টেপরেকর্ডার ও whatsapp
লিখেছেন লিখেছেন সিটিজি৪বিডি ০৪ এপ্রিল, ২০১৫, ১১:১০:৪২ সকাল
প্রবাসের ডায়েরী-৪/৪/২০১৫ ইং
--------------------------------------------
বাংলাদেশে মোবাইল আসার আগে প্রবাসী ও
প্রবাসী পরিবারের সদ্স্যরা
চিঠি লিখে অথবা ক্যাসেটে কথা বলে খবরাখবর
অাদান প্রদান করত। অনেকে কোন জরুরী প্রয়োজনে
টিএন্ডটিতে গিয়ে প্রবাসীর সাথে টেলিফোনে
কথা বলত।
সেই সময় প্রবাসীর সাথে তাদের পরিবারের
যোগাযোগটা খুব
কস্টসাধ্য ছিল। তখন প্রতিটি বাড়ীতে হাতেগোনা
কিছু মানুষ প্রবাসে ছিল। প্রবাসীরা বিদেশ থেকে
আসলে অথবা কেউ বিদেশে গেলে প্রতিবেশীদের
চিঠি ও ক্যাসেটে নিয়ে যেত। মনে হতো তারা
একেকজন পোস্টম্যান।
মোবাইল আসার পর কেউ আর চিঠি দেয় না।
ক্যাসেটে কথা বলে পাঠায় না। এখন কল রেট সস্তা
হওয়ায় অনেকে প্রতিদিন কথা বলে নিজেদের সুখ-
দুঃখ
শেয়ার করে। অনেকে ফেইসবুকে ছবি আদান-প্রদান
করে থাকে। অনেকে আবার ভিডিও কল করে থাকে।
সর্বশেষ যে প্রযুক্তি বের হয়েছে তা হচ্ছে
whatsapp..
whatsapp এর মাধ্যমে খুব সহজে চ্যাট করা, ছবি তুলে
পাঠানো ও কথা আদান-প্রদান করা যায়।
প্রবাসী ও প্রবাসীর পরিবারে যাদের মোবাইলে
whatsapp আছে তারা খুব আনন্দে আছে। যাদের
মোবাইলে whatsapp নাই তারা আনন্দ থেকে অনেক
দুরে আছে।
অপ্রিয় হলে ও সত্য যে, অনেকের সাথে whatsapp এ
ছবি ও কথা আদান করলেও নিজ পরিবারের সদস্যদের
সাথে এখনো মোবাইলেই কথা বলতে হয়। সবাইকে
পুত্র-
কন্যার ছবি পাঠানোর জন্য বারবার অনুরোধ করতে
হয়। কিন্ত সবাই যে ব্যস্ত।
পরিবারের সদস্যদেরকে সুখে-শান্তিতে রাখার
জন্য আমরা বছরের পর বছর প্রবাসে কাটিয়ে
দিচ্ছি। প্রবাসে কত কস্ট করেই না আমাদেরকে
থাকতে হয়। বিনিময়ে আমরা পরিবার থেকে কি
পাই? তাদের কি কোন দায়িত্ব নেই?
বিষয়: বিবিধ
১৩৫০ বার পঠিত, ১৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনার ছেলে মেয়ে লালন পালন, মা বাবার দেখাশুনা, হাসমুরগী গরুছাগল লালন পালন, জায়গা জমি, ধান শষ্য, পুকুর বাগান ইত্যাদি পরিচর্যা করার পরও কি তাদের দায়িত্য শেষ হবে না? আর কি চান তাদের কাছে? ধন্যবাদ।
মোবাইলে কথা বলে অথবা চিঠি আদান প্রদাণে যে মজা পাওয়া যেতো, ফেসবুক চ্যাটিং, হটসআপে সে মজা পাওয়া যায় না। বিজ্ঞানের অগ্রগতি দিয়েছে বেগ, কিন্তু নিয়ে যাচ্ছি আবেগ!!!
নিয়ে গেছে আবেগ৷
৷
৷
আগের মত পরিবারের সদস্যদের মাঝে আর এতটা আবেগ কাজ করে ন ৷
মন্তব্য করতে লগইন করুন