৪ দুপুর ০২:৪০
165847
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : আভিজাত্য একটা পরিবার বাড়ীর ভেতর বাংলা ভাড়া দিয়েছিল অর্থনৈতিক দৈন্যতার কারণে। তাছাড়া সামনে অনেকেই আলোচনায় আসবে। তাদের আন্তরিকাতা, আতিথেয়তায় এ লোকগুরো উটে আসবে। তাই কিছুটা বিবরণী এেসেছে। তবে কারো রুপ রং নিয়ে লিখিনি। আল্লাহ বাচিয়েছে আপনার কমেন্টস থেকে..হাহা।

আপনি না হলেও গ্যাঞ্জামখান সমস্যা করতো। ধন্যবাদ দুজনকে।
১২
216680
০২ মে ২০১৪ রাত ১০:৪২
আমি আমার লিখেছেন : ভালোই। Happy Happy
০৫ মে ২০১৪ দুপুর ০২:৪১
165848
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ হাজারো ব্যস্ততার মাঝে অনুভুতি রেখে যাবার জন্য।
১৩
216745
০৩ মে ২০১৪ রাত ০৪:৫৭
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : ভাল বুদ্ধি করেছেন তো!
০৫ মে ২০১৪ দুপুর ০২:৪৩
165849
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : কি আর করবো। চলার পথে কত কিছু করতে হয়। ধন্যবাদ আপনাকে। এতদিনে নিশ্চয়ই বাসা পাল্টিয়েছ্নে। আহ। নতুন সমস্যা। এবার পুরোনো বাসার জন্য আপনার খারাপ লাগবে। মানুসের মনতো....এমন না যে তাকে দেখা যায়। না হয় দুটা থাপ্পড় দিয়ে বলা যেত, ব্যাটা তোর আর কাম নাই। যেখানে সেখানে ভাল বাসার নোঙ্গর ফেলে মিছে যাতনায় আমাকে কস্ট দেয়ার ফন্দি...। ধন্যবাদ।
০৬ মে ২০১৪ সকাল ০৫:৩১
166082
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : নাহ, আগের বাসার জন্য খারাপ লাগছে না, নতুন বাসা গুছিয়ে ওঠার সময় বা শক্তি নেই সেটাই সমস্যা Don't Tell Anyone
১৪
216769
০৩ মে ২০১৪ সকাল ০৭:৪৪
শেখের পোলা লিখেছেন : অন্য ভাবেও বলা যায়, মায়ের চাইতে মাসীর দরদ বেশী৷ দেখা যাক এখানে আমাদের জন্য কি অপেক্ষা করছে৷
০৫ মে ২০১৪ দুপুর ০২:৪৫
165850
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : মাসী কে আনি নাই। কারণ মাসী শব্দগুলো বেশী ব্যবহার করতে চাইনা। আমাদের নিজস্ব শব্দ আছে। তাই। ধন্যবাদ। কবি নিজের ভেতর লুকিয়ে থাকা প্রতিভাকে কেবলী চাপিয়ে রাখতে চায়। কারণ কি?
১৫
216936
০৩ মে ২০১৪ বিকাল ০৫:০৪
সত্য নির্বাক কেন লিখেছেন : আর চিটাং অর মা খালারা সহজ সরল । একটু প্রশংসা পাইলেই হইল । হইল্লা (কলিজা) খুলি হাওয়াইব(খাওয়াবে)।
০৫ মে ২০১৪ দুপুর ০২:৪৭
165851
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : হ বদ্দা। অনে ঠিক কইয়্যনযে। ইতারার সাথে মিডা খতা খইলে সব দিবাল্লাই পাগল হই যায় ফাল্লার। চিটাগাং এর মাইয়া পোলার কলিজা বেশী নরম যে...। ধন্যবাদ।
অনেকদিন হলতো, চর্চা না থাকার কারণে অনেক মাখরাজের ব্যবহার ভূলে যেতে বসেছি।
১৬
217038
০৪ মে ২০১৪ রাত ০১:০৯
মাটিরলাঠি লিখেছেন : এখন পর্যন্ত কোন খালা পাইলাম না - যাকে পটাবো Sad

বাড়ীওলা শর্তগুলো কেন দিয়েছিলেন তা বুঝতে পারছিনা?
০৫ মে ২০১৪ বিকাল ০৪:২১
165880
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : একেত আমরা নতুন ভাড়াটিয়া। ওরাও প্রথম ভাড়া দিচ্ছে। কাজেই বাড়ীর কথা চিন্তা করেই এমনটি দেয়া হয়েছিল। ধন্যবাদ।
০৫ মে ২০১৪ বিকাল ০৪:২১
165881
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : একেত আমরা নতুন ভাড়াটিয়া। ওরাও প্রথম ভাড়া দিচ্ছে। কাজেই বাড়ীর কথা চিন্তা করেই এমনটি দেয়া হয়েছিল। ধন্যবাদ।
১৭
217165
০৪ মে ২০১৪ সকাল ১০:২৭
প্রেসিডেন্ট লিখেছেন : 'মার বোন খালা, মার তুন ভালা' Thumbs Up Thumbs Up Thumbs Up Thumbs Up Thumbs Up Thumbs Up Thumbs Up Thumbs Up Thumbs Up
০৫ মে ২০১৪ বিকাল ০৪:২১
165882
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : হাহা। ধন্যবাদ মন্তব্যর জন্য।
১৮
217236
০৪ মে ২০১৪ দুপুর ০১:২৬
বিদ্যালো১ লিখেছেন : new plot... dekha jaak ki opekkha korche ...
০৫ মে ২০১৪ বিকাল ০৪:২৩
165884
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : ধন্যবাদ। ব্যস্ততার কারনে নিয়মিত লিখা হয়ে উঠেনা। তাই আজ সুযোগ পেয়ে পরবর্তী পর্ব পোস্ট করেছি। ধন্যবাদ।
১৯
217237
০৪ মে ২০১৪ দুপুর ০১:২৬
বিদ্যালো১ লিখেছেন : new plot... dekha jaak ki opekkha korche ...
২০
217421
০৪ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৩৯
আবু ফারিহা লিখেছেন : ভালো লাগলো।
০৫ মে ২০১৪ বিকাল ০৪:২৪
165885
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : ধন্যবাদ। ভাল আছেনতো। কেমন চলছে সব কিছু।
২১
217671
০৫ মে ২০১৪ দুপুর ০১:২৯
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : 'মার বোন খালা, মার তুন ভালা'...।
পটাতে উস্তাদ তিনজন। মা' থেকে মাসির দরদ বেশী,এই প্রবাদের কি করবেন।
দেরী হয়ে গেল। আরো আগে পড়া প্রয়োজন ছিল।
০৫ মে ২০১৪ বিকাল ০৪:২৪
165886
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : ধন্যবাদ হাজারো ব্যস্ততা ফেলে ছূটে আসার জন্য। ভাল লাগল।
২২
217756
০৫ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:০৭
আবু ফারিহা লিখেছেন : অালহামদুলিল্লাহ। তবে সত্যিই অাপনাকে মিস করছি। অনেক অনেক দরকার ছিল।
০৬ মে ২০১৪ রাত ০৩:১৮
166074
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : না। দরকার নেই। আমাদের শুন্যস্থান ওদের প্রয়োজন নেই। খুব কষ্ট হয়। কিন্তু বিবেক কে কারো কাছে বন্দী রাখতে ভাল লাগেনা। ভাল নেতা না হলে ভাল গাছ ও ভাল ফল হয়না। আর নামকাওয়াস্তে দাড়িয়ে থাকা বট গাছের নীছে ভাল ফলের গাছও নষ্ট হয়ে যায়। ধন্যবাধ।
২৩
217802
০৫ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:০০
বিন হারুন লিখেছেন : ব্যাংকের ম্যানেজারকে মারা তেলের শিষি গড়াতে গড়াতে খালার বাসা পর্যন্ত আসল.
০৬ মে ২০১৪ রাত ০৩:১৬
166073
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : আহারে। আসলে চাকুরী জীবনের অভিজ্ঞতা নিয়ে লিখতে বসেছি। এসব কিছু চাকুরীর সাথে সংশ্লিষ্ট বলেই টেনে এনেছি। ১২টি চাকুরীর একটিতে সময় সব শেষ। বিদেশের চাকুরীতেও হাজারো রসাত্মক ঘটনা রয়েছে। সময় পেলে লিখবো ইনশাল্লাহ।
০৬ মে ২০১৪ দুপুর ০২:৩৯
166197
বিন হারুন লিখেছেন : আপনার লেখা ভাল লাগে, লিখুন অপেক্ষায় থাকলাম
২৪
218167
০৬ মে ২০১৪ বিকাল ০৫:০৫
মোস্তাফিজুর রহমান লিখেছেন : তিনজনে মিলে যে তেল ছিটিয়েছেন খালার মন ভাগিনাদের জন্য নরম না হয়ে কি পারে!!
০৬ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৩১
166273
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : ধন্যবাদ পড়ে মন্তব্য রেখে যাবার জন্য। ভাল লাগল আপনার পদাপনে।
২৫
218427
০৭ মে ২০১৪ দুপুর ১২:১৭
আবু আশফাক লিখেছেন : এতোদিন পড়ে আসছি স্যার হিসেবে ছাত্র/ছাত্রী ভালো পটাতে সিদ্ধহস্ত, কিন্তু এখন পড়লাম না, খালাম্মাকে পটাতেও আপনার জুরি নেই! প্রথমে তো গোসল শুরু; এরপর ছোটটাকে পড়া দেখানো নিয়ে কোন পর্যায়ে গিয়ে পড়ে তা দেখার অপেক্ষায়.............
০৭ মে ২০১৪ দুপুর ০১:৫৯
166489
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : জীবন চলার পথে মানুষকে কনভিন্স করে কথা বলাটাও এক ধরনের যোগ্যতা। এটি লুটে নেয়ার জন্য নয়, অন্যকে আপন করার জন্য। ধন্যবাদ ভূয়সী প্রশংসা করে মন্তব্য দেয়ার জন্য।
২৬
218895
০৮ মে ২০১৪ সকাল ০৮:৩২
আবু আশফাক লিখেছেন : গতকাল আমি একখানা কমেন্ট করেছিলাম। মাগার অহন কোথায়ও সেটা দেখতে পাচ্ছি না। মনে হচ্ছে রিকমেন্ট ডিলিট করতে গিয়া আমার কমেন্টটাই ডিলিট হইয়া গ্যাছে গা।
০৮ মে ২০১৪ দুপুর ০১:০৯
166862
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : না। আমি ডিলিট্ করিনাই। এক একজন ব্লগারের কম্নেট তার নিজস্ব স্বত্বাধিকারে থাকে। হয়তবা সেভ হয়নি। ধন্যবাদ।
০৮ মে ২০১৪ দুপুর ০১:১২
166864
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : না। আমি ডিলিট্ করিনাই। এক একজন ব্লগারের কম্নেট তার নিজস্ব স্বত্বাধিকারে থাকে। হয়তবা সেভ হয়নি। ধন্যবাদ।
২৭
224051
২১ মে ২০১৪ সকাল ০৭:৩৭
ইবনে হাসেম লিখেছেন : কাজের চাপে সময় কম দেয়া হচ্ছে আজকাল। তাছাড়া, আরো কিছু কারণে সময় দিচ্ছিনা তেমন। এই পর্বটি পাঠে প্রচুর আনন্দ পেলাম। আর যতদূর জানি মেস্ এর বানান মেস্ হলেই তা নির্ভূল। একটু চেক করে দেখবেন?
২৫ মে ২০১৪ রাত ১১:২৩
173195
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : সালাম বস। তবুও এসেছেন তাই ধন্যবাদ। ব্যস্ততার কথা বলে আর লাভ নেই। বানান আপনার টি ঠিক। ধন্যবাদ।
২৮
224070
২১ মে ২০১৪ সকাল ১০:১৫
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : সালাম বস। তবুও এসেছেন তাই ধন্যবাদ। ব্যস্ততার কথা বলে আর লাভ নেই। বানান আপনার টি ঠিক। ধন্যবাদ।
২৯
226238
২৫ মে ২০১৪ রাত ১১:২৩
আইন যতো আইন লিখেছেন : ভালো লাগলো

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File