রঙ্গের মানুষ - (পর্ব-১)
লিখেছেন লিখেছেন প্রবাসী মজুমদার ০৬ মার্চ, ২০১৪, ০২:২০:২৫ দুপুর
দেখুন পর্ব-২
মার্চ, ১৯৮৭ সাল। চাকুরীতে যোগ দিয়েছি মাত্র। কর্মস্থল -জনতা ব্যাংক, রিয়াজুদ্দীন বাজার শাখা। চট্রগ্রাম। আজ থেকে প্রায় ২৭ বছর আগের কথা।
আজ ৬ই মার্চ। সাল ২০১৪। কর্মময় জীবনের ২৭ বছর শেষ করলাম মাত্র। তীরহারা জীবনের দীর্ঘ এ পথ পাড়ি দিতে গিয়ে প্রয়োজনের তাগীদে নোঙ্গর ফেলতে হয়েছে অনেক ঘাটে। রাত পোহাবার আগেই আবারও ছুটে চলেছি গন্তব্যর দিকে। কখনও কখনও পথ চলাকে প্রাণবন্ত করে তুলতে গেয়ে চলেছি - তীর হারা এ ঢেউয়ের সাগর পাড়ি দেবরে....। সাগরের ওপারে সুখের নীড় গড়ার প্রত্যাশায় স্বপ্ন বিভোর হয়ে চলেছি বিরামহীন যাত্রার মধ্য দিয়ে। এর মাঝে বিক্ষুব্ধ সাগর থেকে ধেয়ে আসা ঢেউয়ে পাল ছিঁড়ে গেছে অনেকবার। কিন্তু জীবন থেমে থাকেনি। বাঁচার তাগীদে বার বার আশায় বাধঁ বেঁধেছি। জোড়া তালি দিয়ে আবারও পাল তুলেছি স্রোতের বিপরীতে। কত সহস্র বার ভেজা কাপড় প্রকৃতি শুকিয়ে দিয়েছে। সে দিকে খেয়াল নেই। লক্ষ্য, আমাকে যে ওপারে যেতেই হবে। মঞ্জিলে পৌঁছার এ পিচ্ছিল পথে এসেছে হাজারো বাঁধা আর ভয়। অনাকাঙ্খিত অশনি সংকেত। পরিস্থিতি সামাল দেয়ার জন্য কখনো বুকে অদম্য সাহস নিয়ে এগিয়েছি। কখনো বুকে ফুঁ দিয়ে দোয়া কালেমা পড়ে হাঁটি হাঁটি পা পা করে এগিয়েছি ভীত সন্ত্রস্ত হৃদয়ে। আবার কখনও ভয় কেটে উঠতে অনুশীলনহীন এ গলায় সুর তুলেছি ভাটিয়ালী কিংবা পল্লীগীতি গানের। ফেলে আসা যাতনার স্মৃতিদের যাবর কাটঁতে কাঁটতে এভাবেই পার করে দিযেছি জীবনের ২৭ টি বছর।
আজকের এ বাস্তবতায় অতীত স্মৃতির দিকে দৃষ্টি ফেললে মনে হয় "সময়. . . ফুরালে মনে হয় সব অভিনয়। দীর্ঘ পথের এসব না বলা কথা আর সুর নিয়েই নতুন সিরিজের নাম দিয়েছি "রঙ্গের মানুষ"। এতে উঠে আসবে দর্শকের গ্যালারী থেকে চোখে দেখা কর্মময় জীবনের স্মৃতি বিজড়িত হাজারো ভাল-মন্দ, ঘোষ-খোর, অমানুষ নামের বিচিত্র চরিত্রের লোকদের অভিনীত তিক্ত-অভিজ্ঞতা।
২৭ বছরে দেশ-বিদেশে সর্বমোট ১২টি কোম্পানীতে কাজ করার সে সব হাসি-তামাশা আর বেদনায় ভরা না বলা কথা নিয়ে লিখা "রঙ্গের মানুষ" সিরিজের সাথে প্রিয় ব্লগাররা থাকবে, এ প্রত্যাশায় --
প্রবাসী মজুমদার
জেদ্দা,
বিষয়: বিবিধ
১৬০৩ বার পঠিত, ৭৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
তবে সিরিজটিতে প্রাণবন্ত অনেক কিছুই থাকবে। চাকুরী জীবনের এসব অভিজ্ঞতা নতুনদের চলার জন্য পাথেয় হতে পারে।
রঙ্গের মানুষদের নিয়ে আপনার রঙ্গীন লেখা পড়ার অপেক্ষায় আমিও একজন ।
এসেছ বলে হেসেছি প্রিয়
নিত্য এস আডডায়,
এখানে সবাই বড় আপন যারা
মনের মাধূরী দিয়ে গায়।
এসে হই বিভোর,
বাকহীনের মত ভাবি কি লিখবো
মিলেনা ছন্দ মোর।
হাজিরা দেবার আশ্বাস পেয়ে ধন্য হলাম।
স্মৃতি বিজড়িত কর্মস্থলের বাসিন্দাকে ধন্যবাদ। ব্লগের এ তুফান আড্ডায় থাকার কমিটমেন্ট রেখে যাবার জন্য ধন্যবাদ।
ভাল লাগল আপনার ব্লগ আঙ্গিনায় তৃপ্তি ভরা মনের কথাগুলো পড়ে।
ধন্যবাদ আমার এ আত্মজীবনীর সাথে থাকার অগ্রীম অঙ্গীকারে।
ধন্যবাদ এ আঙ্গিনায় আপনার পদচিহ্ন রেখে যাবার জন্য।
দেরি করলেও রাহ'বার সাথেই আছে আপনার ইনশাআল্লাহ ।
পড়ের পর্বে চললাম.....
পর্বগুলো অনেক কাজে আসবে ইনশাআল্লাহ ।
আমি ও আছি। ধন্যবাদ।
প্রত্যাশার জায়গাটা আমাদের অনেক। হয়তো আপনার অবস্থান থেকে সেটা সম্ভব নয়। কিন্তু মনে হয় কখনো কখনো সত্যি মজুমদার তার মনজিল থেকে দুরে সরে যাচ্ছে। আবার কখনো মনে হয় - ইচ্ছার ঘুড়ির নাটাইটা অন্যের হাতে। এ সবই প্রত্যাশার সাথে না পাবার অভিব্যক্তি।
আগামী পর্বে আবার।
ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন