রঙ্গের মানুষ - (পর্ব-২০)

লিখেছেন লিখেছেন প্রবাসী মজুমদার ০৭ এপ্রিল, ২০১৪, ১১:৪৩:৫৪ সকাল

পর্ব-১৯

ব্যাংকের জটবাঁধা প্রমোশনের জটিলতা দির্ঘ দিনের। সিনিয়র ক্লার্কে বিনা বাঁধায় প্রমোশনটা হওয়ার পরই শূরু হয় অফিসার হওয়ার স্বপ্ন। আর এ পদোন্নতিটা একজন মানুষকে এক ধাক্কায় ম্যানেজমেন্ট লেভেলে পৌছে দেয় বলেই এ স্বপ্ন সবার। একজন ক্লার্ক অফিসারে পদোন্নতি হওয়ার পর পদাধিকার বলেই অনেকগুলো সুযোগ সুবিধা পেতে শুরু করে। এর পাশাপাশি ক্ষমতাটাও অনেকগুন বেড়ে যায়। সর্বোপরি কর্মচারীদের তোতা পাখির মত ডাকা স্যার শব্দটি শুনতে কি যে ভাল লাগে। আহ! তাই এটি পাবার জন্য কল্পনার মাঝে সবাই স্বপ্নের জাল বুনতে মরিয়া। ব্যাংকে এ পদোন্নতি নিয়ে সিনিয়ার বনাম জুনিয়ার ক্লার্কদের প্রতিযোগীতাটা সর্বজন বিদিত। আর এ প্রতিযোগীতায় সিনিয়রদেরকে ফেনাল্টি গোলে হারিয়ে এগিয়ে যাওয়ার অদম্য প্রচেষ্টাটা জুনিয়রদের মাঝে বেশী লক্ষ্য করা যায়। এ জন্য পর্দার অন্তরালে ম্যানেজারদেরকে তেল মারার হিড়িকটা একেবারেই অবিশ্বাস্য ধরনের। এতে ম্যানেজাদেরও বিনামুল্যে সম্মানবোধটা অনেক বেড়ে যায়। মনের অজান্তেই হাজারো সুযোগ সুবিধা পাওয়া শুরু হয়ে যায়। আর এ সুবিধা শুধু ম্যানেজার একাই পায়না। সাথে বাড়তি সুবিধা হিসেবে তার পরিবারের সদস্যরাও ভোগ করে।

আমি ব্যাংকের ঢুকার কিছুদিন পর এ ব্যাংকে সিনিয়র ক্লার্ক আলী সাহেব ট্রান্সফার হয়ে এসেছিলেন। একজন মানুষের হৃদয়কে সহজে জয় করার কৌশলটা আলী সাহেব ভালভাবে রপ্ত করেছিলেন। আর সম্ভবত এ গুনটির কারণেই অল্পদিনের মধ্যেই সিনিয়র ক্লার্ক উষা দেবীর সাথে ভালবাসার জাল বুনতে বুনতে তৈরী করেছিলেন ঈর্ষনীয় কল্প কাহিনী। উষা দেবীর মত স্বল্পভাসী একজন চোখ ধাঁধানো সুন্দরী মহিলার হৃদয় মন্দিরে ভালবাসার পালতোলার দৃশ্যে সবাই অবাক বিস্ময়ে লক্ষ্য করেছে। ব্যাংকে প্রথমবারের মত ঘটে যাওয়া ভালবাসার এ অনবদ্য কাহিনী দারোয়ান থেকে শুরু করে অফিসার ম্যানেজার সবার মুখে মুখে থাকতো। কাজের ফাঁকে ফিস ফিস করে গুরুত্ব সহকারে জড়িয়ে পড়তো প্রেম রসের আলোচনায়। আহ। কি মজা সেই রসভর্তি পরিপক্ক ভালবাসার গল্পে। তাও কর্মক্ষেত্রে! সভ্যতা বিকাশে পুরুষ মহিলা একসাথে কাজ করার যে কি মজা, পাশাপাশি কাজ করা লোভতুর লোকগুলো হাঁড়ে হাঁড়ে টের পায়। কাজ করতে করতে হাঁফিয়ে উঠা একজন পুরুষ যদি পাশে বসা মহিলার দিকে হাসিমুখে তাকিয়ে কথা বলতে বলতে কিছুটা তৃপ্তি পায়, এতেই বা মন্দ কিসে?

আলী সাহেব দেখতে কিছুটা লম্বা হলেও গায়ের রংটা একেবারেই মন্দা। রুপের দিক থেকে পাশের মার্কের অনেক নিচে। কিন্তু তার রসিকতা, কথা বলার কৌশল, ক্ষনিকের মধ্যে কারো মুখে হাসির খৈ ফুটানো, এসব গুণগুলো তাকে সবার মাঝে জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছে দিতে বেশীদিন সময় লাগেনি। এজন্য ম্যানেজারের কাছের মানুষদের লিষ্টেও তিনি নামটা অতি দ্রুত লিখতে পেরেছিলেন।

চেয়ার থেকে উঠে গিয়ে স্যারকে টাকা দিয়ে আসা, মিছে কোন বাহানায় স্যারকে ফ্যামেলী সহ ভাল হোটেলে আপ্যয়ন। সামান্য কথার ছলে রসিকতা করে স্যারের পেটে হাসির খিল ধরিয়ে দেয়া..। এসবের কারণে স্যারও তাকে খুব পছন্দ করা শুরু করলেন। আর তাই, এ শাখায় বদলী হয়ে আসার এক বছরের মাথায় অপেক্ষাকৃত জুনিয়র হয়েও সোনার হরিণ নামের অফিসার পদের প্রমোশনটা নিয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিলেন আলী সাহেব! অবিশ্বাস্য এ কাজটিতে অনেকের বিশ্বাসের মাঝেও ফাটল ধরিয়ে দিলেন। আলী সাহেবের এ প্রমোশন সবার মাঝে আলোচনার ঝড় তুলে দিয়েছিল। আবার অনেকেই রাগে ক্ষোভে বলতে শুরু করলেন, শালার, আলী সাহেব মনে হয় ম্যানেজারকে তাবিজ করেছে। আমরা এত বছর চেষ্টা করেও পারলামনা । আর সে নাকি না আসতেই.....।

বেশি দিন হয়নি, হেড অফিস থেকে অডিটের একটা টিম এসেছিল। কোন এক দুপুরে কর্মবিরতির ফাঁকে সবাই আডডায় বসল। হেড অফিস থেকে আসা এসব লোকদের সাথে অনেকেই যেঁচে পরিচিত হতে চায়। শত হলেও হেড অফিস বলতে কথা! এটিও আত্মতৃপ্তির জন্য এক ধরণের মিছে মাখামাখি বৈ কিছুই নয়। মানুষের মনতো!

আড্ডাটা অনেক জমে উঠেছে। আড্ডার আলোচ্য বিষয় ব্যাংকের বিভিন্ন অনিয়ম। আর এ অনিয়মের মাঝে প্রমোশনের জটিলতাটিও উঠে আসল। সুযোগ করে প্রদীপ বাবু আলোচনার ফ্লোরটা হাতে নিয়ে নিলেন। বলতে লাগল,

- স্যার বুঝেনতো। এ ব্যাংকে শূরু থেকে আছি বলেই যেতে মন চায়না। একটা পরিমন্ডল তৈরী হওয়ার কারণেই এটিকে ঘিরেই এখন সবকিছু আবর্তিত হচ্ছে। বন্ধুদের অনেকেই প্রাইভেট ব্যাংকে অফিসার রেংকে চাকুরী নিয়ে চলে গিয়েছে। আমি ও সুযোগ পেয়েছিলাম কয়েকবার। কিন্তু যাইনি।

- কেন? একজন সিনিয়র অডিটর প্রশ্ন করল।

- বুঝেনতো। এখানে দীর্ঘদিন থেকে কাজ করে আসছি। সবকিছু নিজের মতই হয়ে উঠেছে। ভাবছি, শত হলেও প্রাইভেট ব্যাংক। বেশী খেতে গিয়ে না জানি আবার কোন বিপদে পড়ি। আর সব চেয়ে বড় কথা হল, অনেকদিন থেকে সিনিয়র ক্লার্ক হয়ে বসে আছি। প্রতিবারেই প্রমোশনটা পেয়ে যাবো, এমন আশ্বস্ততায় আশায় বুক বেঁধে বসে আছি। কিন্তু আজ এতগুলো বছর হয়ে গেলো, সোনার হরিণের মতই অফিসার নামের সেই চেয়ারটি আজও পাওয়া হলনা। স্বপ্ন স্বপ্নই রয়ে গেল।

সিনিয়র অডিটর মুচকি হাসি দিয়ে বলতে লাগল, দ্যাখেন প্রদীপ বাবু। আমি আপনাকে নিরেট একটা সত্য কথা বলি। আমি হেড অফিসের অডিট টীমে দির্ঘদিন থেকে কাজ করে আসার কারণে অনেক শাখায় যাওয়ার সুযোগ হয়েছে। ম্যানেজমেন্টের রগ-রেশা সবই চিনি। তাই, মনে কষ্ট পেলেও আপনাকে একটা অতীব সত্য কথা আজ বলে যাই।

- বলেন স্যার। আমাদেরও জানা হল, প্রদীপ বাবু জানতে চাইল।

- অফিসার হওয়ার সখ প্রতিটি ব্যাংক কর্মচারীরর। আর এটির জন্য এত প্রতিযোগীতা যে, পর্দার অন্তরালে অভিনীত বিভিন্ন কর্মচারীদের তেল মারার কাজটি যে যত বেশী নিপুনভাবে করতে পারে, সে ততটা এগিয়ে। সেদিক থেকে দির্ঘদিন আপনার প্রমোশনটা না হওয়া মানেই হল অভিনয়টা এখনও কাঙ্খিত মানের নয়। মানে পাশ মার্ক পাওয়ার মত নয়। কাজেই আমার পরামর্শ হল, আপনার মত যারাই ব্যাংকে সিনিয়র ক্লার্ক হয়ে দির্ঘদিন থেকে প্রমোশনের অপেক্ষায় অফিসার পদের চেয়ারটির জন্য প্রতীক্ষার প্রহর গুনছে, এ অপেক্ষাটকু আর না করে অন্তত আত্মতৃপ্তির জন্য হলেও নিজের পকেটের পয়সা দিয়ে একটি চেয়ার কিনে নিজের বাসায় বসে আত্মতৃপ্তি লাভ করতে পারেন। এতে অন্তত নিজেকে বুঝানো যাবে যে, ব্যাংকে আমাকে চেয়ার না দিলেও আমি নিজের কেনা চেয়ারেতো বসছি। জীবন চলার পথে নিজেকে মানিয়ে নেয়ার জন্য এমন অনেক কিছুই করতে হয়, যা খুব জরুরী। আর প্রমোশনের এ বিষয়টি এখন এতটাই জটিল হয়েছে যে, আমার মনে হয় এটির আশা আর না করাই উত্তম। কারণ, ইদানীং উচ্চ শিক্ষিত ছেলেদের ইন্টারভিউর মাধ্যমে জুনিয়র অফিসার হিসেবে ব্যাংকে নিয়োগের কারণে ইন্টানাল পদোন্নতিটাও নীতিগতভাবে কমিয়ে দিয়েছে। তার কারণ, কোন এক সময়ে শুধু মাত্র ইন্টারমিডিয়েট পাশ করা লোকদের অনেকেই আজ অফিসার পদের জন্য পদপ্রার্থী। এদেরকে প্রমোশন দিয়ে ব্যাংক কাঙ্খিত ফলাফল পায়না বলেই নতুনভাবে জনিয়র অফিসার নিয়োগের পদ্ধতিটি চালু করেছে।

(চলবে)

বিষয়: বিবিধ

২০১৮ বার পঠিত, ৫০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

203773
০৭ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০১:৩৫
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : মনে হয় অডিটর বুঝিয়ে দিলেন ভিতরে প্রমোশন না পেলে গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা আদায় করে চেয়ার কিনুন!!!
০৮ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০২:২২
153490
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : সহজ ও সুন্দর বুদ্ধি। শান্তিতে বেচে থাকার পরামর্শ। ধন্যবাদ।
203791
০৭ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০২:০৭
বিদ্যালো১ লিখেছেন : বেসমভোব মজা পেলুম।
:D/ Rolling on the Floor

Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck
০৮ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০২:২৩
153491
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : ধন্যবাদ আপনাকে মজা লুটে নেয়ার জন্য।
203862
০৭ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৪:২৯
আবু ফারিহা লিখেছেন : দারুন সত্য কথাটাই বললেন সিনিয়র অডিটর সাহেব। এই তেল না মারার অভিনয়টা সম্ভব নয় বলেই অাজ অনেকেই সুদূর প্রবাসী।
০৮ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০২:২৫
153492
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : এ কাজটির সাথে একাত্মতা করতে না পেরে জীবনে অনেক কিছু হারালাম। ধন্যবাদ।
203876
০৭ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৪:৫৩
টোকাই বাবু লিখেছেন : Cheer Cheer Cheer Cheer Cheer Cheer Happy Happy Happy Happy Happy Happy Happy Happy Happy ;Winking ;Winking ;Winking ;Winking ;Winking ;Winking ;Winking Clown Clown Clown Clown Clown Yahoo! Fighter Yahoo! Fighter Yahoo! Fighter Yahoo! Fighter Hot Hot Hot At Wits' End At Wits' End At Wits' End Happy] Eat Eat Eat Eat Eat Music Music Music Music Big Hug Big Hug Big Hug Big Hug Drooling Drooling Drooling Rose Rose Rose Rose Rose Hurry Up Hurry Up Hurry Up Hurry Up Hurry Up Call Me Call Me Call Me Call Me Happy) Happy) Happy) Happy)
০৮ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০২:২৫
153493
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : বাকহীন মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ।
203927
০৭ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৫:৫১
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন লিখেছেন : তেল মারামারি আমাদের দেশে একটু বেশি
০৮ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০২:২৬
153494
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : ঠিক বলেছেন। ধন্যবাদ।
203941
০৭ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:২১
আবু আশফাক লিখেছেন : প্রমোশনের গোলক ধাধায় আমরাও আটকে আছি। ভাইজান একটু গুরু-শিষ্যের কাহিনীর দিকে যাওয়া যায় না!!
১২ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০৩:৪৩
155142
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : নিজের উপর রাগ হচ্ছি এবার। এত ব্যস্ততা। গুষ্টি কিলাই কাজের্। ভাবি আজই রাতে লিখতে বসব। কিন্ত ছেলের পরীক্ষা। কম্পিউটারে সে প্রাকটিস করছে। বুধবার অবশ্যই। কিন্তু বুধবারে ১৬০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে রাবেগ ঘুরে এলাম অফিসিয়াল কাজে। থাক। শুক্রবার। না তাও হলনা। এবার মক্কা যেতে হবে। রাত দুইটায় ফিরেছি। দেখি সকালে কিছু একটা হয় কিনা। পারিনি। থাক বিকেলে ইনশাল্লাহ। হিছামার! বিকালে কর্মচারীদের বেতন দিতে রাত ১১টা। পাঠাকরা ভাবে আমি পালাইছি। আর আমি দুঃখে লাফাইছি।...
১২ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৮:৪৯
155258
আবু আশফাক লিখেছেন : সত্যিই দুখ্খিত। এতো ব্যস্ততার মাঝে আমাদেরকে এতো সময় দেয়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
203977
০৭ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:২৪
শেখের পোলা লিখেছেন : পর্বটা বেশ ছোট হয়েছে৷ চলুক৷
১২ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০৩:৪৫
155143
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : আপনার বদদোয়া কাজে লেগেছে। এখন এত ব্যস্ত হলাম যে ছোট করেও লিখতে পারিনা। ব্লগের সাথে আমার প্রেমের টানাপোড়নে বড় বিরক্ত হচ্ছি। ধন্যবাদ।
২৮ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১০:১৯
162856
আহ জীবন লিখেছেন : ছোট হলেও কোথায় শেষ করতে হবে উনি ঠিকই জানেন।
204288
০৮ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ০৯:৩৬
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : এবার আসলেই মাথা ঘুরছে! আসলে এই অনৈতিক পরিবেশই আলী সাহেবের মত অনৈতিক লোকদের জন্ম দেয়। আল্লাহ আপনাকে এই পরিবেশ থেকে বের করে এনেছেন এজন্য শুকরিয়া করে শেষ করা যাবেনা ভাই।
১২ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০৩:৪৬
155144
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : দুনিয়া বড়ই কঠিন। ছাত্র জীবনে কর্মজীবন নিয়ে যে স্বপ্ন দেখতাম। এটি এখন স্বপ্ন। সে স্বপ্ন পুরনে যারা মরিয়া, ওরাই ঘুষ খেয়ে কিছুটা স্বস্তিতে আছে। ধন্যবাদ।
204330
০৮ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১১:১৯
সত্য নির্বাক কেন লিখেছেন : তেল তেল তেল তেলে তেলে সবাই আতেল ।
১২ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০৩:৪৬
155145
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : সত্যি বলেছেন। তেলহীন চাকুরী বড়ই নিরামিষ। ধন্যবাদ।
১০
204357
০৮ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ১২:১৬
মোস্তাফিজুর রহমান লিখেছেন : তেল এক মহামূল্যবান তরল পদার্থ। নাম এবং কাজের সাথে সাথে বর্ণেও রয়েছে বিরাট পার্থক্য। তাই তেল মারতেও একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ জানা লাগে। কারণ তেল অতিরিক্ত হলে সে তেলে পা পিছলে পড়ে যাওয়ার ভয় থাকে। তবে অডিটর সাহেবের শেষ কথাগুলো সত্য এবং যথার্থ। আগে লোক স্বল্পতার কারণে স্বল্প শিক্ষিতরা চাকুরী পেত এখন উচ্চশিক্ষিতরাও বেকার তাই স্বল্প শিক্ষিতদের......
১২ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০৩:৪৭
155146
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : এক কথায়, তেলের মাধ্যমে জাতির গাড়ে চেপে বসা অসৎ নেতৃত্বের তত্বাবধানে এসব তেলের লোকগুলো খুবই ভাল আছে। ধন্যবাদ।
১১
204693
০৮ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৯:৪৬
ঈগল লিখেছেন : ভাই, এই ধারাবাহিক কি আপনার জীবন থেকে নেওয়া? বহুদিন পর আপনার ব্লগে এসে দেখছি ধারাবাহিক 'রঙ্গের মানুষ।' সম্ভবত, খান ভাইয়ের প্রকাশনী থেকে আপনার একটি বই বের হয়েছিল। সে বইটির নাম কি রঙের মানুষ?
০৯ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১২:৩২
153809
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : না। সেটির নাম বিয়ের ইন্টারভিউ। লজিং মাস্টার প্রকাশের অপেক্ষায়। আমার সব লিখাই বাস্তব জীবনে দেখা সব ঘটনা। ধন্যবাদ।
১২
204841
০৯ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৩:১৫
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : এই তেল মারার বিষয়টা মনে হয় সবখানেই আছে।
১২ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০৩:৪৮
155147
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : এটি সর্বজন বিদিত। তবে লোকদের দেখা অভিজ্ততা কলমে ব্যক্ত করতে পারেনা বলেই অনেক তেলের গল্প রয়ে গেছে পর্দার অন্তরালে। ধন্যবাদ।
১৩
205061
০৯ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০২:৩৭
আমি মুসাফির লিখেছেন : চালিয়ে যান । অনেক ধন্যবাদ
১২ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০৩:৪৯
155148
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : পড়ে মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। ভাল লাগল।
১৪
205213
০৯ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৪৪
মাটিরলাঠি লিখেছেন : চেয়ার কিনে তাতে বসে আত্মতৃপ্তি অর্থাৎ যে কোন ভাবেই লাভবান হোন।
১২ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০৩:৪৯
155149
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : এটি একটি সাইকোলাজিক্যাল শিক্ষা। খারাপ না। আত্মতৃপ্তি। ধন্যবাদ।
১৫
205358
০৯ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৮:৫৬
নিভৃত চারিণী লিখেছেন : এত বড় গল্প? বই আকারে বের করার চিন্তা আছে নাকি? মনে হয় সেটাই ভালো হবে। বইটা কিনে এক দমে পড়ে শেষ করবো। প্রতিদিন অপেক্ষা করতে ভালো লাগে না।আবার আমি নিজেও প্রতিদিন আসতে পারিনা।
১২ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০৩:৫১
155150
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : বই বাহীর করার উদ্দেশ্য লিখছিনা। তবে বাস্তবে দেখা এসব অভিনীত ঘূষখোরদের ইতিহাস নতুনদের জানানোর জন্যই হাত দিলাম। দর্শকের গ্যালারী থেকে দেখা ঘটে যাওয়ার বর্ননা বৈ কিছুই নয়।
১৬
205558
১০ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১০:০৬
মোঃ ওহিদুল ইসলাম লিখেছেন : অডিটর সাহেব এর কথায় বেশ মজা পেলুম। হাহাহা।
১২ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০৩:৫১
155151
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : আমার খুব ভাল লেগেছে। মন্দনা। অডিটরতো। অনেক চালাক। সুন্দর সমাধান। ধন্যবাদ।
১৭
205862
১০ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১০:০১
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : অডিটর সাহেব খুব সুন্দর কথা বলেছেন।
১২ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০৩:৫২
155152
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : এজন্যই কথাগুলো কোড করেছি। এগুলো শিক্ষণী বিষয়। ধন্যবাদ।
১৮
206289
১২ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ০৫:১৮
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : উষা দেবীকে অনেক দিন পর দেখলাম। অডিটর সাহেব এর কথাগুলো বেশ মজার Happy
১২ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০৩:৫৩
155153
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : উষাকে নিয়ে প্রেমের কাহীনি আছে। আছে আরও অনেক কিছূ। রঙ্গের মানুষদের অভিনীত গল্পের পাঠক 'বৃত্তের বাইরে' কে ধন্যবাদ।
১৯
206445
১২ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৪:১৭
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : বিপু কেমন আছে? Chatterbox Love Struck Love Struck
১২ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৪:৪০
155166
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : বিপুকে নিয়ে আগামী পর্বে আসছে। ধন্যবাদ।
২০
206544
১২ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৩৬
ইবনে হাসেম লিখেছেন : ভাইজান, বেশ তাড়ায় আছি, তাই তাড়ার মাঝেই মন্তব্য করতে বসলুম। অডিটরদের অডিট কাহিনীর কিছু কিছু নমূনা তো দেখেছি নিজ চোখে। এসব অডিটররা ও তো ঘুষখোরে কম যায়না। ঘুষ খেয়ে ছোট বিষয়কে বড় করে দেখানো আর কোন বড় বিষয়কে ছোট বানিয়ে ফেলা এদের দুই মিনিটের কাজ। এমনই অডিটের কবলে পড়ে আমারও জাঁ কান্দানী অবস্থা ভাই। দোয়া কইনের ভাই, যাতে আল্লাহ বাঁচার একটা গতি করে দেন।
১৩ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০১:১১
155368
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : জাতির মাঝে আরশোলার মত লূকিয়ে থাকা এসব শিক্ষিত শয়তানদের মুখোশ উম্মোচিত হওয়া উচিত। অভিজ্ঞতার শেয়ার করুন। আপনার তো কলমে অনেক ধার। আহারে ভাবীর ভালবাসার মুল্যায়ন করতে গিয়ে বিদ্রোহী কলমে জং ধরেছে। ধন্যবাদ।
২১
207166
১৩ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৫:৫৬
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : কাজ করতে করতে হাঁফিয়ে উঠা একজন পুরুষ যদি পাশে বসা মহিলার দিকে হাসিমুখে তাকিয়ে কথা বলতে বলতে কিছুটা তৃপ্তি পায়, এতেই বা মন্দ কিসে?

কথাটা সত্য। কিন্তু তৃপ্তির সাথে পরবর্তীতে যে কাজ গুলো হয়। সংসারে ধ্বংস ডেকে আনার জন্য সভ্যতার এই বড় অবদানটা আপনার মত এত উচুমানের লিখায় আশা করি।
২৮ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০২:০৩
162609
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : বস। দেরী হয়ে গেল। দুু:খিত। ধন্যবাদ। আপনার মন্তব্যগুলোই অন্যরকম। ভাল লাগে।
২২
207248
১৩ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:১৪
বিন হারুন লিখেছেন : অডিটর বেচারা-বাবুকে এমনভাবে নার্ভাস করলেন. তাঁর তেলের শিঁশির সবগুলো তেল বাহিরে পড়ে গেল.
২৩
209072
১৭ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:২২
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : ভালো লাগলো বরাবরের মতই
২৪
210263
১৯ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৮:১১
আমি আমার লিখেছেন : At Wits' End At Wits' End At Wits' End
২৫
214321
২৮ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০১:৪৯
সুমাইয়া হাবীবা লিখেছেন : যুক্তিসম্মত বাস্তবসম্মত মতামত দিলেন অডিটর সাহব।
২৬
214586
২৮ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১০:২৭
আহ জীবন লিখেছেন : ছোট ছোট বালু কনা, বিন্দু বিন্দু জল
গড়ে উঠে মহাদেশ সাগর অতল।

ঊষা দেবী কে করা হাল্কা রসিকতা কে যদি উনি প্রশ্রয় না দিতেন তবে উনার মনের দেয়াল ভাঙ্গা সম্ভব হত না।

এভাবেই টিজিং এর উৎপত্তি হয়।
এভাবেই সুপ্ত কামনা বাসনা জাগে মনে।
২৭
226466
২৬ মে ২০১৪ বিকাল ০৫:১১
আইন যতো আইন লিখেছেন : লেখার যন্ত্র ভাই, বই বের করে পাঠান তাড়াতাড়ি

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File