উঠ, শুধিতে হবে ঋণ
লিখেছেন লিখেছেন প্রবাসী মজুমদার ১৯ এপ্রিল, ২০১৪, ০৩:১৭:৫৩ দুপুর
তুমি না বিপ্লবী
বিপ্লব কি আপোষে হয়?
তুমি না বিদ্রোহী,
তাহলে বিদ্রোহ ছাড়া কি আসে জয়?
তুমি না আপোষহীন
কেন আপোষের এত জোট,
তুমি না দুর্বার
তাহলে ভিক্ষা চাও কেন ভোট?
তুমি না সত্যর পতাকাবাহী
তাহলে সত্যর জন্য উঠাও না কেন আওয়াজ?
তুমি না দু:সাহসি
তাহলে ভেঙ্গে দাওনা কেন বাতিলের রাজ?
তুমি না কোরানের সৈনিক
জিহাদের পোষাকে ছেড়েছ ঘর,
তুমি না দুনিয়া ত্যাগী
তাহলে কেন কাপিছ থর থর?
তুমি না পথ চলা মুসাফির
তাহলে কেন এত আয়োজন?
তুমিনা জান্নাতের ফ্ল্যাট প্রত্যাশী
তাহলে দুনিয়া দখলে কেন এত প্রহসন?
ওহুদ, খন্দক, বদরে দেখেছো
আবু জেহেলের সজ্জিত যুদ্ধের বহর?
দেখোনি, কিভাবে বাঘ হয়ে মেতেছিল
আবুবকর, আলী, ওসমান আর ওমর?
নবী ডেকেছে যেতে হবে যুদ্ধে
তাকায়নি পিছন ফিরে,
শিশুর ক্রন্দন থেমে দিতে পারেনি
এ চলা যে ফেরার নয় নীড়ে।
দুনিয়া ভোগে লাথি মেরে
বাঁচিয়েছে যারা দ্বীন,
তোমরাও তাদেরই উত্তরসূরি
উঠ, শুধিতে হবে ঋণ।
বিষয়: বিবিধ
১৪৩০ বার পঠিত, ৪৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
নী্রবতা ভেংগেছে কবি
আস সবাই মিছিলে,
প্ররবাস থেকে দুআ করি
মুনাজাতে হাত তুলে ।
নেই পথ পালাবার,
শহীদ কাফেলার কাফনের মিছিল
শবযাত্রা কারবালার।
জীবনোৎসর্গকারীরা এসো,
বন্দীত্বের শৃঙ্খল ভেঙ্গে মুক্তির এ মিছিলে
গগন বিদারী আওয়াজে কাপিয়ে দিই
জালিমের চোখ ধাঁধানো তখত।
ঐ দেখো।
হযরাত আমীর হামজার নেতৃত্বে
জান্নাত অভিমুখি মিছিল ধেয়ে আসছে।
ঈমানের অগ্নীপরীক্ষায় উত্তীর্ন
শহীদ মালেকের মিছিলের সারি
আজ অনেক লম্বা।
ঘূমন্তরা আজ জেগে উঠছে,।
ধ্বমনির প্রতিটি শিরায় প্রবাহিত
ঈমানের এ্যাটমিক রিএ্যাকশন শূরু হয়েছে।
একজন হয়রত আলী আসার অপেক্ষা আর নয়।
প্রতিটি ঈমানদারই হোক
এক একজন ওমর, ওসমান কিংবা আলীর প্রতিবিম্ব।
রাসুলের রেখে যাওয়া কলেমার পতাকা
মক্কার হেরার পাহাড় হতে আবারও
পত পত করে উড়ে আসছে আমাদের দিকে।
এসো,
জুলুমের দেয়াল ভেঙ্গে
সীসা ঢালা প্রাচীরের মত
গড়ে তুলি অপ্রতিরোধ্য ভ্রাতৃত্ববন্ধন।
খূঁজেছি হযরত আলী,
ভোজনে-বিলাসে ভূষনে কেবলী
দেখেছি ছেঁড়া কাপড়ের তালি।
কোথায় আজি ওসমানের মত
দানশীল মুসলমান,
মসজিদ খানকা মাদ্রাসায়ও পাইনি
রাসুলের দ্বীনের প্রাণ।
ভালো লাগলো
দাও প্রভু হে কোরানের রাজ,
ওহুদ খন্দক, তাবুক ছাড়াই
ফিরে দাও হারানো তাজ
বাতিলের প্রসাদ কি করে করিব কম্পমান,
পদলোভীরা আজও দ্বীনের দায়ী সাজে
কমীদের মুখে শূধু শুনি জিহাদের গান।
আহা!
সব সত্যাম্বেষীরা যদি দ্বীনের লাগিয়া
বিলিয়ে দিতো ক্ষনিকের এ জীবন,
দ্বীনের বিজয় ঠেকাতো কে গো বলো,
রহমত ঢেলে দিতে প্রভু খূলে ঐ গগন।
হারিকেন আর মোমবাতি,
কেরোসিনের বাত্তির যুগে
ছিলনা মোর কম খ্যাতি।
তাল পাতার ঐ পাখা দিয়ে
হতো রাতে দারুন ঘুম,
ব্যান্ড বিহীন সেই গায়ের বিয়ে
পড়তো যে আনন্দের ধূম।
কেঁদে হই হয়রান,
কর্মে দ্বীনহীন
বুকে নেই ফোরকান।।
তাকে রাখা কোরানে
চুমু খাই নিত্য,
মুকুট না চিনে আজি
হয়ে গেছি ভৃত্য।
রোদন করে ক্ষণে ক্ষণে,
ক্ষমতার নেশায় দিশেহারা হয়ে
ফন্দিজাল বুনে মনে।
সত্য প্রতিস্ঠায় নবীরা লড়েছে
দায়ীরা ছেড়েছে ঘর,
হেরার নবীকে তাড়াতে গিয়ে
মরেছে ক্ষমতাধর।
সত্যর নেই পরাজয়,
মিথ্যার ক্ষণিক বিজয় দেখে
বিশ্বাসীরা করেনা ভয়।
আমীর হাজমার মিছিলের সারী
বাড়িছে দিনে দিন,
রক্তে ভেজা শহীদের ভুমিতে
বিজয় হবে এই দ্বীন।
ক্ষমা করো হে মোর শ্রষ্টা,
তায়েফ ধ্বংস করিলে কভূ
মিটিবে কি দ্বীনের তেষ্টা।
মুহাম্মাদ যদি অভিশাপে সেদিন
করে দিতো তায়েফ শেষ,
রহমানের নবী হতোনা কবু
আরব- হতোনা পুন্যোর দেশ।
আমরাও তা্ই নবীর মত বলিব
ওঠো, ছড়িয়ে দাও সত্যর বানী,
প্রতিবাদের প্রদিধ্বনিতে রুখিতে হবে
উলঙ্গ সভ্যতার গ্লানী।
চাঁদের হয়ে ছড়াও আলো,
দিগন্তে ঢুবা আলোর প্রতিবিম্ব হয়ে
দীপ্তিময় করে দাও সব কালো।
তাসবীহ গুণি লক্ষ বার,
জিকির করে দিন চলে যায়
হয়নাযে প্রভুর দীদার।
কর্মহীন আজ ধর্মে ব্যাস্ত
ঘরের কোনেই আস্তানা,
কেবলা বাবার দরগাহে গায়
ভন্ড মুরিদ মাস্তানা।
ধর্ষনে সব সর্বনাশ,
দোয়ার মাঝেই ক্ষ্যান্ত বাবা
ছাড়ে কেবল দীর্ঘশ্বাস।
বুকভেসে যায় রাসুল প্রেমে
জিহাদ বিহীন আউলিয়া,
ধর্ম বাবার ভক্তরা সব
ধর্ম জ্ঞানে দেউলিয়া।
ধর্মশাস্ত্রে সবাই পন্ডিত
ধর্মহীন আজ মাও্লানা,
জিহাদ বিমুখ ঈমান আলীর
ধর্মালঙ্কেও নেই মানা।
শব্দ-ভাষায় নেই জুড়ি,
মন-জ্বালা মিটাই লিখে
কল্পনায় উড়াই ঘুড়ি।
কখনও বা চ্যাকা খেয়ে
শব্দে ঝাড়ি মনের ক্ষোভ,
প্রেম যাতনার প্রতিবাদে
কবিতাতে তাড়াই রোগ।
রাগে-ক্ষোভে ক্ষুব্ধ কবি
কলম কাঁদায় কাগজে,
কাব্যভাষায় ভ্রষ্ট কাদায়
কল্পনার রাজ মগজে।
প্রেম যাতনায় রুক্ষ কবি
আপন মনে গায় যে গান
কল্প রাজ্যে হেঁটে লিখে
কাব্য-ভাষায় জুড়ায় প্রাণ।
উড়ছে ঘুড়ি আকাশ ময়,
অবাক চোখে তাকিয়ে থাকি,
দিচ্ছে উঁকি কি বিষ্ময়!
গান ঠিকই এ রক্ত ঝরা,
বিষ্ফোরিত যন্ত্রনা,
কলম কাগজ সামন এলে,
দেয় কেবা এই মন্ত্রনা!
এই কবি তু্ই কই ছিলিরে
কোথায় ছিল এত তেজ,
কাঁদেনা ক্যান তোর কলম আজি
রক্তে ভাসে আমার দেশ?
জাগবি কবে লিখতে ছন্দ
করবে কলম আর্তনাদ,
বুকফাটা ঐ আওয়াজ হবে
অন্ধ রাজার সর্বনাশ।
বারুদ ঢেলে সাজাও আজি
ছন্দে গাহ জয়গান,
লক্ষ যুবক রনসাজে
ছুটবে পেয়ে ছন্দে প্রাণ।
আর ধমকে কে যে চমকাইলেন,
বুঝিলাম না?
তাকেও ঝুজিলাম না!!
মন্তব্য করতে লগইন করুন