রঙ্গের মানুষ - (পর্ব-৯)

লিখেছেন লিখেছেন প্রবাসী মজুমদার ১৭ মার্চ, ২০১৪, ০৭:৫৪:১৬ সন্ধ্যা

পর্ব-৮

মধ্যাহ্ন ভোজের কর্মবিরতির এক ফাঁকে সেকান্দর সাহেবকে ডেকে বললাম

- আপনার সাথে একটু কথা ছিল।

- কি বিষয়ে?

- সারের বাসায় আমার যাওয়া নিয়ে।

- বলুন। অসুবিধে নেই। এখন ফ্রি আছি।

আমার সুবিধা-অসুবিধের বিস্তারিত সেকান্দর সাহেবকে খূলে বললাম। শুনতেই তিনি সমর্থন দিয়ে দিলেন। বললেন, আমি আপনার সাথে আছি। এ ব্যাপারে কোন দ্বিমত নেই। ভাল কথা মনে করেছেন। আরে.. নিজের পকেটের পয়সা দিয়ে স্যারের মেয়েকে পড়ানোর দরকারই বা কি? মাথা খারাপ নাকি? আপনি যে মেয়েটাকে পড়াতে যান এটাইতো যথেষ্ট। স্যারতো আপনার জন্য গাড়ী ভাড়া করা উচিত। আপনার পড়া নিয়ে স্যার একেবারে মহাখূশী। তাহলে দেবেনা কেন? অপেক্ষা করুন। আমি বিষয়টা নিয়ে স্যারের সাথে আজ না হয় কাল অবশ্যই কথা বলব।

- স্যার যাতে আবার কিছু মনে না করে। আমি অনুরুধ করলাম।

- দু্ত্তরী। স্যারকি আপনাকে বাপের টাকা দিবে? আপনাকে যা দিবে সবই ব্যাংকের টাকা।

- মানে?

- মানে আর কি? দেখেন না। প্রত্যোকদিন অফিস থেকে যাবার সময় স্যার কি করে? পিটি ক্যাশ ভাউচার দিয়ে ক্যাশিয়ার থেকে প্রতিদিন ৫০/১০০ টাকা নিয়ে বেরিয়ে যায়?

- ওটা কিসের টাকা?

- ঐটা আমাদের টাকা। ব্যাংকের অফিস ষ্টাফ কিংবা কাষ্টমারদের চা নাস্তা বাবদ বাজেটের টাকা। ঐটা আমাদেরকে না দিয়ে স্যার ফ্যামেলির বাজার খরচ চালায়। আর আমরা কাষ্টমারের পকেটের টাকা দিয়ে চা নাস্তা খেতে হয়।

আপনি নিশ্চয়ই খেয়াল করেছেন যে, খায়ের স্যারের ঘূষ খাওয়া নিয়ে এত অভিযোগ করা হল। কিন্তু স্যার কোন এ্যাকশনই নেন না। আমরা কি এসব বুঝিনা? মুল কারণ হল, খায়ের সাহেব এ টাকা থেকে স্যারকে ও কমিশন দেয়।

- তাই নাকি?

- নতুন এসেছেন তো। এসবের শানে-নুযুল বুঝতে একটু সময় লাগবে। তবে বুঝতে বেশীদিন সময় লাগবেনা।

সেকান্দর সাহেব বলতে লাগলেন - শালার, পুরো দেশটাই যেন চোরের খনি। ঘূষখোরে একেবারে ভরে গেছে। কোথায় গিয়ে যে বিচার দেবো বুঝে উঠতে পারছিনা। ব্যাংক তার কর্মচারীদের ষ্টাফ হাউজিং লোনটা চালু করে মনে হয় ঘূষের পথটা আরও সুগম করে দিয়েছে। ব্যাংক মানেই মনে হয় লুটেরাদের আড্ডাখানা। সিন্ডিকেট চোরের খনি। ব্যাংক কর্মকর্তা - কর্মচারী - কাষ্টমার সবাই যেন লুটে খেতে মহাব্যাস্ত। মাঝখানে আমাদের মত মধ্যবিত্তের লোকগুলো আছি বিপাকে।

- ষ্টাফ হাউজিং লোনের সমস্যাটা কোথায়? এটিতো আপনাদের স্বার্থেই দিয়ে থাকে।

- দেখেন মজুমদার সাহেব। মনে করুন ব্যাংক আমাকে ৩ লাখ টাকা হাউজিং লোন দিয়েছে। আমি জায়গা কিনলাম ৩ কাঠা। এটার উপর বিল্ডিং করার জন্য বাকী টাকা কোথা থেকে এনেছি ব্যাংক কি খোজ খবর রাখে? যে লোকটা মাসিক বেতন দিয়ে তার ষ্টাটার্স রক্ষা করতে পারেনা, তাকে হাউজিং লোন দেয়ার পর মাসিক বেতন থেকে লোনের টাকা কেটে নেয়ার পর কিভাবে তার সংসার চালায় ব্যাংক কি খবর রাখে?

তাহলে তার মানেটা কি দাড়ালো? নিশ্চয়ই কোন না কোন অসদুপায় অবলম্বন করেই লোকটি সংসার চালায়। জায়গায় বিল্ডিং উঠায়। আমাকে দেয়া হা্উজিং লোনে কতটুকু জায়গা কিনতে পারবো, বিল্ডিং তুলতে পারবো কিনা, মাসিক বেতন থেকে লোন কাটার পর অসদুপায় অবলম্বন করি কিনা, এসবের খবর নিয়ে ব্যাংক কি লোন দেয়?

- তাহলে।

সুতরাং তার মানে কি দাড়াল? তার মানে হল, আমি যদি আগে দশ টাকা ঘূষ খেতাম, এখন খাই একশত টাকা। প্রয়োজনের তাগীদে্ই তো মানুষ চুরি করে। আমিও তাই করি। আর এটি করার জন্য ব্যাংকও আমাকে সুযোগ করে দিয়েছে।

ম্যানেজার সাহেবকে সরকার যে টাকা দিয়েছে তার চেয়ে বেশী টাকার জায়গা কিনেছে। বাড়ী করেছে। এর বিপরীতে তিনি হাজী সাহেবসহ বড় বড় কাষ্টমারের পকেট হাতিয়ে নিতে গিয়ে নিজেও খেয়েছেন, ওদেরকেও দিয়েছেন। মধ্যখাতে লুট হল ব্যাংকের টাকা।

এই যে কিছুদিন আগে আপনি হাজী সাহেবের ইন্ডাষ্ট্রি ভিজিট করে একটি ষ্টেটম্যান্ট উপরে পাঠিয়ে ছিলেন। এতে কি হয়েছে জানেন?

- না।

- হাজী সাহেব ষ্টীল ইন্ডাষ্ট্রিজের চুল্লী মেরামতের নাম দিয়ে ঐ টাকায় মুলত আন্দর কিল্লায় নিজস্ব জায়গায় পাচ তলা বিশিষ্ট অনেক বড় বিল্ডিং এর কাজে হাত দিয়েছেন। ব্যাংকের কর্মকতাদের মুখ বন্ধ করার জন্য যদি ২-৪ লক্ষ টাকা ঘূষ দিয়ে দেন, এতে সমস্যা আছে?

- না। নাই।

- এজন্যই আপনার অভিযোগের পর উল্টো হাজী সাহেবকে সাহায্য করার জন্য এজিএম তাকে এখানে পাঠিয়েছেন। বিনিময়ে ম্যানেজারের পকেট টা আর একটু ভারী হল।

এমনকি, হেড অফিস থেকে আসা অডিট টিম ও এব অপকর্মের সাথে জড়িত। এজন্য দেখেননা। হেড অফিস থেকে অডিট টিম আসল ব্যাংকের কাজে। হাজী সাহেব তাদেরকে চাইনিজ খাওয়ানোর দরকার কি?

- হুম। এতক্ষনে বুঝতে পেরেছি।

কাজেই আপনি তার মেয়ে পড়াতে গিয়ে টাকা নেয়ার ব্যাপারে লজ্জাবোধ একেবারেই অনর্থক। এটি আপনার অধিকার।

পরদিন সেকান্দর সাহেব আমাকে ম্যানেজারের রুম থেকে ডাক দিয়েছেন। ঢুকতেই স্যার হাস্যেজ্জল মুখে আমাকে সম্ভাষন জানিয়ে বসতে বললেন। তারপর বিপুর ব্যাপারে জানতে চাইলেন। অবশেষে আমার ভূয়সী প্রশংসা করলেন। বললেন, আমার মেয়েটাকে পড়ানোর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আজ থেকে প্রতিদিন গাড়ী ভাড়া বাবদ আপনি মাসে ৫০০ টাকা করে পাবেন। মাসের প্রথমেই এটি ক্যাশিয়ার থেকে আমার কথা বলে নিয়ে নেবেন। আর কোন সমস্যা থাকলে আমাকে বলবেন। অসুবিধে নেই।

- স্যার। আমার একটু কথা ছিল।

- বলেন।

- আসলে দুরত্বের কারণে প্রত্যোকদিন আপনার বাসায় যেতে খুব কষ্ট হয়। এজন্য ভাবছি, সপ্তাহে তিন দিন পড়ানোর জন্য।

- অসুবিধে নেই। আপনি আপনার সুবিধামত দিন ধায্য করে নিন। আর এখন থেকে দুপুর দুইটায় আপনি আমার মেয়েকে পড়ানোর জন্য চলে যেতে পারেন। বিকেল পাচটা নাগাদ পড়িয়ে বাসায় চলে গেলেন।

- ঠিক আছে স্যার।

স্যারের রুম থেকে আনন্দিত মনে বিদায় নিলাম। এর পরে থেকে ব্যাংকে কখনও দেরীতে আসলেও স্যার আমাকে কোন কিছূ বলতেন না। পক্ষান্তরে স্যারের বাসায় টিউশনি করাটা এক ধরণের তেল মারা হলেও, নতুন চাকরির কারণে গোলে মালে যাক না দিন, এ থিউরি নিয়ে সামনে এগিয়ে চলছি।

পরদিন দুপুর দুইটায় ব্যাংক থেকে বেরিয়ে গেলাম। স্যারের বাসায় গিয়ে বিপুকে পড়াতে বসলাম। বললাম

- অাজ থেকে আমি সপ্তাহে তিন দিন আসবো তোমাকে পড়াতে।

- কেন স্যার?

- স্যার তোমাকে কিছু বলেনি?

- নাতো! বাবা শূধু বলেছে, আপনি আজ থেকে দুপুর দুটার পরে আমাকে পড়াতে আসবেন।

- হুম। বললাম, দ্যাখো, এত দুর এসে তোমাকে পড়াতে আসি। আমার খুব কস্ট হয়। তোমাকে পড়িয়ে সেই আগ্রাবাদের মাদার্য পাড়ায় আমাকে যেতে হয়। বাসায় গিয়ে পাক শাক করে ঘূমাতে ঘুমাতে অনেক দেরী হয়ে যায়।

বিপু আমার কষ্টের কথা শূনে কিছুটা মর্মাহত হয়েছে। তার পড়ালিখায় কিছুটা ব্যাঘাত ঘটবে জানলেও কিছু বলার নেই। অভয়বে বুঝা গেল ও কিছুটা হতাশও হয়েছে। লক্ষ্য করলাম, ও যেন কিছু একটা বলার চেষ্টা করছে। জিজ্ঞেস করলাম,

- তুমি কি কিছু বলবে?

- জী স্যার। যদিও বলাটা ঠিক হচ্ছেনা..।

- অসুবিধে নেই বলতে পার।

- স্যার। আপনার বাসাটা কি এদিকে নিয়ে আসলে অসুবিধা হবে?

- দ্যাখ। আমি যে বাড়ীর বাংলায় থাকি জায়গাটা অনেক সুন্দর। তিন বন্ধু মিলে এক সাথে থাকি। পাকশাক করি। আড্ডা দেই। তাছাড়া, ওখানকার বাড়ীওয়ালী সম্পর্কে আমার খালাম্মা। ওদেরকে ছেড়ে আসতে ইচ্ছে করেনা।

- কেন স্যার? ওরা কি আপনার খুব আপন। মানে নিজের খালাম্মা?

- না। ডাকতে ডাকতে খালাম্মা। হাওলাতি খালাম্মা।

- হুম। ওদের সাথে এত আপন হলেন কি করে?

তোমাদের চট্রগ্রামের লোকদের একটি জিনিষ আমার খূব ভাল লাগে। আর তা হলো - আতিথেয়তা। যাকে মন দেয়, উজাড় করে দেয়। মনে হয় পুরো কলিজাটাও খাইয়ে দিবে। খালাম্মাটাও হুবহু তাই। ওর সন্তান সন্ততি সবাই যেন আমাদের বড় কাছের লোক। এজন্য আমরা বন্ধুরা তিন জনে মিলেই বাড়ী ওযালীকে খালাম্মা ডাকি। মনে হয় আপন খালা। বাস্তবেও তাই।

আজ বেশী কিছু পড়াইনি। স্কুলের পড়াও তেমন একটা ছিলনা। তাই বিদায় নিতেই, বিপুর প্রশ্ন

- স্যার। আগামীকাল কি আসবেন?

একটু থেমে গেলাম। ভাবলাম, হঠাৎ করে সিডিউলটা তিন দিন করা ঠিক হবেনা। মেয়েটার পড়ালিখার মাঝে একটা সিস্টেম করে তার পর সপ্তাহে তিন দিন করলে ভাল হবে। তাই বিপুকে বললাম

- হা। আগামীকালও আসবো। কালকে বসে তুমিসহ দেখবো কোন দুইদিন না আসলে তোমার পড়ালিখায় সমস্যা হবেনা।

খুব খূশী মনে মাথা নেড়ে বিপু সায় দিল, ঠিক আছে স্যার।

(চলবে)

বিষয়: বিবিধ

১৭৭৪ বার পঠিত, ৫৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

193645
১৭ মার্চ ২০১৪ রাত ০৮:২৪
আবু আশফাক লিখেছেন : সেকান্দর সাহেবের ভাষায় বলতে হয়- ''শালার, পুরো দেশটাই যেন চোরের খনি। ঘূষখোরে একেবারে ভরে গেছে। কোথায় গিয়েছে যে বিচার দেবো বুঝে উঠতে পারছিনা।''
২০ বছর আগেই যদি এই উপলব্দি, তাহলে এই সময়ে সেকান্দার সাহেব কী বলতেন?
১৯ মার্চ ২০১৪ সকাল ১০:৩৬
145069
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : এজন্য সেকান্দর সাহেব ও বেশীদিন থাকেনি। সামনে তার কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা আসবে। সত লোকেরা বেশীদিন এসব জায়গায় থাকতে পারেনা।
193662
১৭ মার্চ ২০১৪ রাত ০৮:৩৮
শেখের পোলা লিখেছেন : চোরের খনি এখন হয়েছে ডাকাতের খনি, কি বলেন? হাঁ আছি সাথে৷
193664
১৭ মার্চ ২০১৪ রাত ০৮:৪১
সাদাচোখে লিখেছেন : সেকান্দার সাহেবরা আছেন বলেইতো ম্যানেজার সাহেবরা পিপীলিকা হতে প্রজাপতি হয়ে পাখি আর তারপর শকুন এ পরিনত হন।

সুতরাং আমার মনে হয়, উনি হয়তো মুখে আওড়াতেন, 'শালার, পুরো দেশটাই যেন বাজিকর এর খনি। শয়তানে ভরে গেছে দেশ। বিচার ছাড়া দেশ যে কোন স্বর্গে গিয়ে পৌছাবে বুঝতে পারছিনা।'
১৯ মার্চ ২০১৪ সকাল ১০:৩৭
145070
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : চিন্তা করুন ব্যাংকের যদি এ অবস্থা হয় তাহলে কোট কাচারী কিংবা পোর্ট কাষ্টমস এর কি অবস্থা। ধন্যবাদ।
193678
১৭ মার্চ ২০১৪ রাত ০৯:১২
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : চলতে থাকুক, সাথেই আছি Love Struck Music
১৯ মার্চ ২০১৪ সকাল ১০:৩৮
145071
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : আপনার হারিকেন সাথে থাকায় আমিও আলো নিয়ে সামনে এগিয়ে যাচ্ছি। ধন্যবাদ।
193681
১৭ মার্চ ২০১৪ রাত ০৯:১৬
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন লিখেছেন : দেশের বর্তমান অবস্থার জন্য এই স্যাররা কিন্তু কম দায়ী নয় ?
১৯ মার্চ ২০১৪ সকাল ১০:৪০
145074
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : বড় কথা হল এ স্যারদের আবার উপরে ওস্তাদ আছে। এজন্যই এরা চান্স পায়।
193708
১৭ মার্চ ২০১৪ রাত ১০:১৫
মাটিরলাঠি লিখেছেন : নতুন একটা শব্দ শিখলাম, হাওলাতি খালাম্মা।
১৯ মার্চ ২০১৪ সকাল ১০:৪১
145076
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : হাহা। হাওলাত মানে যাহা পরে ফেরত দিতে হয়। এসব খালাম্মা কিন্ত একময় থাকেনা। খালাম্মার সাথে ও অনেক স্মৃতি জড়িত। কোনটা থুইয়া কোনটা কমু। ধন্যবাদ।
193710
১৭ মার্চ ২০১৪ রাত ১০:২৭
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : অনেক কিছু জানা হলো।
১৯ মার্চ ২০১৪ সকাল ১০:৪২
145078
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : ভাবছি অভিজ্ঞতাটুকু বলে দিলে অন্যরা জানবে। সবাইতো আর সব জায়গায় চাকুরী করা সম্ভব নয়।
193718
১৭ মার্চ ২০১৪ রাত ১০:৩৪
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : তোমাদের চট্রগ্রামের লোকদের একটি জিনিষ আমার খূব ভাল লাগে। আর তা হলো - আতিথেয়তা। যাকে মন দেয়, উজাড় করে দেয়। মনে হয় পুরো কলিজাটাও খাইয়ে দিবে। আমাদের সিলেটিরাও মনে হয় এই প্রকৃতির।
১৯ মার্চ ২০১৪ সকাল ১০:৪৩
145079
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : আসলে আমি তো সিলেট ছিলাম না বা এ এলাকার লোকদের সাথে ফ্যামেলীগত সম্পর্ক হয়নি। চট্রগ্রামে সেটি হয়েছিল। ধন্যবাদ।
193719
১৭ মার্চ ২০১৪ রাত ১০:৪১
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : চট্টগ্রামের প্রসংশার জন্য অনেক ধন্যবাদ!!!
হায়রে সরকারী ব্যাংক!
১৯ মার্চ ২০১৪ সকাল ১০:৪৪
145080
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : বাস্তবতাটাই তুলে ধরলাম। এদের সামাজিকতা ভিন্ন ধরণের।
১০
193720
১৭ মার্চ ২০১৪ রাত ১০:৪১
মুই অমপুরী লিখেছেন : ভালো লাগল।
১৯ মার্চ ২০১৪ সকাল ১০:৪৫
145082
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : ধন্যবাদ। ভাবছিলাম আপনি কিছূ কথা বলেে যাবেন।
১১
193737
১৭ মার্চ ২০১৪ রাত ১১:১৪
এনামুল মামুন১৩০৫ লিখেছেন : ধন্যবাদ্গোল আপনাকে- তবে স্যারটা আসলে খুব খুব খুব-
১৯ মার্চ ২০১৪ সকাল ১০:৪৫
145084
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : পুরো জগতে বলে স্যারটা ভাল ছিল। আমি নিজেই দেখেছি। ধন্যবাদ।
১২
193750
১৭ মার্চ ২০১৪ রাত ১১:৩৭
ইশতিয়াক আহমেদ লিখেছেন : চালিয়ে জান। আর আপনার ফেইসবুক লিংকটা পেলে খুশি হবো। ধন্যবাদ
১৯ মার্চ ২০১৪ সকাল ১০:৩৫
145067
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : ধন্যবাদ্। আমাকে এ আইডিতে ফেস বুকে পাবেন।
probashimojumder or
dessert deffodil
১৩
193776
১৮ মার্চ ২০১৪ রাত ০১:২৪
গেরিলা লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
১৯ মার্চ ২০১৪ সকাল ১০:৩৪
145066
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : আপনার আগমনে আমি ও আনন্দিত। ধন্যবাদ।
১৪
193878
১৮ মার্চ ২০১৪ সকাল ১০:২৯
বিন হারুন লিখেছেন : এখনো পাচ্ছেন মাত্র গাড়ি ভাড়া, বেতন কবে পাবেন? আবার টাকা ছাড়া পড়ালে ছাত্রীর মা মাইন্ড়ও করতে পারেন Love Struck গল্পটি খুব ভাল লাগছে চলতে থাকুক.
১৯ মার্চ ২০১৪ সকাল ১০:৩৪
145065
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : সামনে বেতন আসছে। সত্যি কথা বলতে কে। ভাল স্যারকে সবাই কদর করে।
১৫
193962
১৮ মার্চ ২০১৪ দুপুর ১২:২০
রাইয়ান লিখেছেন : খুব ভালো লাগলো ভাইয়া। কিন্তু ব্যাংক ওয়ালাদের কাজ কামের বিবরণ পড়ে তো পুরাই মাথায় হাত ! এই অবস্থাই চলছে বছরের পর বছর !! হায় আল্লাহ !!! Surprised
১৮ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০১:২৮
144569
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : উপরের ভদ্র মানুষগুলোর অনেকের ভেতরেই বসে আছে ফনা তোলা এক বড় সাপ। যা পুরো জাতিকে খাচ্ছে।

ধন্যবাদ মন্তব্যর জন্য।
১৬
194000
১৮ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০১:৪৬
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : সুতরাং তার মানে কি দাড়াল? তার মানে হল, আমি যদি আগে দশ টাকা ঘূষ খেতাম, এখন খাই একশত টাকা। প্রয়োজনের তাগীদে্ই তো মানুষ চুরি করে। আমিও তাই করি। আর এটি করার জন্য ব্যাংকও আমাকে সুযোগ করে দিয়েছে।
এই কয়টি লাইন আমাদের জন্য- সমাজের জন্য- প্রতিষ্ঠানের জন্য যথেষ্ট। আমি একমত। পরিবেশ মানুষকে প্রভাবিত করে। শুকরান বড় ভাই।
১৮ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০২:০৬
144611
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : ভাইজান, আপনি কৈ? শানিত কলমটাকে গুজে পকেটে রেখে দেয়াতে বিস্মিত হই। ভাবী হেতে লেখেনা ক্যান? আহারে। আর মাইনসের মনে হয় হোলাহাইন হয় নাই। হেতে এখন হোলার প্রেমে পড়ছে। নতুন করে মাতৃসদনের ট্রেইনিং নিচ্ছে। আমি কিন্তু ব্লগ সব কইয়া দিমু।

১৮ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৫:০৩
144709
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : ভাইজান বুড়া বয়সে নাকি প্রেম একটু বেশী হয়। মাফ চাই -
আজতো দুটো পোষ্ট দিয়েছি। আছি। এখনো ব্লগে আপনার অনুসরণ করি।
১৭
194031
১৮ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০২:৩৩
সিকদারর লিখেছেন : আস্-সালামু-আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ। চলুক আপনার লেখনী অবিরত, আমি আছি সাথে পাঠ রত।
১৯ মার্চ ২০১৪ সকাল ১০:৩৩
145064
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : আমিও আপনাদের সাথে আছি । মজা না লাগলে আওয়াজ দিবেন। ধন্যবাদ।
১৮
194048
১৮ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০৩:১৪
আবু ফারিহা লিখেছেন : সবগুলো পর্ব শেষ করলাম। অনেক কিছু শিখা হলো। ধন্যবাদ।
১৯ মার্চ ২০১৪ সকাল ১০:৩২
145063
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : ধন্যবাদ। আমাদের সবার জীবনে অনেক ঘটনা আছে। কিন্তু আমরা বলতে পারিনা। ধন্যবাদ।
১৯
194073
১৮ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০৩:৪৬
বুঝিনা লিখেছেন : অসুবিধে নেই। এখন ফ্রি আছি।পড়ছি..
১৯ মার্চ ২০১৪ সকাল ১০:৩২
145062
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : ধন্যবাদ সময় নিয়ে পড়ে অনুভূমি রেখে যাবার জন্য।
২০
194376
১৮ মার্চ ২০১৪ রাত ১০:৫৬
গ্যাঞ্জাম খানের খোলা চিঠি লিখেছেন : চালিয়ে যান। আমিও আপনের পোন্দে পোন্দে আছি। আংগো দেশে যত বড় বড় হয়সাওয়ালা মানুষ তত বড় বড়ই হগলে হাজী। এই হাজীগুলান হেতেরগো আকাম কুকামগুলানরে মাইনষের নজরে না পড়নের লিগ্যা হাজী সাহেবান, দানবীর হাতেম তাই, সমাজকর্মী, শিক্ষানুরাগী কত চটকদার বাহারি শানদার লফজ ইসতিমাল করে নামের আগে হিছে। আর আমরা নাদান মূর্খ পাবলিক হেতেরগো বাৎসরিক মেজবানে শরীক হইয়া ফ্রি গোস্ত খাওনের সুবাদে বাহবা দিয়ে মাথার উপরে তুইল্যা লই। অনেক হাজী সাহেবান আছে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অর্থ লুট করে নিজে কোন টাকা পয়সার মালিক না হলেও এলাকাতে জনদরদী নেতা হওনের লিগ্যা দেদারছে জাকাতের টাকা বিতরণের নামে কিছু নাটকও মঞ্চস্থ করে থাকে।
১৯ মার্চ ২০১৪ সকাল ১০:৩১
145061
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : আমি ও আপনা সাথে আছি। আপনি নামে গেঞ্জাম হলেও আপনি কাজের গেঞ্জাম। নোয়া খালির পোলাতো। হেতেরে কনে ঠেকায়। হেতে একাই একশ। ধন্যবাদ।

আন্নের কমেন্ট অ্যার বহুত ভালা লাইগছে। সুন্দর।
২১
194547
১৯ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৯:৩৭
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : কি অবস্থা! হাজী সাহেবের হাজ্জ্বের কি মূল্য আর ম্যানেজার সাহেবের চাকরীর কি মূল্য বুঝতে পারছিনা, কেউ তো তাঁর ওপর ন্যাস্ত দায়িত্বের সম্মান রক্ষা করেনি! At Wits' End At Wits' End Time Out
১৯ মার্চ ২০১৪ সকাল ১০:৩০
145059
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : আমার চোখে দেখা পরিণতি সামনে আসবে। বলব। ধন্যবাদ।
২২
194671
১৯ মার্চ ২০১৪ দুপুর ১২:৫৫
জোবাইর চৌধুরী লিখেছেন : হা হা হা.... চাটগাঁইয়া লোক হিসেবে কপি পেস্ট না করে পারলাম না। "তোমাদের চট্রগ্রামের লোকদের একটি জিনিষ আমার খূব ভাল লাগে। আর তা হলো - আতিথেয়তা। যাকে মন দেয়, উজাড় করে দেয়। মনে হয় পুরো কলিজাটাও খাইয়ে দিবে"।
১৯ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০২:৩৪
145195
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : এটি খুব কাছ থেকে দেখা আমার অভিজ্ঞতা। এ বিষয়ে ও লিখতে গেলে অনেক লিখা যাবে। অনেক স্মৃতি জড়িত। ধন্যবাদ ভাই।
২৩
194758
১৯ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৪:১২
সত্য নির্বাক কেন লিখেছেন : সুন্দর কষ্টের ব্যদনার...
১৫ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:০৪
156982
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : ধন্যবাদ পড়ে মন্তব্য করার জন্য। ভাল লাগল জনাব। উত্তর দিতে অনেক দেরী হয়ে গেল। হিছামার। খামোখা ব্যস্ততা।
২৪
196616
২৩ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০৩:২৯
মোঃজুলফিকার আলী লিখেছেন : আমি অবশ্য একবার চট্টগ্রামে গেরাম। একটা বিয়ে সাদী ব্যাপারকে কেন্দ্র করে। দু রাত থেকে হাপিয়ে উঠেছিলাম আমরা যারা মেহমান ছিলাম। হয়তো দু পক্ষের গুতোগুতিতে হয়েছে। কোথাও আর বেরুতে পারিনি। শেষাবদি সমস্যার সমাধান করে এলাম। ধন্যবাদ।
১৫ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:০৪
156983
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : আমার ব্লগে কবিকে দেখে খুব ভাল লাগে। মনে হয় যেন কবি প্রকৃতিকে নিয়ে এেসেছে। ধন্যবাদ।
২৫
198474
২৬ মার্চ ২০১৪ রাত ১০:৩৯
সালাহ খান লিখেছেন : সমাজের রন্দ্রে রন্দ্রে আজ ঘুষ নামক ব্যাধি ঢুকে পড়েছে , যে জাতি ধর্মকে নির্বাসন দেয় , এর বাইরে তাদের কপালে আর কিইবা জুটতে পারে , ধন্যবাদ নিবেন লিখনীর জন্য
১৫ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:০৫
156984
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ সবটুকুন লিখা পড়ে অনুভূতি রেখে যাবার জন্য। ভাল লাগল।
২৬
208294
১৫ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:১০
সাদামেঘ লিখেছেন : দারুনস! চালিয়ে যান।
১৫ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:০৫
156985
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : আহা আজি এ বসন্তে
কত ফুল ফোটে কত ফূল ঝরে।
ধন্যবাদ। ভাল লাগল।
২৭
209710
১৮ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১০:৩৭
আমি আমার লিখেছেন : ঠিক আছে স্যার Rose Rose Rose
২৬ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১১:৫০
161961
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : ধন্যবাদ। ভাল লাগল।
২৮
213690
২৬ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১১:৪১
আহ জীবন লিখেছেন : সেকান্দর সাহেব বলতে লাগলেন - শালার, পুরো দেশটাই যেন চোরের খনি।


জন্ম থেকেই চোর লালন করছে এই দেশটা।
২৬ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১১:৪৯
161960
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : হাহা। মোটামুটি সিরিজের অনেকটাই শেষ করলেন। ধন্যবাদ। ধন্যবাদ। ভাল লাগল।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File