রঙ্গের মানুষ -(পর্ব-৬)

লিখেছেন লিখেছেন প্রবাসী মজুমদার ১৩ মার্চ, ২০১৪, ০৯:১১:২৭ রাত

পর্ব-৫

খায়ের স্যারের বিরুদ্ধে সবাই ক্ষ্যাপা। তলে তলে অনেকে অভিযোগও করেছে। প্রতিবারই ম্যানেজার সাহেব বলেছেন, আমি দেখছি। কিন্তু বাস্তবে কোন এ্যাকশন হয়নি।

অভিযোগের মাত্রাটা ক্রমেই বাড়তে থাকল। ঘুষ কমবেশী অনেকেই খেলেও খায়ের সাহেবেরটা অনেকটা ডাকাতির মত। তাছাড়া, অন্যকে ব্যবহার করে তিনি একই সব খান।

বিষয়টি নিয়ে খায়ের সাহেব ও বিপাকে। তাই একদিন কথা প্রসঙ্গে সবাইকে লক্ষ্য বললেন,

- আমি জানি। আমার বিরুদ্ধে অনেকেই অভিযোগ করেছেন। করুন। কতদিন করতে পারেন দেখবো। এ বিষয়ে এ্যাকশন নিলে কি হবে আমি জানি। সর্বোচ্ছ শাস্তি হিসেবে বঙ্গোপ সাগরের ঐ পারে আমাকে ট্রান্সফার করবে। এইত! তারপর?

- তবে মনে রাখা উচিত, সমুদ্রের ওপার থেকেও আমি পানিতে ঢিল ছূঁড়ে দেখবো উত্তর কি আসে।

সবাই বুঝতে পারল, এ ব্যাপারে খায়ের সাহেব বড় সিরিয়াস। নো কম্প্রোমাইজ। খায়ের সাহেবের ছুঁড়ে দেয়া ঐদ্ব্যত্য পুর্ন মন্তব্য দেখে অনেকেই বিস্মিত হয়েছে। নিশ্চয় এর সিঁকড় অনেক গভীরে।

অনেকদিন পরের কথা। বড় একটা ষ্টীল ইন্ডাষ্ট্রীজ ব্যাংক থেকে ত্রিশ কোটি টাকা লোন নিয়েছে। ব্যাংকের পক্ষ থেকে এটি দেখাশোনা করার দায়ীত্ব ছিল আমার। ইন্ডাষ্ট্রীতে মাসে দু'বার ভিজিট করতে হয়। সেখানে প্রহরী হিসেবে ব্যাংকের দুজন প্রহরীও নিয়োগ করা হয়েছে।

ইন্ড্রাষ্টি্জ এর মালিক ব্যাংকে আসলেই দেখা করে যেতেন। তাকে সবাই হাজী সাহেব নামেই ডাকত। সামনে বসে কিছূক্ষণ মনের কথা বলতেন। চেষ্টা করতেন ভাব জমাতে। তার অভিযোগ একটাই,

- মজুমদার সাহেব। আপনি আমার ইন্ড্রাষ্ট্রিতে পরিদর্শন করতে যান। অথচ আমি একটুও জানিনা। আপনাকে অন্তত একটু আতিথেয়তার সুযোগতো দেবেন? আপনি একটি নিদিষ্ট্র তারিখে ভিজিট করতে গেলে আমার জন্য সুবিধা হয়। সামনে কখন যাবেন, বলুন। আমি ড্রাইভার পাঠিয়ে দেব।

- ধন্যবাদ। আসলে অফিসে কাজের এত চাপ যে, দিন তারিখ ঠিক করে যাওয়া বড় কঠিন। থাক। আমাকে দিয়ে কি আপনার কোন সমস্যা হয়?

- না। তবে আপনিতো কোন কিছুই খাননা। অন্তত একটু চা পানি দিয়ে আপনাকে আপ্যায়নের সুযোগটাতো দেয়া যায়?

- ঠিক আছে। সামনে কোন একদিন আপনার অফিসে বেড়িয়ে আসব।

- হাজী সাহেব বিদায় নিলেন।

কথা প্রসঙ্গে সেকান্দর সাহেব থেকে হাজী সম্পর্কে অনেক কিছুই জানা হল। আগে এ ইন্ড্রাষ্ট্রিটি দেখা-শোনার দায়ীত্ব ছিল রফিক সাহেবের। অভ্যাসের দিক থেকে খায়ের সাহেবের ছোট ভাই। লজ্জা শরম বলতে নাকি কিছু্ই ছিলনা। রফিক সাহেব নাকি প্রায়ই হাজী সাহেব থেকে উপরি পেত। কোরবাণীর ঈদ আসলেই সোজা হাজী সাহেবের অফিসে চলে যেত। সাথে করে নিয়ে যেতো এক প্যাকেট গোল্ডলিফ সিগারেট । এগিয়ে দেয়া গোল্ড লিফের প্যাকেট দেখেই হাজী বুঝতে পারত, উপরির পরিমাণটা এবার একটু বেশী দিতে হবে।

- কি রফিক সাহেব? কি খবর? হাজী সাহেব জানতে চায়।

- খবরতো আপনার কাছে। এজন্যই এসেছি।

- বলেন কি করতে হবে?

- কোরবানী সামনে। গরু কেনার পয়সা নেই।

- হুম। কত দিতে হবে?

- কত-টত বুঝিনা। আমাকে আপনি গুরু একটা কিনে দিতে হবে।

গরু কিনে না দিলেও মোটামুটি বড় অংকের টাকা যে দিয়েছে এটা নিশ্চিত।

কিছুদিন পরের কথা। হাজী সাহেব তার ইন্ডাষ্টিতে চুল্লীটা নতুন করে প্রস্ততির কাজে হাত দিয়েছেন। আপাতত প্রোডাকশনের কাজ বন্ধ। হাজী সাহেবের ব্যাংক হিসেব খুলে দেখি মা্ত্র ১০ কোটি টাকা ব্যালেন্স আছে। সোজা ইন্ডাষ্ট্রী পরিদর্শনে চলে গেলাম। সেখানেও কোন জমা মালামাল পাওয়া গেলনা। এদিকে প্রোডাকশন ও বন্ধ।

প্রতি মাসের মাঝামাঝি ও শেষ তারিখে ইন্ড্রাষ্ট্রিজ এর ব্যাংক ব্যালেন্স আর মওজুদ মালের ভ্যালূ ধরে আমি আলাদা ষ্টেটমেন্ট তৈরী করতাম। ম্যানেজার কিংবা খায়ের সাহেবের দস্তখত নিয়ে এটিকে পাঠিয়ে দিতাম জোনাল অফিসে। মাসের শেষে জোনাল অফিস হতে সোজা ঢাকা হেড অফিসে পাঠিয়ে দেয়া হত।

এবারের পরিদর্শন শেষে ব্যাংক ব্যালেন্স ও ইন্ডাষ্ট্রিতে জমা মালের ভ্যালু বাবদ তৈরীকৃত ষ্টেটমেন্ট এর পরিমাণ ছিল আনুমানিক ১২ কোটি টাকা। হিসেবের খাতায় আঠার কোটি টাকা উধাও!

সেদিন ম্যানেজার সাহেব অফিসে আসেনি। আমি খায়ের সাহেব থেকে দস্তখত নিয়ে এটিকে জোনাল অফিসে পাঠিয়ে দিলাম। দস্তখতের আগে খায়ের সাহেব জিজ্ঞেস করেছিলেন

- কোন সমস্যা নেইতো?

- না স্যার। যা আছে তা হুবহু লিখে দিয়েছি। বাস।

পরদিন সকালে বিষয়টা ম্যানেজার সাহেবকে জানিয়েছি। শূনে ম্যানেজার একেবারে অগ্নীশর্মা। লাল কালী দিয়ে চিরুকুট লিখলেন

" আমার অনুমতি ব্যাতিরেকে এ হিসেব থেকে কোন ধরনের টাকা উত্তোলন করা যাবে না"

এটিকে হাজী সাহেবের ক্রেডিট একাউন্টের উপর ষ্টীকি করে দেয়া হল।

সকাল দশটার দিকে হাজি সাহেবের পাঠানো চেক রিটার্ন গেল। কিছুক্ষণ পরেই হাজী সাহেব ব্যাংকে দৌড়ে এলেন। অনেক লম্বা একটা সালাম দিয়ে হাসি মুখে আমার সামনে বসলেন। কৌশল বিনিময়ের মাঝেই সবার অগোচরে একটা ইনভেলপ আমার সামনে রাখা কাগজের ভেতর গুজে দিলেন।

আমি না জবাব। জোরে কথা বলতে গেলেই অন্যদের চোখে পড়বে। হাজী সাহেব খুব আপন জনের মতই মুখটা একটু সামনে এনে ফিস ফিস করে বললেন,

- আমি আপনাকে কিছু দেইনি। আমি বুড়ো মাকে খুব শ্রদ্ধা করি। আপনার মা আমার মা। আমি আমার মায়ের জন্য কিছু কিনার জন্য আপনাকে দায়ীত্ব দিলাম।

জীবনের প্রথম ঘূষ। জানিনা কত দিয়েছে। তবে ইনভেলপের নমুনা দেখে একটু বেশীই মনে হচ্ছে। আবার ভাবলাম, সব একটাকার নোটও তো হতে পারে।

বুকটা দুর দুর করছে। ভয় পাচ্ছি পাশে বসা রবি সাহেবকে নিয়ে। এরাতো এ বিষয়ে মাষ্টার্স। বাতাসেই ঘুষের গন্ধ পায়। হাজীর সাহেব যাবার পরই জিজ্ঞেস করবে, উনার সাথে গুন গুনিয়ে কি কথা হয়েছিল?

আমি ভেতরে ভেতরে অগ্নীশর্মা হয়ে উঠলেও হাজী সাহেবকে মাইন্ড করার মত কিছূ বলা যাবেনা। তাই মাথাটা সামনে ঝূকে ফিস ফিস করে বললাম

- হাজী সাহেব। প্লীজ আপনি এসব নিয়ে যান। সবাই ঘূষ খায় ।আমি খাইনা। আপনি চান যে আমিও খারাপ হয়ে যাই?

- না খেলে আমাকে বাচাঁন, হাজী সাহেব অনুরোধ করলেন। আপনি যে ষ্টেটমেন্ট পাঠিয়েছেন, হেড অফিসে গেলে আমার ইন্ডাস্ট্রিজ বন্ধ হয়ে যাবে। জোনাল অফিসের এজিএম সাহেব বলেছে, আপনার সাথে বসতে। একটা কিছু করুন প্লীজ।

চিন্তায় পড়ে গেলাম। ভাবলাম যেখানে সবাই খায়, আমার কি করার আছে? তাই বললাম, আপনি খায়ের সাহেবকে দিয়ে ষ্টেটমেন্টটা বানিয়ে পাঠিয়ে দিন। আমি কিছু বলবনা। তবে শর্ত, কাগজের নীচে ইনভেলপটা নিয়ে যান প্লীজ।

হাজী সাহেব ইনভেলপ নিয়ে বিদায় নিলেন। ম্যানেজারের সাথে কথা বললেন। তার পর বের হয়ে গেলেন। দুুদিন পর আবার ও হাজী সাহেব আসলেন। এ বারে তাকে অন্য সময়ের চেয়ে বেশী উৎফূল্লই মনে হয়েছে। ব্যাংক একাউ্ন্ট কিংবা ইন্ড্রাষ্ট্রিতে সব কিছু অপরিবর্তিত থেকেই টাকা উত্তোলনের কাজ আবারও শুরু হয়ে গেল।

এক সপ্তাহ পর আবার ও ইন্ড্রাস্ট্রি ভিজিটে গেলাম। ব্যাংকের দারোয়ান করিমকে জিজ্ঞেস করলাম

- আপনি কি ইতিমধ্যে ব্যাংক ম্যানেজারের বাসায় গিয়েছিলেন?

- জ্যী স্যার।

- কখন?

- কয়েকদিন আগে।

- কেন গিয়েছেন?

- হাজী সাহেব ৩ কাটূন আম দিয়ে ম্যানেজারের বাসায় পাঠিয়েছিলেন।

- হুম।

কথিত আছে, ম্যানেজার সাহেব ব্যাংকের লোনে বাড়ীটা করার সময় হাজী সাহেব "উপঢৌকন" হিসেবে অনেক রডও সরবরাহ করেছিলেন।

(চলবে)

বিষয়: বিবিধ

১৩৮৫ বার পঠিত, ৬২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

191901
১৩ মার্চ ২০১৪ রাত ০৯:১৮
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন লিখেছেন : কারবার দেখছেন গরু থেকে শুরু করে নগদ টাকা হয় হয় এই তাহলে দেশের সরকারী চাকুরী ?
১৪ মার্চ ২০১৪ রাত ০৮:৫৮
143114
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : হাহ। আরও কত কিছু দেখবেন। এত শুরু মাত্র। যারা এ নোংরাতের আডডা হতে ফিরে এেসেছে ওরা এবার বলতে শূরু করেছে। স্পেশাল ধন্যবাদ প্রথম মন্তবকারী হওয়াতে।
191905
১৩ মার্চ ২০১৪ রাত ০৯:২৪
জোবাইর চৌধুরী লিখেছেন : এক নিমিষেই শেষ, আরেকটু বড় করলে ভালো হয়। অনেক ধন্যবাদ।
১৪ মার্চ ২০১৪ রাত ০৮:৫৯
143115
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : কেউ বলে ছোট করতে। কেউ বলে বড় করতে। কাজেই লিখতে বসে যতটুকু পারি তাই করি। তাছাড়া সময় নেই বললেই চলে। একবার লিখে দ্বিতীয়বার প্রুফ দেখে পোস্ট বাস। ধন্যবাদ।
191909
১৩ মার্চ ২০১৪ রাত ০৯:৩৩
বিন হারুন লিখেছেন : এতো দেখছি হাজী সাহেব নয় আস্ত পাজী সাহেব ঘুষের কারবারে জড়িত. তো আপনার চরিত্রটা এখনো নায়কের আদর্শে আছে. দেখা যাক সামনে কি হয় Happy
১৪ মার্চ ২০১৪ রাত ০৮:৫৯
143117
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : হাজী তো সাইনবোর্ড। এরা ধর্ম কর্ম আর অপকর্মকে আলাদা করে দেখে। ধন্যবাদ।
191912
১৩ মার্চ ২০১৪ রাত ০৯:৪৮
নীল জোছনা লিখেছেন : না খেলে ম্যানেজারদের ওত বড় বড় ভুড়ি কেম্নে হয়।
১৪ মার্চ ২০১৪ রাত ০৯:০০
143118
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : ঠিকই বলেছেন। জনমের মত খায়। সব চোর বাটপার যেন সমাজের ক্যানসার। ধন্যবাদ।
191923
১৩ মার্চ ২০১৪ রাত ১০:১৩
ইশতিয়াক আহমেদ লিখেছেন : অপেক্ষায় রইলাম জনাব।
১৪ মার্চ ২০১৪ রাত ০৯:০১
143119
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : ধন্যবাদ অপেক্ষার জন্য। সময়ের স্বল্পতা থাকলেও ব্লগের টানে ছুটে আসি।
191934
১৩ মার্চ ২০১৪ রাত ১০:৩৭
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : আপনার মা আমার মা। আমি আমার মায়ের জন্য কিছু কিনার জন্য আপনাকে দায়ীত্ব দিলাম। বাহঃ কী সুন্দর ডায়ালগ! অদ্ভুত! হারামী ঘুষখোররা এত কথা শেখে কোত্থেকে?
১৪ মার্চ ২০১৪ রাত ০৯:০২
143122
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : ওর দৃশ্যটা আজও আামর মনে পড়ে। বলুনতো, এসব ডায়ালগ কি ভূলার মত? সামনে আরও অনেক কিছু আসবে প্রশোশন নিয়ে ম্যানেজার কিভাবে কর্মচারীদের ব্যবহার করে। ধন্যবাদ।
191939
১৩ মার্চ ২০১৪ রাত ১১:১১
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : বাকারে হাজী সাহেবে কোরবানি করার জন্য ঘুষ দেন গরু!!!
নাহ সরকারী ব্যাংক এ ঢুকতে হবে যেভাবেই হোক।
১৪ মার্চ ২০১৪ রাত ০৯:০২
143123
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : হাজী সাব গরু ঘূষ দেননা। কিন্তু ঘোষখোর বেশি পাওয়ার এটা একটা ফন্দি মাত্র। আমরাও শিখলাম। ধন্যবাদ।
191941
১৩ মার্চ ২০১৪ রাত ১১:১৫
মাটিরলাঠি লিখেছেন : "আপনার মা আমার মা। আমি আমার মায়ের জন্য কিছু কিনার জন্য আপনাকে দায়ীত্ব দিলাম।"

ঘুষের যে কত রকম তরিকা আছে বাংলাদেশে। তারপরও বাংলাদেশ কে দুর্নীতিতে আমি প্রথম মনে করি না। ভারত কে আমি দুর্নীতিতে প্রথম মনে করি। আমরা যে সব তরীকা হালে আবিষ্কার করেছি, ভারতীয়রা সে সব ৫০ বছর আগেই আবিষ্কার করেছে।

তথাকথিত পাশ্চাত্য স্টাইলের গণতন্ত্র যত বেশী প্রাতিষ্ঠানিক হয়, দুর্নীতির শিকড় ততবেশী গভীরে প্রবেশ করে ও মোটা তাজা হয়।







১৪ মার্চ ২০১৪ রাত ০৯:০৩
143125
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : আসলে কি। পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশী বয়স শয়তানের। কাজেই যখন কোথাও কোন লোক তার কাজটি করে তখনে তাকে প্রশিক্ষণ দেয়া তার দায়ীত্ব হয়ে যায়। এজন্য ঘুষখোরগুলো নতুন কিছূ সব সময় আবিস্কার করে।
১৫ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৫:০৭
143222
সাদাচোখে লিখেছেন : ফাটাফাটি মন্তব্য।
191967
১৪ মার্চ ২০১৪ রাত ১২:২৮
আহমদ মুসা লিখেছেন : বানিজ্য বিভাগ নিয়ে পড়াশুনা করিনি। তাই ব্যাংকিং লেনদেন এবং ব্যবসা বানিজ্যের কুটিল ও জটিল গুনজায়েশ সম্পর্কে আমার ধারণা শুণ্য। কোন এক ঘটনাচক্রে অগ্রণী ব্যাংকের একজন কর্মকর্তার সাথে আমার পরিচয় হয়েছিল। তিনি একটি শাখা ম্যানেজার হিসেবে দীর্ঘদিন কর্মরত। চট্টগ্রাম শহরে মির্জাপুল এলাকায় তার চার কাটা জাগার উপর একটি বিল্ডিং আছে। বছর দেড়েক পুর্বে শুনেছিলাম তিনি কি একটা সমস্যার কারণে সাময়িকভাবে অফিসে বাধ্যতামূলক ছুটিতে (নাকি সামায়িক বরখাস্ত তা জানার আগ্রহ ছিল না) আছেন। তার সম্পর্কে কিছু মুখরোচক আলোচনাও শুনেছিলাম একই সময়ে অন্য আরেকজন তার ঘনিষ্ট ব্যক্তির মুখে।
আজ থেকে পাচঁ বছর আগের কথা। আমার দ্বিতীয় মেয়ের জন্মের দুয়েকদিন পর তার সাথে হঠাৎ দেখা হলে তিনিই আমাকে মিষ্টিমূখ করালেন এবং আরো দু’কেজি দামী মিষ্টি আমার বাসায় উপহার হিসেবে কিনে দিলেন। অথচ এই ভদ্র লোকের সাথে আমার সম্পর্কের ঘনিষ্টতা সে পর্যায়ের ছিল না যাতে সে আমার মেয়ের জন্মের খুশীতে আমাকেই মিষ্টি দিয়ে আপ্যায়ন ও বাসায় পর্যন্ত প্রেরণের ব্যবস্থা!! অথচ অবস্থানে, তার জাগায় আমি হলে এতো বিলাসীতা পূরনো হাবভাব দেখাতাম না। আল্লাহর ভাল জানেন তার উপার্জিত অর্থবৃত্ত হক পথে অর্জন করেছে কিনা।
১৪ মার্চ ২০১৪ রাত ০৯:০৫
143127
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : হাহ। ঠিকই বলেছেন। টেবিলের তলে কিছু না দিলে উপরে হাসি ফুটেনা। তাই সততা এখন জ্বলন্ত কয়লাকে হাতে রাখার মত। 'ধন্যবাদ মন খুলে মন্তব্য করার জন্য।
১০
191981
১৪ মার্চ ২০১৪ রাত ০১:২২
বিদ্যালো১ লিখেছেন : lajobab !!!
১৪ মার্চ ২০১৪ রাত ০৯:০৫
143129
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : কৃতজ্ঞতায় আবদ্ধ করলেন। ধন্যবাদ ভূয়সী প্রশংসার জন্য।
১১
192008
১৪ মার্চ ২০১৪ রাত ০৪:০৭
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : ইশ আমি যদি এরকম খাম পেতাম! Big Grin Big Grin Big Grin
১৪ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৫:৪৬
142919
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : পেলেও তো নিতেন না Angel
১৪ মার্চ ২০১৪ রাত ০৯:০৬
143130
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : ঘূষ দিয়ে ব্যাংকে ঢুকেন। পাবেন। তবে চাকরি পাওয়ার জন্য দেয়া ঘূষ যদি প্রাপ্ত ঘূষ থেকে বেশি হয়, দরকার নেই। ধন্যবাদ।
১২
192034
১৪ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৫:৪৫
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : এই সব দেখতে দেখতে, প্রতিকার বা প্রতিরোধে নিরুপায় হয়ে, শেষতক শুধু নিজেকে এই পঙ্কিলতায় জড়িয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করার তাগিদেই দেশ ছাড়লাম ভাই। আপনিও তো আমাদের একই পথের যাত্রী। অনেকেই বলবেন আপনারা রুখে দাঁড়াতেন, তাহলে ধীরে ধীরে সমাজ পরিবর্তন হত। কিন্তু এটা নেহায়েত কল্পনা। আপনি সমুদ্রের সামনে রুখে দাঁড়িয়ে কি করতে পারবেন, বরং আপনি নিজেই এক সময় স্রোতে ভেসে যাবেন। কারণ আর কেউ এই ব্যাপারগুলোকে অন্যায় মনে করছেন না, কেউ আপনার পাশে এসে দাঁড়াচ্ছেনা বরং অনেকক্ষেত্রে আপনার কাছের মানুষরাও আপনাকে তিরস্কার করছে আপনার অফিসের দারোয়ান আপনার চেয়ে ভাল চলে আর আপনি চলেন পেটেভাতে বলে!
১৪ মার্চ ২০১৪ রাত ০৯:০৮
143131
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : আপনি ঠিকই বলেছেন। অল্প দুঃখে কি ব্যাংকের চাকুরী ছেড়ে বিদেশ পাড়ি জমিয়েছি? মনে অনেক কস্ট। সে কষ্টগুলো উগলে দিয়ে জানাচ্ছি কি হয়।

সত্যি কথা বলতে কি. সতভাবে ব্যাংকের চাকরি করা বড় অসম্ভব।

ধন্যবাদ্
১৫ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৫:১১
143223
সাদাচোখে লিখেছেন : আমার তো মনে হয় আল্লাহ আপনাকে রহম করেছেন বলেই আপনি ব্যাংকের চাকুরী ছাড়তে পেরেছেন। এক শেখ এর বক্তৃতায় জানলাম সুদ দেয়া, সুদ নেয়া আর সুদ রেকর্ডকারী সমান দোষে দোষী। সোবহানাল্লাহ।
১৩
192049
১৪ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৮:৩৮
গ্যাঞ্জাম খানের খোলা চিঠি লিখেছেন :

সরকার কা মাল দরয়িআ মে ডাল নেহি। বলকে সরকার কা মাল আগুন মে ডাল
১৪ মার্চ ২০১৪ রাত ০৯:০৮
143132
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : ঐ সময় আপনাকে বড় প্রয়োজন ছিল। ধন্যবাদ মিছিল নিয়ে এ ব্লগে আসার জন্য।
১৪
192070
১৪ মার্চ ২০১৪ সকাল ১০:৫৫
আবু আশফাক লিখেছেন : পাশে রবি সাহেব, নিচ দিয়ে খাম; আমার কিন্তু হৃদকম্পন শুরু হয়ে গিয়েছিল!!!!!!!!!!
১৪ মার্চ ২০১৪ রাত ০৯:০৯
143133
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : সমস্যা নেই। বড় ভাই সিবিএ নেতা হওয়াতে এসব সামাল দিতে কষ্ট হতোনা। ধন্যবাদ।
১৫
192119
১৪ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০৩:২৪
আবু ফারিহা লিখেছেন : চলিয়ে যান। সাথে অাছি।
১৪ মার্চ ২০১৪ রাত ০৯:১০
143136
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : ধন্যবাদ নিয়মিত হাজিরা দিয়ে মতামত রেখে যাবার জন্য।
১৬
192179
১৪ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৫:০৬
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : ভাই হাজি থেকে নিতেন। জীবনে প্রথমবার নাকি কিছু করা অপরাধ নয়?এই ভান্ডারী দর্শনে একদিনের জন্য ইমান আনতেন?
সাহস দেখিয়েছেন। কতদিন পারবেন। দেখা যাক।অপেক্ষায় আছি।
আমাদের সমাজের এই সব পাঁজি হাজিসাবদেরকে পরিচয় করাবার জন্য ধন্যবাদ।
১৪ মার্চ ২০১৪ রাত ০৯:১১
143141
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : ধন্যবাদ ভাই। সামনে আরও অনেক বড় বাটপার আসবে। এখনও শুরু করিনাই। বাটপারের চৌদ্দ গোষ্ঠীর সাথে পরিচয় করিয়ে দেব। এইত প্রথম চাকুরীরর ঘটনা।
১৭
192236
১৪ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৪৪
বুঝিনা লিখেছেন : হাজি থেকে নেন নাই, তাই আমাডের কাছ থেকে নেন. Rose Rose Rose Rose
১৪ মার্চ ২০১৪ রাত ০৯:১১
143142
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : আপনার ফুলেল শূভেচ্চাকে ধন্যবাদ। ভাল লাগল।
১৮
192258
১৪ মার্চ ২০১৪ রাত ০৮:৫৮
নতুন মস লিখেছেন : ঘটনা ভয়াবহ।
আপনি ঘুষ খাননি।এ ঘটনা পড়ে অনেকেই খাবে না।আমি খাব না।
১৪ মার্চ ২০১৪ রাত ০৯:১৪
143143
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : সামনে আরও বড় ঘুষ খোরের সাথে পরিচয় করিয়ে দেবো। অবশেষে এদের উপর দিয়ে যাওয়া আমার দেখা গজব ও তুলে ধরব। ধন্যবাদ।
১৯
192261
১৪ মার্চ ২০১৪ রাত ০৯:০৭
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : টিউশনি পর্বের অপেক্ষায়....
১৪ মার্চ ২০১৪ রাত ০৯:১৮
143144
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : আহারে। আসবি ব্যংকের বিষয় নিয়ে। সবাই খালি আমাকে হেদিকে নিতো চায়। অ্যাই কিন্তু আদর্শ শিক্ষক।

খুব ব্যস্ত। গতকাল অফিসিয়াল কাজে অন্য শহরে গিয়েছিলাম। বিকেলে এসেই এ পর্বটি লিখে পোস্ট করে দিলাম। লিখে মাত্র একটিবার রিভাইজড দিিছি। ভয় পাই না জানি পাঠকদের ঘাটতি শুরু হয় । বন্ধ করারও উপায় নেই। তবুু হাল ছাড়বো। চালিয়ে যাবো।

আগামী পর্বে আসছে আমার টিউশনির নতুন ছাত্রীকে নিয়ে নতুন পর্ব। অপেক্ষায় থাকুন। প্রবাসী মজুমদারের ব্লগ প্রেক্ষাগৃহে এটি প্রদশিত হবে।

ধন্যবাদ। বেশী বলে ফেললাম। আজকের জন্য শেষ মন্তব্যকারীতো। তাই।
১৪ মার্চ ২০১৪ রাত ০৯:৫৫
143153
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : Love Struck Love Struck Love Struck Love Struck Love Struck
২০
192378
১৫ মার্চ ২০১৪ রাত ০৩:৩১
আবু তাহের মিয়াজী লিখেছেন : বাস্তব অভিজ্ঞতাসমৃদ্ধ খুবই আকর্ষণীয় সিরিজ। বারাকাল্লাহু ফীক
১৫ মার্চ ২০১৪ সকাল ১১:১৬
143271
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : তাহের ভাইকে পাশে দেখে ভাল লাগছে। মনের মিল বলতে একটা কথা আছে। ধন্যবাদ। মন্তব্যগুলো অনেক সুন্দর।
২১
192390
১৫ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৫:১৭
সাদাচোখে লিখেছেন : বাংলাদেশের সরকারী চাকুরেজীবিরা আমার কাছে লিটারেলী এ্যালার্জিতে পরিনত হয়েছিল। সোনালী ব্যাংক নিয়ে আমার নিজের একটা অভিজ্ঞতা হয়েছিল। গতকাল আপনার লিখা পড়ে লিখেছিলাম। কিন্তু পোষ্ট করবো কি করবো না দ্বিধায় পড়ে ড্রাফট আকারে রেখে দিলাম।
১৫ মার্চ ২০১৪ সকাল ১১:১৭
143272
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : এসব ঘুষের পরিণতি কি হয়েছিল বলব। দেখে এসেছি সেই আহাজারী। মানুষ দেখে ওমুক সাহেব ভাল আছে। কিন্তু পরিণতি সবাই দেখেনা। ক্রমাব্বয়ে এসব সামনে আসবে। ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য।
২২
192403
১৫ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৬:৫৮
শেখের পোলা লিখেছেন : আজ আমাদের দুরবস্থার জন্য এই সব সাহেবরাই দায়ী৷ দেশে যে উন্নয়নের জোয়ার বইছে তা এই কোরবাণীর গরু কেনা আর ইনভেলেপের জন্যই৷ আপনাকে স্যালুট দিতে বড় ইচ্ছে হচ্ছে
১৫ মার্চ ২০১৪ সকাল ১১:১৮
143273
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : দেশে যে পরিমাণ টাকা ঘূষ দেয়া হয় এ পরিমাণ অর্থে সব গরীব চলতে পারে। আমরা জাতি হিসেবে অনেক কর্মক্ষম। কিন্তু এসব চোরদের হাতে জাতি জম্মিী হয়ে আছে। ধন্যবাদ অনুভুতি রেখে যাবার জন্য।
২৩
192432
১৫ মার্চ ২০১৪ সকাল ১০:৫৭
মোঃ ওহিদুল ইসলাম লিখেছেন : চালিয়ে যান। উন্মোচন করে দিন মুখোশ এ ক্রিমিনালদের।
১৫ মার্চ ২০১৪ সকাল ১১:১৯
143274
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : ধন্যবাদ। সামনে সিরিয়ালি এসব আসবে ইনশাল্লাহ। থলের ভেতর জমা ঘূষের সব কীর্তি থূলে ধরতেই এ সিরিজ।
২৪
192497
১৫ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০২:৫৭
শফিউর রহমান লিখেছেন : নিজেকে বাঁচানোর ভাল পদ্ধতিই প্রয়োগ করেছেন - যা লেখানোর খয়ের সাহেবের দ্বারা লিখিয়ে নেন, কিন্তু প্রথমে আমাকে এনভেলপমুক্ত করুন।
এই এনভেলপমুক্ত হওয়াটাই মনে হয় অন্ততঃপক্ষে তৃতীয় স্তরের ঈমানদারের পরিচয় বহন করে। ধন্যবাদ।
১৫ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৫:১৮
143332
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : বিশ্লেষনটা ভালই। ধন্যবাদ শানে নুযুল সহ লেখার জন্য।
২৫
192714
১৫ মার্চ ২০১৪ রাত ০৯:৩৭
সিকদারর লিখেছেন : আস্-সালামু-আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ। চলুক সাথেই আছি ।
১৬ মার্চ ২০১৪ রাত ০২:৩৪
143540
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : ধন্যবাদ । বিলম্বে হাজিরা দিলেও ভাল লাগছে।
২৬
192808
১৬ মার্চ ২০১৪ রাত ০৩:৪৩
ইবনে হাসেম লিখেছেন : আপনার ভাবীকে চেতিয়ে হলে ও সিরিজের ৬ ও ৭ নং সিরিজটি পাঠ শেষ করলাম। বাকীগুলোর মন্তব্য লাইট হাউজের লাইট জ্বালালেই দেখতে পাবেন ভাই।
১৬ মার্চ ২০১৪ সকাল ১০:০৮
143603
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : সালাম ভাই। অনেকদিন পর দেখে ভাল লাগছে। কেমন আছেন। গতকাল প্রথম আপনাকে আবিস্কার করে প্রিয়তে রেখে দিলাম যাতে হারিয়ে না যান। পড়ে মন্তব্য রেখে যাবার জন্য ধন্যবাদ।
২৭
208219
১৫ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৪:০৯
সাদামেঘ লিখেছেন : সরকারি ব্যাংকগুলোর অনেক অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন আমরা ও তো ব্যাংকে যাই মাঝে মাঝে। এক ব্যাংকে প্রথম গিয়েছিলাম বাবা অসুস্থ বলে বাবার চেক নিয়ে; প্রথম বলে পথঘাট চিনতে পারছিলাম না কারো কাছ থেকে জানতে চাইলেই সবার ধমক, রাগ প্রকাশিত হতে থাকলো.. আমি পড়ে গেলাম বিপাকে শেষে বাবাকে কল করে ব্যাংকে আনিয়েছি তিনি নিজে এসে সেই টাকা তুলেছেন। আর আমি যেন কেঁদেই ফেলেছি ব্যাংকের লোকদের ব্যবহারে।
১৫ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:০৮
156988
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : প্রথমত অনেক পরে আমার সব গুলো পর্ব পড়ে মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ। দ্বিতীয়ত ঘূষখোর মানুষগুলো কেন জানি ঘুস দেয়া লোকগুলোকে দেখলেই মুচকী হাসি দেয়। ধন্যবাদ।
২৮
209702
১৮ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১০:১৫
আমি আমার লিখেছেন : Rose Rose Rose Rose Rose
২৬ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১১:৪৮
161959
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : প্লাস্টিকের ফূল দাও
নইলে কাগজের ফূল
হেগেনে বেশীদিন লাস্টিঙ করে।

ধন্যবাদ।
২৯
213673
২৬ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১০:৪৮
আহ জীবন লিখেছেন : পর্বের নাম দিলে ঘুষ পর্ব-১,২,৩ দিতে পারতেন।

কোন পর্বের মন্তব্যতে বলেছিলেন, ভালো চাকরি হলেও পয়সা কম। এই অবস্থায় ও ঘুষ খাননি। ধন্যবাদ
২৬ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১১:৪৮
161958
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : সত্যি কথা বলতে কি, এখানে প্রেম, ঘুষ সবই আছে। তাই নামটি রঙ্গের মানুষ লিখেছি। ধন্যবাদ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File