‘মাছি’ প্রসঙ্গে বিশ্বনবীর (সা.) সেই কথাটিই মেনে নিল আধুনিক বিজ্ঞান

লিখেছেন লিখেছেন শান্তিপ্রিয় ১০ আগস্ট, ২০১৫, ১২:১৩:৪৬ দুপুর



ইসলাম ডেস্ক: আজকে প্রায় ১৪০০ বছর আগে নাজিল হওয়া আল কুরআনয়ের বিশ্লেষণ করে মানুষ মঙ্গল গ্রহ পর্যন্ত পৌঁছেছে। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) ১৪০০ বছর আগে মাছি প্রসঙ্গে যে কথাটি বলেছিলেন তা আমাদের আধুনিক বিজ্ঞানও মেনে নিয়েছে। বুখারী ও ইবনে মাজাহ হাদীসে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:

إذا وقع الذباب في إناء أحدكم فليغمسه كله ثم ليطرحه فإن في أحد جناحيه شفاء وفي الآخر داء ( ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ(

অর্থ: যদি তোমাদের কারো পাত্রে মাছি পতিত হয় সে যেন উক্ত মাছিটিকে ডুবিয়ে দেয়। অতঃপর তা ফেলে দিতে হবে। কেননা তার একটি ডানায় রোগ জীবানু রয়েছে, আর অপরটিতে রয়েছে রোগনাশক ঔষধ"। (বুখারী: হাদীন নং ৫৪৪৫)

আমাদের মাঝে এমন কি কেউ আছে যে উক্ত রোগের জীবানুগুলো দেখেছে? আমাদের কেউ কি উক্ত রোগ নাশক ঔষধ অবলোকন করেছে? অথচ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : নিশ্চয়ই তা রয়েছে, কিন্তু দেখা যাচ্ছে না। সেখানে রোগ রয়েছে মানুষ তা জানতো না। তারা দেখতে পায়, মাছি তার দুই ডানা দিয়ে উড়ে যায়। কিন্তু এ বিষয়ে তারা কিছুই জানতো না যে, তার ভিতরে কল্যাণ রয়েছে, না অকল্যাণ রয়েছে।

জ্ঞান বিজ্ঞানের যখন অগ্রগতি হলো, যখন ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস জীবানু সম্পর্কে জ্ঞানের অগ্রগতির মাধ্যমে বর্ণিত হচ্ছে যে, “মাছি মানুষের শত্রু”, সে রোগ জীবানু বহন করে এবং স্থানান্তরিত করে। মাছির ডানায় রোগ জীবানু রয়েছে তাতে কোন সন্দেহ নেই। তাই যদি হয় তাহলে কিভাবে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রোগ জীবানু বহনকারী মাছিকে ডুবিয়ে নেয়ার আদেশ করলেন?

এ বিষয়ে কিং আব্দুল আজীজ বিশ্ববিদ্যালয়ের উস্তাদ ডক্টর ওয়াজিহ বায়েশরী এই হাদীসের আলোকে মাছিকে নিয়ে কয়েকটি পরীক্ষা চালান। জীবানুমুক্ত কিছু পাত্রের মাধ্যমে মাছির বাজার থেকে কয়েকটি মাছি ধরে নিয়ে জীবানুমুক্ত টেষ্ট টিউবের মধ্যে আবদ্ধ করে রাখেন। তারপর নলটি একটি পানির গ্লাসে উপুড় করেন। মাছিগুলো পানিতে পতিত হওয়ার পর উক্ত পানি থেকে কয়েক ফোটা পানি নিয়ে পরীক্ষা করে দেখেন যে, সেই পানিতে অসংখ জীবানু রয়েছে।

তারপর জীবানুমুক্ত একটি সূঁচ দিয়ে মাছিকে ঐ পানিতেই ডুবিয়ে দেন। তারপর কয়েক ফোটা পানি নিয়ে পরীক্ষা করে দেখেন যে, সেই পানিতে আগের মত আর জীবানু নেই, বরং কম। তারপর আবার ডুবিয়ে দেন। তারপর কয়েক ফোটা পানি নিয়ে আবার পরীক্ষা করেন। এমনি ভাবে কয়েকবার পরীক্ষা করে দেখেন যে, যত বার মাছিকে ডুবিয়ে পরীক্ষা চালিয়েছেন ততই জীবানু কমেছে অর্থাৎ ডক্টর ওয়াজীহ এটা প্রমাণ করে দিখিয়েছেন যে, মাছির একটি ডানায় রোগ জীবানু রয়েছে এবং অপরটিতে রোগনাশক ঔষধ রয়েছে। সৌদী আরবের রিয়াদে অনুষ্ঠিত অষ্টম চিকিৎসা সম্মেলনে কানাডা থেকে দু’টি গবেষণা-রিপোর্ট পাঠিয়েছিল যাতে বর্ণিত ছিল, মাছিতে এমন কোন বস্তু রয়েছে যা জীবানুকে ধ্বংস করে দেয়। শাইখ মোস্তকা এবং শাইখ খালীল মোল্লা এই বিষয়ে জার্মান ও ব্রিটেন থেকে রিসার্চগুলো ধারাবাহিক সংগ্রহের মাধ্যমে একটি বই বের করেছেন যার মূল বিষয় ছিল :

ﻓﺈﻥ ﻓﻰ ﺃﺣﺪ ﺟﻨﺎﺣﻴﻪ ﺩﺍﺀً ﻭَﻓﻰ ﺍﻟْﺂﺧﺮ ﺷﻔﺎﺀ ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ

অর্থঃ নিশ্চয়ই মাছির একটি ডানায় রয়েছে রোগ, আর অপরটিতে রয়েছে রোগ নাশক ঔষধ। (বুখারী: ৫৪৪৫)

মাছি যখন কোন খাদ্যে বসে তখন যে ডানায় জীবানু থাকে সে ডানাটি খাদ্যে ডুবিয়ে দেয়। অথচ তার অপর ডানায় থাকে প্রতিরোধক ভাইরাস। যদি মাছিকে ডুবিয়ে দেয়া হয়

তাহলে প্রতিরোধক ভাইরাস খাদ্যের সঙ্গে মিশে মারাত্মক জীবানুগুলিকে ধ্বংস করে দেয় এবং খাদ্য স্বাস্থ্য ও সুস্থতার জন্য অনূকুল থাকে। নতুবা এই খাদ্যই জীবানুযুক্ত হয়ে মানব ধ্বংসের কারণ হতে পারে। সেই চৌদ্দশত বছর পূর্বে এই ক্ষুদ্র জীবানু দেখার শক্তি মানুষের ছিল না। অথচ রাসূল (সা.) সেগুলোর দিকে ইঙ্গিত করেছেন এবং সে সম্পর্কে কথা বলেছেন এবং ঐ বিপদজনক দিক বর্ণনা করেছেন যা আমাদের স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকারক। সেই জাহেলী যুগে এই আশ্চার্যিত তথ্য কে তাঁকে জানিয়ে দিলেন? এটা কি নবীজির নবুয়াতের প্রমাণ রাখেনা?

এখান থেকে নেওয়া

বিষয়: বিবিধ

১৩৫৪ বার পঠিত, ৯ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

334894
১০ আগস্ট ২০১৫ দুপুর ১২:২৫
অপি বাইদান লিখেছেন : ছাগল কোথাকার!!!
১০ আগস্ট ২০১৫ দুপুর ০৩:৩৩
276946
বেআক্কেল লিখেছেন : পাগুলেরা দুনিয়ার সবাইকে ছাগুল মনে কইরা থাকে। পোলা মাইনসের মত মাইয়া লোগের ছবি ব্যবহার করিবার মতলব কি? আমনের ছবি সংগ্রহ করার ধরন দেইখা মনে হয় আমনে একজন আবাল, আছোলা বালক। খতনা করার কাজ বাকী থাকিলে বালকেরা যেমুন কইরা থাকে।
১৩ আগস্ট ২০১৫ দুপুর ১২:০৪
277502
শান্তিপ্রিয় লিখেছেন : সরকার নাস্তিক দমন কমিশন (নাদক) গঠন করতে যাচ্ছে। দ্রুত তাওবা করে মুসলমান হয়ে যান। নতুবা নাস্তিকদের কোন্দলে পড়েই আবার না শেষ পরিণতি গ্রহণ করতে হয়।
ছাগলকে?
পারলে বিজ্ঞান ভিত্তিক জবাব দিয়ে এর প্রতিবাদ করুন। নচেৎ আমার ব্লগে আসবেন না।
334904
১০ আগস্ট ২০১৫ দুপুর ০১:১২
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : কুরআনের/মহানবী (সা)এর বিজ্ঞানভিত্তিক সব কথাই একদিন বিজ্ঞানীরা প্রমাণ করতে পারবেন। কুরআনের চেয়ে আর বড় বিজ্ঞা গ্রন্থ আছে নাকি! মাশাআল্লাহ। আপনাকে ধন্যবাদ..
১৩ আগস্ট ২০১৫ দুপুর ১২:০৫
277503
শান্তিপ্রিয় লিখেছেন : ধন্যবাদ আপনাকেও
334906
১০ আগস্ট ২০১৫ দুপুর ০১:২৩
নাবিক লিখেছেন : মানতেই হবে, আল্লাহর রাসূল সত্য তার কথাও সত্য। আস্তে আস্তে আরও অনেক কিছু প্রমাণ হবে। কিন্তু তাল গাছটা নাস্তিকদেরই থেকে যাবে।
১৩ আগস্ট ২০১৫ দুপুর ১২:০৫
277504
শান্তিপ্রিয় লিখেছেন : ঠিকই বলেছেন;
নাস্তিকরাও বিপদে পড়লে আল্লাহকে ডাকে
334999
১০ আগস্ট ২০১৫ রাত ১১:০৪
আবু জান্নাত লিখেছেন : এরকম আরো একটি পোষ্ট ৪/৫ দিন আগেও পড়েছিলাম। তবুও শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ
১৩ আগস্ট ২০১৫ দুপুর ১২:০৬
277505
শান্তিপ্রিয় লিখেছেন : ধন্যবাদ আপনাকেও

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File