মনস্তাত্বিক যুদ্ধ ও আমাদের করণীয়
লিখেছেন লিখেছেন প্রবাসী মজুমদার ২৩ জানুয়ারি, ২০১৩, ১১:৫২:৩৩ সকাল
যুদ্ধাপরাধী বিচার প্রসঙ্গে যারা স্বাক্ষী দিচ্ছে, তার উপর ভর করে যেসব বিচারক রায় দিচ্ছেন কিংবা যারা টেলিভিশন বা পত্রিকায় রায়ের পক্ষে কথা বলছেন, এটিকে মুল্যায়ন করার জন্য দেখতে হবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিশ্বাসের ভীত কোন দিকে। বট গাছে যেমন কাঁঠাল আশা করা যায়না, তেমনি পাশ্চাত্য চিন্তা চেতনায় বিশ্বাসী ধর্মণিরপেক্ষ মুসলিমদের কাছে ও ন্যায় কথা আশা করা যায়না। মুসলমানদের মাঝে লুকিয়ে থাকা এসব গুপ্তচরদের দ্বারাই ভারতবর্ষে জেগে উঠা ইসলামের সোনালী সুর্যের আলো সোনার বাংলাদেশ পর্যন্ত আসতে দেয়নি। বালাকোটের প্রান্তরেই তা শেষ করে দিয়েছে।
সময়ের বিবর্তনে বালাকোটের প্রান্তরে ইসলামের সুর্য নিভে যাওয়ার পেছনে যে সব মুসলিম নামধারী কলা কৌশলী কাজ করেছিল, আজকের বাস্তবতায় ওদের চরিত্রের হুবহু কপি পেষ্ট লোকগুলো একই সুরে কথা বলছে।
মাওলানা আবুল কালাম আজাদের বিচারের রায় বিচার ব্যবস্থা কিংবা কোন মন্ত্রী বুদ্ধিজীবীর দৃষ্টিভঙ্গী দিয়ে বিবেচনা আত্মঘাতী বৈ কিছুই নয়। আর এ রায়ের পর কার্যকারিতাকে গ্রহনযোগ্য করে তোলার জন্য লোকদের মাঝে মনস্তাত্বিক পরিবর্তনের মহড়া চলছে। এ মহড়ায় কোন সত্যিকারের মুসলিম অংশগ্রহন করতে পারেনা।
এইতো সেদিন যে লোকটির প্রশ্নোত্তর আসর দেখার প্রতীক্ষায় লক্ষ লক্ষ শ্রোতা টিভি সেটের সামনে তীর্থের কাকের মত বসে থাকত, আজকে তাকে ইতিহাসের সবচেয়ে নিকৃষ্ট ব্যক্তি হিসেবে উপস্থাপন করার ঘৃণ্য চক্রান্ত মুলত ইসলামী ব্যক্তিত্বদের হেয় করার শামিল।
তাই আসুন, ইসলামের বিরুদ্ধে সরকার কিংবা তার দোসরদের ঘৃন্য চক্রান্ত রুখে দেয়ার জন্য নিজের বিবেকের আয়নায় বিচার করে কথা বলি।
আল্লাহর দ্বীনের ঝান্ডা যাদের হাতে ন্যস্ত করা হয়ছে, তাদের পেছনে আল্লাহ আছেন, এটি ভুলে গেলে চলবে না। সত্যর জন্য লড়াকু সৈনিকদের মৃত্যু নেই। আজকের বাস্তবতায় এ্যাট মিক যুদ্ধে কোটি কোটি ডলার খরচ করে সৈন্যদের রক্ত ঝরানোর পরিবর্তে ক্ষমতা আর স্বার্থের জন্য নিজেকে বিক্রী করে দেয়ার দালালদের দিয়ে কাজ করা অনেক সহজ। আজ এ দালালদের নেতৃত্বে পরিচালিত আপন ভাইকে চিনার এবং প্রত্যাখ্যান করার সময় এসেছে। দিকে দিকে ইসলামের বিজয়ের সম্ভাবনা দেখে জেগে উঠতে হবে। জামাল নাসের, আনোয়ার শাহদাত, হোসনী মোবারকের প্রেতাত্মাদের চরম পরাজয় থেকে শিক্ষা নিতে হবে।
দেখো চেয়ে আজি জেগেছে মিশর
জিহাদের ডাক ঘরে ঘরে,
রাজপথে নব সীসার প্রাচীর
টলেনি দায়ীরা মরে।
দেখো চেয়ে ঐ 'তাহরিরে' আজি
নেমেছে মানুষের ঢল,
বিজয়োল্লাসে প্লাবিত জনপদ
পরাজিত শাসক দল।
দেখো চেয়ে ঐ মুসার ভূমি
জেগেছে কেমন করে,
কম্পিত হয়ে ফেরাউন যেন
নীল নদে পড়ে মরে।
আগামীকে ওরা চিনিয়ে এনেছে
পথে কাটিয়েছে রাত,
বিপ্লবের দাহে ছেড়েছে নীড়
সয়েছে বাতিলের ঘাত।
শংকা, ঢংকা, দামামা, আমামায়
পরাজিত জাহেলের রাজ,
প্রভূর রাহে নিজেকে সপে
এনেছে সোনালী তাজ।
বিষয়: বিবিধ
১১৭৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন