ইসলাম বনাম প্রজন্ম চত্বর
লিখেছেন লিখেছেন নব ধুমকেতু ১২ মার্চ, ২০১৩, ১০:০০:০৫ রাত
শাহবাগে যখন জাগরণ শুরু হয় তখন শুরুতে ব্যপক উত্সাহ উদ্দীপনা নিয়ে তা চলতে থাকে। অবস্থাদৃষ্টে এবং কিছু মিডিয়ার মাত্রাতিরিক্ত প্রচারে এটি আরো নতুন মাত্রা পায়। সাধারণ জনগণকে বোকা বানিয়ে তাদের সেন্টিমেন্ট কে কাজে লাগিয়ে চলছিল এ আসর। কিন্তু বিধিবাম। থাবা বাবা নামের চরম ইসলাম বিদ্বেষী ব্লগার অজ্ঞাতদের হাতে খুন হওয়ার পর বেড়িয়ে আসে থলের বেড়াল। এই ব্লগারের চরম ইসলাম বিদ্বেষী লেখা,যা কিনা তসলিমা নাসরিন কিংবা সালমান রুশদীর মতো নাস্তিকরাও লিখতে সাহস পায় নি, সে তাই লিখেছে। এর পর থেকেই ক্ষেপে উঠে ধর্মপ্রাণ জনগন। শাহবাগের আন্দোলন যে নাস্তিক এবং ইসলাম বিদ্বেষীদের দ্বারা পরিচালিত তা এদের কার্যকলাপ এবং আচার আচরণে প্রকাশ পেতে থাকে। ধর্মীয় অনুশাসন ভুলে ছেলেমেয়েরা একসাথে বেহায়ার মত দিনরাতে অবস্থান করা, গান বাজনা এবং একসাথে নাচানাচি করাটা তো কোন ইসলামিক কাজ নয়। আবার থাবা বাবার হাস্যকর জানাজা পড়া (তিন তাকবীরে, নারী পুরুষ একসাথে আবার হিন্দু মুসলমান একসাথে নামাজ) ইসলামকেই ব্যঙ্গ করা। থাবা বাবার লেখা যে কোন সুস্থ ইসলাম প্রিয় মানুষের পক্ষে সহ্য করা সম্ভব নয়। আবার এ আন্দোলন যতক্ষণ শুধুমাত্র যুদ্ধাপধারীদের বিচারের দাবীতে সোচ্চার ছিল ততক্ষণ সাধারণ মানুষ এবং আলেম সমাজও এটা নিয়ে নেতিবাচক কিছু দেখান নি। কিন্তু অতি উত্সাহী নাস্তিকরা ইসলামী রাজনীতি নিষিদ্ধের জন্য উঠে পড়ে লাগল তখনই এদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা সোচ্চার হলো। ৯০ ভাগ মুসলিমের দেশে ইসলামী রাজনীতি নিষিদ্ধের ধৃষ্টতা দেখানোর সাহস গুটি কয়েক ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিকরা পায় কোথায়? শুরু হয়ে যায় ধর্মপ্রাণ মুসলমান এবং ইসলাম বিদ্বেষীদের দ্বন্দ্ব। সরকার এদের পৃষ্ঠপোষকতা করে এবং পুলিশের মাধ্যমে মুসলমানদের বিক্ষোভ মিছিলে গুলি করে মুসল্লীদের হত্যা করে নিজেদেরকেও ইসলামের প্রতিপক্ষ হিসেবে দাড় করিয়েছে। এই দেশ পীর আউলিয়াদের দেশ। এখানে ইসলামী রাজনীতি চলবে বরং নিষিদ্ধ হবে নাস্তিকদের বাম রাজনীতি। চট্টগ্রামে গণজাগরণ মঞ্চ প্রতিরোধের ঘোষণা দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম। এভাবে দেশের সবজায়গায় ইসলামী দলগুলোর প্রতিরোধের মুখে পড়ছে নাস্তিকরা। যুদ্ধাপধরাধের বিচারের আড়ালে এরা যে ইসলামের প্রতিপক্ষ তা ইসলামপ্রিয় জনতা এখন বুঝতে পারছে। শাহবাগ এখন জনশুন্য। জনগনের অনাস্থা, খাবার পানি টাকার অভাবে এ আন্দোলন এখন মূমুর্ষূ। কোন প্রতিষ্ঠিত শক্তির পৃষ্টপোশকতায় বিপ্লব হয় না, বিপ্লব হয় শক্তির বিরুদ্ধে এবং রক্ত ঝরার মাধ্যমে কিন্তু নেচে গেয়ে নয়। তবে শাহবাগের গণজাগরণ এখন আর ধোপে টিকছে না কারণ এরা এখন সবজায়গায় মুসলীমদের প্রতিরোধে মুখে পড়ছে।
বিষয়: বিবিধ
৯৬১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন