রঙ্গের মানুষ - (পর্ব-৩)
লিখেছেন লিখেছেন প্রবাসী মজুমদার ০৯ মার্চ, ২০১৪, ০৬:১৯:১৩ সন্ধ্যা
দেখুন (পর্ব-২)
প্রথমেই প্রশিক্ষণ নেয়ার জন্য আমাকে বসিয়ে দেয়া হল সিনিয়র ক্লার্ক "উষা দেবীর" সাথে। দেবী খুব শান্ত শিষ্ট মিস্টি ভাষী। রুপের দিক থেকেও অনেকটা দেবীর মতই। চেহারার লাবন্যতা দৃস্টি কেড়ে নেয়ার মত। তবে উশৃঙ্খল নয়।
ব্যাংকে যে কোন মক্লেল আসলে আগে উষা দেবীর কাছে ধরনা দিতে হয়। টাকা জমা দেয়া কিংবা উঠানোর জন্য এখানে এসে আগে নথিভুক্ত করতে হয়। রেকর্ড করার পর উল্টো দিকে সিল মেরে লেজার ডিপার্টমেন্টে পাঠিয়ে দেন। হিসেবের খাতায় পোষ্টিং হয়ে অফিসারের অনুমোদন প্রাপ্ত হয়ে ক্যাশিয়ারের ডেস্কে চলে যায় টাকা প্রদান করার জন্য। বাস।
উষা দেবীর রেকর্ডিং আর সীলসহ সার্বিক কাজকে ব্যাংকের ভাষায় "টোকেন স্ক্রল" বলে। আমি এটার উপর প্রশিক্ষণ নিচ্ছি। দেবী আমার শিক্ষিকা। ভাবতে ভাল লাগারও কথা। কারণ, পুরষ প্রশিক্ষকের ছেড়ে মহিলা প্রশিক্ষক তুলনামুলকভাবে অনেক দিকে থেকে উত্তম। জাতগতভাবে মেয়েরা নম্র স্বভাবের। উপরন্তু তাদের মাঝে সব সময় এক ধরনের মমতা কাজ করে। নেগেটিভ পজেটিভের রিএ্যাকশনে পজেটিভ ফলাফলটাই বেশী হয়। এরা সহজে রাগ করেনা। রাগ হলেও সুন্দর চেহারার দিকে তাকালে মনে হয় এটি রাগ নয়, ভালবাসার অভিমানুসুলভ আচরণ। সত্যিকারার্থে এদেরকে রাগ নামের স্বভাবটি মানায়না। হয়তবা মায়ের জাত বলেই এমন।
কলেজ পড়ুড়া ক্লাশমেইট বেলালের সাহচার্যে শেখা কিছু গুরুত্বপুর্ন টিপস আজ আমার জন্য বড় পাথেয়। সে নাকি তার গৃহশিক্ষক কতৃক "প্রশংসার গোপন রহস্য" উপর বিশেষভাবে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত। অসমাপ্ত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এ ছাত্রকে মাঝপথে তার শিক্ষক থামিয়ে দিয়ে বলেছিল,
-বাবা। তোমাকে আমার আর শেখানোর দরকার নেই। কারণ, তুমি দেখছি আমার চেয়েও অনেক অগ্রগামী। বেলালের সাথে চলতে গিয়ে অনেকটা তাই মনে হয়েছে। সিলেবাস বহিভূর্ত এ বিষয়টি যে কত গুরুত্বপুর্ন তা জীবন চলার প্রতিটি পদে হাড়েঁ হাঁড়ে টের পাই।
বেলালের গতিবিধি আর জটিল সময়ের আচরণ আমাকে খুব বিমোহিত করত। অনেকটা মেজিকের মতই পরিস্থিতি সামাল দেয়ার এ কৌশল শিখতে মরিয়া হয়ে উঠলাম। আজ উষা দেবীর সাথে কাজ করতে গিয়ে বেলাল থেকে শেখা কাজগুলো যথাযতভাবে প্রযোগের সময় এেসেছে। টিউশনি আর লজিং মাষ্টারী জীবনে এর প্রযোগে কনফিডেন্স লেভেলটা অনেক শক্ত হওয়াতে বিপাকে পড়ার আশংকাটাও কম। তাই শুরুর কাজটা অনেকটা সহজ মনে হয়েছে।
ব্যাংকে সবাই আমাকে "মজুমদার সাহেব" নামেই ডাকত। আসল নাম বাদ। ক্ষোভ নেই। কারণ "সাহেব" শব্দটা শূনলে এক ধরণের তৃপ্তি কাজ করে। বিভিন্ন কাজে আমার নামটা দিদিকে অসংখ্যবার উচ্চারন করতে হত। একজন সুন্দরী দেবীর মুখে আমার মত জুনিয়ার ষ্টাফের উচ্চারিত নাম অনেকটা ক্ষোভের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শত হলেও মানুষের মন বলতে কথা।
উষা দেবীর ডানে বসে রবি সাহেব। ক্লিয়ারিং ফরওয়ার্ডিং বিষয় গুলো দেখার দায়ীত্ব তার। জুনিয়র অফিসার কাশেম সাহেব বসতেন পেছনে। তিনি এলসি সংক্রান্ত কাজ গুলো দেখতেন। রসিকতায় ভরা বড় রঙ্গের মানুষ তিনি। কথার ছলে সারাদিন হাসি তামাশায় মেতে থাকতেই পছন্দ করতেন।
ব্যাংকে যোগ দেয়ার এক সপ্তাহের মাঝে অন্দর মহলের অনেক কিছুর সাথেই পরিচিত হতে শূরু করেছি। পঞ্চম দিনের মাথায় কাশেস সাহেব আমার দিকে রসালো একটা শব্দ ছূঁড়ে মারলেন। তখন উষা দেবী বাথরুমে গিয়েছে।
- মুজমদার সাহেব। আপনার চাঁদ কোপালটা আমার দিকে একটু এগিয়ে দিন। ঠাঁসাই একটা চুমা দেই।
- কেন স্যার? প্রশ্ন করলাম।
- বুঝেননা ক্যান? লাইলীর সহকারীকে চুমা দেয়ার মাঝেও এক ধরনের তৃপ্তি কাজ করে।
- মানে?
- হাহা। বুঝেন না। দেবীর পাশে বসে কাজ করলে কার মনটা ভাল না থাকে। সারাদিন যেভাবে আপনাকে মজুমদার সাহেব, মজুমদার সাহেব বলে ডাকে, এক সময়তো আপনি ওর কলিজাই দখল করে বসবেন দেখছি।
প্রথমে কিছুটা লজ্জা বোধ করলাম। মনে মনে ভাবলাম, সব দেখছি অভিজ্ঞতা সম্পন্ন "প্রেম-রসিক"। যাক, এসব জ্ঞানী লোকদের থেকে শেখার অনেক কিছু আছে। চারিদিকে চোখ বুলিয়ে দেখলাম, সবার মুখে মুচকী হাসি। নিজেকে আর একটু সহজ করে নিয়ে উত্তর দিলাম।
- দোয়া করবেন স্যার। সব্ই আল্বাহর ইচ্ছা আর আপনাদের দোয়ার বরকত। এবার সবাই অট্রহাসিতে ফেটে পড়ল। সাথে আমিও শেয়ার করলাম।
উষা দেবী এসব মাইন্ড করেনা। এত সব মাইন্ড করলে মহিলাদের পক্ষে অফিসে আদালতে কাজ করা সম্ভব নয়। সভ্যতার ভাষায় এটিকে আধুনিকতা কিংবা উদারতা বলে। তাই এসব তামাশায় দেবী মুচকী হাসি ছূঁড়ে দিয়ে কেটে পড়ে।
আমার পাশে বসা রবি সাহেব বললেন, মাইন্ড করবেন না মজুমদার সাহেব। এখানে আমরা একটি পরিবারের মতই। একটানা ৮-১০ ঘন্টা অফিসের চার দেয়ালের মাঝে কাটাতে গিয়ে এক ঘেয়েমি লাগে। হাঁফিয়ে উঠি। তাই সময়টাকে প্রাণবন্ত করে তুলতে সবাই মিলে একটু হাসি তামাশায় মেতে উঠি। এখানে কাষ্টমারের সামনে আমরা সবাই বস, স্যার। কিন্তু ভেতরে সবাই এক অপরের ঘনিস্ট বন্ধূ। আপনিতো এসেছেন মাত্র। শুধু শুরুটাই দেখলেন। সামনে আরও অনেক কিছু দেখবেন। ভাল লাগবে।
বড় ভাই ব্যাংকের এম্প্লয়িজ ইউনিয়ন লিডার। চট্রগ্রাম বিভাগের সেক্রেটারী। আজিজ আর চৌধূরী নামে দুটি এপ্লয়ীজ ইউনিয়ন আছে। বড় ভাই চৌধুরী গ্রুপের লোক। ব্যাংকের এ শাখার অনেকেই চৌধুরী গ্রুপকে সমর্থন করে। কারণ জানতে চাইলে বলল, ও নাকি কর্মচারীদের স্বার্থ আদায়ে বেশী সোচ্চার।
বড় ভাইয়ের অতি ঘন্ষ্টি সেকান্দর সাহেবের ভাষায়,
"মজুমদার সাহেব। আপনি সম্পকে আমার ছোট ভাই। আপনার বড় ভাই মনির সহ আমরা এক সাথে আন্দোলন করি। আপনার চাকুরীটা নাটকীয়ভাবে কিভাবে হয়েছিল জানেন?
- না। কিভাবে? জানতে চাইলাম।
- হাহা। ব্যাংকের চাকুরী পাওয়াটা চাট্রিখানি কথা নয়। কিন্তু আপনার নিয়োগটা ছিল অনেকটা পানি ভাতের মত।
- মানে?
- মানে হল। কয়েকমাস আগের কথা। জনতা ব্যাংক আগ্রাবাদ কর্পোরেট অফিসে ঢাকা থেকে বড় কর্মকর্তা এসেছিলেন। আমরা চৌধুরী গ্রুপ কিছু দাবী দাবা নিয়ে তার কাছে যাই। কথোপকথনের এক পর্যায়ে বড় বসের মাথা গরম হয়ে যায়। তিনি হঠাৎ করে কিছু আপত্তিকার কথা বলে ফেললেন। বাস।আমাদের বিভাগীয় নেতা চৌধরী সাহেব সিরিয়াসলি ক্ষেপে গেলেন। শুধু তাই নয়। অনেকটা মারমুখী হয়ে গেলেন। আর চৌধুরী সাহেব ক্ষেপে যাওয়া মানে কিল আর লাথি ঘুষির সিরিয়াস ব্যবহার। ভয়ে বড় বস পাশের রুমে গিয়ে ঢুকলেন। আর তাকে রক্ষা করতে আপনার বড় ভাই মনির আর আমি সাহায্যর হাত বাড়িয়ে দিলাম।
ঢাকা গিয়ে বড় বসের মন্তব্যটা ছিল এমন যে, ভাগ্যীস। মনির আর সেকান্দর না থাকলে আমাকে চট্রগ্রাম থেকে আহত হয়ে ফিরতে হতো।
- আপনার চাকুরীর ইন্টারভিউ হওয়ার পর মনির ঐ বড় বসের সাথে দেখা করে বলেছিল, স্যার আমার ছোট ভাইটা ব্যাংকে ইন্টারভিউ দিয়েছে। স্যার শুধু বললেন, আমাকে নাম্বারটা দিয়ে যান। চাকুরী হয়ে যাবে। নিশ্চিত থাকুন।
- হুম। তাহলে আমার চাকুরীটা মামুর জোরে হয়েছিল।
- অনেকটা তাই, সেকান্দর সাহেব জবাব দিলেন।
সুতরাং মনির সাহেব আমার বড় ভাই হলেও চাকুরী পাওয়ার দিক থেকে তিনি আমার জগতের "মামু"ও বটে।
- হাহা। আপনিতো দেখছি বড় রসিক মানুষ মজুমদার সাহেব। সিরিয়াসলি কাজ করুন। সিড়ি দিয়ে উপরে উঠতে বেশী সময় লাগবেনা।
মামুর ছোট ভাই হওয়ার কারণে আমার জন্য অনেক কিছুই সহজ হয়ে গেল। সবার বাড়তি সহযোগীতার হাত পেতে শুরু করলাম।
ব্যাংকে চাকরীর বয়স দু সপ্তাহ হয়ে গেল। একদিন শনিবার সকালে ম্যানেজার সাহেব আমাকে চেম্বারে ডেকে নিলেন। সামনে বসিয়ে বড় ভাইয়ের সাথে তার সম্পর্কের কথা বললেন। আরও জানালেন
- আমি আপনার বড় ভাই মনিরকে খুব ভালবাসি। আপনি আমার শাখায় যোগদান করাতে আমি খুব খূশী হয়েছি। কোন সমস্যা হলে আমাকে বলবেন। সমস্যা নেই।
কথা বলতে বলতে স্যার জানতে চাইলেন, আমি পড়ালিখা কতটুক করেছি?
- বি, এস. সি. পরীক্ষা দিয়ে আসলাম মাত্র স্যার।
- তাহলেতো ভালই হল। আমার ছোট মেয়ে বিপু। পড়ালিখায় একেবারে ডাব্বা। বিশেষ করে অংকের অবস্থা খুবই খারাপ। খাস্তগীর স্কুলে পড়ে। নবম শ্রেণীতে। রোল নাম্বার মনে হয় ত্রিশ এর বেশী হবে। দিন দিন আরও বাড়ছে। কি যে করি বুঝে উঠতে পারছিনা।
- স্যার। ও কি কোথাও প্রা্ইভেট পড়ে?
- না। কারণ আমার বাসাটা ষোল শহর গেট পার হয়ে ডানে
প্রায় এক কিলোমিটার যেতে হয়। পাহাড়ের উপর বাসা। ওখানে পড়াতে কে যাবে? দ্বিতীয়ত, এতদুর হতে প্রতিদিন শহরে এসে পড়াও সম্ভব নয়।
হুম। ম্যানেজার সাহেব ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে নতুন জায়গা কিনে পাহাড়ের উপর বাসা বানিয়েছেন। এত দুরে পড়াতে যাবেইবা কে? ভাবছি - নতুন চাকুরী। স্যারের সাথে প্রথম পরিচয়ে পরিবারের ভেতরের কথাগুলো শেয়ার করায় নিজেকে আর একটু জড়িয়ে নিলাম। কোন মানুষ তার অন্দর মহলের কথা কারো সাথে শেয়ার করলে, মনের অজান্তেই ঐ লোকটা তার অনেকটা কাছের মানুষ হয়ে যায়। আমিও তাই ভাবছি। চাকরীর স্বার্থে স্যারকে সহযোগীতা করা প্রয়োজন ও বটে। পথ খুঁজছি স্যারের আরও ভেতরে ঢুকে যাবার জন্য।
- আচ্ছা স্যার। বিপু কোন বিভাগ নিয়েছে?
- বিজ্ঞান।
- ও অংকে ভালনা। তারপর ও বিজ্ঞান বিভাগ কেন নিল?
- ওর বান্ধবীরা সবাই বিজ্ঞান বিভাগে নিয়েছে। তাই্
ভাবছি, কি করা যায়। এমন সময় ম্যানেজার সাহেব আমাকে আবারও বলতে শুরু করলেন,
- আচ্ছা মজুমদার সাহেব। আপনি তো বি. এস. সি, পড়ে আসছেন। অঙ্ক আর বিজ্ঞান আপনিই বেশী বোঝেন। তাও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে। অনেক নামকরা কলেজ। আমার মেয়েটাকে কি সময় করে সপ্তাহে অন্তত দু একদিন পড়ানোর কোন সুযোগ আছে?
চিন্তায় পড়ে গেলাম। স্যার বড় ভাইয়ের কাছের লোক। আমার কর্মস্থলের বড় কর্মকর্তা। জীবনের প্রথম চাকুরী। ক্যারিয়ার গঠনে স্যারের সহযোগীতা পদে পদে প্রয়োজন। আবার স্যারের বর্ননানুযায়ী বাসার যে দুরত্ব, আসা যাওয়ায় পায়ের নলি সব শুকিয়ে যাবার কথা। (চলবে)
বিষয়: বিবিধ
১৬৩১ বার পঠিত, ৬৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনার ব্লগে অনুভূতিতে কেরোসিন ঢেলে আসলাম।
মামু চলতে থাকুক।
তবে বিয়ের ইন্টারভিউ নিয়ে এতকিছু লিখলেন কিন্তু চাকরির ইন্টারভিউ এর অভিজ্ঞতা টা ডিটেইল লিখলেননা।
লজিং মাষ্টারের কথা আপনার মনে আছে জেনে খূশী হলাম।
ধন্যবাদ নিত্য সাথে থাকার জন্য। আপনাদের সাথে থাকতে দেখলে আমার শব্দ বুননের কাজটি ভাল হয়। ধন্যবাদ।
মনে হচ্ছে সাবলীলভাবে পড়তে গিয়ে মনের অজান্তের এ লিখার পাঠক ক্যারিয়ারের টিডবিটস ও সাথে ইন্টারএ্যাকশানের টিপস পেতে থাকবে।
ভাল লাগছে। ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ এ ব্লগ আড্ডায় দেবীর সাথে পরিচিত হওয়ার জন্য।
আর কি যে বলেন ভাই, আপনাদের ওয়ালে এসে চুপচাপ পড়ে যাই। মন্তব্য করার সাহস পাইনা। নতুন মানুষ আমি এখানে। কখন কোথায় ভুল করে ফেলি কে জানে।
মামুর ঠেলায় নওকরী ঝুঠলো কপালে, ভাগ্যগুণে সহকর্মী পেলেন সুন্দরী উষা দেবী, বসের বধান্নতায় পেয়ে যাচ্ছেন টিনএজ ছাত্রী পড়ানোর অপার!!!
এইরম চান্দু কপাল কতজনের ভাগ্যে জোটে রে ভাই? আছি আপনার সাথেই। চলুক ধারাবাহিভাবেই।
আদর্শ শিক্ষকতো। তাই মেয়েদের আনাগোনা বেশী। ধন্যবাদ।
মজুমদার সাহেব খেয়াল রাখবেন কিন্তু। অফিসে মামু আছেন আর বাহিরে ....... আগামীতে ...
চিন্তায় পড়ে গেলাম।
আহারে নতুন চাকুরী নেয়ার পড় কি টেপ রেকর্ডার সাথে রেখেছিলেন?
কেনো?
বেতন? বেতন কত??
চৌদ্দ গুস্টিটে মনে হয় চেনা পরিচয় হয়নি, কথা হয়নি সবাই একি কথা। বেতন কত? বেতন কত?? বেতন কত?? ইশ.....মহা ফাপর যাক পরবর্তী পর্ব মনে হয় অগ্রীম বলে দিলাম। কি যে বিরাম্বনা। ভাই আমার বেতন দিয়া তোমার দরকারটা কি??
জানিনা এই অহেতুক প্রশ্ন করে আরেকজনকে বিব্রত করার মানে কি??
ভাইয়া একটু টিপস দিবেন এই বিড়াম্বনা থেকে কিভাবে রক্ষা পাই??
আমি পোষ্টটি লিখলে অবশ্যই এই ট্রেনিং সেশন এর অপ্রয়োজনীয় কথাকপোথন এড়িয়ে যেতাম।
পড়ের পর্বের অপেক্ষায়? ?
একটুকরা ধন্যবাদ।
তবে বৌদের না বলে উপায় নেই। নাছোড় বান্দা। সে আবার অন্যকে বলে বেড়ায়। ও জাননা যে এটি দিয়ে অপদার্থরা সামাজিক মর্যাদা নির্নয় করে।
ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য।
ভাইজান কি ঘরজামাই হয়ে গিয়েছিলেন নাকি?
সাথেই আছি।
মন্তব্য করতে লগইন করুন