কদর রজনীর ফযীলত ও করণীয়
লিখেছেন লিখেছেন শান্তিপ্রিয় ১২ জুন, ২০১৮, ০১:২৬:১২ রাত
সম্মানিত পাঠক! দেখতে দেখতে আমরা রমযানের শেষ প্রান্তে চলে এসেছি। অল্প কিছু দিনের মধ্যে পবিত্র রমযান আমাদের কাছ থেকে বিদায় নিবে। যে কয়টি দিন বাকী রয়েছে আমরা যেন এই দিনগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে তার হক আদায় করতে পারি, সেই চেষ্টা করতে হবে।
সম্মানিত উপস্থিতি! আজকের বিষয়: রমযানের শেষ দশকের ফযীলত
মুহতারাম হাজেরীন! পবিত্র রমযান মাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় হলো, ‘শেষ তৃতীয়াংশ’ তথা শেষ দশ দিন।
হাদীসগ্রন্থগুলোতে রমযানের শেষ দশকের অনেক ফযীলত ও বৈশিষ্ট্য বর্ণিত হয়েছে।
(১) এ দশ দিনের মাঝে রয়েছে লাইলাতুল কদর নামের একটি রাত। এ রাতে ইবাদত করলে বিগত জীবনের যাবতীয় গুনাহ আল্লাহ মাফ করে দিবেন: রাসূল (সা.) বলেন:
مَنْ قَامَ لَيْلَةَ الْقَدْرِ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ
যে এ রাতে ঈমান ও ইহতিসাবের সাথে ইবাদত-বন্দেগী করবে তার অতীতের পাপগুলো ক্ষমা করে দেয়া হবে। (বুখারী ও মুসলিম)
(২) রাসূলে কারীম (সাঃ) এ রাতে ইবাদত-বন্দেগীতে বেশি সময় ও শ্রম দিতেন, যা অন্য কোন রাতে দেখা যেত না। যেমন মুসলিম শরীফে উম্মুল মুমেনীন আয়েশা (রাঃ) বর্ণিত হাদীসে এসেছে যে,তিনি এ রাতে কুরআন তিলাওয়াত,জিকির,সালাত ও দোয়ার মাধ্যমে জাগ্রত থাকতেন,এরপর সেহরি গ্রহণ করতেন।
(৩) শেষ দশকে রাসূল নিজে জাগতেন, পরিবারের সকলকে জাগ্রত থাকলে বলতেন:
ففي الصحيحين عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا، قَالَتْ: كَانَ النَبِيُّ صلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - إِذَا دَخَلَ الْعَشْرُ شَدَّ مِئْزَرَهُ، وَأَحْيَا لَيْلَهُ، وَأَيْقَظَ أَهْلَهُ
রমযানের শেষ দশক আসলে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) পরনের লুঙ্গি শক্ত করে নিতেন। রাত্রি জাগরণ করতেন এবং পরিবারের সকলকে জাগিয়ে দিতেন।
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) লুঙ্গি শক্ত করে নিতেন’ কথাটির অর্থ হল তিনি এ দিনগুলোতে স্ত্রীদের থেকে আলাদা হয়ে যেতেন।
রাত্রিজাগরণ রহমানের বান্দাদের বিশেষ গুণ:
আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করছেন: وَالَّذِينَ يَبِيتُونَ لِرَبِّهِمْ سُجَّدًا وَقِيَامًا এবং যারা রাত কাটায় তাদের রবের উদ্দেশ্যে সেজদাবনত হয়ে ও দাঁড়িয়ে।
রাত্রিজাগরণকারীদের প্রশংসা মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বহু স্থানে করেছেন: মহান আল্লাহ বলছেন:
تَتَجَافَى جُنُوبُهُمْ عَنِ الْمَضَاجِعِ يَدْعُونَ رَبَّهُمْ خَوْفًا وَطَمَعًا وَمِمَّا رَزَقْنَاهُمْ يُنْفِقُونَ
‘তাদের পার্শ্বদেহ বিছানা থেকে আলাদা থাকে। তারা তাদের প্রভুকে ডাকে ভয়ে ও আশায় এবং আমি তাদেরকে যে রিযক দিয়েছি তা থেকে খরচ করে।’ (১৬ : সিজদা)
মহান আল্লাহ আরো বলছেন
أَمْ مَنْ هُوَ قَانِتٌ آنَاءَ اللَّيْلِ سَاجِدًا وَقَائِمًا يَحْذَرُ الْآخِرَةَ وَيَرْجُو رَحْمَةَ رَبِّهِ (سورة الزمر (
‘যে ব্যক্তি রাতের বেলা সিজদার মাধ্যমে অথবা দাঁড়িয়ে ইবাদত করে, পরকালকে ভয় করে এবং তার রবের রহমত প্রত্যাশা করে (সে কি তার সমান যে এরূপ করে না)।’ (৯: যুমার)
রাত্রিজাগরণ বিষয়ে হাদীস হতে বর্ণনা:
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিয়মিত রাত্রে জাগতেন ও নামায আদায় করতেন। এ প্রসঙ্গে আয়শা রা. বলেছেন :
عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا، أنَّ النبيَّ صلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَقُوْمُ مِنَ اللَّيْلِ حَتَّى تَتَفَطَّرَ قَدَمَاهُ، فَقَالَتْ عَائِشَةُ: لِمَ تَصْنَعُ هَذَا يَا رَسُوْلَ اللهِ، وَقَدْ غَفَرَ اللهُ لَكَ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِكَ وَمَا تَأَخَّرَ؟! قَالَ: أَفَلَا أَكُوْنُ عبدًا شكُورًا؟ (متفق عليه)
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতের বেলায় নামাযে (এত দীর্ঘ সময়) দাঁড়িয়ে থাকতেন যে, তার পা দু`টো যেন ফেটে যেত। আমি তাকে বললাম,হে আল্লাহর রাসূল! আপনি এমনটি করছেন কেন? অথচ আপনার পূর্ব ও পরের সব গুনাহ মাফ হয়ে গিয়েছে। রাসূল (সা.) বললেন,`আমি কি (আল্লাহর) কৃতজ্ঞ বান্দাহ হব না?’ (বুখারী ও মুসলিম)
রাতের নামাযের তথা কিয়ামুল লাইলের ফযীলত সম্পর্কে অনেক হাদীস আছে। এখানে কয়েকটি হাদীস উল্লেখ করা হলো :
ফরয নামাযের পর রাতের নামাযই উত্তম:
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " أَفْضَلُ الصِّيَامِ بَعْدَ رَمَضَانَ شَهْرُ اللَّهِ الْمُحَرَّمُ ، وَأَفْضَلُ الصَّلَاةِ بَعْدَ الْفَرِيضَةِ صَلَاةُ اللَّيْلِ أخرجهُ مسلمٌ (1163)
আবু হোরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত,রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : ‘রমযানের পর সর্বোত্তম রোযা আল্লাহর মাস মহররমের রোযা ও ফরজ নামাযের পর সর্বোত্তম নামায রাতের নামায।’ (মুসলিম)
রাতের নামায জান্নাতে প্রবেশের কারণ হবে:
عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ سَلَامٍ ] أَنَّ النَّبِيَّ [ قَالَ : أَفْشُوا السَّلَامَ ، وَأَطْعِمُوا الطَّعَامَ، وَصِلُوا الأَرْحَامَ ، وَصَلُّوا بِاللَّيْلِ وَالنَّاسُ نِيَامٌ ، تَدْخُلُوا الْجَنَّةَ بِسَلامٍ. (رواه الترمذي)
আবদুল্লাহ ইবন সালাম থেকে বর্ণিত যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: ‘হে লোকসকল! তোমরা সালামের প্রসার ঘটাও, গরীব দুঃখীদের খাবারের ব্যবস্থা করো। আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা কর এবং মানুষ যখন ঘুমিয়ে থাকে তখন নামায পড়। (এগুলো করে) তোমরা নিরাপদে জান্নাতে প্রবেশ কর।’ (তিরমিযী)
রাতের নামায আদায়কারী স্বামী-স্ত্রীর উপর আল্লাহ রহম করেন:
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: رَحِمَ اللهُ رَجُلاً قَامَ مِنَ اللَّيْلِ، فَصَلَّى ثُمَّ أَيْقَظَ امْرَأَتَهُ فَصَلَّتْ، فَإِنْ أَبَتْ نَضَحَ فِي وَجْهِهَا الْمَاءَ، وَرَحِمَ اللهُ امْرَأَةً قَامَتْ مِنَ اللَّيْلِ فَصَلَّتْ، ثُمَّ أَيْقَظَتْ زَوْجَهَا فَصَلَّى، فَإِنْ أَبَى نَضَحَتْ فِي وَجْهِهِ الْمَاءَ (رواه أبوداود)
আবু হোরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : ‘আল্লাহ করুণা করুন ঐ ব্যক্তির উপর,যে রাতে উঠে নামায পড়ে এবং তার স্ত্রীকে জাগিয়ে দেয়। স্ত্রী যদি উঠতে না চায় তাহলে তার মুখমণ্ডলে পানি ছিটিয়ে দেয়। আল্লাহ করুণা করুন ঐ নারীর প্রতি, যে রাতে উঠে নামায পড়ে এবং তার স্বামীকে জাগিয়ে দেয়। স্বামী যদি উঠতে না চায় তাহলে তার মুখমণ্ডলে পানি ছিটিয়ে দেয়।’ (আবু দাউদ)
কদর রজনীতের ইবাদত করলে বিগত জীবনের গুনাহ মাফ করা হয়:
রাসূলে কারীম (সাঃ) বলেছেন :
مَنْ قَامَ لَيْلَةَ الْقَدْرِ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ
যে লাইলাতুল কদরে ঈমান ও ইহতিসাবের সাথে সালাত আদায় ও ইবাদত-বন্দেগী করবে তার অতীতের পাপসমূহ ক্ষমা করে দেয়া হবে। (বুখারি ও মুসলিম)
লাইলাতুল কদর কখন ?
আল-কুরআনে নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি লাইলাতুল কদর কোন রাতে। তবে কুরআনের ভাষ্য হল লাইলাতুল কদর রমযান মাসে। কিয়ামত পর্যন্ত রমযান মাসে লাইলাতুল কদর অব্যাহত থাকবে। এবং এ রজনি রমযানের শেষ দশকে হবে বলে সহীহ হাদীসে এসেছে। আর তা রমযানের শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোতে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি বলে হাদিসে এসেছে-
عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا، أنَّ النَّبِيَّ صلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: تَحَرَّوْا لَيْلَةَ الْقَدْرِ فِيْ الْوَتْر مِنَ الْعَشْرِ الْأَوَاخِرِ مِنْ رَمَضَانَ رواه البخاريُّ (2017)
‘তোমরা রমযানের শেষ দশকের বেজোর রাতে লাইলাতুল কদর অন্বেষণ কর।’(বুখারী)
এবং রমযানের শেষ সাত দিনে লাইলাতুল কদর থাকার সম্ভাবনা অধিকতর। যেমন হাদিসে এসেছে-
((الْتَمِسوها في السَبع الأواخِرِ)) رواه البخاريُّ (6991) واللَّفظ له، ومسلم (1165
‘যে লাইলাতুল কদর অন্বেষণ করতে চায় সে যেন শেষ সাত দিনে অন্বেষণ করে। (বর্ণনায় : বুখারী ও মুসলিম)
অধিকতর সম্ভাবনার দিক দিয়ে
প্রথম হল: রমযান মাসের সাতাশ তারিখ।
দ্বিতীয় হল: পঁচিশ তারিখ।
তৃতীয় হল: ঊনত্রিশ তারিখ।
চতুর্থ হল: একুশ তারিখ।
পঞ্চম হল: তেইশ তারিখ।
এ রাতকে গোপন রাখার কারণ
আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ রাতকে গোপন রেখেছেন আমাদের উপর রহম করে। তিনি দেখতে চান এর বরকত ও ফযীলত লাভের জন্য কে কত প্রচেষ্টা চালাতে পারে।
কদর রজনীতের আমরা কি করবো?
১। এ রাতে বেশি বেশি করে দোয়া করা: আয়েশা (রাঃ) নবী করিম (সাঃ) কে জিজ্ঞেস করলেন, লাইলাতুল কদরে আমি কি দোয়া করতে পারি? তিনি বললেন, বলবে—
اللهم إِنَّكَ عَفُوٌّ كَرِيمٌ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّي
‘হে আল্লাহ ! আপনি ক্ষমাশীল, ক্ষমাকে ভালোবাসেন, অতএব আমাকে ক্ষমা করুন। (বর্ণনায় : তিরমিজি)
শেষ দশকের রাতগুলোর জাগার উদ্দেশ্য লাইতুল কদরের সন্ধান করা। আর আল্লাহ তা`আলার অশেষ অনুগ্রহ যে তিনি লাইতুল কদরকে রমযানের শেষ দশকে লুকিয়ে রেখেছেন। যদি সারা বছরের যে কোনো রাতে তা সুপ্ত রাখা হত তাহলে এর সন্ধান পাওয়া অনেক দুষ্কর হত এবং অধিকাংশের ভাগ্যেই লাইলাতুল কদর জুটত না।
কদর রজনী চেনার কিছু আলামত বা লক্ষ্যণ: আর সেগুলো হল :
রাতটি গভীর অন্ধকারে ছেয়ে যাবে না।
নাতিশীতোষ্ণ হবে। অর্থাৎ গরম বা শীতের তীব্রতা থাকবে না।
মৃদু-মন্দ বাতাস প্রবাহিত হতে থাকবে।
সে রাতে ইবাদত করে মানুষ অপেক্ষাকৃত অধিক তৃপ্তিবোধ করবে।
কোন ঈমানদার ব্যক্তিকে আল্লাহ স্বপ্নে হয়তো তা জানিয়েও দিতে পারেন।
ঐ রাতে বৃষ্টি বর্ষণ হতে পারে।
সকালে হালকা আলোকরশ্মিসহ সূর্যোদয় হবে। যা হবে পূর্ণিমার চাঁদের মত।(সহীহ বুখারী, মুসলিম, ইবনু খুযাইমাহ)
মহিমান্বিত লাইলাতুল কদরে আমরা কী কী ইবাদত করতে পারি?
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেভাবে এ রাত কাটাতেন এর পূর্ণ অনুসরণ করাই হবে আমাদের প্রধান টার্গেট। এ লক্ষ্যে আমাদের নিম্নবর্ণিত কাজগুলো করা আবশ্যক :
নিজে রাত জেগে ইবাদত করা এবং নিজের অধীনস্ত ও অন্যান্যদেরকেও জাগিয়ে ইবাদতে উদ্বুদ্ধ করা।
লম্বা সময় নিয়ে তারাবীহ ও তাহাজ্জুদ পড়া। এসব নামাজে কিরাআত ও রুকু-সিজদা লম্বা করা। রুকু থেকে উঠে এবং দুই সিজদায় মধ্যে আরো একটু বেশি সময় অতিবাহিত করা, এসময় কিছু দু’আ আছে সেগুলে পড়া।
সিজদার মধ্যে তাসবীহ পাঠ শেষে দু’আ করা। কেননা সিজদাবনত অবস্থায় মানুষ তার রবের সবচেয়ে নিকটে চলে যায়। ফলে তখন দু’আ কবুল হয়।
বেশি বেশি তাওবা করবে আস্তাগফিরুল্লাহ পড়বে। ছগীরা কবীরা গোনাহ থেকে মাফ চাইবে। বেশি করে শিরকী গোনাহ থেকে খালেছ ভাবে তাওবা করবে। কারণ ইতোপূর্বে কোন শিরক করে থাকলে নেক আমল তো কবুল হবেই না, বরং অর্জিত অন্য ভাল আমলও বরবাদ হয়ে যাবে। ফলে হয়ে যাবে চিরস্থায়ী জাহান্নামী।
কুরআন তিলাওয়াত করবে। অর্থ ও ব্যাখ্যাসহ কুরআন অধ্যয়নও করতে পারেন। তাসবীহ তাহলীল ও যিকির-আযকার করবেন। তবে যিকির করবেন চুপিসারে, নিরবে ও একাকী এবং কোন প্রকার জোরে আওয়ায করা ছাড়া। এভাবে যিকির করার জন্যই আল্লাহ কুরআনে বলেছেন :
وَاذْكُر رَّبَّكَ فِي نَفْسِكَ تَضَرُّعًا وَخِيفَةً وَدُونَ الْجَهْرِ مِنَ الْقَوْلِ بِالْغُدُوِّ وَالْآصَالِ وَلَا تَكُن مِّنَ الْغَافِلِينَ ﴿٢٠٥﴾
সকাল ও সন্ধ্যায় তোমার রবের যিকির কর মনে মনে বিনয়ের সঙ্গে ভয়ভীতি সহকারে এবং জোরে আওয়াজ না করে। এবং কখনো তোমরা আল্লাহর যিকির ও স্মরণ থেকে উদাসীন হয়োনা। (সূরা আরাফ-২০৫)
একাগ্রচিত্তে দু’আ করা। বেশি বেশি ও বার বার দু’আ করা। আর এসব দু’আ হবে একাকী ও বিনম্র চিত্তে কবুল হওয়ার প্রত্যাশা নিয়ে। দু’আ করবেন নিজের ও আপনজনদের জন্য, জীবিত ও মৃতদের জন্য, পাপমোচন ও রহমত লাভের জন্য, দুনিয়ার শান্তি ও আখিরাতের মুক্তির জন্য। তাছাড়া নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ রাতে নিম্নের এ দু’আটি বেশি বেশি করার জন্য উতসাহিত করেছেন :
اللهم إِنَّكَ عُفُوٌّ كَرِيمٌ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّي
হে আল্লাহ! তুমি তো ক্ষমার আধার, আর ক্ষমা করাকে তুমি ভালবাস। কাজেই তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও। (তিরমিযী)
মহান আল্লাহর কাছে এই প্রত্যাশা রেখে আজকের আলোচনা শেষ করছি, আল্লাহ যেন আমাদের সকলকে এই মহিমান্বিত রাতের ফযীলত লাভে ধন্য করেন। আমীন।
বিষয়: বিবিধ
৮০৯ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন