অর্থসহ কুরআন তেলাওয়াত
লিখেছেন লিখেছেন শান্তিপ্রিয় ২৬ নভেম্বর, ২০১৪, ১২:০১:৩৮ দুপুর
অর্থসহ কুরআন তেলাওয়াত
ইন্দোনেশিয়ার ছোট্টমণি, নাম অজানা। কিন্তু যেই শিশুটির খেলা-ধুলা করে সময় কাটানোটাই স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু তার ভিতরে যে সুপ্ত প্রতিভা রয়েছে, তা নিম্নের ভিডিও না দেখলে বোঝার উপায় নাই। পবিত্র কুরআনের কতটুকু মুখস্ত করেছে তাও জানতে পারিনি। কিন্তু যতটুকু তেলাওয়াত করছে সে, ততটুকুর অর্থ অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে দর্শক-শ্রোতাদের বুঝিয়ে দিচ্ছেন। আর দর্শকরাও আনন্দ চিত্তে তা উপভোগ করছে।
দুঃখজনক হলেও সত্য যে, দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম দেশ হিসেবে আমরা নিজের দেশকেই মনে করি। কিন্তু আমাদের দেশের এই কোমলমতি শিশুদেরকে মূল হতেই শারেগামা শেখানো হয়। কুরআন শেখানো হয় না, অর্থ তো বুঝবে পরের কথা। সরকারীভাবে শিশুকিশোরদের কুরআনি শিক্ষায় শিক্ষিত করার তেমন কোন ব্যবস্থা নেই। তবুও আশার আলো দেখি কিছু প্রাইভেটভাবে প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে, যাদের প্রচেষ্টায় শিশু-কিশোররা কুরআনের জ্ঞানার্জন করার সুযোগ পাচ্ছে। এমন প্রতিষ্ঠানের পরিচালকদের প্রতি অনুরোধ আপনারা এই ভিডিওটি অনুসরণ করে ছাত্র-ছাত্রীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদেরকে যোগ্য করে গড়ে তুলবেন। আল্লাহ আমাদের কুরআন বুঝে বুঝে পড়ার তাওফীক দান করুন। আমীন
বিষয়: বিবিধ
১৩৫১ বার পঠিত, ১৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এই লিঙ্কে গিয়ে আপনি বাচ্চাটির তেলাওয়াত শুনতে পাবেন।
সাহরু রামাদান তথা রমদান মাস ছিল আল কুরআন নাযিলের মাস। এই মাসেই আল্লাহ কুরআন নাযিল শুরু করে ছিলেন এবং সু দীর্ঘ তেইশ বৎস্বরে তা নাযিল করা শেষ করেছিলেন। যখন যতটুকু প্রয়োজন হয়েছে তা নাযিল করেছেন। যাতে করে মানুষ তা বুঝতে সহজ হয়।
রমদানের রোযা ফরজ করেছেন যাতে করে মানুষের মধ্যে ত্বাকওয়া ( আল্লার ভয়)সৃষ্টি হয়। আর কুরআন থেকে হেদায়ত পাবেন তারাই যাদের মধ্যে ত্বকওয়া তথা আল্লাহর ভয় আছে।
এই রমদান মাসকে আল্লাহ রহমত বরকত এবং ফযিলতের নেয়ামত দিয়ে মোলামাল করে দিয়েছেন এই জন্যইযে এই মাসেই কুরআনুল করিম অবর্তিণ করেছেন।কুরআনের কারনেই এই মাসকে এতই বরকত ও ফযিলতপূর্ণ করেছেন।
বিশ্ব পরিচালক মহান আল্লাহ তায়ালা পৃথিবীর সকল মানব মন্ডিলির জন্য সর্বশেষ যে কিতাব প্রেরন করেছেন তা হল আল্ কুরআন। যা তার প্রিয় হাবিব তথা মানবতার মুক্তি ধূত হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা (সাঃ) এর মাধ্যমে নাযিল করেছেন।
আল্লাহর পক্ষ থেকে পৃথিবীর মানুষের জন্য সর্ব শেষ যে হেদায়ত তথা আল্লাহর নির্দেশ দিয়েছেন তাই হল আল্ কুরআন। নতুন করে পৃথিবীর মানুষের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে আর কোন হেদায়ত বা নির্দেশ আসবে না।
থিবীর মানুষ যদি হেদায়ত তথা মুক্তি পেতে চায় তাকে আসতেই হবে আল্ কুরআনের কাছে। আল্ কুরআন শুধূ মুসলমানের জন্য নাযিল হয়নি। তা সমগ্র বিশ্ব বাশীর জন্যই নাযিল হয়েছে। বিশ্ব বাসির কাছে এই কুরআন পৌঁছানোর দায়িত্বটি কার..?
তাই আসুন জেনেনি আল্ কুরআন আমাদের কাছে কি চায় এবং কি তার দ্বাবী..? প্রতিটি মুসলমানের কাছে কুরআনের দ্বাবি হল ৪টি
১. আল কুরআনের বিশুদ্ধ তেলাওয়াত তথা শুদ্ধ করে পড়তে হবে যাতে ভূল না হয়। কারন তেলাওয়াত যদি ভূল হয় নামাজ আদায় হবেনা। নামাজ কবুল হওয়ার জন্য কুরআন শূদ্ধ হতে হবে। তাই এই কুরআন শুদ্ধ তেলাওয়াত শেকার জন্য যা করা প্রয়োজন তা আপনাকে করতেই হবে। এটাই আল্ কুরআনের প্রথম দ্বাবি।
২. আল্ কুরআনের যে টুকু তেলাওয়াত করেছেন তথা যে সুরাটি তেলাওয়াত করছেন তা ভাল ভাবে অর্থ বুঝতে হবে যাতেকরে এর তাতপর্য্য ও শারমর্ম টুকু বুঝতে পারা যায়, যাতে করে বুঝার হক আদায় হয়। মূল অর্থটাই বুঝা হলো ২য় দ্বাবি।
৩. আল্ কুরআনের যে টুকা তেলাওয়াত করে বুঝলেন তা সটিক ভাবে মনদিয়ে মেনে নিয়ে তা আমল করা তথা কর্মে তা পরিনত করা এটাই হলো আল্ কুরআনের ৩য় দ্বাবী।পড়লেন, বুঝলেন, মানলেন এর পর যে কাজটি না করলে চলবে না তা হল আল্ কুরআনের ৪র্থ দ্বাবি।
৪. আল্ কুরআনের বিশুদ্ধ তেলাওয়াত, আল্ কুরআন বুঝা, এবং আল্ কুরআন যে টুকু বুঝেছেন সেটা মেনে নেওয়ার পর ৪র্থ দ্বাবীই হল তা অন্যের কাছে পৌঁছানো ৪র্থ কাজটি যদি না করা হয় তাহলে ঐ ৩য় টির ও কোন মূল্য নেই।
আল্ কুরআন শুধূ মুসলমানের জন্য নয় তা সমগ্র বিশ্ব মানব মন্ডলীর জন্য। তাই আসুন এই ৪টি কাজ করে আল্ কুরআনের হক আদায় করি। এবং আল্ কুরআনের হক আদায়ের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তোষ্টি অর্জন করা যাবে বলে আশা করা যায়।
রমদান মাস ছিল কুরআন নাযিলের মাস এবং প্রশিক্ষনের মাস এবং ত্বাকওয়া অর্জনের মাস। এই মাসে কি তা আমরা অর্জন করতে পেরেছি আসুন পর্যালোচনা কার।
মন্তব্য করতে লগইন করুন