এই কবি তুই চুপ কেন আজ?
লিখেছেন লিখেছেন প্রবাসী মজুমদার ২৭ এপ্রিল, ২০১৪, ১২:১৫:৪২ দুপুর
এই কবি তুই চুপ কেন আজ
কেন এত গভীর ঘুম,
প্রজার কান্নায় বাতাস ভারী
নিত্য রাজ্যে মানুষ গুম।
এই কবি তু্ই কই ছিলিরে
কোথায় ছন্দের অগ্নী তেজ,
কাঁদেনা ক্যান কলম আজি
রক্তে ভাসে আমার দেশ?
জাগবি কবে শব্দ কান্নায়
করবে কলম আর্তনাদ,
বুকফাটা ঐ আওয়াজ হবে
ভন্ড রাজার সর্বনাশ।
বারুদ ঢেলে সাজাও আজি
ছন্দে লাভায় গাওনা গান,
লক্ষ যুবক রনসাজে
ছুটবে পেয়ে ছন্দে প্রাণ।
দুর্যোগে আজ জাগনা কবি
বিদ্রোহে ভাঙ্গ শৃঙ্খল,
উড়াও ঝান্ডা দেখনা ফিরে
রাজপথে বিদ্রোহের ঢল।
শহীদ মালেক আমির হামজার
মিছিলের আজ নেইকো শেষ,
নতুন সুর্য্যোদয়ে হাসে
আমার সোনার বাংলাদেশ।
************
কৈফিয়ত : ব্লগার ও কবি 'শেখের পোলা' কবিতার শাণিত ছন্দ দেখে অনুপ্রেরণায় দিয়ে উপমন্তব্য এ কবিতাটি লিখেছিলাম।
উৎসর্গ: কবিতাটি উৎসর্গ করলাম এক বুক জ্বালা নিয়ে আত্মদহনে দিশেহারা সে সব মর্দে মুজাহিদদের জন্য যারা সীসা ঢালা প্রাচীর হয়ে ময়দানে লড়ে যাচ্ছে । সাথে সকল কলমী যোদ্ধা ব্লগারদেরকেও। ধন্যবাদ।
বিষয়: বিবিধ
২৬০৬ বার পঠিত, ৭৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
কোথায় ছন্দের অগ্নী তেজ,
কাঁদেনা ক্যান কলম আজি
রক্তে ভাসে আমার দেশ ।
অসাধারন প্রবাসী ভাই ।
আর পাবেনা পার
হারামজাদা দেশদ্রোহিরা
এই বাঙলা ছাড়
জাগো হে নওজোয়ান
জাগো
ঘুমের ঘোরেই আলসেমি ছাড়ো
নচেৎ দেশ থেকে ভাগো
যেমনি গদ্যে
তেমনি পদ্যে
আল্লাহ বারাকাহ দান করুন।
কেন এত গভীর ঘুম,
প্রজার কান্নায় বাতাস ভারী
নিত্য রাজ্যে মানুষ গুম।
ভাল লাগল ।
খুঁজছি তারে নিত্য দিন,
কোথায় গেলে পাব তারে,
পারলে তাহার হদিস দিন!
আপাততঃ পেলাম যারে,
তিনিই কলম হাতে নিক,
অগ্নিঝরা লিখন লিখে,
সুপ্ত প্রাণে জাগিয়ে দিক৷
মিছে খূঁজি বারে বার,
দোয়া মাঙ্গি প্রভূ পাঠাও আজি
ওমরকে আবার।
ভূলে যাই ওমর আমারই মত
নত করেনি কভু শির,
কোরানের রঙ্গে রাঙ্গিয়ে নিজেকে
হয়েছিল দিগ্বী বীর।
যে পথে এগিয়ে ওমর শ্রেষ্ঠ
ভূলে গেছি সেই গলি,
কেবলা বাবার দরগাহে বসে
মিছে সাজি মোরা 'অলী'।
বদর, ওহুদ, খন্ন্দক ছেড়েছি
কোরান বন্দী তাঁকে,
তাসবীহর দানায় জান্নাত খুঁজি
জাগিনা দায়ীর ডাকে।
দুনিয়া ভোগে বড় মরিয়া
মিছে করি ক্রন্দন,
অট্রালিকায় নিভুতে খূঁজি
ভ্রাতৃত্বের বন্ধন।
রক্তে রঞ্জিত দায়ীদের ভূমি
খন্ডিত ফিলিস্তিন,
ইরাক, ইরান, মিশর, বার্মায়
শংকাতে প্রভূর দ্বীন।
এসো আজি মোরা শপথ করে
রাঙ্গি কোরানের রঙ্গে,
প্রভুর কাছে সপে দিয়ে সব
চলি রাসুলের সঙ্গে।
শয়নে স্বপনে চলনে হই
জীবন্ত কোরআন,
জ্বলে পুড়ে হই আলী, ওমর
আবু বকর, ওসমান।
ফররুক-নজরুল তো দেহি কবর থেকে উঠে আইলো!!
চিনেছিল সবে নবীরে,
অন্তর ছিল অমলীন, ইবলীশে
ফেলেছিল বাহিরে৷
মুখে মোরা মারি রাজা উজির আর,
শয়তানে পুষি গভীরে,
তাহাদের সনে হতে পারি সম,সে
সাহস মোর নাহিরে৷
ইমাম,হুজুর,মাজার আর পীর,
চিনে ও চিনায় তসবী দানা,
ইসলাম কিবা,জেহাদ কয় কারে,
তাইতো হয়নি জানা৷
এস মোর ভাই, কোরান শিখাই,
জিহাদের দেই ডাক,
দূর হয়ে যাক জঞ্জাল যত আর
মানবতা মুক্তি পাক৷
কবিরা নিরব হলে চলবে না তোমাদের জাগতেই হবে
তোমাদের বলতেই হবে অনুপ্রেরণার কথা
কোথায় সেই বেলালের সুর,
কোথায় আলীর ক্ষিপ্রতা আজ
তাকের কোরআন বহু দুর।
কোথায় সেসব ঈমান আলী
কোথায় সেই কলেমার তেজ,
কোথায় সর্বহারা নেতা
ঘরছাড়া যে আমার দেশ।
বিদ্রোহে আজ নেইকো আগুন
শুণবো কবে সেই আওয়াজ,
এসো হে সব সীসা হয়ে
গড়তে হবে দ্বীনের রাজ।
সাহিত্যর এ আ্ডডা থেকে সুমাইয়া হাবীবাদের মাঝে হযরত ফাতিমার মত মহীয়সী নারী আবিভাবের প্রসব বেদনার সময় এটি। কিন্তু কৈ সে বিপ্লবীরা। ওরা কি দ্বীনকে তাদের জীবনের একমাত্র লক্ষ্য মনে করেনা? ধন্যবাদ।
ঢং করোনা রঙ্গের মানুষ
পণ করে চল আগাই,
আগুন আজি পুরো গায়ে
বাঁচার জন্য নেইকো ঠাঁই।
গ্রাম পুড়েছে দেশ পুড়েছে
বন্দী বিবেক সর্বনাশ,
শকুন উড়ে মাথার উপর
খেতে ঐ বেওয়ারীশ লাশ।
ভীরু কাদে দুহাত তুলে
দাও খোদা মদীনার রাজ
ঘরের কোনে তসবীহ টিপে
নিজকে করি উপহাস।
নাম ছিলনা, দাম ছিলনা
ইসলামেই হল খ্যাতি,
সব ভূলে আজ পেটের ধান্দায়
হলাম অথর্ব জাতি।
জাগবি কবে রাগবি কবে
ভাঙ্গবি কবে গভীর ঘূম
অপেক্ষা নয় গর্জে উঠ
না হয় তুইও হবি গুম।
,,,,,,,,,,,,,,ভাইছা, মন্তব্য নয়, মিছে কিছূ অনুভুতি দিয়ে কবিতা লিখার চেষ্টা করলাম। নিত্য আমরা হারাম খেয়ে হৃদয় এত কলুষিত হয়েছে যে, জিহাদের অনুভূতি দিয়ে কিছু লিখতে চাইলেও আসেনা। ধন্যবাদ।
বের করে আনুন। নিঃশব্দ ভালোবাসা আর অব্যক্ত কাব্য প্রসব বেদনায় ভারী হয়ে উঠুক আপনার কাব্যিক মনন। আমরা চাই সৃষ্টিশীলতা, আমরা চাই গতিময়তা, আমরা চাই সকল অন্যায়ের নায্য প্রতিবাদ। তবে তা যেন মেকি বা প্রতিকি না হয়।
জেগে উঠুক আবার এ জাতির অন্তরাত্মা। ঠিক যেমন ৭১ এ দূর্বার জেগে উঠেছিল।
ধন্যবাদ ।
একটি দেশের আর কত মানুষ নির্যাতিত হলে
একজন বিদ্রোহী কবির জম্ন নেবে?
আমার বিবেক আজও বন্দী সেই চিন্তা মননে। আমি জানি, আমার সৃষ্টি ক্ষমতা অনেক। কিন্তু এটিকে আবিস্কার করার জন্য সময় নেই নিজে্কে নিয়ে একটু বসার। চিন্তা করার। আমি ভূলে গেছি আমার সত্বা। আমি ভূলে গেছি আমার ঐহিত্য। আমি ভুলে গেছি আমার অতীত। আজ সে সব আভিজাত্যের অবিশ্বাস্য ইতিহাস গড়ার জন্য নিজের সাথে বিদ্রোহ যেন সময়ের দাবী। আমরা কি পারবো সেটি করতে? এটি অনেক বড় কঠিন। কারণ জম্নেইতো ঘুম পাড়ানো গান শুণে অভ্যস্ত হয়ে গেছি।
ধন্যবাদ। অনেক কথা বলে ফেললাম। ভাল লাগল আপনার ভূয়সী প্রশংসা।
যদিও আমি নিজেও বিভিন্ন অসঙ্গতি নিয়ে প্রায়ই লিখি, তবুও আমার কাছে মনে হয়-'প্রয়োজন নেই কবিতার স্নিগ্ধতা, কবিতা তোমায় আজকে দিলাম ছুটি....' প্রায়ই খেই হারিয়ে ফেলি। কি লিখব কি বলব তা বুঝে উঠতে পারিনা...........।
দুনিয়া আর আখেরাত দুটো সাফল্যাকে ব্যালেন্স করে রবি ঠাকুরের মত ঘুমপাড়ানো কবিতা লিখা যায়, কিন্তু নজরুলের মত বিদ্রোহী কবিতা হয়না। আপনার ভেতরের সে কবিকে জাগানোর আহব্বান করছি।
তেজী ভাব ।
ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
রাত পোহাতে অনেক দেরী পাঞ্জেরী।
দায়ীরা এখনো কাথার ভেতর
বিকট শব্দে বাজে নাক,
সুমধুর আজানে ভাঙ্গেনা ঘুম
শোনেনা বাতিলের হাঁক।
দুনিয়া দখলে বড় মরিয়া
হালাল-হারাম একাকার,
তাই কোরানের লাগিয়া কাদেনা মন
মিছে বলি আল্লাহর।
ছাড়তে হবে যে ঘর,
প্রহসনের বিচারালয় বড় অাস্থাহীন
নিভৃতে কাঁদে নারী-নর।
বড় বিষজ্বালা এই বুকে
দেখিয়া শুনিয়া ক্ষাপিয়া গিয়াছি-
তাই যাহা আসে কই মুখে
রক্ত ঝরাতে পারিনা ক' একা-
তাই লিখে যাই এ রক্ত লেখা-
অমরকাব্য তোমরা লিখিও
বন্ধু যাহারা আছো সুখে
- কাজী নজরুল ইসলাম
যিনি ঐ ক্যাম্পাসের লড়াকু সৈনিক ছিলেন-
মধ্যরাতে আমাকে ফোন করে যতকথা বললেন
(ও কাঁদলেন মনে হলো- দেখতে তো পাইনি!)
তাতে প্রবাসীদের ব্যাপারে আপনার মন্তব্যটা পূরোপূরি সঠিক নয় মনে হচ্ছে-
কিছু ব্যতিক্রম রাখলে কি ভালো হতোনা?? :
মিছিলের আজ নেইকো শেষ,
নতুন সুর্য্যোদয়ে হাসে
আমার সোনার বাংলাদেশ।
পদ্যেও নেই কম
দোয়া করি চলতে থাকুক
এইভাবে কলম।
কোথায় ছন্দের অগ্নী তেজ,
কাঁদেনা ক্যান কলম আজি
রক্তে ভাসে আমার দেশ?
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ মনের কথা গুলো কবিতার আকারে লেখার জন্য। দেশের জন্য খুব খারাফ লাগছে।
দিবানিশি শিরা-উপশিরায় ছুড়ি চালায়
আমি মরণ যন্ত্রনায় ছটফট করি
প্রত্যেক দিন অগণিতবার মরি
আমি চোখ মেলিতে ভয় পাই-বিভৎষতায়,
টিভির পর্দায় রক্তের কালো দাগ-আর উদাম নৃত্য
পত্রিকার পাতায় পাতায় ভয়াল ক্যাঁনভাস
আমি আঁৎকে উঠি কলিং বেলের ঘন্টায়
আমার কষ্ট-আমি এসব দেখি অহরহ
মানুষের মূল্য অতি সামান্য কটি টাকায়!
সব মিটমাট সেই পুরনো উদ্যেমে চলে
মায়া মমতার যেনো যাদুঘরেও ঠাঁই নাই
ভালোবাসার ভেরোমিটার টাকায় উঠানামা করে
আমি এসবই প্রতি নীয়ত দেখি-দেখতে বাধ্য হই
আমার অনুভুতি গুলোই আমায় কষ্ট দেয়
আমি কষ্ট পাই-আর্তচিৎকারে ফেটে পরি
বুকের ভেতর অসহ্য যন্ত্রনায় কাতরাই
এ কোন সভ্যতায় আমার জন্ম-প্রশ্ন করি?
সুশিক্ষিত ডাকাতের কবলে পুরো সভ্যতা
আমার প্রশ্নে প্রতিধ্বনিত হয়-আমারই আর্তচিৎকার
আমার কষ্টগুলো-আমারই অনুভুতির উপহার
এত্তো নির্মম উপহার- প্রত্যাশায় করিনি...
******************************
মজুমদার ভাই কবিতায় মন্তব্য করার সাহস পাচ্ছিনা শুধু এইটুকুন বলবো ব্লাডপ্রেসার হাই করে দিয়েছেন কান গুলো গরম হয়ে গেছে....বেচে থাকবেন শহস্রকাল বিদ্রোহীদের অন্তরে....
এখনও কি ভাঙ্গেনি গভীর নিদ্র্রা
ভোতা ঈমানে করেনা আঘাত
ভিষন্নতার মেঘে ধরনী ঢেকেছে
আকাশ হাঁকছে বজ্রাঘাত।
কাপুরুষ সব গৌধুলী ছেড়ে
আয় ঘরে ছুটে ছেড়ে কাজ
প্রকৃতি আজি নিজেই ক্ষেপেছে
মেঘের ক্ষিপ্রতায় যেন রণসাজ
আমি দেখিনি তো বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল,
দেখেছি কবি মজুমদার যে নিত্য তাড়ায় ভুল।
মন্তব্য করতে লগইন করুন