অপ্রিয় হলে ও সত্য
লিখেছেন লিখেছেন সিটিজি৪বিডি ০৬ জানুয়ারি, ২০১৬, ০৬:০০:৩৮ সন্ধ্যা
চট্টগ্রামে পুত্র সন্তানের বাবাদের কোন টেনশন নেই। সন্তান শিক্ষিত হোক অথবা অশিক্ষিত হোক বিয়ের আয়োজনে পুত্রের দাম অনেক বেশী। অন্যদিকে কন্যার পিতাদের কথা কিইবা বলব।
করিম সাহেব পুত্রকে বিয়ে করাবেন বলে নিজ বিল্ডিংয়ের ২ তলার একটি ফ্লাট রেডি রেখেছেন। ফ্লাটটি সম্পূর্ন ফাকা। পুত্রের শশুর বাড়ী থেকে সবকিছু পাবেন বলে করিম সাহেব ফ্লাটের জন্য কিছুই কিনেন নি। পুত্রও জানেন যে কিনে আর কি হবে বিয়ে করলেই তো কন্যার সাথে সব কিছু পাওয়া যাবে।
করিম সাহেব পুত্রকে বিয়ে করালেন। ফার্নিচার, টিভি, ফ্রিজ, ফ্যান সহ রান্নাঘরের যাবতীয় সামগ্রী পুত্রের শশুরবাড়ীতে থেকে ফ্রিতে পেলেন। ফাকা ফ্লাটটি এখন আর ফাকা নেই। বাপ-বেটার খুশীর ও অন্ত নেই।
অপ্রিয় হলেও সত্য যে, চট্টগ্রামের গরীব পরিবারে বিয়েতে দরকষাকষি চুড়ান্ত হবার পরে বিয়ে কার্য সম্পন্ন হয়। অন্যদিকে ধনী পরিবারে দরকষাকষি না হলেও কন্যাকে শাশুরবাড়ীতে সুখে রাখার জন্য সবকিছুই দিতে হয়। অনেক সময় প্রয়োজনের অতিরিক্ত ব্যয় ও করা হয়। তারপরেও দেখা যায় যে, এতকিছু দেবার পরেও শুকরিয়া আদায় করছে না তাহলে বুঝতে হবে পুত্রের পরিবার লোভী। এই লোভী মানুষদেরকে সহজেই ছেড়ে দেয়া উচিত নয়। তাদের কারণে কন্যার বাবাদেরকে স্বর্বশান্ত হতে হয়।
ধনী হোক অথবা গরীব হোক কন্যার জন্য বিয়ের প্রস্তাব আসলে উভয় পক্ষের আদান-প্রদানের হিসাবটা চুড়ান্ত করা উচিত। তা না হলে বিয়ের পরে ঝামেলা হতে পারে14g[img]
বিষয়: বিবিধ
১৩৭৫ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন