কাতারের ডায়েরী
লিখেছেন লিখেছেন সিটিজি৪বিডি ০৯ মে, ২০১৫, ০৪:২৬:৩৮ রাত
কাতারের ডায়েরী-৮/৫/২০১৫ইং
------------------------------------------
ওরা সবাই কাতার প্রবাসী। আজ শুক্রবার ওদের ছুটির দিন। তাই বিভিন্ন এলাকা থেকে কাতারের মেইন সিটির আল ফারদান সেন্টারের পাশের খোলা মাটে বসে আড্ডা দিচ্ছে। আজ ওদের খুশীর দিন, আনন্দের দিন, নিজেদের সুখ-দুঃখ অন্যদেরকে শেয়ার করার দিন। প্রতি সপ্তাহে মাত্র একটি দিন এই প্রবাসীরা কাজের বাইরে থাকার সুযোগ পায়।
অনেক প্রবাসীর ভাগ্যে শুক্রবারের এই ছুটি জুটে না। বিশেষ করে বাংলাদেশী মালিকানাধীন প্রতিস্টানে সাপ্তাহিক ছুটি নাই বললেই চলে। প্রবাসী এই ভাইদেরকে মাসের পর মাস গাধার মত খাটতে হয়। মাস শেষে সামান্য যা বেতন পায় তাই তারা বাড়ীতে পাঠিয়ে দেয়। তাদের হাতে কোন টাকা-পয়সা জমা থাকে না। অসুস্থ হলে কোন সেবা পায় না। দুই বছর শেষে মালিকের দয়া হলে টিকেটের টাকাটা তাদের হাতে ধরিয়ে দিয়ে দেশে পাঠিয়ে দেয়। অনেক প্রবাসী তাও পায় না। এই প্রবাসীদের মলিন মুখ দেখে আমার মনটা খারাপ হয়ে যায়। কিছু কিছু প্রতিস্টানের মালিক তাদের কর্মচারীদের সাথে খুব নিস্টুর আচরণ করে থাকে। কর্মচারীরা তাদের প্রতিস্টানের মালিকদের অত্যাচার নীরবে হজম করে থাকে। প্রতিবাদ করার ভাষা এই প্রবাসী ভাইদের জানা নেই। কারণ তারা বড় অসহায় এই দুর প্রবাসে। কেউবা নীরবে চোখের পানি ফেলে সৃস্টিকর্তার কাছে নালিশ দেয়। কেউবা দেশে ফিরে যেতে বাধ্য হয়।
মোহাম্মদ জামাল উদ্দীন, কাতার প্রবাসী ব্লগার।
বিষয়: বিবিধ
১৪১৩ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
কষ্ট কাকে বলে কি কি তা বোঝা যায় . . . . . . আহ...
দেশেই থাকি কিছু করার চেষ্টা করি।
জাজাকাল্লাহ
কষ্ট কাকে বলে কি কি তা বোঝা যায় . . . . . . আহ...
দেশেই থাকি কিছু করার চেষ্টা করি।
জাজাকাল্লাহ
আমিও এক সময় কাতারের প্রবসী ছিলাম আজ থেকে ৪ বছর আগে । মিডগাল্ফ কোম্পানীতে চাকরী করতাম ১৯ বছর চাকুরী করার পর চলে এসেছি বর্তমানে সৌদিআরব থাকি
আপনার সাথে সহমত জানাই
https://www.facebook.com/minhazulislammohammed.masum
মন্তব্য করতে লগইন করুন