রঙ্গের মানুষ - (পর্ব-২১)

লিখেছেন লিখেছেন প্রবাসী মজুমদার ১২ এপ্রিল, ২০১৪, ০৬:৫২:০২ সন্ধ্যা

পর্ব-২০

এখন সপ্তাহে তিন দিন যাই বিপুকে পড়াতে। কখনও কখনও তিন দিনের অধিকও হয়ে যায়। ক্লাশে গুরুত্বপুর্ন পাঠ থাকলেই এমনটি হয়। স্কুল থেকে ফোনেই ওর বাবাকে বলে দেয়, স্যার আজকে আসলে ভাল হয়।। এ ধরনের যাওয়া হঠাৎ করে হলেও মানা করতে পারিনা। স্বল্প সময়ের জন্য চলে যাই। কিন্তু এ যাওয়া এখন আর ভাল্লাগেনা। অনেকটা হাঁফিয়ে উঠেছি। ছ্রাত্রীতো জীবনে অনেক পড়ালাম। একজন আদর্শ শিক্ষকের মতই দায়ীত্ববোধের কারণে ছাত্রীর ভালবাসায় নিজে নিজে হাবুডুবু খেয়ে কল্পনায় মিছে প্রেমের পাল উড়াতে বিবেকে বাঁধা দেয়। তবুও প্রেম থেমে থাকেনা। কখন যে কোন দিক থেতে ধেয়ে আসে বুঝা মুশুকিল।

দেনা পাওনার খাতায় দর কষাকষিতে আমি আমার লাভ লোকসান নিয়েই ব্যস্ত। হিসেব কষে দেখি এখানে আয়-ব্যায় অনেকটা সমান সমান। শুধুমাত্র স্যারের আবদার রক্ষার্থে আসা-যাওয়া।

বিপুকে পড়াতে গিয়ে আমাকে কিছুটা ছাড়ও দিতে হয়েছে। আগে দুপুরে লাঞ্চের জন্য বাসা থেকে খাওয়া নিয়ে আসতাম। আমি ডাল-ভাতে অভ্যস্ত মানুষ। হোটেলের খাওয়া একেবারেই পছন্দ করিনা। পেছনের দরজায় তৈরী করা সুস্বাদু খাওয়া প্রস্তুতকারী কর্মচারীদের অবস্থার কথা মনে পড়লে চোয়াল দুটো বন্ধ হয়ে আসে। উগলে বমি আসতে চায়। বাথরুম থেকে আসা অপরিস্কার হাতে ঘেটে ঘুটে খাওয়া বন্টনের পদ্ধতি আর ঘর্মাক্ত মুখ থেকে লবন পানির ফোঁটা টুপ করে পাতিলের উপর পড়ার দৃশ্যটি মনে হলে

খাওয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলী।

অন্যদিকে ভাতের বিকল্প রুটি খাওয়াও আমার একদম অপছন্দ। ভাত খেয়ে বড় হওয়ার কারণে হয়তবা - রুটির পরিবর্তে ভাত খাওয়াটা যেন অনেকটা ভাতের সাথে বেয়াদবী মনে হয়! এটি আমার সাইকোলজিক্যাল ভাবনা। তবুও আমি এমন।

যাইহোক, টিফিন বক্স হাতে নিয়ে ম্যানেজারের বাসায় যাওয়াটা দারুণভাবে প্রেস্টিজে লাগে। না জানি আবার মনে করে, স্যার আনস্মার্ট। তাই এটি বাদ দিয়েছি। এ ব্যাপারে অফিসের প্রদীপ বাবু খুবই সিরিয়াস। ওর ভাষায়, আপনার ভাবীর হাতের পাক অফিসে বসে খাওয়ার সময়ও মনে হয় যে, ওর (স্ত্রীর) ভালবাসা চিবিয়ে চিবিয়ে খাচ্ছি। এটির অনূভুতিও আলাদা। দ্বিতীয়ত নিজের পকেটের পয়সা দিয়ে হোটেলের বাসি খাওয়া জোর করে পেটে পাঠানোর দরকারই বা কি? বরং এতে খাওয়ার নামে পয়সা দিয়ে রোগ কেনা হয়।

চাকুরীতে যোগ দেয়ার প্রথম দিকে প্রেস্টিজের কারণে হোটেলেই লাঞ্চ সেরে নিতাম। কিন্তু প্রদীপ বাবুর স্বাস্থ্য সম্মত যুক্তিটা খুব মনে পুত হওয়াতে নিজেও টিফিন বক্সে খাওয়া নিয়ে আসা শুরু করলাম। কিন্তু কিছুদিন পর বাসের ভেতর ঘটে যাওয়া একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনায় এটিও অনিয়মিত হয়ে পড়ল।

আমার উপরি নামের কোন আয় নেই। তাই সব সময় পকেট ভর্তি টাকাও থাকেনা। পকেটের উপর নির্ভর করেই বাস- রিক্সা দুটো করেই অফিসে আসতে হত। বাসে আসার জন্য আগ্রাবাদ মাদার্য পাড়া হতে টেম্পুতে দেওয়ান হাট পর্যন্ত এসে বাকী পথ বাসেই আসতাম। সব সময় বাসে সিট পেতামনা। তাই উপরের রড ধরে টিফিন বক্স হাতে দাঁড়িয়ে থাকতে হত। বাসে উঠলেই হাতে ঝুলানো টিফিন বক্স নিয়ে বড় দুশ্চিন্তায় থাকতাম। কারণ বক্সের ভেতর ডাল নাড়ার শব্দ। না জানি কার ধাক্কা লেগে..। কিন্তু আমার যে ডাল ছাড়া খাওয়া চলেনা। ডালের থৈ থৈ পানিতে ভাত থেকে খুব মজা লাগে। গরম ভাতে পান্তা ভাতের মজা নেয়ার মত!

অন্য এক দিনের কথা। বাসের রড ধরে ঝূলে আছি। হঠাৎ ভাড়া নিয়ে এক যাত্রীর সাথে ধাক্কা ধাক্কি লেগে গেল। তারপর শুরু ধস্তাধস্তির পর মারামারি। একহাতে ডাল। অন্য হাতে রডে বন্দী হাত। কি করি! ঠেলা সামলাতে না পেরে কয়েকবারই কাত হয়ে পড়ার উপক্রম হলাম। আবার সোজা হয়ে গেলাম। অবশেষে ডালের দিকে চোখ পড়ল। তাকিয়ে দেখি পাশে দাঁড়ানো ভদ্রলোকের সাদা পেন্টটিতে হলুদ কালার দিয়ে সদ্য রং করা চিত্রটি আমার ডাল দিয়ে করার মত মনে হল। বিদ্যুতের গতিতে নিজের বক্সের দিকে তাকিয়ে থ হয়ে গেলাম। সর্বনাশ! এটিতো আমার টিফিন বক্স থেকে পড়া হলুদ মিশ্রীত ডালের স্প্রে করা তাজা রং!

মুহুতেই গলাটা শুকিয়ে গেল। ধরা পড়লে ঠুসি একটিও মাটিতে পড়বেনা। ক্ষনিক সময়ের জন্য বাসে ছড়া যাত্রীদের হৃদয়ে কোন দয়া-মায়া নেই। তাছাড়া হুজুগে বাঙ্গালী বলতে কথা। আর মার যদি কোনরকম একবার শুরু হয়ে যায়, তাহলে যে জীবনে একটি মাছিও মারেনি সেও আসতে মারতে। মারের তীব্রতা অনুভব করে আমি অলিম্পিক দৌড়ের কথা মনে করলাম। এক সেকেন্ডও লাগেনি। আমি বাসের দরজায় গিয়ে উপস্থিত। বাস থেকে নামার ভঙ্গীতে এক পা সামনে এগিয়ে দিয়ে খুব গুরুত্বের সাথেই হেলপারকে বললাম, ভাই, আমি এখানেই নামবো প্লীজ।

এরপর লেংটা বক্সটি ফেলে দিয়ে ইন্ডিয়ান টিফিন বক্স কিনলাম। এটি ধাক্কা ধাক্কিতে সমস্যা হয়না। তাছাড়া বক্স থেকে ডাল পড়ে গেলেও খাওয়া যায়। কিন্তু ম্যানেজারের বাসায় এটি কাঁধে নিয়ে যেতে কেমন জানি আন স্মার্ট লাগে। পাচে লোকে যাই বলুক, নিজের আত্মতৃপ্তি বলতে কথা। তাই টিউশনিতে যাওয়া সপ্তাহের তিন দিনের সিডিউল থেকে এটিও বাদ দিলাম।

সময়, প্রেস্টিজ, অতৃপ্ত মন, বাসায় গিয়ে অন্যদের সাথে আড্ডার লোভ সব কিছু মিলিয়ে বিপুকে পড়ানোর ইচ্ছেটা অনেকটা হারিয়ে ফেলেছি। কিন্তু মানা করার মত পরিস্থিতিও নেই। বিপুকে পড়ানোর কারণে আমার সাথে ম্যানেজারের ব্যবহার, সৌজন্যতাবোদ, বিলম্বে হাজিরা, প্রয়োজনে অবেলায় বাহীরে যাওয়া ইত্যাদির জন্য কাউকে কৈফিয়ত দিতে হয়না। সবকিছু মিলিয়ে অফিসে আমার অবস্থান অনেকটা দড়ি ছাড়া গাইয়ের মত।

(চলবে)

বিষয়: বিবিধ

১৬৯৭ বার পঠিত, ৬৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

206549
১২ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৫৫
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : আমি বুঝি এখানেও ১ম....... ইয়াহুহুহুহহুহুহুহুহু Chatterbox Chatterbox Rose Rose Thumbs Up Thumbs Up Good Luck Good Luck
১৪ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০১:০৯
155949
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : হাহা। ফাষ্ট হওয়ার জন্য ধন্যবাদ। মডুরা ডিজিটাল ফুল দেয়ার ব্যবস্থা করতে তাই করতাম।
206552
১২ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:০০
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন লিখেছেন : আহারে আমার যদি এরকম একটা ছাত্র থাকত যার কারণে অফিসে যখন তখন আসতে পারতাম Tongue Tongue
১৪ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০১:১০
155950
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : আহা। সবাই যদি এমন হতো তাহলে কার গল্প কে শোনতো। আপনার লোভ দেখে আমারও ভাল লাগছে। ধন্যবাদ।
206553
১২ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:০৭
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : ধ্যাত At Wits' End At Wits' End প্রথম একলাইন বিপু, শেষের ২লাইন বিপু, মধ্যখানে সব রিপু Sad Sad Worried Worried Frustrated Frustrated
১৪ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০১:১২
155951
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : আহারে। ব্যাংকের অভিজ্ঞতা ছেড়ে বিপুকে নিয়ে লিখলেতো একটি অন্য কিছু হয়ে যাবো। অন্য কোন দিন শুধু প্রেম নিয়ে সিরিজ লিখবো।
২৮ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ১২:৫৭
162575
সুমাইয়া হাবীবা লিখেছেন : খালি বিপুর কথা শুনতে মন চায় তাইনা হ্যারি!! Frustrated Frustrated কাহিনী টা কি! :Thinking :Thinking হুমম..বয়সের দোষ!! Winking Love Struck Love Struck Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor
২৮ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০১:২৪
162592
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : হুম.... নিজেরটা হয়ে গেছেতো, তাই পাশের বাড়ির হ্যারির দিকে তাকাচ্ছো না আর Broken Heart Broken Heart তোমার সাথে কোন কথা নয় Frustrated Don't Tell Anyone @সুম্মুমণি
206557
১২ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:১৫
ডাঃ নোমান লিখেছেন : চরম মজা তো এমন অফিস করতে !
১৪ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০১:১৮
155954
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : খারাপ না। ভালই। বসের অন্দর মহলের সাথে সম্পর্কতো। তাই। ধন্যবাদ।
১৪ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০১:১৮
155957
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : খারাপ না। ভালই। বসের অন্দর মহলের সাথে সম্পর্কতো। তাই। ধন্যবাদ।
১৪ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০১:১৮
155958
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : খারাপ না। ভালই। বসের অন্দর মহলের সাথে সম্পর্কতো। তাই। ধন্যবাদ।
206585
১২ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৮:১২
সুশীল লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
১৪ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০১:১৮
155956
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ পড়ে ভাল লাগা রেখে যাবার জন্য।
206593
১২ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৮:১৫
অনেক পথ বাকি লিখেছেন : ধন্যবাদ । পিলাচ ।
১৪ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০১:১৯
155961
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : আপনাকে ধন্যবাদ এ আত্মকথনের সিরিজে ঘুরে যাবার জন্য।
206650
১২ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৯:১৯
আবু আশফাক লিখেছেন : হোস্টেলে থাকার সময় থেকে আমার পাতলা ডাল খাওয়ার অভ্যাস। হোস্টেলেতো সেটি অমৃত মনে হতো। কিন্তু বাসায় গিন্নি এটা একেবারেই পছন্দ করে না। তাই আর তেমন করে খাওয়াও হয় না। আপনার ডাল কাহিনীতে মনে পড়ে গেল সেসব কথা।
যাক এবার ব্যাংক থেকে যে একটু গুরু-শিষ্যের দিকে এগিয়েছেন তাও ভালো।
১৪ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০১:২০
155962
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : আপনার আগ্রহ দেখে সামনের সিরিজে গুরু শিষ্য লিখতে শুরু করেছি। অাপনার জন্য প্রেমের নতুন সিরিজ লিখবো অনেক মজা করে। ধন্যবাদ নিয়মিত আসার জন্য।
206657
১২ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৯:২৯
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : সবকিছু মিলিয়ে অফিসে আমার অবস্থান অনেকটা দড়ি ছাড়া গাইয়ের মত।ভারী মজাদার উপমা তো!
১৩ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ০৭:৫৩
155389
ইবনে হাসেম লিখেছেন : ঠিক বলেছেন ভাই।
১৪ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০১:২১
155963
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : হাহা। বাধাহীন চাকুরী বুঝানোর জন্যই উপমা দিয়েছি। ধন্যবাদ মজা পাওয়ার জন্য।
206665
১২ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৯:৩৭
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : ভাইজান লেখাটা কি আরেকটু লম্বা করন যায়না।
১৩ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ০৭:৫২
155388
ইবনে হাসেম লিখেছেন : কেন রে ভাই? ঠিকই তো আছে সাইজ। বেশী বড় হলে তো আবার আমাদের মতো বয়স্করা ধৈর্য্য হারিয়ে ফেলে..
১৪ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০১:২২
155964
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : সময় পাইনা। খুব ব্যস্ত। এজন্য মাঝে মাঝে দুতিন দিনেও সিরিজ লিখতে পারিনা। তবুও চেষ্টা করবো। ধন্যবাদ ভাইজান।
১০
206676
১২ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৯:৫৪
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : যে ডাল-ভাত এর জন্য এত কষ্ট করে চাকুরি সেই ডালই বেঈমানি করল!!!
তবে সেসময় তোর রিকশা ভাড়া কমই ছিল আপনি মনে হয় আগ্রাবাদ চেীমুহনি দিয়ে কদমতলি ক্রসিং হয়ে গেলে কম খরচে ও সময়এ পেীছে যেতেন্।
১৪ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০১:২৩
155965
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : না ভাইজান। মাদার্য্যপাড়া ওয়াবদা কলোনীে পেছেনে। দেওয়ান হাট দিয়ে সোজা। ধন্যবাদ।
১১
206807
১৩ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ০৫:১৬
শেখের পোলা লিখেছেন : উপরি ইনকাম নেই তবে উপরি সুবিধা আছে বুঝলাম৷ কিন্তু আমি হলে সব খানেই আমার বাক্স সাথে থাকত৷ সাা প্যান্ট ওয়ালা যদি দেখেই ফেলত তবে উপরি কিছু বখশিষ অবশ্যই দিত কি বলেন?
১৪ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০১:২৫
155966
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : এ ভয়েই তাড়াতাড়ি নেমে গিয়েছি। কারণ মানুষের মেজাজ বলতে কথা। বেচারা অফিসে যাচেছ। এমতাবস্থায় পেন্টে আমার ডাল পড়েছে জানলে কি মেজাজ ঠিক থাকত। আবার বাসায় যাওয়া টাকা ও সময় অপচয় । সব মিলিয়ে একটা সিরিয়াস মার থেকে বেচে গেলাম। ধন্যবাদ।
১২
206817
১৩ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ০৭:৪৬
ইবনে হাসেম লিখেছেন : প্রদীপ বাবুর উক্তি"নিজের পকেটের পয়সা দিয়ে হোটেলের বাসি খাওয়া জোর করে পেটে পাঠানোর দরকারই বা কি? বরং এতে খাওয়ার নামে পয়সা দিয়ে রোগ কেনা হয়।"
খুব করে মনে পড়ে গেল, ছোটকালে অন্যদের মতো সিনেমাহলে গিয়ে সিনেমা দেখতে না যাওয়ার পক্ষে সুন্দর করে তুলে ধরা আমার যুক্তিটা- "নিজের পকেটের টাকা খরচ করে সিনেমা দেখার কোন মানে নেই, টাকা দিয়ে গুনাহ কামাইয়ের দরকার আছে নাকি, এমনিতেই তো কত গুনাহ হয়ে যায় দিনভর", তার চাইতে চল ঐ টাকায় আইসক্রীম কিনে খাই।
১৪ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০১:২৬
155967
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : ঠিকই বলেছেন। আসলে বাসা হতে খাওয়া আনতে কস্ট। কিন্তু শুধু ডিম ডাল হলেও আহ কিযে মজা। খেতে খেতে পেট বড় হয়ে যায়। দেখতে মনে হয় জামাই নয়তো, ছয় মাসের গর্ভবতী পেট। ধন্যবাদ।
১৩
206818
১৩ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ০৭:৫৫
ইবনে হাসেম লিখেছেন : প্রদীপ বাবুর টিফিন খাওয়ার উপমাটা বেশ ভালো লেগেছে। এক তরকারী হলেও ঘরে গিন্নির পাকানোটাই নিয়ে যাই টিফিনে। তাতেই দেখি ভোজনরসিকদের মূখে লালা ঝরে....
১৪ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০১:২৮
155968
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : অফিস কাছে হলে এর মত তৃপ্তি আর নেই। বললামনা, খাওয়ার সময় মনে হয় স্ত্রীর ভালবাসা চিবিয়ে খাচ্ছি। ধন্যবাদ। ভাল লাগে এত ব্যস্ততার মাঝেও আমার "হুনুমানের কিসসা" ভাবী সহ পড়তে আসেন বলে।
১৪
206820
১৩ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ০৮:০৬
ইবনে হাসেম লিখেছেন : এমনভাবে বাসের ডাল কাহিনী বর্ণনা করেছেন আর মাইরের তোড় হতে বাঁচতে অলিম্পিক দৌড়বিদের অনুকরণে পালিয়েছেন, পড়ে আপনার ভাবীর হাসতে হাসতে পেটে খিল ধরে গেছে। আর আমি ভাবছি, আপনি ঈমানদার মানুষ, ভূলের জন্য ক্ষমা না চেয়ে ওভাবে পালানো কি ঠিক হলো? Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor
১৪ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০১:৩১
155969
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : ভাবীকে সালাম। কি করবো। আসলে ঐ স্মৃতিগুলো ভাবতে অনেক ভাল লাগে। অলিম্পিক দৌড়ের মত জেদ্দাতেও এমন হয়েছিল। গাড়ী রিভার্স করতে গিয়ে এক সৌদির নতুন গাড়ীর পেটে সিরিয়াসলি মেরে দিয়েছি। কর্তব্যরত দারোয়ান পাকিস্তানি আমকে দেখেই বলল, ভাই, জলদি ভাগ যাও। নয়া গাড়ি হে। সৌদিকা বাচ্চা তেরোকো মার ডালেঙ্গে। বেইনচোত মেরা তিন মায়নাকা তানখা নেহি দেতাহে। তুমে ভাগ যাও। যো কিয়া, আচ্ছা কিয়া। আমিতো জান নিয়ে পালালাম।
১৪ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ০৬:২১
155998
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : মজুমদার ভাইয়া Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor দারুন মজা সৌদি গাড়ি মারা Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor
১৪ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১০:১৭
156040
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : হাহা। খুব ঢর লেগেিছিল সেদিন। এসব সৃতিময় মুহুর্তগুলো ভুলা যায়না। ধন্যবাদ প্রিয় হারিকেন কে।
২৮ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০২:০৭
162612
সুমাইয়া হাবীবা লিখেছেন : হ্যারির তো মজা লাগবেই। হ্যারি তো মারামারি ঢুসাঢুসি তে ওস্তাদ! Rolling on the Floor Rolling on the Floor
০২ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৪৬
164766
আহ জীবন লিখেছেন : হেব্বি হাসলাম। পাকিস্থানির কেয়া ডায়ালগ হ্যাঁয়!!!!!!!
১৫
206852
১৩ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১০:০৪
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : বিপুর বাবা মা-ইতো ওদের বাসায় আপনার দুপুরের খাওয়ার ব্যবস্থা করতে পারত! কারণ তারাতো জানত যে আপনি অফিস থেকেই মেয়েকে পড়াতে আসেন।
১৪ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০১:৩৬
155970
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : আহারে বোন। কার লগে কারে মিলায়। গরীবের বাসায় লজিং থাকাবস্থায় মনে হতো ওর কলিজাটাও আমাকে খাইয়ে দিবে। আর বড় লোকের বাসায় খাওয়ার বিড়ম্বনায় তিনটি লজিং ছেড়ে দিয়েছি।
তোমরা যদি দেখতে যাও
বড় লোকের ঘরে
দেখবে সেথায় বিলাই কুত্তা
সবাই ক্ষুধায় মরে।

দ্বিতীয়ত ব্যাংক হতে দুটোয় বের হলে, বাসায় যেতে যেতে এক ঘনটা লাগত। তখন বৈকালীন নাস্তার সময় হত। ধন্যবাদ।
১৬
206862
১৩ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১০:২২
সত্য নির্বাক কেন লিখেছেন : ইদানিং খুব ভয় ভয় করছে.....
কর্পোরেট অফিসের চাকুরির চেয়ে বুঝি ব্যক্তি মালিকানার চাকুরি অনেকটা ভাল.....
অফিসের হক আদায় করতে না পারলে শেয়ার হোল্ডার সবার থেকে ক্ষমা চেয়ে নেওয়া কঠিন। কিন্তু ব্যাক্তি মালিকানার প্রতিস্ঠানে ব্যাক্তির কাছে মাপ চেয়ে নেওয়া সহজ।
১৪ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১০:১৪
156036
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : চাকুরী মানেই সমস্যা। পৃথিবীটা বড় নোংরা। লাখে দু চারজন ছাড়া সবাই সমস্যায় আছে। যত চাকুরী করেছি সব স্থানেই সমস্যা। যেখানে শান্তি সেখানে বেতন কম, প্রমোশন নেই ইত্যাদি। ধন্যবাদ।
১৭
207001
১৩ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০১:৩৯
বিদ্যালো১ লিখেছেন : onekdin por mone hocche apnar likha pailam. valo lageche... chaliye jaan.
১৪ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১০:১৪
156037
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : ধন্যবাদ নিয়মিত এ আডডায় আসার জন্য। ভাল থাকুন।
১৮
207009
১৩ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০১:৫৩
মোঃ ওহিদুল ইসলাম লিখেছেন : টিফিন ক্যারিয়ার আর ডালের বিড়ম্বনা বেশ উপভোগ করলাম।
অপেক্ষায় আছি। পরের পর্বে নিশ্চয়ই বিপুদের বাসা হতে খাবার আসবে। Bee Bee Cook Cook
১৪ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১০:১০
156034
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : ধন্যবাদ। পরের পর্ব না আর ও কয়েকটি লিখলেও খানা পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। কারন

দেখতে যাবে তোমরা সবাই
বড় লোকের ঘরে,
যেয়ে দেখ কুত্তা বিলাই
সবাই ক্ষুধায় মরে।
গড্ডালিকায় কিপ্টার আড্ডা
নেইকো রহমত
নিত্য হেথায় কাজের মেয়ে
দি্চেছ নাকে খত।
মুষ্ঠি হাতে চুল টেনে কয়
গয়না গেল কৈ
খোজ দে আজি মারবো না হয়
ছাড়ার পাত্র নই।
ম্যাডাম আমি জানিনাতো
মারছ কেন মিছে,
দাও ছেড়ে নয় মার মোরে
সিসি ভরা বিষে।
আগুন চেকায় কাদে অবুঝ
বড়ই পাষান মন,
টাকার নেশায় বড়ই পাগল
হৃদয়ও ঠন ঠন।

১৯
207146
১৩ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৫:০৪
আবু ফারিহা লিখেছেন : এইবারের মতো গনপিটুনী থেকে বেঁচে গেলেন। ভাগ্যিস ধরা পরেননি।
১৪ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১০:০১
156032
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : ঠিক বলেছেন। এজন্যইতো তাড়াতাড়ি নেমে গেলাম। এসব সময় সরি বলতে নিজের উপরই পাগলা কুকুরকে লেলিয়ে দেয়া হয়। ধন্যবাদ।
২০
207186
১৩ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:১৩
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : লোকটাকে সরি বলা আপনার উচিত ছিল। না হয় জীবনে একবার বাজারী মেহমানদারী হত। তার পরও এটা প্রমান হত - আপনি শুধু ব্যাংকের ম্যানেজার নয় - বরং ভাল মানুষ। কারন সরকারী চাকুরীজীবি যারা তাদের আর যাই হউক তারা ............. লিখলাম না।
১৪ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১০:০০
156031
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : আহা। আমাকে মার খাওয়ার জন্য আপনার আগ্রহে দেখে ভাল লাগল। সব সময় সরি বলতে নেই। ঐ সরিতে ১২০ মাইল স্পীডে আসা ঠৃসি কে ঠেকাতো?
২১
207364
১৩ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১১:১১
বিন হারুন লিখেছেন : আপনার গল্প পড়ে বেশ মজা পাচ্ছি, দারুণ অভিজ্ঞতা গুলো বেশ ভাল লাগছে কিন্তু আজকের ইন্ডিয়ান বক্স কেনা কথা ভাল লাগেনি, সবার সব কিছু ভাল লাগবে তা হয় না. কিন্তু আমি ইন্ডিয়ান জিনিস কিনতে মজা পাই না.
১৪ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ০৯:৫৮
156029
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : ভাইজান। এটিত আর আমার কল্পিত গল্প নয় যে ইচ্ছে করে একটা কিছু জড়ো করবো। তাছাড়া বিকল্প ছিলনাতো। তাই কিনেছি। তবুও আপনার দেশেপ্রেমকে শ্রদ্ধা জানাতে হয়। আমারও ভাল লাগেনা।
২২
207850
১৪ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৮:০৩
মোস্তাফিজুর রহমান লিখেছেন : হোটেলের খাবারে বরাবরের মতই অরুচি। তবে রুটিকে ভাতের জায়গায় স্থান দিয়েছি প্রবাসে বছর খানেক পরেই। এখন আর ভাত/রুটির মধ্যে পার্থক্য খুজে পাইনা। এখন শুধু বুঝতে চেষ্টা করি পেট নামক গহবরটা পূর্ণ হয়েছে তো! ভাত নাকি রুটি দিয়ে পূর্ণ তা চিন্তা করিনা।
১৪ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৮:৩৬
156443
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : আপনার চিন্তাটা সুন্দর। খেলেই হল। এক এক জনের এক ধরনের অভ্যাস। খাওয়ার ব্যাপারে আমারও কোন বাচ বিচার নেই। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যর জন্য।
২৩
208552
১৬ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০২:০২
সাদাচোখে লিখেছেন : আপনার বাস থেকে নামার দৃশ্য কল্পনা করছি - রীতিমত রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা যেন, বুকের ভিতরের অচেনা শব্দের কোলাহল আর তারপর ঘাম দিয়ে জ্বর সারা স্বস্তি।
১৬ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ০৯:৪২
157309
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : আপনার অনুভূতিটা ভাল লেগেছে। আপনি আমার ঐ সময়ের অবস্থাটা হুবহু অনুভব করেছেন্।
২৪
209068
১৭ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:১৫
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : আপনার লেখা পড়ে মাঝে মাঝে মন্তব্যের ভাষাও ভুলে যাই..... সময় মত পড়তে পারিনি বলে দুঃখিত তবে পড়েছি সবগুলোই একসাথে পড়তে পারলে আরো ভাল লাগতো। একসাথে কি পাওয়া যাবে সিরিজটি? জানাবেন প্লিজ।
১৮ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১১:৫৮
157944
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : ধন্যবাদ পড়ে মন্তব্য করার জন্য। জানিনা সব সিরিজ একসাথে কখন পাবেন। লজিং মাস্টার অনেকে চেয়েছিলেন একসাথে পেতে। কিন্ত ব্যস্ততার কারণে বই আকারে প্রকাশ করতে পারিনি এখনও। রঙ্গের মানুষ কোন পান্ডুলিপি থেকে লিখা নয়। প্রত্যহ বসে যা লিখি তাই। ধন্যবাদ।
২৫
209356
১৮ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ০৮:২৬
কাঁচের বালি লিখেছেন : আমিতো আগে পিছে পড়ি নাই অনলি পার্ট ২২ পড়লাম অসম্ভব ভালো লাগলো , আমাদের জীবন যে কত গ্যাঁড়াকলের মধ্যে পড়ে টা আপনার জীবনী না পড়লে বোঝা যাবে না ! ধন্যবাদ আপনাকে দিতেই হবে কারণ আপনার জীবনী পড়ার জন্য একজন বেশী হয়ে গেল / ভালো লেগেছে ।
১৮ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১১:৫৮
157945
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : ধন্যবাদ পড়ে অনুভূতির অভিমত জানানোর জন্য। ভাল লাগল বোদ্ধা পাঠকের ভূয়সী প্রশংসা পেয়ে।
২৬
210268
১৯ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৮:১৮
আমি আমার লিখেছেন : ভালো লাগলো
২৮ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০১:৫১
162606
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : ধন্যবাদ নিয়মিত সাথে থাকার জন্য।
২৭
214298
২৮ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০১:০০
২৮ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০১:২০
162589
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : হুম.... নিজেরটা হয়ে গেছেতো, তাই পাশের বাড়ির হ্যারির দিকে তাকাচ্ছো না আর Broken Heart Broken Heart তোমার সাথে কোন কথা নয় Frustrated Don't Tell Anyone
২৮ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০১:৫২
162608
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : ধন্যবাদ এ ব্লগ আড্ডায় আসার জন্য। এত ঝামেলা রেখে ব্রগে আসা বড় কস্টের।
২৮
226468
২৬ মে ২০১৪ বিকাল ০৫:১১
আইন যতো আইন লিখেছেন : খান কখন চাকরি করেন কখন ?? খুব ভালো লেগেছে!!

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File