এক প্রবাসী রেমিটেন্স সৈনিকের গল্পঃ
লিখেছেন লিখেছেন সিটিজি৪বিডি ২২ মার্চ, ২০১৫, ০৯:৪৪:৩৪ সকাল
প্রবাসের ডায়েরীঃ
ছবির এই ভাইটির নাম দিদার। কাতারের শামাল
এরিয়ায় একটি কাতারী পরিবারের ড্রাইভার
হিসেবে কাজ করছে। দিদার ছোট একটি রুমে থাকে।
রুমে রান্না করা নিষেধ আছে বলে তাকে আরবী
খাবার খেতে হয়। বাংলাদেশী খাবারে অভ্যস্ত
বলে দিদার আরবী খাবার খেতে পারে না। তাই তো
দিন দিন তার স্বাস্থ্যর অবনতি হচ্ছে।
দিদার কাতারে আসার আগে দুবাইতে সাইন বোর্ডের
কাজ করত। ভিসা সংক্রান্ত জটিলতায় আরব
আমিরাত থেকে গত বছর দেশে গিয়ে দালালের
খপ্পরে পড়ে কাতারে এসে মানবেতর জীবন যাপন
করছে। দালাল তাকে ভাল বেতনের চাকরীর লোভ
দেখিয়ে কাতারে নিয়ে আসে। স্বল্প বেতন পেয়ে
দিদার সন্তুস্ট নয় বলে অবসর সময়ে নিজের মেধা
দিয়ে মজলিশ তৈরী করছে।
মজলিশ হচ্ছে একটি ঘরের মত। গাড়ীর পেছনে বেধে
আরবীরা এই মজলিশকে জংগলে নিয়ে যায়। এই
মজলিশে বসার জায়গা, টয়লেট, এসি ও খাবার রাখার
ব্যবস্থা আছে।
দিদার ছবির এই মজলিশটি নিজে তৈরী করছে। এটি
তার মালিক ৪৫০০০ রিয়ালে বিক্রি করবে। দিদারকে
খুশী হয়ে হাজার খানিক রিয়াল ধরিয়ে দিবে।
দিদার এর আগেও আরেকটি মজলিশ তৈরী করে এক
হাজার রিয়াল পেয়েছিল।
দিদার নিজের প্রতিভাকে কাজে লাগিয়ে আরো
বেশী রিয়াল ইনকামের আশায় তার মালিক থেকে
ভিসা পরিবর্তন করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। কিন্ত
তার মালিক তাকে কিছুতে সেই সুযোগ দিচ্ছে না।
অন্য কোথাও কাজ করতে চাইলে তাকে দেশে
পাঠিয়ে দেবার হুমকি দেয়
অবিবাহিত যুবক দিদার এখন হতাশার সমুদ্রে হাবুডুবু
খাচ্ছে। এই রকম হাজারো দিদার বিভিন্ন সমস্যায়
পড়ে প্রবাসে কস্টে আছে। তাদের এই দুঃখ কস্ট
দেখার কেউ নাই। একমাত্র আল্লাহর দরবারে
কান্নাকাটি করা ছাড়া কোন উপায় নাই।
বিষয়: বিবিধ
১১৫০ বার পঠিত, ২৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন