রঙ্গের মানুষ - (পর্ব-১০)
লিখেছেন লিখেছেন প্রবাসী মজুমদার ১৮ মার্চ, ২০১৪, ০৮:৩৩:১৪ রাত
পর্ব-৯
আজ বুধবার। যথা সময়ে টিউশনিতে উপস্থিত হয়েছি। আগামী দুদিন এমনিতেই আসতে হবেনা। বৃহস্পতিবার অর্ধদিবস। শুক্রবার জাতীয় ছুটি। এ দুদিনে পড়া একসাথে দিয়ে যাবো। বিপুকে জিজ্ঞেস করলাম,
- স্কুলের দেয়া শনিবারের কোন পড়া বাকী আছে?
- জ্যী স্যার।
- কোনটি? দা্ও। পড়িয়ে দেই।
- ইংরেজী রচনা। Aim in life. "ইংরেজী গ্রামার এন্স এ্যাসে" থেকে ও রচনাটি কাগজ দিয়ে চিহ্নিত করে রেখেছে। বইটা আমার দিকে এগিয়ে দিতেই বললাম, জানো, এইম ইন লাইফ মানে কি?
- জানি স্যার। তবে কোনটা করলে ভাল হবে জানিনা। কি হব আর না হবো পরের কথা। তবে বইতে যা আছে, পরীক্ষায় পাশ করার জন্য যেহেতু এটাই আমরা সবাই মুখস্থ করি, সুতরাং আপাতত এটাই এইম ইন লাইফ।
- বাহ। তুমি দারুণ একটা কথা বলেছো। এ কথাটি মনে হয় বাংলাদেশের ৯৯ পার্সেন্ট শিক্ষকই চিন্তা করেনা। জানলেতো আর বইয়ের Aim in life পড়াতোনা। শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য যদি হতো বাস্তবে কিছু করা, তাহলে তোমাদের শিক্ষক তোমাদের নিজস্ব মেধা অনুসারে সবাইকে এইম ইন লাইফ তৈরী করে দিতো। ঠিক না?
- জ্যী স্যার।
তাহলে এ প্রসঙ্গে তোমাকে একটি বাস্তব গল্প শোনাই। আমাদের স্কুলের মাহবুব স্যার। বড় মজার মানুষ। তাকে নিয়ে হাজারো রসাত্মক গল্প আছে। শিক্ষকতা যোগ্যতা এম.এস.সি. হলেও মাঝে মধ্যে সখের বশবর্তী হয়ে আমাদেরকে ইংরেজী পড়াতে আসতো।
সেদিন ইংরেজী শিক্ষক খায়ের স্যার স্কুলে আসেনি। স্যারতো মহা খুশী। তখন আমরা ক্লাশ নাইনে পড়ি। সেদিনের পাঠ্য বিষয়টি ছিল কবিতা। নাম - "দ্যা সেন্ডস অব ডি - অথ্যাৎ ডি নদীর তীরে"।
স্যার সবাইকে বলল বই খূলতে। আমরা প্রস্তুুত।
- হা। সবাই বই এনেছো?
- জ্যী স্যার। সবাই সমস্বরে জবাব দিল।
আজকের কবিতাটি অনেক সুন্দর। কবিতার নাম - দ্যা সেন্ডস অব ডি।
এবার স্যার নিজেই কবিতাটি পড়তে শুরু করল,
..ও মেরী,
গো এন্ড কল দ্যা ক্যাটল হোম,
গো এন্ড কল দ্যা ক্যাটল হোম
এক্রস দ্যা সেন্ডস অব ডি।
হঠাৎ মোজাম্মেল হাত দুলে দাঁড়িয়ে গিয়েছে। একেবারে সামনের সারীতে বসা ক্লাশের ফাষ্ট বয়। হওয়াতে স্যার এড়াতে পারেনি। পড়ার মাঝে হঠাৎ হাত তুলতে দেখেই স্যার জিজ্ঞেস করল
- এই। কি হল তোর? দাঁড়ালি কেন?
- স্যার একটা প্রশ্ন ছিল?
- বল। এভাবে পড়ার ফাঁকে প্রশ্ন করা ঠিক নয়।
- স্যার। দ্যা সেন্ডস অব ডি - এটা কোন পার্ট অব স্পীস।
- এটা কি ইংরেজী গ্রামারের ক্লাশ? তোদেরকে এজন্য্ই পড়াতে ইচ্ছে করেনা। তারপর স্যার কবিতার হেডিং এর দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকল। অবশেষে রাগ হয়ে বলতে লাগল, একটা ইন্টারেষ্টিং বিষয় পড়াচ্ছিলাম। হাত তুলে মুডটা একেবারে খারাপ করে দিলে। ফাজিল পোলাপাইন এত প্রশ্ন করে।.....কিন্তু উত্তরতো দিতে হবে। স্যার ভাবনায় পড়ে গেল। তারপর গলায় একটা কাশি দিয়ে বলল,
- এটা কোন পার্ট অব স্পীস নয়.....।
এ যদি হয় একজন শিক্ষকের অবস্থা তাহলে ছাত্র-ছাত্রীরা শিখবে কি?
- বিপু হাসছে। জানতে চাইল, স্যার, এটা কি আপনার স্কুলের শিক্ষক?
- হ। কি? তোমার কি মনে হয় যে আমিও এমন?
- না স্যার। এমনিতেই। খুবই হাস্যকর।
"এইম ইন লাইফ" ইংরেজী রচনাটা শব্দে শব্দে অনুবাদ করে বিপুকে বুঝালাম। নিজের এইম ইন লাইফ কি হওয়া উচিত তাও ব্যখ্যা করলাম। - - - বিপুর প্রশ্ন আচ্ছা স্যার। আপনি যে এতবড় রচনার প্রতিটা শব্দ বাংলায় অনুবাদ করলেন, তা কি করে হল? আপনি এত শব্দের অর্থ জানেন?
- শোন। তোমাকে আনিস ভাইয়ের অধ্যয়নের কথা বলেছিলাম, মনে আছে?
- জ্যী স্যার।
- ওর অধ্যয়নের গল্প এ্যাসিস্টেন্ট হেড স্যার থেকে শুণে আমিও বিমোহিত হয়েছিলাম। বিষয়টি শুধু শোনাতেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। রীতিমত চর্চা শুরু করে দিয়েছি। মনে মনে হিংসা হল, দুত্তরী। আনিস ভাই পারে! আমি পারমুনা ক্যন? ও যা খায় আমিও তাই খাই। সুতরাং আমাকে পারতেই হবে।
কয়েকমাস আগের ঘটনা। এ ঘটনার নায়ক যে সেই আনিস ভাই, জানতাম না। বিকেলে দরবেশ স্যারের হাতে একটি বই দেখে আনিস ভাই বলল, স্যার, আপনার বইটা কি পড়তে পারি?
- স্যার বইটা তাকে দিয়ে দিল।
পরদিন সকাল বেলায় আমরা স্কুলে এসে দেখি, খালি গায়ে আনিস ভাই একটা বই পড়ছে। পড়া প্রায় শেষ। বেঞ্চের উপর জ্বলা মোমবাতির অনেক বড় স্তুপ! পরে জানতে পেরেছি, আনিস ভাই বইটা তিনবার পড়েছিল সেই রাতে।
বাস্তবেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নাালিজম বিভাগে ফাস্ট ক্লাশ ফাস্ট হয়ে শিক্ষকতায় যোগ দেয়া আনিস ভাইয়ের পড়ালিখার নেশা নিয়ে অনেক গল্প শূনেছি। চিওড়া বাজারে আসলে চায়ের দোকানে আড্ডা দিতো একদল শিক্ষিত যুবককে নিয়ে। পত্রিকা পড়তে বসলে মনে হতো ওর মনোযোগ পুরো দুনিয়া হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আনিস ভাইকে দেখে মাঝে মধ্যে ভাবতাম, আসলে জ্ঞানী লোক তাদেরকেই বলে, যারা জ্ঞান পিপাসু। বা জ্ঞানার্জনে পাগল।
যাইহোক, স্যারের মুখে আনিস ভাইয়ের গল্প শুনে শুরু হল আমার পাগলামী। রাত দশটায় হারিকেন নিয়ে সোজা ক্লাশ নাইনে। ক্লাশের এক কোনায় বসে শূরু হয় আমার পড়া। গভীর রাত। কেউ নেই। প্রথম রাত। খুব ভয় পেয়েছিলাম। তাই দরজা জানালা বন্ধ করে কাঁথা মুড়ি দিয়ে ভাটিয়ালী সুরে কি গান? মনে হয় শিল্পী আব্দুল আলিম।
গ্রামের বাড়ীতে ছোট বেলায় বাজার কিংবা কেথাও থেকে আসার সময় ভয় লাগলে এমনটি করতাম।
পড়ার প্রথম কয়েকটি দিন। খুব খারাপ লেগেছে। চোখে পানি আসত। দুতিনবার ঘূমের ঠেলায় টেবিরের সাথে বাড়ীও খেয়ে ব্যাথাও পেয়েছি। তারপর ও লক্ষ্য একটাই। আনিস ভাই পারলে আমি পারবোনা কেন? মাঝে মধ্যে সময় কাটাতাম আকা জোকা কিংবা নোট করে।
জানো, এথেন্স এর সক্রেটিসের ছাত্র এরিষ্টটল কিভাবে পড়তো?
- কিভাবে স্যার?
- ও পড়তে পড়তে যখন দুর্বল হয়ে যেতো, শূতে ইচ্ছে করতো, তখন শূয়ে যেতো। ডান হাতে বইটা ধরে পড়ত। আর বামহাতে রাখতে দোকানে মালামাল মাপার একটি বাটখারা। আর বাটখারা বরাবর নীচে রাখত একটি পিতলের বাটি।
এরিষ্টটল পড়তে পড়তে যখন ঝিমিয়ে পড়ত, বাম হাতে রাখা বাটখারাটি আস্তে হাত থেকে পড়ে যেতো পিতলের বাটিতে। এত বিকট শব্দ হতে। অমনি ও লাফ দিয়ে উঠে পড়ত। এভাবেই জ্ঞানার্জন করার কারণে ওরা পৃথিবীতে অনেক কিছু দিয়ে গেছে। ওদের জন্য লিখা হয়েছে যুগের শ্রেষ্ঠ ইতিহাস।
আমি অনুপ্রাণিত হলাম আনিস ভাই আর এরিষ্টটলের পড়ার এ পদ্ধতি দিয়ে। প্রথম কয়েকটি দিন ঘুমের যন্ত্রণায় খুব কষ্ট হলেও, এক সপ্তাহ পর অভ্যাস হয়ে গিয়েছিল। কিছুদিন পর রাত জেগে পড়া আমার নেশায় পরিনত হল। সকালে ফজরের আজান কানে ভেসে আসলে ভাবতাম,
- কি ব্যপার! মোয়াজ্জিম আজ এত তাড়াতাড়ি আজান দিল কেন?
জানো, কঠিন অধ্যবসায় ব্যাতীত পৃথিবীতে কোন লোক জ্ঞানী হতে পারেনি। জ্ঞান এমন এক বস্তু, যা অর্জন করতে হয়।
আমার অধ্যয়নের এ পাগলামীর সময়ে ইংরেজী "আপ-টু-ডেট" নামের ইংরেজী গ্রামার এন্ড এ্যাসে বইযের পুরো ইংরেজী রচনা অনুবাদ করে শিখে ফেলেছিলাম। এখন আমি যত রচনাই পড়ি, ঘুরে ফিরে সেই শব্দ গুলোই আসে।
- বিপু নিম্চুপ আমার কথা গুলো গিলতে ছিল। অবশেষে বলল, স্যার, আমি হয়তাব ছাত্রী হিসেবে বেশী ভাল নয়। কিন্তু আপনার এসব উদ্দীপনা মুলক কথাগুলো শূনে খুব ইচ্ছে করে পড়তে। এবং পড়ছিও। সত্যি কথা বলতে কি, আপনাকে স্যার হিসেবে পাওয়ার পর আমার পড়ার আগ্রহটা অনেক বেড়ে গিয়েছে।
(চলবে)
বিষয়: বিবিধ
২০৮৬ বার পঠিত, ৮৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
তবে ছাত্রিকে এইম ইন লাইফ এ কি পড়িয়েছিলেন ডাক্তার না শিক্ষক।
********************************
ভাই অনেক মজাকরে গদ্যলিখেন পড়তে মজাপাওয়া যায়...অসাধারন,
______________________________
বাংলাদেশে বাঙ্গালীর শাসন
বিনা টাচে্ রক্ত শোষন
রক্ত খায় দেশবাসী চুলকায়
আরামে আয়েশে থাকে বাঙ্গালি,
আন্দোলনের স্বপ্ন গোলশানে বারিধারায়
স্বপ্ন দেখে গাঁয়ে চাঁদমাখে-মদিরা খায়
বাঙ্গালি বিনা তালেই-বাংলাদেশের ঢোঁল বাজায়
শুধু স্বপ্ন দেখে গোলশান বারিধারায়,
ঈমাম সাহেব মিমবরে দাড়ায়-চারদিকে তাকায়
কি বলিবে ভাবে শতবার-নইলে পরিবে পাছায়
দাড়িওয়ালা দাঁড়ি লুকায়-দেশে মুসলমান নাই
বাঙ্গালি শাসন করে-বাংলাদেশি জান বাঁচায়।
কবিরা প্রেমের কবিতা-বই মেলায় ছাপায়
ধন্য ধন্য জীবন-কবি মনোবল পায় !
প্রেম বিরহের খিচুড়ি-খাওয়াবে আগামী মেলায়
কবি প্রেমের শব্দে হাবুডুবু খায়-
দেশ গোল্লায় যায়।
কবিহে তুমি কোথায় ছিলে
অনেকদিন হয়নি দেখা,
ব্লগে খুজে বেড়িয়েছি তোমায়
পাইনি কবির লেখা।
তুমিনা হলে শুন্যতায ভূগি
কবিহীন জড় এ আসর,
কবিরাই পারে জাগাতে জাতিকে
কবিনা হলে সব ধুসর।
তুমি এসেছ মেতেছে সবাই
ছেড়ে যেয়োনাকো আর
কবিরা প্রান, কবিরা জান
আড্ডা জমে বার বার।
এটি আপনার সৌজন্যে উৎসর্গ করলাম।
আসলে বড় যারা তাদের আত্মত্যাগও তেমনই!!!
ভাল হয়েছে
যাযাজাল্লাহ খাযের
পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায়
আপনার সাথে আছি
চলুক। সাথে আছি।
অসাধারণ (?)
..........
এতদিন ব্লগিং করে বুঝার বাকী নেই।
আপনার কি মনে হয়?
ধন্যবাদ।
নিত্য এসে মতামত দিয়ে যাবার জন্য ধন্যবাদ।
ভাল হয়েছে
যাযাজাল্লাহ খাযের
পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায়
আপনার সাথে আছি
চলুক। সাথে আছি।
অসাধারণ (?)
..........
এতদিন ব্লগিং করে বুঝার বাকী নেই।
আপনার কি মনে হয়?
প্রাসঙ্গিকভাকে অত্যন্ত সুন্দর কথা বলেছেন। পড়াশুনা না করে কেউ ভাল কিছু শিখতে পারেনি। মনোযোগ দিয়ে পড়াশুনা করলে অনেক কম মেধার ছাত্রছাত্রী দারুণ সাফলতা লাভ করে। পৃথিবীতে যত জ্ঞানী গুনি জন্মেছেন তাদের বেশীর ভাগই কঠোর পড়াশুনার মাধ্যমেই দুনিয়াবাসীকে ভাল কিছু উপহার দিতে পেরেছে।
আমার অনুমান যদি মিথ্যা না হয় তবে আপনার এই ছাত্রীটিও পরীক্ষায় খুব ভাল রেজাল্ট করেছিলেন। পরবর্তীতে তিনি দাম্পত্য জীবনে শুধু গৃহিনী না হয়ে কর্ম জীবনেও যদি প্রবেশ করে থাকেন তবে নিশ্চয়ই তার প্রফেশনাল জীবনে আপনার দেয়া শিক্ষা পদ্ধতির প্রভাব তার ব্যক্তি জীবনে পড়ার কথা। আশা করছি আগামী পর্বগুলোতে এ বিষয়ে আমরা জানতে পারবো বিস্তারিত।
সাথেই আছি। পরবর্তী পর্বগুলোর অপেক্ষায়।
ভালো লাগলো
ধন্যবাদ।
আপনার বাবার বই কালেকশন পড়লাম। দারুণ লেগেছে
পরদিন সকাল বেলা চোখ ডলতে ডলতে পাশের ঘরে ঢুকেই কেমন চমকে গেলাম। চার দেয়াল জুড়ে এই উঁচু পর্যন্ত বই আর বই। একপাশে আমাদের পুরোনো বুক শেলফ আর দুটো বাশের র্যাকে কিছু বই আর বাকি তিনদিকে কোনরকম আশ্রয় ছাড়াই বইগুলো দাঁড়িয়ে আছে। আর সারারাত আব্বু বিষয়ভিত্তিক বই বাছাই করেছে- জোড়া তালির মলাটও লাগিয়েছে অনেক বইয়ে ফলে ওগুলো তেমন পুরোনোও লাগছেনা।
শেষের দিকে কথার ডাইরেকশন তো আপনার জন্য সুখকর মনে হচ্ছেনা
আর কর্ম জীবনে প্রবেশের প্রথম মাসে বেতন ছিল ২৫০০ টাকা। এ থেকে ৩০০ টাকার বই ক্রয় করেছিলাম। এরপর দুই মাস পর থেকে যখন ৩৫০০ টাকা বেতন পেতাম তখন ৫০০ টাকা বাজেট থাকতো বইয়ের, যদিও বউয়ের বাজেট তখনও হয়ে উঠেনি। আর তারপর বেতন যখন ১৫০০০ তখন ১০০০ বই; তবে ততদিনে বউয়ের চিন্তাও পেয়ে বসেছে। এভাবেই চলছে। তবে ইদানিং বই তেমন কেনা হয় না; কারণ বাংলাবাজারে থাকি কি না!!
মাস্টারি নিয়ে আমিও একটা গল্প লিখেছি। ভিন্ন চরিত্রের দুজন মাস্টারকে নিয়ে ছোট বেলায় দেখা কিছু বাস্তবতাকে পুঁজি করে এ গল্প।
http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/1980/ohidul/40913#.Uyk6Fc63TDc
আমার সমস্যাটা বের করতে পেরেছি। চেষ্টা করবো নিরন্তর চেষ্টা করা।
আমার মনে হয় - পাঠকরা তাদের সমস্যাও বের করতে পেরেছে।
তাই আপনাকে শুকরিয়া।
আমি বহুত বড় বড়লোক হতে চাই
কিন্তু যা ভাবী তাতে আমি নিজেই নাই।
পড়েছি অনেক বড় গল্প
রেখে গেলাম কথা স্বল্প
ব্যস্ততায় ছুটি নেইযে সময়
কেনযে আসলাম এ অসময়
u r ri8. it's true. carry on what u r doing. we r with u.
i just expressed my fondness to this series.
মন্তব্য আলোচনায় ইমাম গাজ্জালী(র)-এর প্রসঙ্গ এসেছে। উনি আমার কাছে এক বিস্ময়। উনি জীবিত ছিলেন ৫৪/৫৫ বছর। কর্মজীবন মোটামুটি ৩০ বছর। প্রতিদিন গড়ে ১৭ পৃষ্ঠা লিখতেন। তাঁকে বলা হয় 'দর্শন বিরোধী দার্শনিক।' তাঁর এই ৩০ বছরের কর্মজীবন মুসলিম জগতকে কেয়ামত পর্যন্ত প্রভাবিত করে রেখেছে। আমরা গ্রীক-রোমান দার্শনিক নিয়ে যত ব্যস্ত- আমাদের দার্শনিকদের সম্বন্ধে আমরা কিছুই জানি না।
তবে এ পর্যন্ত যতটুকু আসতে পেরেছি টা শুধু আমার বাবার জন্য। আমার জন্য অনেক কষ্ট করেছেন তিনি।
মন্তব্য করতে লগইন করুন