চৌদ্দগ্রাম উপজেলা এখন এক রক্তাক্ত জনপদের নাম
লিখেছেন লিখেছেন প্রবাসী মজুমদার ১৬ মার্চ, ২০১৪, ১১:২৬:২৪ সকাল
শিক্ষা দীক্ষা আর শৌয্য বির্যে গড়ে উঠা আমার প্রিয় চৌদ্দগ্রাম উপজেলা আজ বড় অশান্ত। কুমিল্লা জেলার খ্যাত এ উপজেলাটি তার গর্ভে ধারণ করেছে অনেক গুণগ্রাহী ক্ষণজম্মা কৃতি সন্তানকে। নবাব ফয়েজুন্নেছা, জহিরুল কাইয়ু্ম বাচ্ছু মিয়া, কাজী জাফর সহ আরও অনেক শিল্পপতি আর সমাজসেবীদের পদভারে এ উপজেলাটি কুমিল্লা জেলার একটুকরো তিলক খন্ড। খুব ছোটকাল থেকে এসব গুনধর লোকগুলোকে কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয়েছিল। অতীতের এসব আপোষহীন হাজী শরিয়তুল্লার উত্তরসুরীদের দেখে মনটা ভরে যেত।
চৌদ্দগ্রাম চিওয়ার কাজী জহিরুল কাইয়ুম বাচ্ছু মিয়ার কথা কে না জানে! বোধে বিশ্বাসে বঙ্গ বন্ধুর একেবারে কাছের লোক ছিলেন। বিশিষ্ট শিল্পপতি নয় শুধু, তিনি তুখোয় রাজনীতিবিদও ছিলেন।
দানশীল এ ব্যক্তির মনটা ছিল বিশাল সমুদ্রের মত। এদের জীবন থেকে শিক্ষা নেয়া ঘটনাবহুল বিষয়গুলো আজও প্রেরণা যোগায়। ভেবে বিমোহিত হই।
চিওড়া বাজার, কলেজ, মাদ্রাসা সহ কুমিল্লা জেলায় এদের অবদানের ফিরিস্তি শেষ করার মত নয়। অনেক দিন আগের কথা। চিওড়া বাজারে গোস্ত বিক্রেতাদের সাথে কাজী বাড়ীর ছেলেদের সাথে অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে গেল। কাজীদের স্বত্তাধিকারী বাজারে খেটে খাওয়া এসব দরীদ্র মানুষগুোলোর হাতে অভিজাত্ পরিবারের ছেলেগুলোকে বাজারে এ ভাবে মার খেতে দেখে সবাই বিস্মিত হয়েছে।
এক কথায়, কসাই নামের এ লোকগুলোর হাতে জহিরুল কাইয়ুমের বাড়ীর লোকজন সিরিয়াস মার খাওয়া মানেই মান ইজ্জত সব জলে যাওয়া। হয়েছেও তাই। সবার মুখে একই গুঞ্জন। রাগে ক্ষোভে কাজী বাড়ীর লোকজন অগ্নীস্মম্মা। দেখে মনে হল কসাইদের সবাইকে মেরে জেলে পুরে দেবে। এটি ওদের জন্য এক ঘন্টার ব্যপার।
চিওড়ার কুরী পুকুর পাড়ে গড়ে তোলা বসতবাড়ীর এ লোকগুলো কাজী জহিরুল কাইয়ুমের জায়গা জমি চাষ করে দিনযাপন করে। এমনকি অনেকেই তার মালিকানাধিন কুমিল্লা হালিমা টেক্সটাইল মেইলে চাকুরী করত।
ঘটনা অনেকটা বিস্ফোরম্মুখ। বড় ধরনের একটি ঘটনা ঘটে যাওয়ার শেষ প্রান্তে। শায়েস্তা করার জন্য কাজী জহিরুল কাইয়ুমকে খবর দেয়া হল। তিনি আসলেন। সবার সাথে মত বিনিময় করলেন। সবাই ভেবেছিল, এ দোর্দন্ড প্রতাপশালী শিল্পপতি কিছু একটা করেই ছাড়বে।
কাইয়ুম সাহেব দুপক্ষের কিছূ মুরব্বীকে নিয়ে বসলেন। বন্ধ দুয়ারে আলোচনা। কিছুক্ষণ পর ঘটনা শেষ। তিনি কোন এ্যাকশান না নিয়ে সমাধানের পথটাই এঁকে দিলেন।
কাজীর স্বজনদের আত্মীয়রা রাগে ক্ষোভে ফেটে পড়ল। অনেকটা বিদ্রোহের মত। সবার শ্রদ্ধেয় মুরব্বী ও দেশের বড় মাপের নেতা কাজী সাহেব এবার বাড়ীর লোকদের নিয়ে বসলেন। তিনি বলতে লাগলেন
- দ্যাখ। এরা গরীব। আমাদের জায়গা জমি চাষ করে খায়। এদের রক্তের ধ্বমনিতে আমার অনুদানের অনুকনা প্রবাহিত হচ্ছে। এরা আমার ভিটে মাটিতে ঘর করে ঘূমায়। আমি ইচ্ছে করলে এখনিই ওদের শেষ করে দিতে পারি। কিন্তু সামান্য হিংসার বহিপ্রকাশই কি সব সমস্যার সমাধান?
এদের শিক্ষা দেবার জন্য কিংবা প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে কাজী বাড়ীর লোকেরা এ প্রতিশোধটি নিয়ে বসলে আমাদের অর্জিত অতীতের সব অর্জন ধূলোয় মিশে যাবে। ওরাও কাল থেকে তোমাদেরকে পথে প্রান্তরে খুন করবে। তাহলে এদের মাঝে আর আমাদের মাঝে পার্থক্যটা কোথায় থাকল?... কাজেই তোমরা কোনটা চাও।
..কাজী জহিরুল কাইয়ুমের এ মহানুভবতা, ক্ষমা কিংবা বিশাল মনের অভিব্যক্তি যেন খেটে খাওয়া এ দরীদ্র মানুষগুলোকে আজীবনের জন্য অনুগত করে দিল। ওরা আবারও হেরে গেল এ মহান নেতার রাজনীতি আর মহানুভবতার কাছে। এলাকার মানুষেরাও ভাবতে শূরু করল -
"হে নেতা তুমি সত্যিই মহান
তুমি ছিলে বলে মোদের ও ছিল অনেক সম্মান।
তুখোড় রাজনীতিবিদ কাজী জাফর আর ডা: আব্দুল্লাহ মোহাম্মাদ তাহেরের সময় এ এলাকার মানুষজন শান্তিতে থাকলেও আজ যেন আপন ভুমিতে চৌদ্দগ্রামবাসী বড় অসহায়। জিম্মী।
গতকাল ছিল ১৫ই মার্চ। উপজেলা নির্বাচন। চৌদ্দগ্রামের আওয়অমীলীগ সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান এখন রেল মন্ত্রী। নির্বাচনের আগের দিন থেকেই দাওয়াত খাওয়ার নামে শুরু হয় এলাকায় মহড়া। জড়ো করা হয় হাজারো বহির্গত অস্ত্রধারীকে। বিরোধীদল অধ্যুষিত গ্রামগুলোতে নির্বাচন পুর্ব রাত্রীতে হামলা চালিয়ে আতংকের সৃস্টি করা হয়। সব ভোটকেন্দ্রগুলো দলীয় পো্ষ্য পুলিশ আর ছাত্রলীগের কর্মীদের অস্ত্রের উত্মুক্ত মহড়ায় জীম্মি করে ফেলা হয় পুরো চৌদ্দগ্রাম বাসীকে।
... অবশেষে ভোট কেন্দ্রে আর কাউকে যেতে হয়নি। গায়েবী ভোটে আওয়ামী প্রাথী "হাসান" বিপুল ভোটে বিজয় লাভ করে।
https://www.facebook.com/photo.php?v=356245181173849&set=vb.215165151948520&type=2&theater
মুজিবুল হক মুজিব একজন চিরকুমার। খুব কাছ থেকে দেখা এ লোকটি পর্দার অন্তরালে একজন ডন। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য শান্ত চৌদ্দগ্রাম এখন বড় অশান্ত। এটি এখন এক রক্তাক্ত জনপদের নাম। ছাত্রলীগের হাতে হামলা মামলায় অস্থির এ জনপদে এ পর্যন্ত অনেককে প্রাণ হারাতে হয়ছে।
বিচার নামের থানা, কোর্ট সবই যেন নীরব দর্শক। আজ আশাহত চৌদ্দগ্রাম বাসীর একই প্রার্থনা
[b]" হে আল্লাহ। চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বুকে কি কাজী জহিরুল কাইয়ুমের মত আর কোন ক্ষণজম্মা রাজনীতিবিদ জম্মাবেনা? শেখ হাসিনার "সন্ত্রাসের প্রজনন কেন্দ্রে লালিত" এসব গণধিকৃত হিংস্র নেতাদের হাত থেকে রক্ষা চাই। হে প্রভু! আমাদের আর ভিক্ষার দরকার নেই। তুমি এবার কুত্তা সামলাও। "[/b]
বিষয়: বিবিধ
১৭৫৫ বার পঠিত, ৫১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
" হে আল্লাহ। র বুকে কি কাজী জহিরুল কাইয়ুমের মত বাংলাদেশের বুকে আর কোন ক্ষণজম্মা রাজনীতিবিদ জম্মাবেনা? শেখ হাসিনার "সন্ত্রাসের প্রজনন কেন্দ্রে লালিত" এসব গণধিকৃত হিংস্র নেতাদের হাত থেকে রক্ষা চাই। হে প্রভু! আমাদের আর ভিক্ষার দরকার নেই। তুমি এবার কুত্তা সামলাও। "
আমীন ।
বাংলাদেশের ইসলাম প্রিয় মানুষের আন্দোলনের বাতঘর হল চৌদ্দগ্রাম,সাতকানীয় এবং সাতক্ষিরা।
ভয় বা হতাশ হবার কোন কারন নেই। সময়ের পরিবর্তন কারী হলেন আল্লাহ। মজলূমের ফরিয়াদ কখনো বিফলে যায় না। ইনশাআল্লাহ আমরা আশাবাদি।
ধন্যবাদ আপনার গুনগ্রাহী মন্তব্যর জন্য।
ধন্যবাদ।
এসব সন্ত্রাসীদেরকে শায়েস্তা করতে হলে বিএনপি, জামায়াত ও জাতীয় পার্টি ( কাজী জাফর)ঐক্যবদ্ধভাবে এদের বিরুদ্ধে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে। শুধুমাত্র সিদ্ধান্ত নিতে পারলেই এসব কালবাজারী, চোরাকারবারী, আদম ব্যাপারী, চিরকুমারদের অস্তিত্ব ও থাকবে না। শুধু দোয়া করলে হবে না। দোয়া করার সাথে সাথে দাওয়া ও ব্যাবহার করতে হবে। রাসুলে করিম (সঃ) প্রথমে শক্তি সামর্থ নিয়ে বদরের ময়দানে গিয়েছেন। তারপর আল্লাহ তায়ালার নিকট দোয়া করেছেন।
এ জমীনেই ইসলামের হবে বিজয়।
ধন্যবাদ।
এসব সন্ত্রাসীদেরকে শায়েস্তা করতে হলে বিএনপি, জামায়াত ও জাতীয় পার্টি ( কাজী জাফর)ঐক্যবদ্ধভাবে এদের বিরুদ্ধে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে। শুধুমাত্র সিদ্ধান্ত নিতে পারলেই এসব কালবাজারী, চোরাকারবারী, আদম ব্যাপারী, চিরকুমারদের অস্তিত্ব ও থাকবে না। শুধু দোয়া করলে হবে না। দোয়া করার সাথে সাথে দাওয়া ও ব্যাবহার করতে হবে। রাসুলে করিম (সঃ) প্রথমে শক্তি সামর্থ নিয়ে বদরের ময়দানে গিয়েছেন। তারপর আল্লাহ তায়ালার নিকট দোয়া করেছেন
মুিনর লিখেছেন :
এসব সন্ত্রাসীদেরকে শায়েস্তা করতে হলে বিএনপি, জামায়াত ও জাতীয় পার্টি ( কাজী জাফর)ঐক্যবদ্ধভাবে এদের বিরুদ্ধে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে। শুধুমাত্র সিদ্ধান্ত নিতে পারলেই এসব কালবাজারী, চোরাকারবারী, আদম ব্যাপারী, চিরকুমারদের অস্তিত্ব ও থাকবে না। শুধু দোয়া করলে হবে না। দোয়া করার সাথে সাথে দাওয়া ও ব্যাবহার করতে হবে। রাসুলে করিম (সঃ) প্রথমে শক্তি সামর্থ নিয়ে বদরের ময়দানে গিয়েছেন। তারপর আল্লাহ তায়ালার নিকট দোয়া করেছেন।
@ ইবনে হাসেম
*********************************
অনুভুতি ওয়ালাদের দমবন্ধ হওয়া অবস্থা
খোলা আকাশের নিচেও শ্বাস কষ্টে ভুগছি
চোখেও কেমন জানি ধূসর দেখছি
চারিদিকে গোধূলির অসময়ে হাতচ্ছানি
অসম্ভব নিরবতায় বুকের গভীরে ভীতু কম্পন
কি হতে যাচ্ছে এই স্বাধীন চরাচরে
আবারোকি স্বাধীনতার ছদ্ধাবরনেই পরাধীনতা?
মানবতার অপমৃত্যু দিবলোকে!
তুমি আমি স্বাধীনতার বাহুবন্ধনে বন্দি
বাকহীন বিকলাঙ্গ অবুঝ শিশু।
(ভাই কেমন আছেন..?)
কবিতার ভাষাই অন্যরকম। কি বলব। দারুন হয়েছে।
আর কাজী জাফরের আমলে ভোট দিতে পেরেছেন কী?তবে এবারও পারেননি।
দয়া করে সত্য বলবেন।
ধন্যবাদ।
বর্তমানের মত অতীতে কখনো ছিলনা। পুরো দেশটাই এখন একটা কারাগার। কারো সময়ে কি এমনভাবে কেউ গুলিবিদ্ধ হয়েছিল? পুরো দেশটিতে আজ বিচার ব্যবস্থা থেকে শুরু করে সব জায়গায় অরাজকতা। ভোট কেন্দ্রগুলো পুলিশ ছত্রছায়ায় আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দখলে ছিল। ভোটের আগের দিন অস্ত্রের মহড়া হয়েছে।
..... অনেক সুন্দর লিখেছেন। ধন্যবাদ।
শেখ হাসিনা ও তার দলের নর্তন ও কুর্দন ও দিনকে দিন বাড়ছে - সো সাধারন মানুষ নিশ্চিত হতে পারেন - সময় শেষ হয়ে আসছে।
ধন্যবাদ।
সালাম জানাই লেখক সহ সকল চৌদ্দগ্রামবাসীকে। চোদ্দগ্রামের সকল ক্ষনজন্মা পুরুষদের।
অনেকদিন পর...। ধন্যবাদ। ভাল লাগল আমাকে খুজে বের করার জন্য।
অনেকদিন পর...। ধন্যবাদ। ভাল লাগল আমাকে খুজে বের করার জন্য।
আমার বাড়ি ও চৌদ্দগ্রাম এ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন