রঙ্গের মানুষ - (পর্ব-৭)

লিখেছেন লিখেছেন প্রবাসী মজুমদার ১৫ মার্চ, ২০১৪, ০৭:৫৫:২৫ সন্ধ্যা

পর্ব-৬

এক মাস হয়ে গেল। বিপুকে পড়াতে যেতে হবে। ম্যানেজার সাহেব অপেক্ষায় আছেন। যাওয়ার দুদিন আগেই স্যারের সাথে আবার দেখা করেছি। কথা বলেছি। স্যার সেকান্দর সাহেবকে ডেকে আনলেন। বললেন, পহেলা মার্চ আমাকে সাথে নিয়ে স্যারের বাসায় যেতে। সেকান্দরও মহাখুশী। বলল,

- অসুবিধে নেই স্যার। আমি মজুমদার সাহেবকে দেখিয়ে দিয়ে আসব। আপনি নিশ্চিত থাকুন।

আজ এক তারিখ। মার্চ ১৯৮৭। বিকেল সাড়ে তিনটা। আমাকে নিয়ে একটু আগেই সেকান্দর সাহেব সাহেব বের হয়ে পড়লেন। বামে একটু হেঁটে জুবলী রোডে উঠেছি। এখানেই টেম্পু ষ্ট্যান্ড। টেম্পুতে চেপে বসে দু'জনে ছুটে চলেছি স্যারের বাসার দিকে। পাশাপাশি বসায় কথাপ্রিয় সেকান্দর সাহেব নিজেই আলাপ জুড়ে দিয়েছেন। বলছেন,

- আপনাকে নিয়ে টেক্সীতে যেতে পারতাম। কিন্তু এতে আপনি রাস্তা চিনবেন না। তাই টেম্পুতেই উঠলাম। এ পথ ধরেই আপনাকে স্যারের বাসায় যেতে হবে ।

- স্যারের সাথে আপনার সর্ম্পর্ক কেমন? জানতে চাইলাম।

- ভাল। বলতে পারেন আমি স্যারের একজন ফ্যামেলী মেম্বার।

- স্যার কি আপনার আত্মীয় হন?

- না। কিছুটা নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্যই কাছে ভীড়েছি। বুঝেনত। স্যারের হাতেই আমার প্রমোশন। দুনিয়াটা পুরো তেলের উপর চলে।তাই স্যারের সাথে একটু ভাব রাখার জন্যই একটু মাখামাখি। চাকরিতো অনেকদিন করলাম। প্রমোশনটা আটকে আছে। দেখি এবারে অফিসার পদে পদোন্নতিটা হয় কিনা। স্যার ওয়াদা দিয়েছে। তবুও ভয় পাচ্ছি। প্রাথী অনেক। না জানি কাকে বাদ দিয়ে কাকে দেয়। স্বার্থের জন্য তলে তলে সবাই কেবলা বাবার দরগাহে যায়। তাই ভয়ও পাচ্ছি।

সেকান্দরের মত সদালাপি লোকদের ভেতর ঢুকতে বেশী সময় লাগেনা। শুধু ধৈর্য্য সহকারে এদের কথাগুলো মনোযোগ দিয়ে শুনলেই বাস। একেবারে কলিজার টুকরা। আর একটু প্রশংসা করলেতো কথাই নেই। এদের মন কেড়ে নিতে পারলে দেহও কেড়ে নেয়া যায়। আমি তাই ভাবছি।

অনেকক্ষণ চলার পর ষোল শহর দুনাম্বার গেটে এসে পৌঁছলাম। নেমে পথ পরিবর্তন করে এবার উঠলাম অন্য টেম্পুতে। বায়োজিদ বোস্তামি রোড। দেড় কিলোমিটার পথ যাবার পর আবারও নামতে হল। এবার শুরু হল পায়ে হাঁটার অনুশীলন। কিছুদুর যাওয়ার পর দেখি সামনে উচু পাহাড়।

- কি সেকান্দর সাহেব। আমাদেরকে কি ঐ পাহাড়েও উঠতে হবে।

- মুচকী হাসি দিয়ে বললেন, এইত আর একটু। পৌঁছে গেছি। চলুন। আর বেশী দুর নয়।

সেকান্দরের কথা শুনতে শুনতে পাহাড়ে উঠা শুরু। কোমরর্টা ৩৫ ডিগ্রীতে বাঁকা করে মাথা সামনের দিকে ঝূকিয়ে ৭-৮ মিনিট হেঁটে পাহাড়ের উপর সমতল ভুমিতে গিয়ে পৌছলাম। এতক্ষণে একেবারে হাঁফিয়ে উঠেছি। বড় পিপাসার্তও। জানতে চাইলাম

- আর কত দুরে সেকান্দর সাহেব?

- ঐ যে দেখা যাচ্ছে। নতুন বিল্ডিংটা। খোলা ময়দানের শেষ মাথায়। আরও ৪-৫ মিনিটের রাস্তা। গন্তব্য স্থান দেখে আশ্বস্ত হলাম। যাক এসে গেছি।

পাহাড়ের উপর নির্মল বাতাসে এখন কিছুটা ভালই লাগছে।

বাসায় ঢুকতেই হাস্যেজ্জল শ্যামবর্নের একটি মেয়ে দরজাটা খুলে দিল। নাম তাহুরা। সেকান্দর সাহেব নাম ধরেই কুশল জানতে চাইল। সংক্ষেপে উত্তর দিয়ে তাহুরা ভেতরে চলে গেল। কিছুক্ষণ পর দুটো তোয়ালে নিয়ে এল। দু'জনে হাতমুখ ধূয়ে বসলাম। তারপর আসল ম্যানেজার সাহেবের স্ত্রী।সালাম দিয়ে সামনে বসে পড়লেন। শুরু হল সেকান্দর সাহেবের সাথে কথপকথন। চা-পানি আসল। খাওয়ার মাঝে বিপুর আগমন ঘটল। পরিচয় করিয়ে দেবার পর নতুন শিক্ষক হিসেবে নাম, কোন ক্লােশে পড়ে জিজ্ঞেস করে বিদায় দিলাম। কিছুক্ষণ পর সেকান্দর সাহেবও বিদায় নিলেন। যাওয়ার সময় বলে গেলেন, ফেরত পথে আমাকে ষোল শহর আগ্রাবাদের টেম্পুতে উঠতে হবে।

ম্যানেজার সাহেবের স্ত্রী আমাকে ভেতরের রুমে নিয়ে গেলেন। এটি বিপুর থাকার রুম। পড়ার টেবিলের পাশে পাতানো দুটি চেয়ার। বিপু সালাম দিয়ে পাশের চেয়ারে বসেছে।

মেয়েটি দেখতে অনেক সুন্দর। প্রশংসা করার মত। নিস্পাপ চেহারা। চোখের চাউনীতে অন্যরকম মায়া জড়ানো। অনেকটা লাজুক প্রকৃতির। জড়োসড়ো হয়ে বসে আছে। হয়ত ভাবছে, উনি শুধু শিক্ষক নয় শূধু, বাবার অফিসের একজন স্টাফও বটে। ধর্ম-কর্মের অনুশীলনে আমি কিছুটা সিরিয়াস বলে দৃস্টিসীমাটাও ছিল সীমাবদ্ধ।..অভিজ্ঞতা সম্পন্ন লজিং মাষ্টার!

ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ায় মনোযোগী করার জন্য আমি দুটো পদ্ধতি অবলম্বন করতাম। এতে অভূতপুর্ব সাফল্যও পেয়েছি।

প্রথমত পড়া পারুক আর নাই পারুক, ছাত্র ছাত্রীর খুব প্রশংসা করতাম। বলতাম, তোমার মেধাটা সত্যিই দারুণ। একটু চেস্টা করলে তুমি আরও বেশী ভাল করতে পারবে। মারধর না করে প্রশংসার মাধ্যমে ওদের আত্মবিশ্বাসী করে গড়ে তোলার চেস্টা করতাম। তুলে আনতাম ভেতরের লুকিয়ে থাকা মানুষটিকে।

দ্বিতীয়ত, আমার হাতের লিখা ছিল অনেক আকর্ষনীয়। আরও বড় কথা হল, পেন্সিল আর্ট ছিল তাক লাগানোর মত। ওরা দেখে অভিভুত হত। অল্প দিনেই আমার ভক্ত হয়ে যেতো। বিপুকে কয়েকদিন পড়ানোর পর স্বয়ং ম্যানেজার সাহেবই আমার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে গেলেন। বললেন, আামর মেয়ে আর আপনার ভাবীতো দারুণ খুশী...।

কিন্তু স্যারের বাসার দুরত্বে আমার মনটা খুব খারাপ হয়ে গেল। (চলবে)

বিষয়: বিবিধ

১৫৬৪ বার পঠিত, ৬৭ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

192670
১৫ মার্চ ২০১৪ রাত ০৮:১৫
ফেরারী মন লিখেছেন : কয়েকদিন যাবৎ ব্যাংকে জোয়েন করেই দেখি বস হয়ে গেছেন।
১৬ মার্চ ২০১৪ রাত ০২:৩৬
143541
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : আমি ফাষ্ট হওয়ার জন্য ধন্যবাদ। বস হইনাই। তবে ভাব করছি। ব্যাংকে মামু আছেতো। তাই। ধন্যবাদ।
192673
১৫ মার্চ ২০১৪ রাত ০৮:১৭
বিন হারুন লিখেছেন : শেখ সা'দীর একটি গল্পে পড়েছিলাম পাহাড়ে নাকি একটি ফুল আছে যার নাম নরগীস. যার চারিদিকে একমাইল কাঁটা বিস্তৃত. সুগন্দি ছড়ায় চারিদিকে একমাইল করে.আপনিও দেখছি পাহাড়ে সেই নরগীছ এ সন্ধান পেয়েছেন. এবার সাবাস বলে আর হাতের পেন্সিলের যাদূতে ফুল তোলার চেষ্টা ...........চলুক. আপনার যেতে কষ্ট হলেও, ছাত্রী সুন্দর বলে ভাল লাগছে.
১৬ মার্চ ২০১৪ রাত ০২:৩৭
143543
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : ধন্যবাদ। আমি মুলত বুঝাতে চেয়েছি ছাত্র শিক্ষকের মাঝে শ্রদ্ধাবোধ আর ভাল মুল্যবোধ মুলক সম্পর্ক না হলে সমস্যা হয়। আবার অনেকেই মারধোরকে উন্নতির উপকারন মনে করে। তাই।
192674
১৫ মার্চ ২০১৪ রাত ০৮:১৮
এক্টিভিষ্ট লিখেছেন : ভালো । চলুক
১৬ মার্চ ২০১৪ রাত ০২:৩৮
143544
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : ধন্যবাদ। অনেক অনেক অনেক দিন পর আপনাকে দেখে ভাল লাগছে। আবার দেখা হবে ব্লগের অন্য গলিতে।
192687
১৫ মার্চ ২০১৪ রাত ০৮:৪৯
বাংলার দামাল সন্তান লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম, জাজাকাল্লাহুল খাইরান, অনেক সুন্দর পোস্ট
১৬ মার্চ ২০১৪ রাত ০২:৩৯
143545
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : ভূয়সী প্রশংসার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
192688
১৫ মার্চ ২০১৪ রাত ০৮:৫০
আকরামস বিডি লিখেছেন : পড়ছি। চলুক।
১৬ মার্চ ২০১৪ রাত ০২:৩৯
143546
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : আশা করি আগামীতে পড়ে মনের কিছূ কথা রেখে যাবেন। ধন্যবাদ।
192689
১৫ মার্চ ২০১৪ রাত ০৮:৫০
সিকদারর লিখেছেন : আস্-সালামু-আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ।
আমরাও দারুন খুশি !! না না অন্য কিছুতে নয়। আপনার লেখা পড়ে Big Grin Big Grin
১৬ মার্চ ২০১৪ রাত ০৩:৪১
143562
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : ধন্যবাদ। খুশী হলাম আপনার মন্তব্য পড়ে।
192694
১৫ মার্চ ২০১৪ রাত ০৮:৫৯
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন লিখেছেন : চালিয়ে যান ,,,,,,,,,,,,,,,
১৬ মার্চ ২০১৪ রাত ০৩:৪২
143563
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : ধন্যবাদ। চালিয়ে যাচ্ছি। যাবো ইনশাল্লাহ।
192707
১৫ মার্চ ২০১৪ রাত ০৯:২১
শফিউর রহমান লিখেছেন : যে মেয়েটির বর্ণনা দেয়া হলো তার বয়স খুব বেশী নয়। আমরা যারা নেটে থেকে বিভিন্ন কমেন্টস করছি তাদের অনেকেরই মেয়ে আছে ঐ বয়সের বা তারও চাইতে বড়।

মেয়েটির বর্ণনাতে কয়েকটি গুণবাচক বাক্য রয়েছে -
১. মেয়েটি দেখতে অনেক সুন্দর।
২. প্রশংসা করার মত।
৩. নিস্পাপ চেহারা।
৪. চোখের চাউনীতে অন্যরকম মায়া জড়ানো।
৫. অনেকটা লাজুক প্রকৃতির।

আমরা এপর্যন্ত যে কয়জন কমেন্টস করেছি তাদের চোখে শুধুমাত্র ১ নং বাক্যটিকেই হাইলাইট করছি। কেন ভাই? আমরা যখন এই ব্লগে কোন নারীর লেখা পড়ি তখন কতই না শালিনভাবে কমেন্টস করি, বা তাদেরকে সম্বোধন করি। কিন্তু যখন গল্পে এক চরিত্র সৃষ্টি করা হয়েছ, বা একটি চরিত্রের আবির্ভাব ঘটেছে তাকে আমরা অন্যভাবে দেখার লোভ সম্বোরণ করতে পারছি না। কেন? ভেবে দেখুন আমার আপনার বাচ্চাকে পড়ানোর জন্যও কোন না কোন টিচারকে বাসায় বা বাড়িতে আমন্ত্রণ জানাই। যদি তারাও এমনটিই করে তখন ... ?
১৬ মার্চ ২০১৪ রাত ১২:০৩
143503
মাটিরলাঠি লিখেছেন : @শফিউর রহমান ভাই, কয়েকটি কঠিন বাস্তব কথা বলেছেন। কি বলব বুঝতে পারছিনা মজুমদার ভাই?
১৬ মার্চ ২০১৪ রাত ০৩:৪৫
143566
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : ধন্যবাদ আপনার মতামত বিস্তারিতভাবে তুলে ধরার জন্য। আমি প্রচলিত রীতিকে হুবহু তুলে ধরছি। অবশেষে যা হয়েছে তাই লিখবো। একদল পাঠকগোষ্ঠীকে মাতিয়ে তুলে যদি দিক নির্দেশনা বা ভাল কিছুর দিকে নিয়ে যাওয়া যায় এটিই স্বার্থকতা।
ধন্যবাদ সাথে থাকে খুব সুন্দর একটা মন্তব্য লিখার জন্য।
১৬ মার্চ ২০১৪ সকাল ১১:৩৪
143628
শফিউর রহমান লিখেছেন : ধন্যবাদ আপনাদের দুজনকেই।
১৬ মার্চ ২০১৪ দুপুর ১২:৩৬
143634
আহমদ মুসা লিখেছেন : শফিউর রহমানের কথাগুলোর সাথে আমি সম্পূর্ণ একমত। কোথাও মেয়ে সংক্রান্ত লেখা পড়লেই কারো কারো নিকট আবার চ্যাতনা জেগে উঠে। এই অসুস্থ মানষিকতা পরিহার করা উচিত।
১৬ মার্চ ২০১৪ দুপুর ১২:৩৬
143635
আহমদ মুসা লিখেছেন : শফিউর রহমানের কথাগুলোর সাথে আমি সম্পূর্ণ একমত। কোথাও মেয়ে সংক্রান্ত লেখা পড়লেই কারো কারো নিকট আবার চ্যাতনা জেগে উঠে। এই অসুস্থ মানষিকতা পরিহার করা উচিত।
192708
১৫ মার্চ ২০১৪ রাত ০৯:২৩
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : ভালো লাগলো। চলুক-
১৬ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০১:২৯
143649
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : ধন্যবাদ লোকমান ভাই। দেখে মনে হচ্ছে ভাল আছেন।
১০
192710
১৫ মার্চ ২০১৪ রাত ০৯:২৫
রঙের মানুষ লিখেছেন : Kamon achen?
১৬ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০১:৩০
143650
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : ভাল আছি। রঙ্গের মানুষকে খুজি। ভাল আছেনতো। কোথায় আছেন।
১১
192724
১৫ মার্চ ২০১৪ রাত ০৯:৫৬
মুই অমপুরী লিখেছেন : পিলাচ। তোমার গপ্প মোর খুব ভাল নাকছে বাহে।
৩ নম্বর প্যারার ২ নম্বর নাইনোত ২ বার ''সাহেব'' ন্যাকা হইছে বাপু-দেখি ঠিক করি ন্যাও
১৬ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০২:২৩
143655
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : হিছামার। একেত ব্যস্ত। দ্বিতীয়ত খালি ভূল করি।ব্লগে আসল এটাই লাভ। ভূল শুধরানো যায়। এখানে অনেক শিক্ষক। ধন্যবাদ ভাইজান। আপনে হামারে বাপের উপকার কইরছেন..।
১২
192730
১৫ মার্চ ২০১৪ রাত ১০:২৫
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : টিউশনি কাম সার্ভিস টু বস!!!
জায়গাটার যে বর্নসা দিলেন তাতে যতটুক বুজেছি ওইটা হিলভিউ হাউজিং। এখন অবশ্য সেখানে খুব বড় একটা আবাসিক এলাকা।
১৬ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০২:২৪
143656
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : বসকে খুশী করে যদি প্রমোশনটা হয়ে যায়। বাহ। কি মজাইনা। বসতে তেল মারতাছি।
১৩
192748
১৫ মার্চ ২০১৪ রাত ১১:০২
সালাহ খান লিখেছেন : লিখনী ভালোই লাগল । পরবর্তী অংশের অপেক্ষায় রইলাম
১৬ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০২:২৫
143657
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : ধন্যবাদ। আমার ব্লগে এ প্রথম দেখলাম। স্বাগতম আপনাকে।

কথা ছিল চাঁদ আসবে
মাটির ঘরে ।
ভালবেসে রাখব তাকে
খাতির করে ।

কবিতার ভাষায় আপনার বর্ণিত ভালবাসার নোনাজলে পাল তোরা সত্যিই চমতকার।
১৬ মার্চ ২০১৪ রাত ০৯:৫১
143870
সালাহ খান লিখেছেন : আপনার ভালবাসা গ্রহীত হইল । এই নিন Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck
১৪
192753
১৫ মার্চ ২০১৪ রাত ১১:৩৪
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : ইন্নালিল্লাহ, আসতাগফিরুল্লাহ! বেডরুমে একলা একটা মেয়েকে প্রাইভেট পড়ানোর সুযোগ করে দেয়ায় মেয়েটির বাবা-মা'র প্রতি খুব রাগ হচ্ছে আমার। এমনিতে আমি মেয়েদের জন্য পুরুষ ট্যুটারের পক্ষে নয়।

আপনি আদর্শবান মু'মিন। কিন্তু সব গৃহশিক্ষকতো আর আপনার মতো না।
১৬ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০২:২৬
143658
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : সমস্যা নেই । ভয়ের কিছু নেই। আদর্শ শিক্ষক। নিভর্রশীলতাটা একটু বেশীই। ধনবাদ।
১৫
192791
১৬ মার্চ ২০১৪ রাত ০২:০৩
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : খুবই ভাল চলছে - মনে হয় চট্রগ্রামের চিকা মারার কাজটাও আপনি করতেন। মাষ্টারদের হাতের লিখা সুন্দর না হলেতো চলে না্। আশা করছি আপনার ছাত্রীর মেধা বাড়বে। পরিক্ষায় ভাল করুক আর না করুক আমি নিশ্চিত আপনার প্রমোশন নিশ্চিত।
১৬ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০২:২৭
143659
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : হাহা। চিকা টু আটিষ্ট। ভালই বলেছেন। প্রমোশনের জন্য এটিও একধরনের তেল মারা।
১৬
192812
১৬ মার্চ ২০১৪ রাত ০৪:১৯
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : আমার হাতের লিখা ছিল অনেক আকর্ষনীয়। আপনার টা ছিলো,মানে এখন আর নেই। আমার হাতের লেখা আগেও ছিলো, এখনো আছে। কত সাংগঠনিক চিঠি হাতে লিখেছি। লেখা দেখলেই সাধারন ছাত্ররা পর্যন্ত বুঝে নিত কার হাতের লিখা। তবে আমি এই সুন্দর করে লিখাটা শিখেছিলাম ব্লগার আধা শিক্ষিত মানুষের কাছ থেকে এবং আমার কাছ থেকে শিখেছিলো আরো জুনিয়র ২/৩ জনে। আমাদের উপজেলায় এই লেখার একটা সিলসিলা জারি হয়েছিলো।
১৬ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০২:২৮
143660
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : হাতের লিখা সত্যিই যাদু। প্রথম দর্শনে যে কোন লোককে বিমোহিত করার হাতিয়ার। এটি দারুন অস্ত্র। খূশী হলাম আপনার সম্পকেৃ জেনে।
১৬ মার্চ ২০১৪ রাত ০৯:৩২
143864
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : ভাইয়া, অনলাইনে সুন্দর হাতের লেখার শেখার কোন ব্যবস্থা আছে/করা যাবে? আমার খুব ইচ্ছে করতেছে শেখার জন্য Waiting Waiting
১৬ মার্চ ২০১৪ রাত ১১:০৮
143926
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : পরামর্শটি মাথায় রাখা হল। ধন্যবাদ আগ্রহের জন্য।
১৭ মার্চ ২০১৪ রাত ০১:৩৭
143969
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : সুর্যের পাশে হারিকেন এর জন্য
হাতের লেখা সুন্দর করার উপায়
১৭ মার্চ ২০১৪ রাত ০২:৫৮
143981
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : প্যারিস থেকে - কে ধন্যবাদ এ বিষয়ে পোষ্ট দেয়ার জন্য।
১৭
192830
১৬ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৫:৫৪
সাদাচোখে লিখেছেন : আজকের লিখাটা এ্যাডভেঞ্চার টাইপ হয়েছে। মনে হচ্ছিল পাঠক ও বুঝিবা আপনার সাথে টেম্পো করে গিয়ে রাস্তা পার হয়ে পাহাড়ে উঠছে। জীবন্ত।
ধন্যবাদ।
১৬ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০২:২৯
143661
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : ধন্যবাদ। আমার লিখা থেকে এ্যাডভেঞ্জার পেয়েছেন জেনে খূশী হলাম। আপনার ভূয়সী প্রশংসার জন্য কৃতজ্ঞতা।
১৮
192831
১৬ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৬:০২
শেখের পোলা লিখেছেন : ছাত্রীর রূপের খবর দিয়েই ঝুলিয়ে দিলেন! আবার দেখা হবে৷
"কেন পান্থ খ্যান্ত হও হেরী দীর্ঘ পথ,উদ্যম বিহনে কার পুরে মনোরথ?"
১৬ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০২:৩০
143663
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : এটি সৃস্টির প্রশংসা। আপনার ভাব অনেক। ভাল লাগার মত।

এমন যদি হয়-
রাস্তাঘাটে চলতে কারও থাকবে না আর ভয়৷
ছিনতাই আর রাহাজানী উধাও হয়ে যাবে,
কোট কাছারী গিয়ে সবে ন্যায্য বিচার পাবে৷
দূর্নীতি আর ঘূষ রবেনা, মিথ্যা হবে শেষ,
পিছন হাঁটা বন্ধ হবে, সামনে যাবে দেশ৷

কবিরাই পারে এভাবে কবিতার লাইনে হাটতে। সতিই ভাল লাগার মতগো ভাই।
১৯
192852
১৬ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৯:০৮
আবু আশফাক লিখেছেন : আমার হাতের লেখা জঘন্য প্রকৃতির। তবে গলার স্বর মাশাআল্লাহ! লজিংয়ে আমার ছাত্র-ছাত্রীদের এটা দিয়েই মুগ্ধ করার চেষ্টা চলতো। চলুক আপনার নতুন মাস্টারি!
১৬ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০২:৩৩
143664
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : এটি একটা প্রতিভা্ আর্ট। সত্যিই ভাল লাগার মত। এখনও কাজের ফাকে পেন্সিল দিয়ে শুরু করি আকাজোকা। মনের মাধূরী দিয়ে সময় কাটানোর সহযাত্রী।

ধন্যবাদ।
২০
192918
১৬ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০২:২৯
আহমদ মুসা লিখেছেন : ধন্যবাদ চালিয়ে যান। আপনার হাতের লেখা মাশায়াল্লাহ যথেষ্ট সুন্দর। আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার হাতের লেখা খুবই বিশ্রী। দ্রুত লিখতে গিয়ে অনেক ভুল করে ফেলি। বিশেষ করে ’র’ এর নিচে ফোটা দিতে ভুল করি বেশী। এক পৃষ্ঠা লিখে যদি পুনরায় রিভাইস দিই তবে নিজেই অনেক সময় বুঝতে পারি না আসলে আমি শব্দটা কি লিখেছি। দীর্ঘদিন কম্পিউটারে টাইপিং করতে অভ্যস্থ হওয়ার ফলে হাতের লেখা বর্তমানে আরো মারাত্মক জগন্য আকার ধারণ করেছে। আমি আমার সন্তানদেরকে এ সমস্যার কারণে কোনদিন লিখা শিখাই না। আমার স্ত্রীই তাদের লেখালেখি প্রশিক্ষণ দেন। আমার মেয়েরা জানে না যে, তাদের বাবা কিছুটা পড়াশুনা জানা লোক।
১৬ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০২:৩৭
143665
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : প্রবাসেও সেই টিউশনি শুরু করেছিলাম । তবে বিনা পয়সায়। ভাবলাম নিজের জানা কিছূ দিয়ে যাই এ জাতির সন্তানদের। শূরু করলাম, লিখা আর হাতের আটৃ শেখানোর। ৫টি ক্লাশ করে আর এগুতে পারিনি। ছাত্র ছাত্রি এতই বেড়েছে যে জায়গা হয়না। পরে বাদ দিয়েছি।

আমার সন্তানেরা আবার আমার গুনগুলো পায়নি। ওরা মডার্ন দুনিয়ার লোক। ওদের খেয়ালই ভিন্ন।

ধন্যবাদ।
২১
192925
১৬ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০২:৩৫
জোবাইর চৌধুরী লিখেছেন : রসিকের প্রয়োজনীর সব রসদ দেখি প্রস্তুত, বাকী কি সেটা বুঝতে আর একটু সময় লাগবে। যাইহোক চালিয়ে যান সাথে ছিলাম, আছি এবং থাকব। অনেক ধন্যবাদ।
১৬ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০২:৪৩
143666
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : বোদ্ধা পাঠকদের নিয়ে যে কোন গন্তব্য পৌছা সম্ভব। ভাল লাগার কথা রেখে যাবার জন্য ধন্যবাদ।
২২
192938
১৬ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০৩:০৩
নতুন মস লিখেছেন : স্টুডেন্ট পড়ানোর কৌশলটা শিখে নিলাম আজ থেকে কাজে লাগাব।
কেন যেন এই পয়েন্টে এসে মনে হচ্ছে আপনার ছাত্রীকে পড়ানোর নিয়তই ছিল না।
আর বসের নিয়ত একটু ভিন্নই হয়ত ছিল।
শুরুই অনুমান যদিও অনেক অনুমান নিছক গোনাহের পর্যায়ে পড়ে।
১৬ মার্চ ২০১৪ রাত ১১:০৯
143929
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : কে কি ভাবে জানিনা। জীবনে অনেক টিউশনি করেছিতো। তাই তেমন আগ্রহ দেখাইনি। কিন্তু বসতো। বড় ভাইয়ের বন্ধুও। তাই রাজী হলাম। ধন্যবাদ।
২৩
193055
১৬ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৪৩
রাইয়ান লিখেছেন : অভিজ্ঞতা সম্পন্ন লজিং মাস্টার ....
ভালো লাগছে পর্বগুলো , লিখে চলুন ! Happy
১৬ মার্চ ২০১৪ রাত ১১:১০
143933
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : লজিং পদ্ধতিটা উটে যাবার পথে। তবে এটি খারাপ নয়। ভালই। ধন্যবাদ।
২৪
193985
১৮ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০১:০৬
নিভৃত চারিণী লিখেছেন : সামনে চলুক।
১৮ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০১:২১
144567
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : ধন্যবাদ। অনেক পেছনে পড়ে গিয়েছেন।
২৫
194043
১৮ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০২:৫৫
আবু ফারিহা লিখেছেন : মন খারাপ হলেও যে চালিয়ে যেতে হবে।
১৮ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৪:১৫
144660
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : অধিক ব্লগারের পদচারণায় মুলত উতসাহটা বেড়ে যায়। ধন্যবাদ অনিয়মিত হলেও সময়ে করে আসার জন্য।
২৬
194521
১৯ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৯:০১
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : আপনি জুবিলী রোড শাখায় ছিলেন? Surprised
তাহলে তো আমাদের বাসা (পিতৃগৃহ) থেকে একদম কাছে। Big Grin
তবে তখন আমরা আবুধাবীতে ছিলাম, আমি তখন স্কুলছাত্রী Happy
১৯ মার্চ ২০১৪ সকাল ১০:২৫
145054
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : হুম। আমি রিয়াজুদ্দীন বাজার শাখায় ছিলাম। চার বছর। ১৯৮৭-১৯৯১। ধন্যবাদ। আপনার সাথে কিছু কথা বলব ভাবছিলাম। কিন্তু এ ব্লগে ব্যক্তিগত বার্তাটি জানা নেই।
১৯ মার্চ ২০১৪ সকাল ১০:২৭
145056
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : ধন্যবাদ এ ব্লগে এসে ঘুরে যাবার জন্য।
২০ মার্চ ২০১৪ রাত ০৪:৩৪
145445
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন :
Facebook : Rehnuma Bint Anis
২৭
209705
১৮ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১০:২০
আমি আমার লিখেছেন : Happy
২৬ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১১:৪২
161953
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : বাকহীন মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ।
২৮
213683
২৬ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১১:০৪
আহ জীবন লিখেছেন : আপনার মনটা অনেক ভালো ও সুন্দর। চমৎকার ভাবে মেয়েটার রুপের বর্ণনা করলেন।
২৬ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১১:৪৩
161954
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : একজন পাঠক কতটুকু অন্তদৃস্টিসম্পন্ন হলে এ ধরনের মন্তব্য করতে পারে। ধন্যবাদ মুল্যায়নের জন্য।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File