টেলিভিশনে প্রোগ্রাম করতে যাচ্ছি সবার দোয়া চাই
লিখেছেন লিখেছেন শান্তিপ্রিয় ১১ জানুয়ারি, ২০১৩, ১২:৪৪:১৮ দুপুর
সম্মানিত প্রিয় দর্শক শ্রোতা! আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। আই,পি,সির সার্বিক সহযোগিতা ও পরিচালনায় অনুষ্ঠিত বাংলা ভাষায় প্রচারিত “আমাদের জীবন বিধান” শিরোনামে টেলিভিশন অনুষ্ঠানের পক্ষ থেকে আমি মামুনুর রশীদ আপনাদের সবাইকে জানাচ্ছি আন্তরিক মুবারকবাদ। রুটি রোজগারের অন্বেষায় সুদূর বাংলাদেশ থেকে আমরা পাড়ি জমায়েছি কুয়েতে। প্রায় দুই লক্ষাধিক বাংলাদেশী বসবাস করছি এখানে। যার অধিকাংশই মুসলিম। যৎসামান্য অমুসলিমদের মধ্য থেকে আল্ হামদুলিল্লাহ! এ পর্যন্ত প্রায় ৫০ জনের মত অমুসলিম ভাই আই, পি, সির সম্মানিত বাংলাদেশী দাঈদের আহবান ও কর্ম প্রচেষ্টার ফলে ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আশ্রয় গ্রহণ করে মুসলিম হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন। সেই সাথে কুয়েতে অবস্থানরত পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের অমুসলিম ভায়েরাও আই, পি, সির সার্বিক সহযোগিতা ও কর্মতৎপরতায় এ পর্যন্ত ৫৮ হাজারেরও বেশি মুসলমান হয়েছেন যা সত্যিই গৌরবের বিষয়। এ জন্য আমরা আই. পি. সির সকল স্তরের দায়িত্বশীল ভাইদের সার্বিক কল্যাণ কামনা করছি।
ইসলাম প্রেজেন্টেশন কমিটি (IPC) কুয়েত এর সংক্ষিপ্ত পরিচিতিঃ
* ইসলামের প্রকৃত ব্যাখা প্রদান
* নওমুসলিমদের প্রতি দায়িত্ব
* আরবী ভাষা প্রশিক্ষণ এবং
* মুসলমানদের ইসলাম বিষয়ে সচেতনা বৃদ্ধি-
উপরিউক্ত চারটি বিষয়ের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে ১৯৭৮ ঈসায়ী সালে “শাইখ ছালাহ আর রাশেদ” এর ব্যক্তি উদ্যোগে ছোট্ট একটি ছাপরা ঘরে অত্যন্ত স্বল্প পরিসরে তৎকালীন সময়ে একটি ইসলামী শিক্ষা ও দাওয়াতী প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত লাভ করে। তা দেখে ইসলামের প্রতি অনুরাগী কিছু কুয়েতী যুবক সেই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে দ্বীন প্রচারের উর্বর জমিনের সন্ধান পেলেন, এবং সেই প্রতিষ্ঠানে যোগ দিয়ে একটি কমিটি গঠন করেন। তারা প্রথমেই কুয়েত প্রবাসী অনারদেরকে আরবী ভাষা শিক্ষা প্রদানের পরিকল্পনা গ্রহণ করে, হাতে কলমে অনারবদেরকে আরবী ভাষা শিক্ষা প্রদান করা শুরু করেন। সেই সাথে তাদেরকে ইসলামের মৌলিক বিষয়গুলি সম্পর্কেও শিক্ষা প্রদান করা আরম্ভ করেন। সেই সময়ে এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা ব্যবস্থা শুধুমাত্র সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার পরিচালিত হত। ফলে তখন প্রতিষ্ঠানটির নামকরণ করা হয় “জুমুয়া মাদ্রাসা”।
অতঃপর ক্রমান্বয়ে “জুমুয়া মাদ্রাসা’র” ছাত্র সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পেতে থাকে। ফলে ছোট্ট ছাপরা ঘরে ছাত্রদের স্থান সংকুলান না হওয়ায়, পরবর্তীতে উক্ত কমিটি কুয়েত ধর্মমন্ত্রণালয়ের একাধিক কক্ষ বিশিষ্ট একটি ভবন ভাড়া নিয়ে, শিক্ষা সম্প্রসারন করা হয়। সময় অতিক্রান্ত হওয়ার সাথে সাথেই স্থানীয় লোকদের ইসলাম প্রচারের কাজে আন্তরিকতা ও সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠানটির পরিধিও বৃদ্ধি পেতে থাকে। তখন সেই “জুমুয়া মাদ্রসা’র” নাম পরিবর্তন করে নাম রাখা হয় “ইসলাম প্রেজেন্টেশন কমিটি (IPC) কুয়েত”। কুয়েতের ফাহাদ আল-ছালেম রাস্তা সংলগ্ন “মসজিদ মোল্লাহ ছালেহ”-তে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয়। এ ছাড়াও কুয়েতের বিভিন্ন জিলায় মহিলা শাখাসহ প্রায় ১৬ টি শাখা কার্যালয় রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান ব্যবস্থাপনা মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন “জামাল নাসের আস শাত্তি”। চৌদ্দ (১৪)-টি ভাষায় বিজ্ঞ প্রায় আশি (৮০)-জন দা’ঈ (ইসলাম প্রচারক) ইসলাম প্রচারের কাজে এই প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত রয়েছেন। সুবিজ্ঞ দা’ঈগণের অক্লান্ত পরিশ্রমে প্রতিষ্ঠানের জন্ম লগ্ন থেকে এবছর রমযান ১৪৩৩ হিজরী পর্যন্ত প্রায় আটান্ন (৫৮,০০০)-হাজার অ-মুসলিম ইসলামের সুশীতল ছায়ায় আশ্রয় গ্রহণের সুযোগ পেয়েছেন। দয়াময় আল্লাহ ও সুমহান প্রতিপালক আমাদের সেই সকল নওমুসলিম ভাই-বোনদেরকে মৃত্যু পর্যন্ত ইসলামী জীবন বিধানের উপর অটল ও অবিচল থাকার তাওফীক দান করুন। এতক্ষণ তো কুয়েতি যুবকদের ইসলামের প্রতি অনুরাগের কথা শুনলেন, এবার আপনি ভাবুন তো, যে আমরা ইসলামের জন্য কি করলাম। বসে না থেকে আসুন আমরা ইসলামের দাওয়াতকে দেশে থেকে দেশান্তরে প্রচারের কাজে নিজেকে উৎসর্গ করি।
সম্মানিত দর্শক! “আমাদের জীবন বিধান” যা আরবী প্রতি শব্দ হাযা দ্বীনুনা এখন আমি এই শিরোনামের সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা বর্ণনা করবো ইনশা আল্লাহ। সম্বলিত অনুষ্ঠানের গুরুত্ব অপরিসীম, কেননা মানুষের প্রকৃত সফলতা ও ব্যর্থতা নির্ভর করে তার জীবন পরিচালনার নীতিমালার ওপর ভিত্তি করে। তাই আমাদেরকে দ্বীন শব্দটির অর্থ সঠিকভাবে বুঝতে হবে। পবিত্র কুরআনে দ্বীন শব্দটি বিভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে:
বিষয়: বিবিধ
১৩৪৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন