শাহবাগনামা
লিখেছেন লিখেছেন নব ধুমকেতু ১১ মার্চ, ২০১৩, ০৬:০৫:০৬ সন্ধ্যা
"শাহবাগে সারারাত আন্দোলন করার নামে গভীর রাতে চলত অসামাজিক কার্যকলাপ"- অর্থের ভাগাভাগি ও নেতৃত্বের দ্বন্দ্ব চরমে
শাহবাগ আন্দোলনে অংশ নেয়া নারীদের অনেকেই নানাভাবে নিপীড়ন ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন। গত শুক্রবারও কয়েকজন নারী ইভটিজিংয়ের শিকার হন। ইভটিজিং করার দায়ে সন্দেহজনক এক ব্যক্তিকে আটক করে ওই দিন শাহবাগ থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। এ ছাড়া সারারাত আন্দোলনে অংশ নেয়া নারীদের কিছু অংশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রচারুকলা অনুষদের ভেতরে রাতযাপন করতেন। বাকিরা শাহবাগেই খুপড়ি ঘরে এবং অস্থায়ী তাঁবুতে রাতযাপন করতেন বলে গণজাগরণ মঞ্চ সূত্র জানায়। নেতা-নেত্রীদের স্থান হতো রোগীশূন্য পিজি হাসপাতালের বিভিন্ন ক্যাবিনে। ফলে আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়া বেশির ভাগ নারীকর্মী নানাভাবে নিপীড়ন ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। নিপীড়িতদের অনেকেই এখন নিষ্ক্রিয় বলে সূত্র জানায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা জানান, কয়েক দিন আগে এক মেয়ে শাহবাগে অংশ নেয়ার কথা বলে বাসাথেকে বের হন। পরে মেয়েটির ছেলেবন্ধু রাতের বেলা মেয়েটিকেঅসুস্থ দেখিয়ে বিএসএমএমইউ-তে ভর্তির কথা বলে একটি ক্যাবিন ঠিককরেন। সেখানে মেয়েটির সাথে অনৈতিক কাজ শেষে মেয়েটিকে একা ফেলে চলে যায়। পরে মেয়েটিকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে বাসায় পৌঁছে দেয়া হয় বলে জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
সূত্র জানায়, শাহবাগে সারারাত আন্দোলন করার নামে গভীর রাতে চলতঅসামাজিক কার্যকলাপ। জানা যায়, রাত ১০টা থেকে সাড়ে ১২টার মধ্যেআন্দোলনে অংশ নেয়া সাধারণ লোকজন চলে যেতেন। পরে বাম ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা পালাক্রমে স্লোগান দিয়ে আন্দোলন অব্যাহত রাখতেন। গভীর রাতে চলত মদ ও জুয়ার আসর। ঢোল-তবলার বাদ্যের তালে চলত ছেলেমেয়ের উদ্দাম নৃত্য। এসবের ভিডিও ধারণ করার দায়ে একজন পুলিশ কর্মকর্তার লাশও মেলে মতিঝিলে।
শাহবাগ আন্দোলনে আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে নিয়োজিত নাম প্রকাশেঅনিচ্ছুক একাধিক পুলিশ কনস্টেবলজানায়, ‘ভাই জীবনে বহু জায়গায় দায়িত্ব পালন করেছি। কিন্তু এখানকার মতো বেলেল্লাপনা কখনো দেখিনি। আন্দোলনের নামে যা হচ্ছে তা কোনো সুস্থ মানুষ প্রত্যক্ষ করলে ঠিক থাকতে পারবে না। তারা আরো বলেন, এমন কিছু ঘটনাচোখে পড়ে যা বলার মতো নয়। করারও কিছু থাকে না।
সরেজমিন শাহবাগ গণজাগরণ মঞ্চের আশপাশে গিয়ে দেখা গেছে, বিভিন্নগোপন তথ্য ফাঁসের পর আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা দিন দিন কমছে। গত পরশু থেকে রাস্তাও উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। কেবল বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে ঢাকা মেডিক্যালের দিকে যাওয়ার রাস্তাটি বন্ধ রয়েছে। রাস্তায়নির্মিত হয়েছে স্থায়ী মঞ্চ। আর মঞ্চ ঘিরে কড়া প্রহারায় নিয়োজিত আছে পুলিশ, র্যাব ও প্রচুর গোয়েন্দা সদস্য। (সূত্রঃ দৈনিক নয়া দিগন্ত)
বিষয়: বিবিধ
৮৮৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন