পলিটিক্স আসলেই একটা জটিল গেইম
লিখেছেন লিখেছেন সূর্য রশ্মি ০৮ মার্চ, ২০১৩, ০৯:০৫:১০ রাত
## সরকার বিরোধীদলের সাথে যেকোনখানে আলোচনায় বসতে রাজী। সরকার তার নানা বিতর্কিত কর্মকান্ডে যখন দিশেহারা হওয়ার অবস্থা তার মধ্যে আছে জামায়াত নামের এক দল যারা তাদেরকে নাজোহলকর অবস্থায় ফেলে দিয়েছে তখন আলোচনা নামক এক লুকোচুরি খেলার ইচ্ছাপোষন করা হল সরকারের পক্ষ থেকে। এটার মূল উদ্দেশ্য যে আসলে সময়ক্ষেপণ করা সেটা আর বুঝতে কারও বাকি থাকেনা। অথচ এই আলোচনা ফলপ্রসু হত তখন যখন বিভিন্ন সুশীল সমাজ, সচেতন নাগরিক, বুদ্ধিজীবীরা দুই দলকে আলোচনায় বসার জন্য বারবার বলছিলেন। দুইপক্ষকে একটেবিলে আনার জন্য বিএনপির বর্ষিয়ান নেতা নাজমুল হুদাও বিরাগভাজনে পরিণত হন।
# সাম্প্রতিক সময়ে হু.মু এরশাদ সাহেব ইসলামের পক্ষে খুব সুন্দর সুন্দর বক্তব্য রাখছেন। এটা যদি বিবেকের তাড়নায় বলে থাকেন তাহলে অবশ্যই তিনি সাধুবাদ পাওয়ারযোগ্য। তবে কি রাজনীতি একটা খেলা। এরশাদ সাহেবের জাতীয়পার্টি একটি আঞ্চলিক দলে পরিণত হয়েছে। জীবনের শেষ বয়সে এসে হয়ত তার নিজহাতে গড়া দলটিকে একটি পর্যায়ে নিয়ে যাবার এখনই একটা মোক্ষম সুযোগ। আর ঐদিকে জামায়াত ছাড়া অন্যান্য ইসলামপন্থীদের ভোটগুলো বিক্ষিপ্ত অবস্থায় ছড়ানো ছিটানো। ইসলামের পক্ষে কথা বলে যদি ঐসমস্ত ইসলামী দলগুলোকে তার পক্ষে আনা যায় তাহলে ঐ ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ভোটগুলো একত্রিত হবে যা জাতীয় পার্টির জন্য একটা টনিকের মত কাজ করতে পারে। উনার অতীত কার্যক্রম যাচাই করলে দেখা যায় যখন যেই দলের পাল্লা ভারি থাকে উনি সেইদলেরই গুনগান করতে থাকেন। এখন ইসলামপন্থীদেরকে মানুষ একটি নুতন শক্তি হিসেবে দেখছে এবং ইতিবাচক ভাবে নিচ্ছে। এই সুবর্ণসুযোগটা এরশাদ সাহেব হয়ত হাতছাড়া করতে চাইছেননা। তারপরেও দেখা যাক......রাজনীতি ক্ষনে ক্ষনে রং পরিবর্তন করে।
# যুদ্ধাপরাধী ইস্যুটি নিয়ে সরকার খুব বেকায়দায় ছিল। একটা ফেয়ার ট্রায়াল হলে দেখা যায় নিজেদের অনেক নেতা যারা এখন এমপি মন্ত্রীর পর্যায়ে আছে তারা ফেঁসে যায়। আর যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠণ করা হয়েছে তাদেরকে অপরাধী প্রমান করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। তারমধ্যে স্কাইপি কেলেংকারী। টালমাটাল অবস্থায় সরকারের ইমেজ। এই ইমেজ পুনরুদ্ধারের জন্য তারা খেলল একটি খেলা। মাওলানা আবুল কালাম আজাদকে ফাঁসির রায় দিয়ে দেখল কেউ মাঠে নামে কিনা। দেখল সামান্য রায় প্রত্যাখান ছাড়া মাঠ গরম হলনা। এরপর চাললো দ্বিতীয় চাল কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন রায় দিয়ে শাহবাগ ইস্যু তৈরী করা হল তাদেরই লোক দিয়ে যাতে পরবর্তী রায়গুলোতে ফাঁসির রায় দিতে বেগ পেতে না হয়। পরিকল্পনায় যখন তারা সফল হলো সাইদী সাহেবকে ফাঁসির রায় দেয়া হল। এটার খেলা এখনও শেষ হয়নি তবে এ খেলাটিকে তারা কঠিন করে ফেলেছে।
#নাস্তিক ইস্যু এবং আন্দোলনে নিয়োগকৃত লোকজন চিহ্নিত হয়ে যাওয়ায় যখন শাহবাগের আন্দোলনের জোয়ারে ভাটা লাগল তখন চিন্তিত হয়ে পড়ল সরকার পক্ষ। সারাক্ষন মিডিয়ার মাধ্যমে প্রচার চালানোর পরেও যখন লোক আনতে পারছেনা এবং শাহাবাগের রাস্তা উন্মুক্ত করে দেয়ার জন্য কোর্টে পিটিশন দাখিল হলো তখন তাদের আন্দোলন মৃত্যুপথযাত্রীতে পরিণত হলো। সেই মৃতপ্রায় ইস্যুটিকে চাঙ্গা করার জন্য আজকে শাহাবাগে ককটেল বিস্ফোরন ঘটানো হল। এই খেলা মাত্র শুরু হলো.............
*****পলিটিক্স আসলেই একটা জটিল গেইম*****
বিষয়: রাজনীতি
১৩১৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন