এস হে সর্বনাশা বৈশাখ!
লিখেছেন লিখেছেন প্রবাসী মজুমদার ১৪ এপ্রিল, ২০১৪, ০৫:৩০:৩৯ বিকাল
এসো হে বৈশাখ,
এসো পুর্ব দিগন্তে নবরশ্নি ছড়িয়ে,
উদ্দীপ্ত যুবতীর নৃত্যর তালে তালে
ক্ষণিকের জন্য যাবো তোমার মাঝে হারিয়ে।
হে বৈশাখ,
জানি তুমি বড় নির্জীব,
তবুও মেতে উঠবো তোমাকে করতে বরণ,
সব সুন্দরীদের লেলিয়ে দেবো তোমার পদতলে
ভাঙ্গতে হবে সব ধর্মান্ধতার তোরণ।
নতুন করে সভ্যতাকে আলিঙ্গন করবো
তুমি আসার সন্ধিক্ষণে
বিদ্রোহী ইব্রাহীমের অগ্নীকে আবারও প্রণাম করবো
মুখে বাজাবো পুজোর ধ্বণিকে।
অতৃপ্ত হৃদয় আজ বড় অশান্ত
চারিদিকে আর্তনাদ আর হাহাকার,
স্বাধীন ভূমি দখলে ধেয়ে আসছে
ধর্মান্ধ, মদীনার স্বপ্নে বিভৈার রাজাকার।
না, এমন হতে দেবোনা
মাতাপিতার ধর্ম পাঠাবো বনবাস,
উলঙ্গ সভ্যতায় আদিম হয়ে যাবো
চোখ ধাধানো যুবতীদের করবো সর্বনাশ!
সভ্যতা বিকাশের নামে মুর্তি পুজার দিকে প্রত্যাবর্তন করার মহাসড়ক 'বৈশাখের বর্ষ বরণ"। ঘরের সামনে তালগাছকে পুজা করা আর বৈশাখকে পুজা একই কথা। এটি হিন্দু সংস্কৃতির আমদানী ছাড়া আর কি হতে পারে? নিজস্ব ধর্মীয় অনুভুতি আর লালন করা বাঙ্গালী সংস্কৃতির বিসর্জন দিয়ে এসব মুর্তিপুজা সব সংস্কৃতি চর্চা হিন্দী সংস্কৃতির বাজারজাত বৈ কিছুই নয়। বিশ্বদরবারে হিন্দী ফিল্মের ছড়াছড়িতে এটিকে সবাই হিন্দু সংস্কৃতিই জানে। মা কালীর পুজামন্ডবে উলু ধ্বনি দিতে দিতে এ শোভাযাত্রা আরবের জাহেলি সভ্যতার নতুন সংস্করণ বৈ কিছুই নয়।
বিষয়: বিবিধ
১৪৯৭ বার পঠিত, ৬২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সম্ভবত ১৯৯৮ সালের দিকের কথা। চট্টগ্রামে একবার কবি আল মাহমুদের নেতৃত্বে শহীদ রজব আলীর স্মৃতি বিজড়িত প্যারেড মাঠের ইতিহাস ঐতিহ্য নবীন প্রজন্মকে জানানোর উদ্দেশ্য একবার রেলি করেছিলেন। আমি নিজেও সে রেলিতে শরীক হয়েছিলাম। অগনিত মানুষের ঢল নেমেছিল সে রেলিতে।
আমরা নিজেরাই যদি আমাদের কৃষ্টি কালচারের চর্চা বাদ দিয়ে বসি। তখন তো মাঠ খালি থাকবে না। আজকের এ করুণ আগ্রষণ কি আমাদের অনুপস্থিতিই দায়ী নয়?
আল্লাহকে যারা ভেসেছে ভাল, তাদের কি আর দু"খ থাকতে পারে...।
আমরা আমাদের কাজ চালিয়ে যাব।
সব সত্যাম্বেষীরা যদি দ্বীনের লাগিয়া
বিলিয়ে দিতো ক্ষনিকের এ জীবন,
দ্বীনের বিজয় ঠেকাতো কে গো বলো,
রহমত ঢেলে দিতে প্রভু খূলে ঐ গগন।
হলুদ শাড়ী না পরলে বৈশাখ হবেনা
সুর্যকে আলিঙ্গন না করলে বৈশাখ হবেনা।
কাজেই বৈশাখের গুষ্ঠি কিলাই। কি কন?
করিব তোমায় বরণ,
কিন্তু মানিবনা তোমার ডিজিটাল
রূপ আধুনিকী করণ৷
উল্কি নয়, নয় মুখোসে ঢাঁকা মুখ
ঢলাঢলি সকলে মিলে,
তুমিতো ছিলেনা কূৎসীত কভু দেখিব
মঙ্গল প্রদীপ জ্বেলে!
এটা যে কত বড় ভুল তা আখেরাতে বোঝা যাবে ।
আফসোস! তখন শোধরানোর কোন সুযোগ থাকবে না ।
একে তো জঙ্গল শোভাযাত্রা বলা উচিত।
মুছে দিতে মুখোশের রং,
বৈশাখ আসবে ঘুর্ণিপাকে-তবে
এই বৈশাখিরা রাম রাম জপবে না-
বলবে হে মাবুদ বাঁচাও কালবৈশাখি থেকে,
তবে কেন এই বাঙ্গালি বাঙ্গালি খেলা?
কেন গায়ে গতরে নাপাক রঙ্গের মেলা?
মুসলমান হতে ইজ্জতে লাগে তাই বাঙ্গালি সাজে-
মেলে ধরে দেহ-দেহান্তনের,
আফসোস বাঙ্গালি-মুসলমান হতে পারেনা,
পারেনা ইসলামি বর্ষ বরণ করতে!....।
*********************************
কি মন্তব্য করবো ভাই আজকাল ঐতিহাসিক চামচাদের গরমে সংসদে ত্রাহি অবস্থা,অসাধারন বললেও কম হবে...লিখেছেন। পিলাচ পিলাচ পিলাচ পিলাচ পিলাচ পিলাচ
কবির তুলনা নাই,
ধন্য হে কবি, চল এগিয়ে
তুমি হতে যদি সাঈ।
খুব ভাল লেগেছে । আরও প্রতিবাদি কবিতা চাই ।
খ্রীষ্টানদের নবর্বষ ৩০ ফাষ্ট নাইট মুসলমান , হিন্দু ,বৌদ্ধ , খ্রীষ্টান সবাই পালন করে ।
হিন্দু বৌদ্ধদের নববর্ষ পহেলা বৈশাখ মুসলমান , হিন্দু ,বৌদ্ধরা পালন করে।
তাহলে দেখুন জাতি হিসাবে মুসলমানদের অবস্থান কোথায় ?
আলোর আভা লিখেছেন : কখনো এসবের মাঝে ছিলাম না এখনো নাই ।আল্লাহর কাছে অনেক শুকরিয়া ।
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : আমরাও নেই। যারা আছে ওদের জন্য করুণা হয়। বিপথে নিয়ে যাচ্ছে অনেক কে।
আমার মতো করে বলার জন্য ২জনকেই আমার পক্ষথেকে লালগুলাপ।
শিক্ষা যদি নিতে পারি, নববর্ষের দিন হতে
"সব ছেড়ে দেবো পাড়ি, রঙ্গিন এ দুনিয়া থেকে"
সব ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে, ভালোবেসে সবাইকে
ঐক্যের সমাজ গড়েতুলি, থকবো সুখে শান্তিতে।
উলঙ্গ সভ্যতায় আদিম হয়ে যাবো
চোখ ধাধানো যুবতীদের করবো সর্বনাশ!
সেই রকম একটা কবিতা পড়লাম, তবে এট্টু দেড়িতে
মন্তব্য করতে লগইন করুন