পাপ এবং পাপী, কে বেশি অপরাধী
লিখেছেন লিখেছেন সূর্য রশ্মি ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ০৩:২৩:৪৩ রাত
"পাপীকে নয়, পাপকে ঘৃণা কর" এটা পৃথিবীতে একটা বহুল আলোচিত একটি প্রবাদ। আসলে এ কথাটার বিশদ ব্যাখ্যার দাবী রাখে। এক কথায় দুই কথায় এ বাক্যের যথার্থতা পাওয়া যায়না। এ প্রবাদটাকে পুজি করে যেমন পাপীরা ক্রমাগত পাপ কাজ করে বেড়ায় আবার এটাকে পুঁজি করেই সংস্কারবাদীরা নতুন একটি পৃথিবী গড়ার স্বপ্ন দেখেন। পাপ হচ্ছে বিশেষন এবং পাপী বিশেষ্য। বিশেষ্য সবসময় পরিচিত হয় বিশেষনের মাধ্যমে। বিশেষনের উপর নির্ভর করে বিশেষ্য কি ধরনের যোগ্যতা সম্পন্ন। এখানে দেখতে হবে বিশেষ্য যে বিশেষায়নে বিশেষিত হবে সেটার ক্রিয়া কোনটি। পাপ বিশেষন হলো পাপী বিশেষ্য হলো তাহলে ক্রিয়া টা কে? এখানে ক্রিয়াটা হলো তার মন। আর কাল বা সময় হলো এই ক্রিয়াটার কারন। পাপ নিয়ে বিশদ বিবরনের দরকার নেই। দরকার হলো বিশেষ্য ক্রিয়া আর কাল-সময় বা পরিস্থিতি । যে পাপ করছে আগে খতিয়ে দেখতে হবে সে কিজন্য এ কাজটা করল। সেকি অভ্যাসের বসে এটা করল নাকি পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়ে, অভাবের তাড়নায়, নাকি অজ্ঞাত বশত। এসব বিষয়গুলো হলো কাল, সময় পরিস্থিতি যেটাই বলেন। আর এসব বিষয়গুলো মন বা ক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রন করে। অভ্যাসবশত বা ইচ্ছাকৃত বিষয়টা বাদ দিলে পাপীকে ঘৃনা না করার কথা যথার্থ বলে প্রতীয়মান হয়। কারন অনিচ্ছাকৃত বা বাধ্যহয়ে যে পাপ কর্ম সম্পাদন করে যে পাপী হয় তাকে ঘৃনা করলে সে পরবর্তীতে এ কাজ আবার করবে। কারন ঘৃনা মানুষকে পাপ কাজ করতে উৎসাহিত করে। তার সমস্যা যত দ্রুত সম্ভব সমাধান করে তাকে আলোর পথে নিয়ে আসতে হবে। কিন্তু যে অভ্যাসের কারনে খারাপ কাজ করে তার জন্য আবার এ প্রবাদ খাটেনা। কিছু মানুষ আছে জেনেবুঝে খারাপ কাজ করে। সে জানে এটা খারাপ তারপরেও সে করবে এটা তার ভালো লাগে। এটার কারনে সে সমাজে একটা পরিচিতি পাবে। এধরনের পাপীকে ঘৃনা করা ছাড়া উপায় থাকেনা। আর এসব শ্রেনীর প্রতি যদি আমরা "পাপীকে ঘৃনা করবনা" নীতিতে বিশ্বাস করি তাহলে তারা এ বিশ্বাসের অমর্যাদা করে এটাকে একটা পাপ কাজ করার সুযোগ মনে করে এবং ভবিষ্যতে আবার করার ইচ্ছা পোষন করে। এক্ষেত্রে তাদেরকে ঘৃনা করার পাশাপাশি দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া খুব জরুরী হয়ে পড়ে। সময় থাকতে ব্যবস্থা না নিলে পরবর্তীতে এটার বিপর্যয় মারাত্নক আকার ধারন করে।
বিষয়: বিবিধ
১৪৭৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন