রঙ্গের মানুষ - (পর্ব-৪)
লিখেছেন লিখেছেন প্রবাসী মজুমদার ১১ মার্চ, ২০১৪, ০৩:৫১:২৬ দুপুর
পর্ব-৩
বিপুকে নিয়ে আমি এখন বিপাকে। ভাবছি, ওকে পড়াতে অতি উৎসাহী হলে ম্যানেজার সাহেব না জানি মনে করে...। হয়তবা ভাববে বর্শী দিয়ে প্রেমের টোপ ফেলার চেস্টা চলছে। তাই আপন অবয়বে একটু গম্ভীরতার ভান করলাম। নিজের গুরুত্বটা আরও বাড়ানোর জন্য বিষয়টাকে বিলম্বিত করলাম। বললাম,
- স্যার। আমি সবেমাত্র এ শহরে এসেছি। উত্তর দক্ষিণ কিছুইতো চেনা-জানা নেই। বড় ভাইয়ের বাসা থেকে অফিসে আসা যাওয়া করি। ভাবছি আলাদা ভাবে বাসা নিয়ে থাকব। তাই বাসা খুঁজছি। সব কিছু ঠিক হয়ে গেলে ১৫-২০ দিন কিংবা এপ্রিলের প্রথম দিকে আপনার মেয়েকে পড়াতে শুরু করব।
ম্যানেজার খূশীতে আটখানা। হাসি দিয়ে সম্মতি জানালেন। বললেন, আমি আশা করি ওকে আপনার ছোট বোনের মত করে পড়াবেন।
- জ্যী স্যার। এ ব্যাপারে চিন্তা করবেন না। বিষয়টা আমার উপর ছেড়ে দিন।
স্যার থেকে বিদায় নিয়ে চিন্তায় পড়ে গেলাম। ভাবছি স্যার হলেও ভেতরগত কিছু বিষয় জানা একান্ত প্রয়োজন। অতীতের টিউশনি / লজিং হতে সুখকর অনুভূতির চেয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতাই বেশী অর্জন করেছি। সভ্যতার বুকে গড়ে উঠা কারুকার্য খচিত অট্রালিকার নির্জীব ইটের ভেতর বাস করা মানুষগুলোর মাঝে ইট পাথরের মতই প্রাণহীন অনুভূতির সন্ধান পেয়েছি বার বার।
যাইহোক, পরদিন সেকান্দর সাহেব জানতে চাইলেন ম্যানেজারের সাথে সাক্ষাতের বিষয়টি নিয়ে । বললেন, গতকাল স্যারের সাথে এত দীর্ঘ সময় ধরে কি কথা হয়েছে? বিষয়টা কাছের মানুষ সেকান্দর সাহেবকে খুলে বললাম।
- টিউশন ফি কত দেবে, স্যার কিছূ বলেছে কি?
- না। বলেনি। তবে স্যার থেকে টাকা নেওয়ার ভান করাটা কি ঠিক হবে? মান ইজ্জত বলতে একটা বিষয় আছেনা?
- দুত্তরি। এসব ডাব্বা মার্কা ছাত্রী বিনা পয়সায় পড়িয়ে নিজের মাথার স্ক্রু, ড্রাইভার নস্ট করার কোন মানে হয়?
- মানে?
- মানে আবার কি? আমি স্যারের বাসায় প্রায়ই যাই। সাথে আপনার ভাবীকেও নিয়েছি অনেকবার। যে কোন কারণে স্যারের সাথে আমার সম্পর্কটা অন্যরকম। এসব অফিসের অন্য স্টাফদের বুঝতে দেইনা।
- হুম। আচ্ছা, পড়ালিখার দিক থেকে মেয়েটা কেমন?
- বললাম তো। ওকে বিনা পয়সায় পড়ালে মাথায় বুদ্ধি শুদ্ধি যা আছে সব ধূয়ে মুছে পরিস্কার হয়ে যাবে। তবে স্যার যেহেতু অনুরোধ করেছে, মানা করা ঠিক হবেনা। পড়াবেন। কিন্তু কিছু একটা নেওয়া উচিত।
- ভাবছি টাকা নিলে যদি চাকরিটাও যায়!
- আহারে ছোট ভাই! আমি আপনাকে কেমনে বুঝাই যে, সে আপনার চাকরি খাওয়ার ক্ষমতা নেই? আমরা এসব উশৃঙ্খল কর্মচারীরা কি ঘাস খাওয়ার জন্য এম্প্লয়িজ ইউনিয়ন করি?
সেকান্দর সাহেবের কথায় মনে খুব সাহস পেলেও অবস্থানগত দিক থেকে এমনটি ভাবা আমার জন্য ঠিক হবেনা। তাই কিছুটা বিপাকেই পড়েছি বলা যায়। সেকান্দর সাহেব আবারও জানতে চাইলেন,
- আচ্ছা। আমাকে বলুনতো, আপনাকে কত দিলে ভাল হয়?
- আসলে আমি বুঝে উঠতে পারছিনা যে কি বলব।
- ছোট ভাই। দুনিয়া পয়সা ছাড়া ছলেনা। আচ্ছা। বুঝছি। এটা আমার উপর ছেড়ে দিন।
- কি হবে ছেড়ে দিলে?
- দেখুন। এ বিষয়টা স্যার আপনাকে সরাসরি বলবেনা। তাই আমাকে ডেকে পাঠিয়েছে আপনার সাথে আলাপ করে ঠিক করার জন্য। স্যার আপনাকে কিছু একটা দিতে রাজী আছে, এতে সন্দেহ নেই।
- ঠিক আছে। বিষয়টা আমিও আপনার উপর ছেড়ে দিলাম। যাতে মান ইজ্জতের উপর কোন আঘাত না আসে।
- না না। এত ভয়ের কিছু নেই। আমার মাথার চুলতো আর বাতাসে পাকে নাই। ম্যানেজার আপনাকে পারিশ্রমিক না দিলেও সমস্যা নেই। প্রয়োজনে দাবী আদায়ে ওর মাইয়্যার সাথে প্রেম শুরু করে দিবেন। একটা দিয়েতো পুষিয়ে নিতে হবে!
- বড় ভাই জানতে পারলে শুধু চট্রগ্রাম না, আমাকে দেশ ছাড়া করে ছাড়বে। - দুর। এটা সামলানো আমার দায়ীত্ব।
- হায় হায়। আপনিতো দেখছি আমার চাকুরী খাওয়ার ব্যবস্থা করছেন।
- কি যেন বলেন! ডানপীঠে না হলে জীবনে কিছুই করা যায়না। আপনি একদিকে ব্যাংকার। অন্যদিকে বি.এস.সি.। কোন দিক থেকে কম?
দেখেন, সব সময় সাফল্য নিয়ে ভাববেন। ধরুন স্যারের মেয়ের সাথে আপনি গভীর প্রেমে জড়িয়ে গেলেন। এতে দুটো লাভ। একদিকে মেধা না থাকলেও একটা সুন্দরী মেয়ে পেলেন। অন্যদিকে ব্যাংকের জামাই হয়ে গেলেন। প্রমোশন নিয়ে আমাদের মত নাকানি চুকানি খেথে হবে না। ..তবে মেয়েটা কিন্তু দারুণ সুন্দর। মানাবে আপনাকে।
- বাদ দেন তো এসব। ছাত্রীকে বউয়ের জায়গায় রেখে ভাবতে আমার ভালো লাগেনা। শিক্ষকের মর্যাদা বলতে কথা। বিষয়টা পাশ কেটে যেতে চাইলাম। কিন্তু সেকান্দর নাছোড় বান্দা। আবারও শুরু করলেন,
- বাদ দেয়ার কি আছে? শুনুন।
....এবার সেকান্দর সাহেব আমাকে হাত ধরে টেনে পাশের রুমে নিয়ে গেলেন। বললেন,
- আমি বিয়ে কিভাবে করেছি জানেন?
- না।
- সে এক ব্যতিক্রমধর্মী ইতিহাস। মনে হয় এ জগতে এমন কাহীনি দ্বিতীয়টি নেই।
চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াবস্থায় এক মেজিস্ট্রেটের মেয়ের সাথে প্রেমে জড়িয়ে গেলাম। দেশের বাড়ী ফেনী। একেবারে তুফান প্রেম। টুয়েন্টি ফোর আওয়ারস অন লাইন্। মানে চব্বিশ ঘন্টাই ওকে নিয়ে ব্যস্ত। জীবনের প্রথম প্রেম। মনে হয় ওকে না পেলে আমার জীবনে কিয়ামত নেমে আসবে। তাই বিষয়টাকে সিরিয়াসলি নিয়েছি।
মাস্টার্স শেষ করতেই ব্যাংকের চাকুরীটা পেয়ে গেলাম। ...কয়েক মাস পরের কথা। প্রেমের দীর্ঘসুত্রিতা আর ভাল লাগেনা। বড় অসহ্য। তাই মেয়ের মা-বাবার কাছে বিয়ের প্রস্তাব পাঠালাম। বলা হল, ছেলে মাষ্টার্স পাশ। জনতা ব্যাংক রিয়াজুদ্দীন বাজার শাখায় ম্যানেজার হিসেবে কাজ করে। সম্মতি পেলাম । এবার ওরা আমাকে দেখতে আসবে।
দিন তারিখ ঠিক হল। কর্মস্থলেই দেখার ইচ্ছে। অফিসের ম্যানেজার সাহেবকে আমার প্রেমের জটিল বিষয়টা খূলে বললাম। হৃদয়ের অনুভুতিটুকুও স্যারকে জানালাম। বললাম, স্যার ওকে বিয়ে করতে না পারলে ও মারা যাবে। একটা মেয়ের জীবন বাচাঁনো ফরজ।
কাহীনি শুনে স্যার কিছুক্ষণ হাসলেন। বললেন, আপনি দেখছি বড় মজার মানুষ। বাপরে বাপ। এ যেন প্রেম করে অভিনয়ের মাধ্যমে বিয়ের এক রোমাঞ্চকর কাহীনি।
বললাম, স্যার আমাকে যেদিন মেযের পক্ষ দেখতে আসবে, কাজের ভান করে আপনি অন্য কোথাও চলে গেলে খূব ভাল হয়। ব্যাংক এম্প্লয়িজ ইউনিয়নে সক্রীয়ভাবে জড়িত বলে স্যার আমার বিষয়টাকে এড়িয়ে যাননি। সম্মতি দিয়েছেন।
আজ আমাকে কনে পক্ষ দেখতে আসবে। সাজ সকালেই অফিসের সব ষ্টাফ আর দারোয়ানকে বিষয়টি রেখেছি। এ পর্বে অভিনয় করার জন্য সবাই মনের খুশীতে প্রস্তত হয়ে গেল। আজ একদিনের জন্য আমি এ অফিসের বস।
সকাল দশটা। ওরা আমাকে দেখতে এসেছে। আমি আমার সীটে নেই। বস সেজে ম্যানেজারের রুমে বসে আছি। ফেনী থেকে এসেছে বলে একটু বিলম্ব হয়ে গেল। অফিসে ঢুকতেই দারোয়ানকে আমার নাম জিজ্ঞেস করল। শূনেই দারোয়ান বুঝতে পেরেছে, এখনি অভিনয়ের পালা। বাস। শূরু হয়ে গেল আতিথেয়তা। চোখের ইশারায় অন্যদেরকে জানান দেয়া হল।
ওরা আমার অফিসের দিকে আসছে। সব কর্মচারী-অফিসার সালাম দিয়ে ওদের অভ্যর্থনা জানাল। দারোয়ান আমার হবু শ্বশূর পক্ষকে গার্ড অব অনার দিয়ে সোজা চেম্বারে নিয়ে আসল। সাদরে গ্রহন করে কলিং বেল চাপলাম।দুর থেকেই আহমদ স্যার বলে চীৎকার দিয়ে দৌড়ে আসল। স্যার... চা কপি মিষ্টি....। গম্ভীর কন্ঠে অর্ডারটা দিয়ে দিলাম।
এবার শুরু হল কর্মচারীদের আনাগোনার পালা। খামোখা কাগজপত্র নিয়ে চেম্বারে আসা যাওয়ার ভীড়। ওরা জানতে চাচ্ছে
- স্যার এটা কিভাবে হবে? স্যার এত লক্ষ টাকার এলসিটা..।
- ওকে অনুমোদন দিয়ে দিন।
- স্যার এখানে আপনার একটা দস্তখত.. ।
- বিদ্যুতের গতিতে সাইনটা করে উপদেশ দিয়ে বিদায় দিলাম।
হবু শ্বশুর তম্ময় হয়ে দেখছে। এতক্ষণে বুঝতে বাকী নেই যে, জামাই বড় ব্যস্ত মানুষ। অফিসের ম্যানেজার। বেশীক্ষণ বসা যাবেনা। হালকা চা নাস্তার পর্ব সেরে নিজেরাই বিদায়ের জন্য উঠে গেল। .... এভাবেই আমার অভিনীতি প্রেমের বিয়েটা হয়ে গেল।
- পরে শ্বশুর পক্ষ বিষয়টা জেনে রাগ করেনি? জানতে চাইলাম।
- বউ আমার সাথে এ অভিনয়ে পুরো সমর্থন দিয়েছে। কাজেই বিয়ের পর শ্বশুর বাড়ী জাহান্নামে গেলে আমার কি আসে যায়! আমার বউ ঠিক আছে। এটাই যথেস্ট। যা হবার তাতো হয়েছে। সামাল দিয়েছি। মেয়েকে নিয়ে ভেগে যাবার চেয়ে এ্টা উত্তম নয়কি?
- বস। আপনিতো দেখছি এ ব্যাপারে মহাপন্ডিত। সত্যিই আপনার কাছে অনেক কিছু শেখার আছে। এখন থেকে আপনি আমার গুরু।
- হুম। সেকান্দর সাহেব কি জিনিষ, এতক্ষণে বুঝলেন!
সেকান্দর সাহেব খুব চটপটে লোক। কোন কিছু লিখতে গেলে কলম ১২০ মাইল স্পীডে চলে। হাতের ধাক্কায় শরীরের সাথে টেবিল চেয়ারও কাঁপে। লিখার সময়ে মাথাটা ৪৫ ডিগ্রীতে বাকা করে ঠোঁট দুটো নাড়াতে দেখে মনে হয়, কাগজের সাথে সিরিয়াস যুদ্ধ চলছে।
সেকান্দর সাহেবের সমস্যা একটাই। বেশী কথা বলে। কথা এত দ্রুত বলে। অনেকটা কেসেট প্লেয়ারের মতই। মুখে ভঙ্গীমা দেখলে মনে হয় রেকর্ড করা কেসেট বাজছে।
অন্য একদিনের কথা। সেকান্দর সাহেব অনেক কথাই বলছিলেন। বেশী কথা বলতে দেখে সেকেন্ড অফিসার খায়ের সাহেব বললেন,
- সেকান্দর সাহেব, আপনি কি পাগল হয়ে গেলেন? এত কথা...।
- জৗী স্যার। আমি আসলেই পাগল। তবে আপনি ও পাগল। দুনিয়াতে আমরা সবাই পাগল।
খায়ের সাহেব হঠাৎ অপ্রস্তুত হয়ে গেলেন। একজন অফিসারকে সব ষ্টাফের সামনে পাগল বললে মাইন্ড করারই কথা। নিজেকে সামলিয়ে নিয়ে তিনি আবারও জানতে চাইলেন,
- আচ্ছা বলুনতো, আমি কি ভাবে পাগল?
- স্যার। এ দুনিয়ায় কেউ বউয়ের পাগল, কেউ টাকার পাগল, কেউ সিনেমার পাগল। কেউ খেলার পাগল। স্যার একটা জিনিষ কি খেয়াল করেছেন যে, আমি, আপনি, আমরা সবাই এসব কোন না কোন একটা কিছুর পাগল।
... আপনার সাথে আর পারা যাবেনা বলেই খায়ের সাহেব হেসে সম্মতি জানালেন।
(চলবে)
বিষয়: বিবিধ
১৬৮৫ বার পঠিত, ৬৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
একটা জিনিস শিখলাম, পাত্র দেখতে হলে হঠাৎ করে যেতে হবে
আপনার লিখা নাজুর গল্প থেকে অনেক কিছু জানলাম ও শিখলাম। ধন্যবাদ উকি দিয়ে যাবার জন্য।
তখনও সংসারী হইনি- আমিতো বাঁচার পথ খুঁজছি- আল্লাহতায়ালার কাছে খুব চাইলাম এ থেকে বাঁচার একটা উপায় যেন পাই...
হঠাত করেই বসের স্ট্যান্ড রিলিজ অর্ডার, মাঝে একদিন বাদে নতুন জায়গায় জয়েন করতে হুকুম!!
আমিও বেঁচে গেলাম!!
ধন্যবাদ।
বুঝলাম না আপনার "কুম্বদিনা কুলে উঠায়েন না" এর মানে। বলবেন কি দয়া করে? ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ। আপনার ব্লগ বাড়ীতে ঘুরে এসেছি।
মাইন্ড লইয়েন না, গুরু বলায়। আপনি তো সেকান্দার সাহেবকে গুরু বলা শুরু করেছেন, তাই আমিও আপনাকে গুরু বলা শুরু করলাম।
আপনার ব্লগ বাড়ীতে গিয়েছিলাম। কবিতার কয়েকটি লাইন দারুণ লেগেছে।
"স্বাধীনতা পেয়েও যেন পাইনি স্বাধীনতা
আজও কেন পরের কাছে নত হচ্ছে মাথা!"
ভালা লাগার কবিতা। কবিতাকি নিয়মিত লিখা হয়?
তোমার স্মৃতিতে
হয়তোবা ধুসর আয়না।
তবে, বিন্দু বিসর্গ কোনটাই আমি ভুলতে পারিনি।
আপনার স্বল্প শব্দের কবিতার ভাবনাগুলো অনেক সুন্দর।
আচছা আপনি কোথায় থাকেন জানতে পারি?
ভাইজান, কবিতার ভাষায় আপনার প্রবাস ফেরত অতপর দেশের পরিস্থিতির বর্ননা সত্যিই চমৎকার। আমি অভিভূত হলাম।
বাস জীবন সাঙ্গ করে এলাম ফিরে ঘরে৷
অবাক চোখে তাকাই শুধু, বদলে গেছে দেশ,
সকল কিছু নতুন লাগে, আগের নাহি লেশ৷
শহর জুড়ে দালান কোঠা, হাল ফ্যাসানের বাড়ি
চাষের জমি খেয়েছে গিলে আকাশ ছোঁয়া বাড়ি,
ধন্যবাদ আ্ড্ডায় আপনার অভিজ্ঞতা বর্ননা করার জন্য। বর্তমানে কোথায় কর্মরত আছেন?
আমাদের এক বন্ধুর অভিজ্ঞতা, তার ভাষায়ঃ
দুটো ছাত্রীকে পড়াতাম। বড়টা সারাক্ষণ ড্যাব ড্যাব করে আমার দিকে চেয়ে থাকত। বাধ্য হয়ে একদিন প্রস্তাব দিয়ে দিলাম। শুনে মেয়েটি আমাকে না বলল। বুঝলাম এটা তার অভ্যাস।
ধন্যবাদ এ ব্লগ বাড়ীতে কিছু সময় দিয়ে যাবার জন্য।
আচছা ঐ ঘটনাটা কি আপনার ছিল?
আল্লাহই ভালো জানেন। যত তাড়াতাড়ি এই কালচার যাবে ততোই ভালো।
আর সবজান্তা শমশের সবসময়ই মহাসমস্যা।
দুটি পর্ব একসাথে পড়েছি.....
পড়েরটির মন্তব্য রেডি করবো চলি....
ধন্যবাদ...
অসম্ভব লিখনী শক্তি আপনার। জয় হোক প্রতিভার।
ভালো লাগতেছে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন